ইন্টারনেট কি,ইন্টারনেট কাকে বলে,ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে

এখনকার দিনে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন না এমন মানুষ কিন্ত প্রায় বিরল ! আজকের আলোচনায় আমরা ইন্টারনেট কি (What is Internet) বা ইন্টারনেট কাকে বলে এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার নিয়ে কয়েকটি কথা আপনাদের সামনে আলোচনা স্বাপেক্ষে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

শুরুর দিকে ইন্টারনেটের আবিষ্কার বলুন আর ইন্টারনেটের ব্যবহার বলুন, ইন্টারনেট (Internet) পরিষেবা চালু করা হয়েছিল মূলত দেশ বিদেশের বিজ্ঞানীদের মধ্যে তাদের গবেষণা পত্র বাত্রালাপের মাধ্যমে আলোচনা করার জন্যে।

তবে ভবিষ্যতে ইন্টারনেট (Internet) যে, যোগাযোগ ব্যবস্থার অক্সিজেন হয়ে দাঁড়াবে এটা কিন্ত কেউ অনুমান করতে পারেনি। আধুনিক যুগে ইন্টারনেট হল ডিজিট্যাল ক্রান্তির মূল মাধ্যম তা বলার আর অপেক্ষা রাখেনা।

এরপর সময়ের সাথে দিন যেমন বদলেছে ইন্টারনেটের আধুনিকীকরণ এবং ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন এসেছে। দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার আমাদের জীবনের পাশা পাল্টে দিয়েছে সেই ব্যাপারে আলোচনা করব।

Table of Contents

ইন্টারনেট কি- What is Internet

ইন্টারনেট কি ? এই প্রশ্নের সোজা কোনো জবাব নেই তবে ইন্টারনেট (Internet) হল পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে থাকা, দুই বা তার অধিক কম্পিউটারের মধ্যে একে অপরের সাথে সংযোগ স্থাপনের এক বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনা।

যার দ্বারা খুব সহজেই পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে কম্পিউটার দিয়ে পৃথিবীর অপর প্রান্তে থাকা কম্পিউটারের মধ্যে স্টোরেজ করা ডেটা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন এক্সেস করা যায়।

আরো সহজভাবে বললে, বলতে হয় ইন্টারনেট হল কম্পিউটারের দ্বারা যোগযোগ স্থাপন করার এক বিশেষ নেটওয়ার্ক যা কোনো বাঁধা ধরা ভৌতিক সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।

একটি কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের এই বিশেষ নেটওয়ার্ক মূলত অপটিক্যাল ফাইবার, মোবাইল টাওয়ার কিংবা সরাসরি স্যাটেলাইটস এর মাধ্যমে একটি কম্পিউটারকে আর এক কম্পিউটারের সঙ্গে connect করার কাজ করে।

ইন্টারনেট (Internet) দ্বারা একটি কম্পিউটারের সঙ্গে আর একটি কম্পিউটারের সংযোগ স্থাপনের করার এই বিশেষ কৌশলকে world wide web (www) বলা হয়। www বা world wide web হল হল ইন্টারনেটে তথ্য খোঁজার বিশেষ প্রকারের কার্যব্যবস্থা।

যখন কোনো User ইন্টারনেটে তথ্য খোঁজার জন্যে Search Engine গিয়ে Search করে, তখন ইন্টারনেটের Server, world wide web, এর মধ্যে থাকা hypertext link দ্বারা একে অপরের সাথে connected data,কে best result হিসাবে গ্রাহকের (user) সামনে তুলে ধরে।

ইন্টারনেট কি

ইন্টারনেট কাকে বলে- Internet Kake Bole

এবারে আমাদের দ্বিতীয় প্ৰশ্ন হল ইন্টারনেট কাকে বলে ? এর উত্তর হল ইন্টারনেট কাকে বলে ? বলতে যা বোঝায় ইন্টারনেট হল আসলে এক প্রকারের Global Wide area network.যা globaly সমস্ত কম্পিউটার সিস্টেমকে একে অপরের সাথে connect করে।

এই বিশেষ নেটওয়ার্কের মধ্যে অনেক high-bandwidth data lines থাকে, যাকে internet এর “backbone/ মেরুদন্ড” বলা হয়। এই সমস্ত lines গুলোকে major Internet hubs এর সঙ্গে connect করা হয় data distribute এবং location trace করার জন্যে।

উদাহরণ- web servers এবং ISPs. আপনি যদি আপনার কম্পিউটারে অথাৎ আপনার বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ করতে চান তাহলে আপনাকে একজন Internet Service Provider (ISP) এর দরকার হবে।

যিনি ইন্টারনেট এবং আপনার মধ্যে একজন midleman হিসাবে কাজ করবে, যিনি আপনাকে ইন্টারনেট পরিসেবা দেবেন। বর্তমানে বেশিরভাগ জাগাতেই ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার Bordband এর মাধ্যমেই Internet access দিয়ে থাকেন।

