কম্পিউটার কি,কম্পিউটার কাকে বলে,কম্পিউটার কত প্রকার, কম্পিউটারের কাজ কি (Computer Ki,Computer Kake Bole,Computerer)

কম্পিউটার কি (Computer Ki) ? এই প্রশ্নটির সোজা সপাট জবাব হিসাবে আমরা বলতেই পারি কম্পিউটার হল একধরণের আধুনিক এবং বহু গুন সম্পন্ন বিশেষ প্রকারের যন্ত্র যা সাধারণত তথ্য আদান প্রদান এবং গাণিতিক সমাধান নির্নয় করার কাজে ব্যবহৃত হয়।

তবে কম্পিউটার (Computer) শব্দটি শুনলেই আমাদের মাথায় যে খেয়াল আসে সেটা হল কম্পিউটার মূলত হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং ফার্মওয়্যারের সমন্বয়ে তৈরী তথ্য (Data) সংসাধন পক্রিয়ার কাজে ব্যবহৃত বিশেষ প্রাকারের যন্ত্র বিশেষ।

কম্পিউটার কাকে বলে বা কম্পিউটারের সরল ভাষায় সংজ্ঞা হিসাবে বলা যায় কম্পিউটার(Computer) হল এমন এক ধরণের যন্ত্র যা ডেটা পক্রিয়াকরণ এবং গণকযন্ত্রের কাজ করে। কম্পিউটার শব্দটি হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং ফার্মওয়্যার কে নির্দেশ করে যা তথ্য সংসাধনের কাজে ব্যবহৃত হয়।

ইতিহাসের পাতা ওল্টালে দেখতে পাওয়া যায় বিংশ শতাব্দীর দ্বার গোঁড়া থেকেই কম্পিউটারের ব্যবহার শুরু হয়ে গেছিল । তবে ১৯৮০ এর দশক থেকেই মূলত কম্পিউটার বাণিজ্যিক ব্যবহারের গন্ডি পেরিয়ে, ব্যক্তিগত কম্পিউটার (Personel Computer) ব্যবহার ব্যাপকভাবে শুরু হয়।

সুতরাং আমরা কম্পিউটারকে এক ধরণের আধুনিক ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বলতে পারি যা ইউজারের দেওয়া raw data কে input হিসাবে নিয়ে সেই data কে program (set of Instruction) এর মাধ্যমে process করে চরম সিদ্ধান্ত হিসাবে output হিসাবে ইউজারের সামনে তুলে ধরার কাজ করে।

input এবং output উভয়ই numerical এবং non numerical (arithmetic & logical) calculation কে process করার কাজ সম্পূর্ণ করে। তাহলে চলুন আমরা আরো একটু ভালোভাবে স্ব-বিস্তারে কম্পিউটার কি (Computer Ki ) বিষয়টা ভালো ভাবে জানার চেষ্টা করি।

Table of Contents

কম্পিউটার কি (Computer Ki)

কম্পিউটার কি ? অতি সহজ সরল ভাষায় বলতে গেলে কম্পিউটার বলতে যা বোঝায়, কম্পিউটার হল আধুনিক ইলেকট্রিক যন্ত্র বিশেষ যা গাণিতিক সমাধান এবং বিভিন্ন ধরণের তর্কবিদ্যায় সমস্যা সমাধানের জন্য সুচারু রূপে সঞ্চালন করার সর্বোপরী সময় সাশ্রয় করার বিশেষ প্রকারের যন্ত্র।

মুখ্য রূপে কম্পিউটার যে তিনটি প্রধান অংশের দ্বারা পরিচালিত হয় তা হল- ইনপুট, প্রসেসিং এবং আউটপুট। কম্পিউটারের ইনপুট বলতে যা বোঝায়, যেমন- মাউস,কীবোর্ড,ড্যাস ক্যামেরা এবং স্কানার। প্রসেসিং মূলত মাইক্রো প্রসেসর অথবা সেন্ট্রাল প্রসেসর ইউনিট। আর আউটপুট হল ডিসপ্লে/মনিটর এবং প্রিন্টার

কম্পিউটার কীভাবে কাজ করে (Computer Kivabe Kaj Kore)

কম্পিউটার হল এমন একটি উপকরণ যা মূলত ডেটা স্টোরেজ, ডেটা প্রসেস এবং ডেটা ট্রান্সমিট করার জন্যে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও কম্পিউটার দ্বারা বিভিন্ন ফাইল এবং ডকুমেন্ট,সেভ এবং কপি করে রাখা ছাড়াও কম্পিউটার ই-মেইল পাঠানোর কাজেও ব্যবহার করা হয়।

কম্পিউটার (Computer) নামের আধুনিক ইলেকট্রিক যন্ত্রটি মাইক্রো চিপের মাধ্যমে ডেটা স্টোর এবং প্রসেস করার কাজ করতে পারে। ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ গণিতজ্ঞ এলন ট্যুরিং এর নের্তৃত্বে বিজ্ঞানীদের একটা টিম দ্বারা কম্পিউটার প্রথম আবিষ্কার করা হয়।

তবে সেই কম্পিউটারটি এখনকার আধুনিক কম্পিউটার ছিলনা। সেই কম্পিউটারটি মূলত ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারী বিভাগের টেবিল গণনা করার জন্যে বিশেষ ভাবে ডিজাইন করে বানানো হয়েছিল।

“কম্পিউটার” শব্দটি এসেছে “গণনা” শব্দটি থেকে, যার অর্থ হল সমাধান/ নিণয় করা। ১৯৩৮ এর দশকে ব্রিটিশ গণিতজ্ঞ এলন ট্যুরিং সর্বপ্রথম কম্পিউটারের উত্থান ঘটান। পরে সময়ের সাথে কম্পিউটারের গঠন পরিবর্তন হতে থাকে।

কম্পিউটার ও মানব মস্তিস্ক (Computer & Human Brain)