যেমন- আপনার এলাকার লোকাল কেবল অপারেটর ফাইবারের মাধ্যেম আপনার বাড়ির দৌড়গোড়ায় ইন্টারনেট পৌঁছে দেয়। তারপর আপনি আপনার বাড়িতে কম্পিউটার, মোবাইল এবং আরো অন্যান্য উপকরণ গুলোকে

একইসাথে ইন্টারনেট সংযোগ করার জন্যে বাড়িতে রাউটার (router) লাগাতে হয় যা public Wi-Fi signal এর মাধ্যমে আপনার সঙ্গে ISP (Internet Service Provider) কে একসাথে connect করে।

অন্যদিকে যে সমস্ত গ্রাহক cellular data towers এর মাধ্যমে যার Internet access করে, সেই সমস্ত Internet provider ও কোনো না কোনো ভাবে connected devces এর মাধ্যমে Internet Service Provider এর সঙ্গে connected থাকে।

ইন্টারনেটের আবিষ্কার কিভাবে হয়েছিল

ঠান্ডা লড়াইয়ের (Cold Ware) সময় মার্কিন (US) সৈন্যদের মধ্যে দ্রুত বার্তা (Massage) পাঠানোর জন্য বিশেষ এক নেটওয়ার্ক তৈরীর জন্যে অনুসন্ধান করা হচ্ছিল। তখন Leonard Kleinrock নামের এক ব্যক্তির মাথায় কম্পিউটারের মাধ্যমে বার্তা পাঠানোর টেকনিক মাথায় আসে।

এইভাবে রিসার্চের মাধ্যমে কয়েক বছর কেটে যাওয়ার পর ১৯৬২ সালে JCR Licklider এবং Robert Taylor নামের নামের দুজন ইঞ্জিনিয়ার একটি কম্পিউটারকে আর একটি কম্পিউটারের সাথে connect করে Galactic Network তৈরী করার কথা মাথায় আসে।

পরে তারা Galactic Network এর উপর বেস করেই Internet আবিষ্কারের জন্যে রিসার্চ শুরু করে দেন। এরপর ১৯৬৫ সালে MIT এর একজন Scintist এ কম্পিউটারের মধ্যে বার্তা আদান প্রদান করার Packet Swiching নামের একটি plan তৈরী করেন।

১৯৫৭ সালে আমেরিকার সুরক্ষা বিশেষজ্ঞের একটি দল কম্পিউটারের মধ্যে বার্তা প্রেরণের জন্যে Advance Research Project Agency Network (ARPANET) নামের একটি নেটওয়ার্ক তৈরী করেন।

১৯৬৯ সালের ২৯ অক্টবর দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা এজেন্সীর মধ্যে তারা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার চারটি (04) টি আলাদা আলাদা কম্পিউটার একে অপরের সাথে connect করতে সক্ষম হন। একটি কম্পিউটারের সাথে আর একটি কম্পিউটার connect করার

conform code হিসাবে সর্বপ্রথম “Login” কথাটি লিখে অন্য কম্পিউটারটিতে পাঠায় এবং তারা নিজেদের দুই প্রান্তে থাকা একটি কম্পিউটারকে আর একটি অপর কম্পিউটাররের সাথে connect করেন।

এইভাবে US এর ARPANET সংস্থাটি দুটি কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করার বিশেষ কৌশল আবিষ্কার করতে সক্ষম হন। পরে কালের বিবর্তনে ১৯৮০ সাল নাগাদ ইন্টারনেটের আগের ARPANET নাম বদল হয়ে নাম পড়ে যায় Internet.

এরপর Vinton Cerf এবং Robert Kahn ইন্টারনেটে TCP/IP protocol তৈরী করেন। ১৯৭০/৭২ এর দশকে প্রথমবার Ray Tomlinson প্রথমবার E-mail Network introduce করেন।

ইন্টারনেটের ইতিহাস

ইন্টারনেটের ইতিহাস তথা ইন্টারনেট আবিষ্কারের বিষয়ে ইতিহাসের পাতা উল্টে দেখলে দেখতে পাওয়া যায় ১৯৬৯ সালে প্রথমবার ইন্টারনেটে ব্যবহার করা হয়। তবে সময়ের সাথে সাথে যুগের বিবর্তন যেমন হয়েছে,

ঠিক তেমন ইন্টারনেটের দুনিয়াতেও modern technology devlope হওয়ার সাথে সাথে ইন্টারনেটের ব্যবহার এবং প্রয়োগে নানান ধরণের পরিবর্তন এসেছে। চলুন তবে আমরা এখন ইন্টারনেটের আবিষ্কার কিভাবে হয়েছেলি ? ইন্টারনেটের ইতিহাস কি? তা জানার চেষ্টা করি।

ইন্টারনেট কি
ইন্টারনেট কি

০১. ১৯৫৭ সালে মার্কিন সুরক্ষা এজেন্সী Advance Research Project Agency Network (ARPANET) দ্বারা রিমোর্টলি গুপ্ত বার্তা প্রেরণের জন্যে আমেরিকায় ইন্টারনেটের প্রয়োগ শুরু হয়।

০২. ১৯৬৯ সালের দিকে মার্কিন Advance Research Project Agency Network (ARPANET) সুরক্ষা এজেন্সী ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় গুপ্ত বার্তা পাঠাতে সক্ষম হন।

এখানে ARPANET এর মূল কাজ ছিল দেশের সুরক্ষা এবং অস্ত্রশস্ত্রের পরীক্ষণ সম্বন্ধিত ইত্যাদি গুপ্ত বার্তা দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা এজেন্সীর এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে এবং দেশের সরকারের কাছে বার্তা প্রেরণ করা।

০৩. আমেরিকান সুরক্ষা এজেন্সী অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে গুপ্ত সূচনা পাঠানোর উদ্দেশ্য কম্পিউটারের মাধ্যমে বার্তা পাঠানোর এক বিশেষ নেটওয়ার্ক তৈরী করেন।

আমেরিকার সুরক্ষা এজেন্সীর গুপ্ত বার্তা পাঠনোর এই বিশেষ নেটওয়ার্কের নাম হল ARPANET, পরে কালের বিবর্তনে সময়ের সাথে সাথে ARPANET এর নাম বদল হয়ে যায় Internet.

০৪. শুরুর দিকে বার্তা প্রেরণের এই বিশেষ নেটওয়ার্ক, United State এর ০৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Univercity) এর মধ্যে একে অপরের সাথে কম্পিউটার গুলোকে জোড়ার (connect) উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করা হয়।

তবে ১৯৭২ সালে ARPANET (Internet) US এর গন্ডি পেড়িয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের 23 Node এর মধ্যে দেশ বিদেশের কম্পিউটার গুলোকে একে অপরের সাথে connect করা হয়। এর পর থেকে ARPANET এর নাম বদল হয়ে ARPANET নাম হয়ে যায় Internet.

০৫. শুরুর দিকে Internet শুধু Private Network হিসাবেই ব্যবহার হত। পরে ইন্টারনেটকে সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্যে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় এবং সময়ের সাথে সাথে ইন্টারনেটে নানান পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়। আজকে যেমন আপনারা ইন্টারনেটের 4G/5G পরিষেবার মাধ্যমেই ইন্টারনেট কি ? ব্লগটি পড়ছেন।

ইন্টারনেট কত প্রকার ও কি কি (Internet Kato Prokar)

মানুষের ব্যবহারের ধরণ অনুযায়ী ইন্টারনেটের স্পীড এবং পরিকাঠামোয় অনেক পরিবর্তন এসেছে। তবে এখন অবধি ইন্টারনেটের যে সমস্ত ভাগ গুলো আমাদের চোখে পড়ে সেগুলো হল- ০১)সেলুলার ইন্টারনেট, ০২)ওয়্যারলেস ইন্টারনেট, ০৩)কেবল ইন্টারনেট, ০৪) স্যাটেলাইট ইন্টারনেট, ০৫) DSL Internet এবং ০৬) Dial-up Internet.

০১) Cellular Network Internet (সেলুলার ইন্টারনেট)

আজকালকের দিনে আমরা সবথেকে বেশি যে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করি তা হল মূলত সেলুলার ইন্টারনেট পরিষেবা। আসলে আমরা আমাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি সেটাই হল সেলুলার ইন্টারনেট।

সেলুলার ইন্টারনেট মূলত মোবাইল নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে আমাদের মোবাইল ফোনে এসে পৌঁছায়। এই ধরণের ইন্টারনেট পরিষেবা আমাদের মোবাইল ফোনে পৌঁছনোর জন্যে মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়।

০২) ওয়্যারলেস ইন্টারনেট (Wireless Internet)

ওয়্যারলেস ইন্টারনেট মূলত শেয়ারিং ডিভাইস ইন্টারনেট পরিষেবা। এই ধরণের ইন্টারনেটের মাধ্যমে মূলত দুটো ডিভাইসকে সামনে রেখে একটি ডিভাইস থেকে অন্য আর একটি ডিভাইসে ইন্টারনেট শেয়ার করা হয়।

০৩) কেবল ইন্টারনেট (Cable Internet)

আজকালকের দিনে কমার্শিয়াল কাজে এবং বাড়িতে সর্বাপেক্ষা যে ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় তা হল কেবল ইন্টারনেট পরিষেবা। এই ধরণের ইন্টারনেট মূলত ব্রডব্যান্ড এর মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো হয়।

০৪) স্যাটেলাইট ইন্টারনেট (Satellite Internet)

এখনকার দিনে সবথেকে দ্রুত ইন্টারনেট পরিষেবা যে মাধ্যম থেকে পাওয়া যায় তা হল স্যাটেলাই ইন্টারনেট (Satellite Internet) পরিষেবা। স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরাসরি কোনোরকম তারের ঝনঝাট ছাড়াই বেতারে স্যাটেলাইট রিসিভারের মাধ্যমে সরাসরি উপভোক্তার কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে যায়।

০৫) DSL Internet (Digital Subscriber Line Internet)

DSL Internet পরিষেবার আগে Dial-up-Internet এর ধীর গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে DSL Internet পরিষেবা চালু হয় হয় যা Dial-up-Internet পরিষেবার থেকে ১০০ গুন দ্রুতগতি সম্পন্ন ছিল।