কম্পিউটার সময়ের সাথে সাথে মানব মস্তিষ্কের মতই ক্রমশ তীক্ষ্ণ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের ব্রেন এমন একটি অঙ্গ যা কোটি কোটি নিউরোন এবং সাইন্যাপ্স দ্বারা গঠিত। নিউরোন এবং সাইন্যাপ্স বার্তা/সূচনা পরিবহনের সাথে সাথে সূচনা সংগ্রহ করে ব্রেনে স্টোরেজ করে।

ঠিক মানব ব্রেনের মতই কম্পিউটার লক্ষ লক্ষ ট্রানজিস্টার দ্বারা তৈরী, যা Human Brain এর নিউরোনের মতই কম্পিউটারের ট্রানজিস্টার গুলি সূচনা পরিবহন এবং ডেটা স্টোরেজ করার জন্যে গ্রূপ ওয়ার্কের মত একসাথে কাজ করে।

ভবিষ্যতে কম্পিউটারকে যদি মানব মস্তিষ্কের মত বিকশিত করা যায়, তাহলে হয়ত আমাদের সমাজ কম্পিউটারকে ব্যবহার করে আরো বেশি লাভবান হবে। যেমন- কম্পিউটারকে যদি আমাদের ব্রেনের থেকে আরো বেশি বিকশিত করা যায়

তাহলে হয়ত আমাদের ব্রেনের তুলনায় কম্পিউটার আমাদের থেকে অনেক ভালো ভাবে আমাদের ব্রেনকে পড়তে এবং বুঝতে পারবে। যার ফল স্বরূপ নিউরোন সংক্রান্ত রোগ মানে স্নায়ু এবং মানসিক রোগীদের অবসাদ এবং তার চিকিৎসা আরো ভালোভাবে করা সম্ভব হবে।

কম্পিউটার কি কি করতে পারে

কম্পিউটারকে আপনি আপনার সুবিধা অনুসারে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন- কম্পিউটারকে স্টোরেজ,ফটো/ভিডিও এডিটিং,বার্তা প্রেরণ ইত্যাদি ছাড়াও যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা যায়। আবার কম্পিউটারকে গণকযন্ত্র হিসাবে ম্যাসেজ গণনা করার কাজেও ব্যবহার করা যায়।

কম্পিউটার হল এমন একটি মেশিন যে মেশিনটিকে বাইনারি ল্যাঙ্গুয়েজ এবং গাণিতিক প্রযুক্তি দ্বারা আমাদের ব্যবহারের জন্যে প্রোগ্রাম করা হয়েছে। কম্পিউটারের তিনটি শ্রেণী রয়েছে – পার্সোনাল কম্পিউটার, সার্ভার এবং মানফ্রেম

পার্সোনাল বা ব্যাক্তিগতভাবে ব্যবহারের যে কম্পিউটার সেটা হল সবথেকে সাধারণ কম্পিউটার। পার্সোনাল কম্পিউটার মানফ্রেম এবং সার্ভার কম্পিউটারের তুলনায় অনেকটাই সস্তা হয়। কারণ পার্সোনাল কম্পিউটার গুলোতে কম প্রযুক্তি সম্পন্ন প্রসেসর এবং ফিচার ব্যবহার করা হয়।

পার্সোনাল কম্পিউটারকে আবার দুইভাগে ভাগ করা যায়- ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ। ডেস্কটপ, ল্যাপটপ এর তুলনায় তুলনামূলকভাবে আকারে বড় হয় এবং তার বিভিন্ন পার্টস যেমন- সিপিইউ, কীবোর্ড, মাউস আলাদা আলাদা ভাবে নির্মিত হয়, তাই ডেস্কটপ রাখার জন্যে অনেকটা জায়গার প্রয়োজন হয়।

আবার ল্যাপটপ এর মধ্যে স্ক্রীন এবং কম্পিউটার সিপিইউ ইত্যাদি পার্টস সমূহ একইসাথে যৌথ নির্মিত হওয়ায় ল্যাপটপ অনেক কম জায়গায় ব্যবহার করা যায় এবং যেখানে সেখানে ক্যারী করে নিয়ে যাওয়া যায়।

কম্পিউটারের পুরো নাম কি (Computer full form Ki)

আপনাদের মনের মধ্যে অনেকেরই প্রশ্ন থাকতে পারে কম্পিউটারের (Computer) পুরো নাম কি ? দেখুন এর উত্তরে এটাই বলব কম্পিউটারের আলাদা করে টেকনিক্যালি কোনো ফুল ফর্ম বা পুরো নাম নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা কম্পিউটারের ব্যবহারের উপর বিচার বিমর্ষ করে, কাল্পনিক ভাবে

কম্পিউটারের পুরো নাম বা একটি ফুল ফর্ম দিয়েছে। কম্পিউটারের পুরো নাম হল- “Commonly Operating Machine Particularly Used for Technical Educational Research”

কম্পিউটার কি
কম্পিউটার কি

তবে কম্পিউটারের পুরোনামকে বাংলায় অনুবাদ করা যায় তাহলে কম্পিউটারের পুরো নামের সারাংশ যেটা দাঁড়ায় সেটা হল- “প্রযুক্তি বা প্রকৌশলী বিদ্যার গবেষণার কাজে ব্যবহৃত হওয়া একটি মেশিন।”

কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন (Computer Abiskar Ke Koren)

দেখুন এককভাবে বা একা কোনো একটি মানুষ কম্পিউটারের শ্রষ্ঠা নয়। কম্পিউটার হল বেশ কয়েকবছরের চেষ্টায় বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের যোগদান এবং সম্মিলিত গবেষণার ফসল। তবে এই সমস্ত বিজ্ঞানীদের মধ্যে

আধুনিক কম্পিউটারের জনক হিসাবে একজনকেই ধরা হয় তিনি হলেন চার্লস ব্যাবেজ (Charles Babage) আধুনিক কম্পিউটার নির্মাণে তাঁর অবদানের কথা বিচার বিবেচনা করেই তাকেই আধুনিক কম্পিউটারের শ্রষ্ঠা বলে মেনে নেওয়া হয়েছে।