০৬) ডায়েল আপ ইন্টারনেট (Dial-up Internet)

আগেকার দিনে ইন্টারনেট শুরুর দৌড়গোড়ায় ফোনের লাইনের মাধ্যমে যে যে ইন্টারনেট সংযোগ (Internet connecton) স্থাপন করা হত তাকে Dial-up-Internet বলা হত। তবে এই ধরণের ইন্টারনেটের সেরকম গতি (speed) না থাকায় মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা পায়নি।

ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে- How do work Internet

Internet এর মাধ্যমে একটি computers আর একটি computers এর সাথে ছোট ছোট Network দ্বারা connect হয়। এই সমস্ত ছোট ছোট Network গুলো Internet এর মূল Network এর সাথে gateway এর মাধ্যমে Internet Backbone এর সাথে connect হয়।

এইভাবে সমস্ত Computer, ইন্টারনেট এর দ্বারা একে অপরের সাথে TCP/IP এর মাধ্যমে connect হয়। এটাকে আপনারা Internet এর দুনিয়ায় প্রবেশ করার প্রাথমিক ধাপ/ নিয়ম বলতে পারেন (I.e set of rules).

TCP/IP (Transmisson Control Protocol / Internet Protocol) ইন্টারনেটের মাধ্যমে হওয়া সমস্ত Transmisson, যেমন- Data, File, Video, Image, documenst etc সমস্ত ধরনের ডেটা আদান প্রদান ব্যবস্থাকে manage করে।

তবে Internet এর মাধ্যমে হওয়া Data Transmisson কে manage করার জন্যে data Transmisson এর সমস্ত data/ file/ document গুলোকে ছোট ছোট অংশে (parts) ভাগ করা হয়।

Internet data transmisson এর এই ব্যবস্থাকে packet/ datagrams বলা হয়। packet/ datagrams এর মধ্যে actual data-র address parts সঞ্চিত হয়। এই i.e addresses of destination এবং source হল প্রায় 1500 characters এর সমান।

ইন্টারনেট কিভাবে চলে (Internet Kivabe Chole)

এতক্ষন আমরা ইন্টারনেট কাকে বলে (Internet Kake Bole), ইন্টারনেট কত প্রকার এই সমস্ত ব্যাপার গুলো জানলাম। এবারে আমরা ইন্টারনেট কিভাবে চলে ? একটু ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করি।

আমরা প্রতিদিন আমাদের কম্পিউটারে এবং মোবাইল ফোনে যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি, সেই ইন্টারনেট কিন্ত ডেটা সেন্টার থেকে বেশ কয়েকটি প্রসেসের মাধ্যমে আমাদের কম্পিউটার পর্যন্ত এসে পৌঁছায়।

আমরা সাধারণত ইন্টারনেট মোবাইল টাওয়ার কিংবা ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। কিন্তু আমাদের মোবাইল থেকে ডেটা সেন্টার পর্যন্ত ডেটা আদান প্রদানের প্রসেস পুরো হয় ফাইবার অপটিক্যাল কেবলের মাধ্যমে।

আপনারা এই ভিডিওটির মাধ্যমে খুব সহজেই ইন্টারনেট কিভাবে চলে অথাৎ ইন্টারনেট কিভাবে আমাদের কাছে এসে পৌঁছায় বুঝতে পারেবন। ইন্টারনেট কিভাবে চলে দেখার জন্যে ভিডিওর উপর ক্লিক করুন।

ইন্টারনেট কিভাবে চলে

ইন্টারনেটের প্রধান বৈশিষ্ট গুলো কি কি

এখন আমরা ইন্টারনেটের কিছু প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট সমূহ আপনাদের সামনে তুলে ধরব। আশাকরি আপনারা ইন্টারনেট কি ? আর্টিকেলের মাধ্যমে ইন্টারনেট এর সমন্ধে বেশ ভালো একটি ছবি আপনাদের মনে ধারণ করতে সমর্থ হয়েছেন।

ই-মেল- E-mail

বর্তমান পৃথিবীতে ডিজিট্যাল যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম হল E-mail, ইন্টারনেটের মাধ্যমে দুটি কম্পিউটারের মধ্যে ইলেক্ট্রনিক সন্দেশ পাঠানোর বিশেষ রকমের কৌশল হল E-mail. ১৯৭০ সালে আমেরিকার “রে টার্মলিনসন” নামের একজন ব্যক্তি E-mail তৈরী করেন।

বর্তমানে e-mail এর মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেনের খসড়া আদান প্রদান ছাড়াও, Image, video, audio, document etc দূরদেশের ক্লাইন্টের সাথে নিমেষের মধ্যে শেয়ার করা যায়।

IRC (Internet Relay Chart)

১৯৮৮ সালে “ওকারিনন” নামের একজন ব্যক্তি Internet Relay Chart ব্যবস্থার অনুসন্ধান করেন। তখন থেকে আজ অবধি বিভিন্ন সময়ে, সময়ের সাথে সাথে বহু সংস্করণ (Update) হয়েছে।