কারণ চার্লস ব্যাবেজই প্রথম ১৮৩৭ সালে কম্পিউটারের জন্যে Analytical Engine তৈরী করেন। চার্লস ব্যাবেজের তৈরী Analytical Engine এর ALU, Basic Flow Control এবং Integrated Memory এর Concept ব্যবহার করা হয়।

চার্লস ব্যাবেজের তৈরী এই মডেলের উপর ভিত্তী করেই আজকালকের আধুনিক ডিজাইনের কম্পিউটারের নির্মাণ হয়েছে, তাই চার্লস ব্যাবেজকেই আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়।

কম্পিউটার কাকে বলে (Computer Kake Bole)

কম্পিউটার হল একটি ইলেক্ট্রনিক উপকরণ যা তার মেমোরীতে স্টোরেজ করা সুচী অনুসারে ইউজারের দেওয়া প্রশ্নের ভিত্তিতে মেমোরিতে স্টোরেজ সূচী থেকে উত্তর স্বরূপ ডেটা আদান প্রদানের কাজ করে থাকে আর এটাকেই কম্পিপউটারের ভাষায় পোগ্রাম বলে।

কম্পিউটারের শব্দটির ব্যবহার সপ্তদশ শতাব্দী থেকেই শুরু হয়ে যায়। তখনকার দিনে গণিতজ্ঞদের মধ্যে যারা এক্সপার্ট হিসাবে বিবেচিত হত তারা অঙ্ক কষার জন্যে বিভিন্ন ধরণের সর্টকার্ট সূত্রের সাহায্যে নিজেদের মত করে

চটজলদি গণনা করার কৌশল অবলম্বন করে অঙ্কের সমাধান বার করত। আর সেই সমস্ত গণিতজ্ঞদের অঙ্ক কষার মেশিনের সঙ্গে তুলনা করে কম্পিউটার নামেই সম্বোধিত করা হত।

তবে ঊনিশ ও কুড়ির দশকে গণিতজ্ঞদিকে মেশিনের সঙ্গে তুলনা করে কম্পিউটার শব্দটির ব্যবহার করা হলেও পরে ” স্বয়ংক্রিয় (Automatic) গণনা করার মেশিন” কে কম্পিউটার নামে সম্বোধন করা হতে থাকে।

Accepts data Input
Processes data Processing
Stores results Storage
কম্পিউটার কি

কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে

কম্পিউটার মূলত তিনটি স্টেপের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ০১) Input (Data) , ০২) Process এবং ০৩) Output (Result)

০১) Input (Data):- Input হল কম্পিউটার পরিচালনা করার প্রথম স্টেপ। যেখানে Input Device এর মাধ্যমে Raw Information কম্পিউটারের CPU কে দেওয়া হয়, Example- কোনো অক্ষর (letter), ছবি (Image), ভিডিও (Video) অথবা সাউন্ড (Sound) হতে পারে।

০২) Process :- এইধাপে Internal prosessing এর মাধ্যমে কম্পিউটারের CPU এ Data Prosess এর সময় Input করা Data কে Instruction অনুসারে Processing করার কাজ করা হয়।

০৩) Output :- Input করা Raw data যেগুলো কম্পিউটারের CPU এ Input হিসাবে prosses করা হয়েছে, কম্পিউটার সেই Raw Data কে Central Prossesing Unit এ prossesing করে Output রেজাল্ট হিসাবে আমাদের সামনে তুলে ধরে।

তবে Output এর রেজাল্ট গুলোকে আমরা আমাদের প্রয়োজন হিসাবে নিজেদের মত করে ভবিষ্যতের জন্যে Save (Storage), Share, Copy, Print, Delete ইত্যাদি করতে পারি।

কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ

আপনারা কম্পিউটারের মানে মনিটর বাদ দিয়ে CPU এর ক্যাবিনেটের ভিতর উঁকি মেরে থাকেন তাহলে আপনারা motherboard এর উপর অনেক ছোট বড় বিভিন্ন ধরণের components দেখতে পাবেন।

কম্পিউটারের mother bord এর উপর থাকা components গুলো সাধারণ মাথায় ভেবে দেখতে গেলে আমাদের সামনে অনেক বেশি জটপাকানো বলে মনে হবে। আসলে কিন্তু এই components গুলো ততটা জটিল নয়।

আসুন তাহলে আমরা কম্পিউটারের ভিতরে থাকা এই সমস্ত components গুলোর বিষয়ে একটু পরিচিতি লাভ করার চেষ্টা করি, তাহলে আমাদের কাছে কম্পিউটার কি ? এই প্রশ্নের সাথে সাথে কম্পিউটারের এই সমস্ত components গুলোকে আর জটিল বলে মনে হবেনা।

মাদারবোর্ড (Motherboard)

কম্পিউটারের প্রধান অংশ হল মাদারবোর্ড (Motherboard), এটিকে কম্পিউটারের প্রধান Circuit board বলা হয়। মাদারবোর্ড হল পাতলা তামার পাত এবং কার্বনপ্লাস্টিকের তৈরী একটি প্লেট বিশেষ।

তামার পাতে মোড়া কার্বোনপ্লাস্টিকের তৈরী এই প্লেটের উপর কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরণের components যেমন- CPU, Memory, Connectors hard drive এবং Expansion Card Video এবং Audio কে Control করার জন্যে Optical Drive বসানো থাকে।

সাধারণভাবে দেখতে গেলে কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের মধ্যে কম্পিউটারের সমস্ত ports এর conection এবং কম্পিউটারের আরো বিভিন্ন অংশগুলো প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষ ভাবে সংযুক্ত থাকে।

প্রসেসর/সিপিইউ (CPU/Processor)

আপনারা কি জানেন কম্পিউটারের Central Processing Unit বা CPU কাকে বলে ? আসলে কম্পিউটারের ক্যাবেনিটের ভিতরে Motherboard মধ্যে CPU থাকে। আর সিপিইউ কেই কম্পিউটারের মস্তিস্ক বলা হয়।

সিপিইউ দ্বারাই কম্পিউটারের ভিতরে চলতে থাকা কার্যপ্রণালীর উপর নজর রাখা হয়। আর সিপিইউ এর processor যত বড় হবে এর CPU এর speed তত বেশী হবে এবং তত তাড়াতাড়ি Data processing এর কাজ হবে।

RAM (Random Acess Memory)

RAM এর পুরো নাম হল Random Acess Memory . RAM কে কম্পিউটার system এর Short Term Memory বলা হয়। যখন কম্পিউটার দ্বারা কোনো ক্যালকুলেশন করে হয়, তখন কম্পিউটার তার কাল্কুলেশনের রেজাল্টকে Temporarily ভাবে RAM এর মধ্যে Save করে রাখে।

তবে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে সেই ডেটা অটোমেটিক ডিলিট হয়ে যায়। ধরুন আপনি Word Document এর উপর কোনো কিছু Type করছেন, কিন্ত কোনো কারণে সেই Data লেখার মাঝে মাঝে Save না করেন

তাহলে কিন্ত কোনো কারণে কম্পিউটার হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেলে সেই ডেটা ডিলিট হয়ে যায়। আপনার এতক্ষনের Type করা ডকুমেন্টের hard drive এ কোনো অস্তিত্ব থাকেনা।

কারণ আমরা যখন কম্পিউটারে কোনো data যখন Save করি তখন তা কম্পিউটারের Hard Drive এ স্টোরেজ হয়ে যায়। যার ফল স্বরূপ আমরা সেই Data কে যতবার খুশী Access করতে পারি। কম্পিউটারের RAM এর পরিমাপ Megabytes (MB) এবং Gigabytes (GB) দিয়ে পরিমাপ করা হয়।

কম্পিউটার কি
কম্পিউটার কি

হার্ড ড্রাইভ (Hard Drive)

কম্পিউটারের Hard Drive হল কম্পিউটারের এমন একটি উপকরণ যা মূলত Software, Document, Image, Video, Audio, File ইত্যাদি Save করে Storage করে রাখার জন্যে ব্যবহার হয়।

পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট (Power Supply Unit)

Power Supply Unit এর কাজ হল মূলত পাওয়ার সকেট থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে কম্পিউটারের বিভিন্ন components এর প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ ডিস্ট্রিবিউট করা। যেমন- মেন সকেট থেকে কম্পিউটারের পাওয়ার ইউনিট ২২০ ভোল্ট বিদ্যুৎ নেই।

এবার এই ২২০ ভোল্ট বিদ্যুৎ কিন্ত কম্পিউটারে কোনো components সরাসরিভাবে দরকার হয়না। কম্পিউটারের কোনো components এর হয়ত ২০ ভোল্ট আবার কোনো components এর ৬০ ভোল্ট আবার কারো হয়ত ০৫ ভোল্ট,

এইভাবে বিভিন্ন components এর বিভিন্ন মাপের ভোল্টেজের বিদ্যুতের দরকার হয়। এখানে কম্পিউটারের পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিটের প্রধান কাজ হল কম্পিউটারের বিভিন্ন components এর মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুতের যোগান দেওয়া।

Expansion Card

সবধরণের কম্পিউটারের মধ্যে Expansion Slots থাকে যাতে করে ভবিষ্যতে কম্পিউটার আপডেট করতে হলে Expansion Card অ্যাড করা যেতে পারে। তাই PCI (Periheral Components Interconnect) Card বলা হয়।

কিন্ত আজকালকের New genaration এর কম্পিউটারের Motherboard এর মধ্যে Inbuild বিভিন্ন ধরণের slots থাকে। যাতে কম্পিউটারের নতুন আপডেট এলে Espansion Card দ্বারা করা যেতে পারে।

  • Video Card
  • Sound card
  • Network Card
  • Bluetooth Card (Adapter)

কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার (Compiuter Hardware & Compiuter Software)

Computer hardware হল কম্পিউটারের এমন একটি Physical Device যা, আমাদের কম্পিউটারের অবিচ্ছিন্ন অঙ্গ বিশেষ। আবার Computer Software মানে হল কতগুলো বা কয়েকগুচ্ছ C+ ভাষার Codes Colection যা

কম্পিউটারের hardware কে পরিচালনা করার জন্যে কম্পিউটারের Hard Drive এ install করা হয়। যেমন- Computer Monitor কে আমরা পড়ার কাজে ব্যবহার করি, Mouse কে আমরা Navigate করার জন্যে ব্যবহার করি এগুলো সবই হল Compiuter Hardware.

আবার Compiuter Software বলতে যা বোঝায়, যেমন- Internet Browser, যা দিয়ে আমরা Website visit করি এবং যেই Operating System দিয়ে Internet Browser run করানো হয় সেই জিনিসটা হল Compiuter Software .

সুতরাং আমরা বলতেই পারি Computer হল Software এবং Hardware এর এমন এক সংমিশ্রণ, যা একে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে মিলিত বা যৌথ ভাবে কম্পিউটার পরিচালনার কাজ সম্পন্ন করে।

কম্পিউটার কত প্রকারের হয়

কম্পিউটার হল আধুনিক যুগের এমন একটি উপকরণ বা যন্ত্র বিশেষ যা মূলত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সূচনা পাঠানো, গাণিতিক গণনা, গবেষণা ইত্যাদির কাজে ব্যবহার করা হয়।

কম্পিউটারকে আধুনিক জগতের Brain (মস্তিস্ক) বললেও কিছু ভুল বলা হবেনা। বর্তমানে কম্পিউটার অফিস, স্কুল, কোর্ট-কাচারী, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে চিকিৎসা ব্যবস্থা চন্দ্রযান ইত্যাদিতে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