IRC ব্যবস্থা হল ইন্টারনেটের মাধ্যমে chat করার এক বিশেষ প্রটোকল ব্যবস্থা যার মাধ্যমে এক ব্যক্তি, অন্য সার্ভারের ব্যক্তির সঙ্গে chat করতে পারে। IRC সাধারণত Chat Room এবং Chat Channel নামেই মানুষের মধ্যে অধিক পরিচিত।

Chat Room এর ব্যবহার সাধারণত কোনো spacial subject এর উপর চর্চা করার জন্যে করা হয়। User, chat room এর প্রয়োগ একে অপরের সাথে সার্ভারের লিংক শেয়ারের মাধ্যমে লিঙ্কের উপর ক্লিক করে connect হতে পারে।

খবরাখবরNews

News Group হল Internet base service, যেখানে বিভিন্ন রকমের News group একত্রিত হয়। তবে প্রত্যেকটা News group এর একটি specfic topic এর উপর news group host করা হয়।

File Transfer Protocol

FTP (File Transfer Protocol) এর ব্যবহার, ইন্টারনেটের মাধ্যমে দুটি কম্পিউটারের মধ্যে file transfer করার জন্যে করা হয়। ইন্টারনেট সার্ভারের ব্যবহার করে FTP দ্বারা পৃথিবীর দুই প্রান্তে থাকা দুটি কম্পিউটারের মধ্যে ডেটা শেয়ার করা যায়।

WWW (World Wide Web)

১৯৮৯ সালে “টিম-বার্ন্সলি” দ্বারা World Wide Web এর আবিষ্কার করা হয়। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে জ্ঞানের আলো সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। World Wide Web হল interoconnected কম্পিউটারের এক বিশেষ প্রকারের নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা।

WWW দ্বারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের আরবেরও বেশি Electronix gadget গুলোকে একে অপরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্যে ইন্টারনেট প্রটোকল সুট (TCP/IP) এর ব্যবহার করা হয়। ১৯৯০ সালে প্রথমবার “টিম-বার্ন্সলি” ব্রাউজার (Web Browser)

তৈরী করেন এবং তার ব্যবহার মূলত ইউজনেট সংবাদ শিরোনামের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার হতে থাকে। এরপর সময়ের সাথে সাথে ক্রমশ ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর বিকাশ হয়। ১৯৯৪ সালের দৌড়গোড়ায় ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবে প্রায় 5 Lakh Website live হয়।

অন ওয়েব কি- One Web

ইন্টারনেট জগতের শব্দভাণ্ডারে অন-ওয়েব (One Web) হল একটি অতি মহত্বপূর্ণ শব্দ যা ইন্টারনেটের পেজে উপস্থিত বিভিন্ন উপকরণ সামগ্রীকে উপস্থাপন করার কাজ করে।

আরো সহজভাবে বললে বলতে হয় ”অন ওয়েব” হল ইন্টারনেটে উপস্থিত একে অপরের সাথে connected নানান রকমের ডেটা সমূহ/ দলিল জিনিসটা আসলে অনেকটা মাকড়সার জালের মত, যার রূপক হিসাবে আমরা ইন্টারনেট শব্দটি ব্যবহার করি।

ইন্টারনেট এবং ওয়েব এর মধ্যে পার্থক্য

উপরের আলোচনায় আমরা ইন্টারনেট কি অথাৎ ইন্টারনেট কাকে বলে সেই বিষয়ে জানলাম। এবারে আমরা ইন্টারনেট এবং ওয়েব এর মধ্যে পার্থক্য কি ? সেই বিষয়ে একটু জানার চেষ্টা করি-

Internet (ইন্টারনেট)Web (ওয়েব)
ইন্টারনেট হল এক প্রকারের interconnected বৈশ্বিক কম্পিউটার networking ব্যবস্থা যা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে সেবা প্রদান করার জন্যে ইন্টারনেট প্রটোকল (TCP/IP) সুট ব্যবহার করে।ওয়েব হল ইন্টারকনেক্টেড কম্পিউটারের বিশাল বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক যা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষকে সেবা প্রদান করার জন্যে HyperText Transfer Protocol.(HTTP) এর ব্যবহার হয় ।
১৯৬৯ সালে DARPA দ্বারা packet switiching network হিসাবে ইন্টারনেটের উপস্থাপন হয়। ১৯৮৯ সালে বর্ণস-লি টিম দ্বারা web আবিষ্কার করা হয়।
ইন্টারনেটকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে কেন্দ্রীয় কোনো পর্যবেক্ষক বা নিয়ন্ত্রক নেই। ইন্টারনেট হল cloud base network যা সঞ্চলনা করার জন্যে কোনো কেবল নেটওয়ার্কের দরকার হয়না। অপরদিকে web সঞ্চালন করার জন্যে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা আছে এবং web হল কেবল এর মত ভৌতিক পরিকাঠামোর উপর নির্ভরশীল পরিষেবা। সেই জন্যে ইন্টারনেট কনেকশনের মাধ্যমে web সর্বত্র access করা যায়।

ভারতে ইন্টারনেটের ইতিহাস

আশির (৮০) দশকে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতির জন্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি অফিস গুলোতে ভারত সরকার ইন্টারনেট সংযোগের কাজ করা হয়।

১৯৮৬ সালে ভারতে সরকারি ব্যবস্থায় ইন্টারনেটের ব্যবহারের জন্যে কাজ শুরু হয়ে গেছিল। তবে ১৯৯৫ সালের ১৫ আগস্ট ভারতের ০৩ টি মহানগর বোম্বে, কলকাতা ও চেন্নাই শহরে publicali প্রথমবার Videsh Sanchar Nigam Limited (VSNL) এর উদ্যোগে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়।

কিন্ত ইন্টারনেট পরিষেবার নিম্নমানের পরিকাঠামোর জন্যে ইন্টারনেট ব্যবস্থা এযুগের মত শুরুতেই সফলতা হাসিল করতে পারেনি। তাই শুরুর চৌকাঠ পেরোতে না পেরোতেই ইন্টারনেট ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ে যায়।

শুরুর দিকে সেই ধাক্কা সামলে প্রথম ০৬ মাসের মধ্যে VSNL(Videsh Sanchar Nigam Limited দশ হাজার গ্রাহককে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়। এরপর ধীরে ধীরে VSNL সমগ্র ভারতবর্ষে ইন্টারনেটের জাল বিছিয়ে ফেলে।

ভারতে ইন্টারনেট ব্যবস্থায় কিছু বিপ্লব

  • ১৯৯৬ সালে ভারতে প্রথমবার Redifmail নামের email-site চালু হয়।
  • ১৯৯৬ সালে ভারতের প্রথমবার সাইবার ক্যাফে বোম্বাইয়ে চালু হয়।
  • ১৯৯৭ সালে naukri.com এর মত Job Search ওয়েবসাইট তৈরী হয়।
  • ২০০০ সালে Yahoo India-র পথচলা শুরু হয়।
  • ২০০১ সালে irctc.in এর মত train boocking ওয়েব সাইটের সূচনা হয়।

ইন্টারনেটের লাভ বা সুবিধা বা সুফল

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যা কিছু ব্যবহার করি সব কিছুরই কোনো না দিক ভালো থাকে আবার কোনো দিক খারাপ থাকে তবে আমাদের উচিত কুফল গুলোকে ত্যাগ করে ভালো জিনিস গুলোকে গ্রহণ করা। আমরা এখন ইন্টারনেটের সুফল বা ইন্টারনেটের লাভ গুলো নিয়ে কথা বলব।

ইন্টারনেট কি
ইন্টারনেট কি

০১. ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে আমরা Education, Entertainment, Online inquiry, Social Networking ইত্যাদির লাভ ওঠাতে পারি।

০২. ইন্টারনেটকে as a learner, Youtube এবং বিভিন্ন ধরনের Education app থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি।

০৩. ইন্টারনেট আমাদের সামনে অজানা তথ্য নিমেষের মধ্যে তুলে ধরে সঠিক তথ্য জানতে সাহায্য করে।

০৪. ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে আমরা massage, video, audio, document etc . এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিমেষে পাঠাতে পারি। আবার Facebook, Instagram, Twitter, Whatsap etc, ব্যবহার করে social site এ নিজের মতামত পোষণ করতে পারি।

০৫. আজকালকার দিনে ঘরে বসেই Internet Access করে বিভিন্ন Univercity থেকে Online course করে Degree হাসিল করা যেতে পারে।

০৬. ইন্টারনেটের দৌলতে আমরা online shoping, UPI id ব্যবহার করে Money transfer, Mobile recharge, tv recharge, movi tickit boocking ইত্যাদি ঘরে বসেই করতে পারি।

০৭. ইন্টারনেটের দুনিয়ায় ঘরে বসে মোবাইলে কিংবা কম্পিউটারের সাহায্যে ইন্টারনেট মারফতে video game খেলে মনোরঞ্জন করতে পারেন।

০৮. সবথেকে বড় ব্যাপার ইন্টারনেটের মাধ্যমে mobile network এর volte পরিষেবার ব্যবহার করে face to face video calling করা যায়।

০৯. ইন্টারনেট ব্যবহার করে আপনি online trading ও Bitcoin এর মত vertual Money making investment platform এ investment করতে পারেন।

১০. ইন্টারনেট ব্যবহার করে আপনি আপনার মোবাইল ফোনে কিংবা কম্পিউটার স্ক্রিন ব্যবহার করে sonobangla.com এর ব্লগের নিয়মিত পাঠক হতে পারেন।

ইন্টারনেটের অসুবিধা বা কুফল

০১. ইন্টারনেটের সবথেকে মারাত্মক কুফল বা অসুবিধা হল ইন্টানেটে আসক্তিপন্ন হওয়া। একবার কোনো ব্যক্তির ইন্টারনেটে আসক্তি জন্মালে, সেই ব্যক্তি অনিদ্রা, রক্তচাপ, মানসিক চাপ ইত্যাদির মত সমস্যায় ভোগেন।

০২. ইন্টারনেটে আপনি সঠিক তথ্য এবং ভুল তথ্য দুই ধরনের তথ্য পাবেন। তাই ইন্টারনেটে উপলব্ধ তথ্য মানেই যে সবকিছুই সত্য হবে তেমন কিন্ত কোনো মানে নেই। আপনাকে সবকিছু পড়ে বুঝে সঠিক তথ্য গ্রহণ করতে হবে।