সাধারণত কম্পিউটারকে দুইভাগে ভাগ করা যায়- ক) এনালগ এবং খ) ডিজিট্যাল কম্পিউটার এনালগ কম্পিউটারের ব্যবহারের জন্যে তুলনামূলকভাবে অনেক কম ক্ষমতার দরকার হয় এবং এনালগ কম্পিউটারকে ডেটা সংশোধনের জন্যে ব্যবহার করা হয়।

অপরদিকে ডিজিট্যাল কম্পিউটার অনেক বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন হয় তাই ডিজিট্যাল কম্পিউটারে ডেটা প্রসেসিংএর জন্যে অনেক কম সময়ের দরকার হয়। আমরা যখন কম্পিউটার শব্দটি শুনে থাকি তখন আমাদের চোখের সামনে মূলত পার্সোনাল কম্পিউটারের ছবি ভেঁসে ওঠে।

আমাদের এই ধরণের ধারণা কিন্ত একেবারে সঠিক নয়। কারণ কম্পিউটার বিভিন্ন ধরণের, বিভিন্ন আকারের এবং ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের হয়। আমরা আমাদের প্রয়োজন অনুসারে কম্পিউটারকে ব্যবহার করে থাকি।

যেমন- ATM মেশিন থেকে টাকা উঠানোর জন্যে, Scanner কম্পিউটারকে কে Barcode Scan করার জন্যে, Calculator কে বিভিন্ন ধরণের গাণিতিক Calculation করার জন্যে। এইভাবে আমরা বিভিন্ন ধরণের কম্পিউটার আমাদের প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করি।

০১. ডেস্কটপ (Desktop)

Desktop Computer এর ব্যবহার আমরা আমাদের পড়ার টেবিলে, আমাদের প্রয়োজনে আমাদের বেডরুমে, স্কুলে, কলেজে বিভিন্ন জায়গায় ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করি। Desktop Computer এর ডিজাইন কিছুটা এমনভাবে করা হয়

যাতে করে আমরা আমাদের Desk এর উপর কম্পিউটারটিকে রেখে আমরা আমাদের কাজকর্ম করতে পারি। Desktop কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ রয়েছে যেমন- Monitor, Keybord, Mouse, CPU case etc.

০২. ল্যাপটপ (Laptop)

বর্তমান যুগে সবথেকে সহজ ও সাশ্রয়ী ও portable হওয়ায় যত্রতত্র নিয়ে যাওয়ার কারণে দিনপ্রতিদিন laptop computer এর চাহিদা ও ব্যবহার বেড়েই চলেছে। laptop computer Battery Powered হওয়ায় এটিকে খেয়ালখুশি নিজেদের প্রয়োজনে সব জাগাতেই ব্যবহার করা যায়।

০৩. ট্যাবলেট (Tablet)

Tablet মোবাইল ফোনের মত এমন একটি জিনিস যেটাকে আমরা Handheld Computer বলতে পারি। Tablet আকারে ছোট হওয়ায় এটাকে হাতে করে যেখানে সেখানে নিয়ে যাওয়া যায় এবং দুইহাতের মুঠোর মধ্যে Excess করা যায়।

তাছাড়া Tabelet এর মধ্যে Keybord, Mouse এর ঝড় ঝামেলা না থাকায় এটাকে হাতে করে touch screen এর সাহায্যে oparate করা যায়। যেমন- iPad হল আজকালকের যুগের সবথেকে ব্যবহৃত সময়উপযোগী Tablet এর উদাহরণ।

০৪. সার্ভার (Servers)

Server Computer হল এক বিশেষ ধরণের Computer যে Computer সাধারণত Information আদান প্রদানের জন্যে ব্যবহার করা হয়। যেমন- যখন আমরা আমাদের প্রয়োজনে কোনো তথ্য খোঁজার জন্যে Internet Search করে result খোঁজার চেষ্টা করি।

তখন Search Engine থেকে আমাদের দেওয়া input তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের সামনে Search result দেখানো হয়। Internet এর এই যে Search result সেটা বিশেষ Server Computer এর মধ্যেই স্টোরেজ থাকে।

কম্পিউটারের ব্যবহার

কম্পিউটারের ব্যবহার কোথায় কোথায় করা হয় ? এই ধরণের প্রশ্ন যদি আজকালকের দিনে করা হয় তাহলে নিতান্ত বোকার মতই প্রশ্ন করা হবে। সাধারণভাবে দেখতে গেলে আজকালকের দৈনন্দিন জীবনে কম্পিউটারের ব্যবহার এতটাই অঙ্গাঙ্গী হয়ে গেছে

যে বর্তমান তো ছাড়ুন ভবিষ্যতেও কম্পিউটারের ব্যবহার যে আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য্য অঙ্গ হিসাবে জড়িয়ে যাবে সেটা বলার বালাই থাকেনা। তবুও আপনাদের সুবিদার্থে কম্পিউটারের ব্যবহার নিয়ে দু-চারটে কথা বলতেই হয়।

শিক্ষা ব্যবস্থায় কম্পিউটারের ব্যবহার :- বর্তমানযুগে শিক্ষাব্যবস্থায় কম্পিউটারের ব্যবহার সবথেকে বেশি। আজকাল কোনো ছাত্র কিংবা ছাত্রীর প্রশ্ন উত্তরের সহজ সরল সমাধানের উপায় হল কম্পিউটার।

ইন্টারনেটের দৌলতে Search Engine থেকে research করে আজকের যুবক যুবতীরা নিজেদের মত learning performance ক্রমশ দিন প্রতিদিন নিজেদের মত বাড়িয়েই চলেছে। বিশেষ করে করোনা মহামারীর সময়ে online classes শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার রসদ জুগিয়েছে।

চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কম্পিউটারের ব্যবহার :- চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কম্পিউটারের ব্যবহার বরদান স্বরূপ। কম্পিউটারের দৌলতে রুগীর রোগ নির্ণয় চিকিৎসা ব্যবস্থার মান অনেক সহজ হয়েছে।

আধুনিকযুগে সময়ের সাথে সাথে চিকিৎসা ব্যবস্থাও ডিজিট্যাল হয়ে গেছে, কম্পিউটারের দৌলতে খুব সহজেই রুগীর রোগ নির্ণয় করা যায় এবং কম্পিউটারের দৌলতে অনেক সুক্ষ সুক্ষ অপারেশন করাও সম্ভব হয়েছে।

বিজ্ঞানে কম্পিউটারের ব্যবহার :- বর্তমান দুনিয়া হল প্রযুক্তির দুনিয়া। আর Science এর দুনিয়ায় কম্পিউটার ছাড়া প্রযুক্তি ভিত্তিহীন। প্রযুক্তির দুনিয়ায় কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে collaboratoron

করে দেশ বিদেশের বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা তারা ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকেও একসঙ্গে সমবেত হয়ে বিভিন্ন ধরণের Scientafic reserch সম্পন্ন করছে। কম্পিউটারের ব্যবহারের ফলে বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীরাও সমানভাবে লাভবান হচ্ছে।

ব্যবসা ও বাণিজ্যে কম্পিউটারের ব্যবহার :- আমার মনে হয় বর্তমানযুগে কম্পিউটারের ব্যবহার করে কেউ যদি সবথেকে বেশি মুনাফা কামাচ্ছে তারা হল Businessman, Businessman রা তাদের ব্যবসার productivity এবং competitiveness বৃদ্ধির জন্যে

কম্পিউটারকে Retailing, Banking, Marketing, Stock Trading ইত্যাদি সমস্ত জায়গায় ব্যবহার করছে। আজকাল digital যুগে Cashless transaction বেশি করে প্রাধান্য দেওয়ায় online Business দিন প্রতিদিন grow হচ্ছে।

বিনোদন ও মনোরঞ্জনে কম্পিউটারে ব্যবহার :- Entertaintment এর অন্যতম মাধ্যম হল কম্পিউটার। কম্পিউটারের দৌলতে যেমন Bloger এবং Youtuber রা তাদের তৈরী Content আমাদের সামনে present করে আমাদের বিনোদন করছে।

তেমনি আবার দর্শক মহলকে তাদের রুচী অনুযায়ী মনোরঞ্জনের সাধন হিসাবে বিভিন্ন Movies, sports, Yoga, Helth tips, resturants ইত্যাদিতে কম্পিউটারকেই বেছে নিচ্ছে।

সরকারী দপ্তরে কম্পিউটারের ব্যবহার :- আজকাল সরকারি স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোর সাথে সরকারি অফিস যেমন- ব্যাঙ্ক , পোস্ট অফিস, রেলওয়ে থেকে শুরু করে Traffic Signal নিয়ন্ত্রণ, Toursiam, Information & Broadcasting প্রভৃতি জায়গায় ব্যাপকভাবে কম্পিউটারের ব্যবহার হচ্ছে।

প্রতিরক্ষা (Defence) বিভাগে কম্পিউটারের ব্যবহার :- ভারতীয় সেনাতেও যুগের উন্নতির সাথে সাথে কম্পিউটারের ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে। আজকাল অত্যাধুনিক Difence System, নৌসেনার- ডুবোজাহাজে Sonar, বায়ুসেনার Radar সবকিছুই কম্পিটারের সাহায্যেই মনিটর করা হয়।

কম্পিউটার ব্যবহারের সুফল

কম্পিউটার তার incredible speed, accuracy এবং storage এর দৌলতে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজ কর্মকে অনেকাংশেই সহজ ও সরল করে তুলেছে একথা বলার কোনো অপেক্ষা রাখেনা।

কম্পিউটারের সাহায্যে আমরা আমাদের খেয়াল খুশিমত আমাদের প্রয়োজনীয় data কম্পিউটারে storage ও save করে রাখতে পারি। সুতরাং আমরা কম্পিউটারকে আমাদের জীবনের খুবই গুরত্বপূর্ণ versatile machine বলতে পারি,

যা আমাদের নিত্যপ্রয়োজনে কাজকর্মকে সহজ করতে সাহায্য করে। তবে কম্পিউটার ব্যবহারের অনেক সুফল যেমন আছে আবার কম্পিউটার ব্যবহারের অনেক কুফলও তেমন আছে। এখন আমরা কম্পিউটার ব্যবহারের সুফল গুলো নিয়ে কথা বলব-

০১. Multitasking (একইসাথে বিভিন্ন ধরণের কাজ)

কম্পিউটারের একটি বিশেষ গুণ হল Multitasking oprating system, Multitasking oprating system এর দৌলতে একই সাথে একই প্রজেক্টে বহু মানুষ খুবই কম সময়ে তারা Multitask, multiple operation, numerical problems ক্যালকুলেট করতে পারে।

০২. Speed (দ্রুত পক্রিয়ায় কাজ সম্পন্ন করা)

কম্পিউটার এখন শুধু গণনা (Calculataion) করার মেশিন নয়, কম্পিউটার এখন আমাদের জীবনের একটি অভিন্ন অঙ্গ হয়ে গেছে। কম্পিউটারের বিভিন্ন ধরণের advantage দ্বারা খুবই কম সময়ে task complete করা যায়।

০৩. Low Data Cost / Stores

কম্পিউটার হল আপনার low cost solution সবথেকে উত্তম সহায়ক যন্ত্র। কম্পিউটারের সাহায্যে একজন ব্যক্তি খুব কম পুঁজিতে অনেক বেশি পরিমানে Data Access করতে পারে। স্বল্প খরচে Centralized databasse ব্যবহার করে অনেক high quantity এর information store করা যায়।

০৪. Accuracy (নিখুঁত)

কম্পিউটার ব্যবহার করে ভুল ত্রুটির সম্ভবনা এড়িয়ে আপনি আপনার task নিখুঁত ভাবে সময়ের পূর্বে (Accurate) সম্পন্ন করতে পারবেন।