০৩. ইন্টারনেটের মাধ্যমেই হ্যাকাররা আপনার ডেটা চুরি করে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল পর্যন্ত করতে পারে এমনকি আপনার ব্যাংক একাউন্ট শুন্য করে দিতে পারে। তাই ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় আমাদের সচেতন থাকতে হবে।

০৪. Internet এর মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস এটাক হলে আপনার কম্পিউটারের সিস্টেম স্লো হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই ইন্টারনেটে উপলব্ধ spam site গুলো avoid করতে হবে।

০৫. ইন্টারনেটে উপলব্ধ porn video এবং porn site গুলো বাচ্চাদের মানসিক চরিত্র গঠনে অনেক বেশি কু-প্রভাব ফেলে।

০৬. Internet জগতের একটি ভয়ঙ্কর দিক হল Darkweb, এই ওয়েবএর মাধ্যমে অনেক সমাজবিরোধী এবং আইন বিরোধী কাজ হয়। তাই Darkweb এর মত খারাপ দিক গুলো আমাদের ignore করা উচিত।

০৭. Internet এ বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট আছে যে সমস্ত সাইট গুলোতে আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত অনেক তথ্য শেয়ার করার জন্যে বলা হয়। তাই আপনাদের ইন্টারনেটে এই সমস্ত ওয়েব সাইট গুলো ignore করতে হবে।

ইন্টারনেটের ব্যবহার বা ইন্টারনেট কি কি কাজে লাগে

আমরা এখন ইন্টারনেট কিভাবে ব্যবহার করতে হয় অথাৎ ইন্টারনেটকে আমরা কিভাবে নিজেদের কাজে ব্যবহার করতে পারি সেই ব্যাপারে আলোচনা করব। আশাকরি এরপর ইন্টারনেটের ব্যবহার নিয়ে আপনাদের মনের সমস্ত জিজ্ঞাসার মোটামোটি অন্ত হবে ।

০১. গবেষণার কাজে ইন্টারনেটের ব্যবহার (Research)

বর্তমানে Internet কে গবেষণার মাধ্যম হিসাবে কাজে লাগিয়ে Internet থেকে ব্রাউজ করে বিভিন্ন ধরণের তথ্য একত্রিত করে কোনো বিষয়ে অধিক থেকে অধিক জ্ঞান অর্জন করা যেতে পারে। যেমন- E-Newspaper, E-Magazine, E-Book, Research paper, documents etc.

০২. ইন্টারনেট হল Groups Discussion এর খুব ভাল Platform

আপনি নিজে একজন শিক্ষক, ছাত্র, ম্যানেজার, বিজনেসম্যান যাই হন না কেন, আজকাল ইন্টারনেটে google meet, Zoom meeting ইত্যাদি online platform ব্যবহার করে বিজনেস মিটিং,পড়াশোনা, groups discussion এর মত কাজ খুব সময় সাপেক্ষে সেরে নিতে পারেন।

০৩. ইন্টারনেটের ব্যবহার করে চাকরীর খোঁজ (Online Job Search)

আগেকার দিনে খবরের কাগজে বিজ্ঞাপনের পাতায় মানুষকে চাকরীর খোঁজ করতে হত ! কিন্ত এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ইন্টারনেটের পাতায় Job vacancy লিখে ইন্টারনেট থেকে সরাসরি চাকরির খবর পাওয়া যায় ।

বর্তমানে ইন্টারনেটের পাতায় নতুন নতুন Job Search এর জন্যে যেমন বিভিন্ন ওয়েবসাইট উপলব্ধ আছে। যেমন- Naukri.com, fiver.com,Linkdin etc.

০৪. ইন্টারনেটের মাধ্যমে Online Shopping

আজকালকের দিনে online shopping গগনচুম্বী জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ইন্টারনেটের দৌলতে ঘরে বসেই মুঠো ফোন দিয়েই আপনার মনপছন্দের product online order করতে পারেন। আমাদের দেশের কিছু বিস্বস্ত online shopping site হল flipkart, amazon, Nykaa etc .

০৫. ইন্টারনেটের ব্যবহার করে Electronic mail পাঠান

আধুনিক ইন্টারনেটের জামানায় চিঠিপত্র আদান প্রদান বিলুপ্তির পথে। এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে email এর মত আধুনিক massaging পরিষেবায় সেকেন্ডের মধ্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় mail পৌঁছে যায়।

০৬. OTT Streming

আধুনিক ইন্টারনেটের জামানায় বোকা বাক্সের (Telivision) সামনে বসে সিরিয়াল দেখার দিন শেষ। এখন মানুষ Smart TV এবং Smart Phone এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন ছাড়াই ইন্টারনেটে অনলাইন OTT content উপভোগ করে।

০৭. Files Download এবং Files Upload

বর্তমানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের video file, Audio, Audio Book, Movie, Song ইত্যাদি Download করা যায় এবং Internet এ উপলব্ধ বিভিন্ন cloud space এর ব্যবহার করে নিজেদের data সংরক্ষণ করা যায়। যেমন- google drive, google photo plus etc.