০৫. Data Security (ডেটা সুরক্ষা)

আজকালকার দিনে নিজের Data সুরক্ষিত রাখাটাও খুবই জরুরী একটা বিষয়। Computer আমাদের Digital data base কে unauthorized person যেমন- Hack, Cyberattack থেকে আমাদের Data সুরক্ষিত রাখে।

কম্পিউটার কি
কম্পিউটার কি

কম্পিউটার ব্যবহারের কুফল

এখন আমরা কম্পিউটার ব্যবহারের সুফল মানে কম্পিউটারের ভালো দিক গুলোর ব্যাপারে কথা বললাম, এবারে আমরা এমন কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরব তাহলেই আপনারা কম্পিউটার ব্যবহারের কুফল গুলো কি সেগুলো সম্বন্ধেও অবগত হবেন।

০১. কম্পিউটারে Virus এবং Hacking Attacks এর ভয়

কম্পিউটারে destructive program কে সাধারণ ভাষায় Virus বলা হয়। কম্পিউটারের Owner এর সম্মতি ছাড়াই কম্পিউটারে unauthorized access কে hacking বা hack বলা হয়। Virus গুলো সাধারণত কম্পিউটারে

USB, E-mail attachment, infected website ইত্যাদির মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করানো হয়। যা কম্পিউটারে একবার পৌঁছে গেলে আপনার কম্পিউটারে data storage থেকে শুরু করে আপনার কম্পিউটারের oprating systme কেও বর্বাদ করে দিতে পারে।

০২. অনলাইন সাইবার অপরাধ (Online Cyber Crimes)

অনলাইনের মাধ্যমে সাইবার অপরাধ করার জন্যে সাইবার অপরাধীরা কম্পিউটারের সাইবার নেটওর্য়াক এর ব্যবহার করে। যেমন- Cyberstalking, Identity theft ইত্যাদি অপরাধ গুলো online cyber-crimes/ সাইবার অপরাধের মধ্যে পরে।

০৩. Employment opportunity হ্রাস পাওয়া

আপনারা এতক্ষনে নিশ্চয় বুঝে গেছেন কম্পিউটার একসাথে খুব অল্প সময়ের মধ্যে multi task পুরো করতে পারে তাই কম্পিউটার আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্যে employment opportunity কম করছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

তাইতো আজকাল সরকারি হোক কিংবা বেসরকারি সব জায়গাতেই computer কে মহত্ব দিয়ে ধীরে ধীরে তারা তাদের employ কম করছে। বিশেষ করে banking sector এ কম্পিউটারের ব্যাপক ব্যবহার employmnet এর সমস্যাকে অনকেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে।

তবে কম্পিউটারের আর একটি বড় disadvantage হল কম্পিউটারের Human Brain এর মত IQ থাকেনা তাই কম্পিউটার মূলত users এর কমান্ডের উপর নির্ভর করে চলে, সুতরাং কম্পিউটারের নিজের decesion নেওয়ার ক্ষমতা নেই।

তাই কম্পিউটার হয়ত আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে আমাদের কাজ সহজ সরল করলেও, কম্পিউটার যে users এর বিনা কমান্ডে একটি মেশিন ছাড়া কিছুই না ! এই জায়গাটা সারাজীবন হয়ত শুন্য থেকেই যাবে।

পছন্দের কম্পিউটার কীভাবে নির্বাচন করবেন

যে কোনো ব্যক্তির কাছে প্রথমবার কম্পিউটার কেনার আগে কী ধরণের কম্পিউটার কিনব মনস্থির করা কিন্তু মুশকিল একটা কাজ। তবে কম্পিউটার কেনার আগে কয়েকটি বিষয় একটু বিচার বিবেচনা করে দেখলে কম্পিউটার কেনার কাজটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।

যেমন- সবার প্রথমে আপনার বাজেট, আপনি কম্পিউটার দিয়ে কী ধরনের কাজ করতে চান, আপনাকে কাজের জন্যে অনেক জায়গায় ট্রাভেল করতে হয় কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলোর দিকে ধ্যান রাখতে হবে।

আমার বিশ্বাস আপনার কাজের ধরণ থেকেই নির্ভর করবে আপনার জন্যে একটি ডেস্কটপ না একটা ল্যাপটপ কেনা বেস্ট হবে। আসুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক আমাদের কম্পিউটার কেনার আগে কোন কোন বিষয় গুলো দেখে শুনে কেনা উচিত।

যদি আপনাকে কাজের জন্যে বিভিন্ন জায়গায় ট্রাভেল করতে হয় তাহলে আপনার জন্যে ল্যাপটপ কেনাটাই বেস্ট হবে। ল্যাপটপ কেনার আগে স্ক্রিনের সাইজ, ব্যাটারী লাইফ, পারফর্মেন্স, ওজন ইত্যাদি বিষয় গুলোর উপর খেয়াল করা উচিত।

তবে আপনার কাজের ধরণ অনুসারে আপনাকে দীর্ঘ্যক্ষন কম্পিউটারে সময় কাটাতে হয় তাহলে আপনার ডেস্কটপ কেনা উচতি। কারণ ল্যাপটপের তুলনায় ডেস্কটপ তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী হয়।

কম্পিউটার কীভাবে চালাতে হয়

বিশেষভাবে যারা একটু পুরোনো জেনারেশনের লোক তাদের কাছে কম্পিউটার চালানো একটু মুশকিল ব্যাপার মনে হলেও কম্পিউটার চালানো কিন্ত খুব একটা মুশকিল ব্যাপার নয়। এখনকার স্মার্টফোনের যুগে একটু চেষ্টা করলেই যে কেউ কম্পিউটার চালাতে পারে।

আপনি ভাবছেন হয়ত একইসাথে কীবোর্ড এবং মাউস কীভাবে ব্যবহার করব ? এটা কিন্ত চিন্তার কোনো বিষয় নয়। কম্পিউটার চালানোর কতগুলো ইউসার মান্যুয়াল রয়েছে, যেগুলো ফলো করলেই আপনিও কম্পিউটার চালাতে পারবেন।