০৮. Online Friendship & Dating Platform

আপনারা অনলাইনের দৌলতে facebook, instagram, Twitter etc platform গুলো ব্যবহার করে অনলাইন মারফতে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন মানুষ জনের সঙ্গে friendship করতে পারেন।

FAQ

প্রশ্ন- ইন্টারনেটের মালিক কে ?

উঃ- ইন্টারনেটের মালিক কে ? এই প্রশ্নের সোজা কোনো জবাব আমাদের জানা নেই। কারণ কোনো একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি ইন্টারনেট একা আবিষ্কার করেনি। আমেরিকার একটি এজেন্সী ARPANET নামে প্রথমবার ইন্টারনেট আবিষ্কার করেন।

প্রশ্ন- ইন্টারনেটের পুরোনো নাম কি ?

উঃ- ইন্টারনেটের পুরোনো নাম হল Advance Research Project Agency Network (ARPANET)

প্রশ্ন- ইন্টারনেটের পুরো নাম কি ?

উঃ- ইন্টারনেটের পুরো নাম হল Interconnected Network, যা আমাদের ইন্টারনেটের মাধ্যমে Network to Network connect করে।

প্রশ্ন- ভারতে ইন্টারনেট কবে চালু হয় ?

উঃ- ১৯৯৫ সালের ১৫ আগস্ট state-owned Videsh Sanchar Nigam Limited (VSNL) দ্বারা মহারাষ্ট্রের বোম্বে (Mumbai), কলকাতা (Kolkata) এবং চেন্নাই (Chennai) শহরে publicly ইন্টারনেট সবার ব্যবহারের জন্যে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

প্রশ্ন- ইন্টারনেট কবে চালু হয় ?

উঃ- ১৯৮৩ সালের ০১ জানুয়ারী “ARPANET” এর মাধ্যমে প্রথমবার আমেরিকায় ইন্টারনেট ব্যবস্থার সূচনা করা হয়।

প্রশ্ন- ইন্টারনেটের প্রথম ওয়েব সাইট কোনটি ?

উঃ- ১৯৯১ সালের ০৫ আগস্ট প্রথমবার Berners Lee প্রথমবার একটি ওয়েব সাইট Live করেন। বর্তমানে আজও সেই ওয়েব সাইটটি লাইভ আছে Berners Lee তৈরী ওয়েব সাইটটির Hypertext link হল http://info.cern.ch/hypertext/WWW/TheProject.html

প্রশ্ন- ইন্টারনেটের জনক কে ?

উঃ- ইন্টারনেটের সবথেকে জরুরী অংশ “TCP/IP PROTOCOL” টি Vincent Cerf এবং Robert Kahan তৈরী করেন। তাই এনাদেরই ইন্টারনেটের জনক বলা হয়।

প্রশ্ন- ইন্টারনেট প্রটোকল কাকে বলে ?

উঃ- ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন একটি কম্পিউটার থেকে অপর একটি কম্পিউটারে ডেটা আদান প্রদান করার জন্যে কতগুলো বিশেষ কিছু নিয়ম আছে। ইন্টানেট ব্যবহারের এই বিশেষ নিয়মকেই ইন্টারনেট প্রটোকল বলা হয়। তবে ইন্টেনরনেট প্রটোকলকে ইন্টারনেটেভাষায় Packet Switiching বলা হয়।

প্রশ্ন- WWW এর অর্থ কি ?

উঃ-WWW এর অর্থ হল World Wide Web .

প্রশ্ন- সার্চ ইঞ্জিন কে আবিষ্কার করেন ?

উঃ- এলান এমটাজ কে সার্চ ইঞ্জিনের জনক বলা হয়।

প্রশ্ন- ওয়েব ব্রাউজার কে তৈরী করেন ?

উঃ- ১৯৯০ সালে টিম ব্রান্সলি ওয়েব ব্রাউজার তৈরী করেন।

প্রশ্ন- ইন্টারনেটের পূর্ণরূপ কি ?

উঃ- ইন্টারনেটের (Internet) এর পূর্ণরূপ হল Interconnected Network.

পরিশিষ্ট

আমরা এতক্ষন ইন্টারনেট কি আর্টিকেলের মাধ্যমে ইন্টারনেট সম্বন্ধিত বিভিন্ন বিষয়ে ধাপে ধাপে আলোচনা করলাম। আশাকরি আপনারা ইন্টারনেট বিষয়টা কি ? পুরোটা না হলেও ইন্টানেটের মত বৈশ্বিক কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থার বেড়াজাল সম্পর্কে কিছুটা হলেও অবগত হতে পেরেছেন।

মানুষের মন হল জ্ঞান পিপাসু তাই জ্ঞানের পিপাসা কোনোদিন মিটবেনা এটাই স্বাভাবিক। তবুও আপনাদের মনে ইন্টারনেট বিষয়ক কোনো ধরনের প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন। আমরা যত দ্রুত সম্ভব আপনার প্রশ্নের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ।

4/5 - (4 votes)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here