  1. আপনি যেই জায়গাটিতে ক্লিক করতে চান সেই জায়গায় মাউসের পয়েন্টারটিকে নিয়ে গিয়ে আপনাকে ঐ জায়গায় ক্লিক করতে হবে।
  2. মাউসের বাম দিকের বোতামটিকে চেপে রাখুন।
  3. আপনি যে জায়গাটির উপর ক্লিক করতে চান সেই জায়গায় মাউসের পয়েন্টারটিকে টেনে আনুন।
  4. পয়েন্টারটি নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে গেল মাউসের বাম দিকের বোতামটি ছেড়ে দিন।

কম্পিউটার ভাইরাস এবং চুরি হয়ে যাওয়া কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন

আপনারা সবাই মোটামোটি এই ব্যাপারটা জানেন যে কম্পিউটারে যে কোন সময় Virus Attack এবং Data Hack হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই আমাদের কম্পিউটারের রক্ষনাবেক্ষনের ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।

আমরা এখন কম্পিউটারে Virus Attack এবং Data সুরক্ষা সম্বন্ধিত কতগুলো টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করব। যেই টিপস গুলো ফলো করলে আপনি আপনার কম্পিউটারটিকে Virus Attack এবং Data theft থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন।

সবার প্রথমে আপনি যদি আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে আপনার কম্পিউটারে ভালোমানের ভালো ব্রান্ডের লাইসেন্স যুক্ত Antivirus install করে রাখতে হবে।

আপনি অনলাইন যে সমস্ত জিনিস গুলো Access করেন যেমন- Email, Internet Banking, Sosal media account ইত্যাদির পাসওয়ার্ড গুলো মজবুত রাখা উচিত। তার সাথে অপরিচিত জায়গায় কম্পিউটারে এই সমস্ত account গুলো access করার পর অবশ্যই logout করা উচিত।

কম্পিউটারের ভবিষ্যৎ

কম্পিউটারের ভবিষ্যৎ শুধু কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, কম্পিউটার হল এখন আমাদের তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। যুগের সাথে সাথে কম্পিউটারের আধুনিকীকরণ হয়ত আগে গিয়ে একজন Human এর মত আমাদের সাথে কথা-বার্তা বলবে।

বর্তমানে কম্পিউটারের ব্যবহার যে হারে বেড়েই চলেছে তা থেকে মনে হচ্ছে ভবিষ্যতে কম্পিউটারকে এমনভাবে বিকশিত করা হবে যে কম্পিউটারের মধ্যে human brain এর মত কৃত্রিম ব্রেন বিল্ডআপ করা হবে। ভবিষ্যতে কম্পিউটার হয়ত আমাদের নিত্যদিনের

বিভিন্ন ধরণের বিভিন্ন ঘটনার আপডেট দেওয়ার সাথে সাথে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বহুমুখী কাজ করতে পারবে। এখন আমরা মানুষ প্রজাতি যে সমস্ত কাজকর্ম গুলো করতে পারি ভবিষ্যতে কম্পিউটার দ্বারা সেই সমস্ত কাজ গুলো করানো সম্ভব হবে। যেমন- গাড়ি চালানো,লেখালেখি, ডেলিভারি ইত্যাদি।

ভবিষ্যতে কম্পিউটারে আগত ৫০ বছরে আরো অনেক পরিবর্তন আমরা দেখতে পাব। কম্পিউটারের ব্যবহার ভবিষ্যতে আরো বেশি সহজ ও সরল হবে এবং কম্পিউটার এখনকার তুলনায় আরো কয়েকগুন তাড়াতাড়ি কাজ করতে সক্ষম হবে।

বর্তমানে কম্পিউটারের উপর Scientists Optical computer, DNA Computer, Neural Computer এবং Quantum Computer বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ার এবং বিজ্ঞানীর টিম Research করছে।

তার সাথে সাথে কম্পিউটারের Artificial Intelligence এর উপর বিশেষ ভাবে ফোকাস করা হচ্ছে যাতে কম্পিউটার নিজে নিজেই কোনোরকম কমান্ড ছাড়াই নিজের কাজ সুচারু রূপে করতে পারে।

প্রশ্নঃ- Computer এর পুরো নাম কী ?

উঃ- কম্পিউটারের (Computer) পুরো নাম হল- Commonly Operating Machine Particularly Used for Technical Educational Research.

প্রশ্নঃ- কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন ?

উঃ- কম্পিউটার চার্লস ব্যাবেজ আবিষ্কার করেন।

পরিশিষ্ট

তাহলে আমরা এতক্ষন আলোচনার মাধ্যমে কম্পিউটার কি, কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন, কম্পিউটার কিভাবে চালাতে হয় ইত্যাদি সব মিলিয়ে কম্পিউটার সম্বন্ধিত সবধরণের জিজ্ঞাসার সংক্ষিপ্ত একটা ধারণা আলোচনা স্বাপেক্ষে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।

আশাকরি কম্পিউটার কি (Computer Ki) আর্টিকেলটি পড়ে কম্পিউটার সমন্ধে কিছুটা হলেও মোটামোটি একটি প্রাথমিক ধারণা আপনাদের মনে ছায়া ফেলেছে। আশাকরি আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে কিছুটা হলেও লাভবান হবেন।

সর্বশেষ একজন ব্লগার হিসাবে আপনাদের কাছে অনুরোধ আমাদের লেখাটি আপনাদের কাছে যথার্থ জ্ঞানমূলক পোস্ট মনে হলে অবশ্যই আপনারা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে শেয়ার করে সবার জন্যে পড়ার সুযোগ করে দেবেন।

আর আপনাদের মনে কোনো ধরণের প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনাদের প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব, ধন্যবাদ।

5/5 - (3 votes)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here