ATM কার্ড কি, ATM কিভাবে কাজ করে (ATM Kivabe Kaj Kore)

ATM কার্ড কি ? atm কার্ড হল এক প্রকারের স্বয়ংচালিত ইলেক্ট্রনিক্স ব্যাঙ্কিং মেশিন। যে মেশিন দ্বারা ব্যক্তি তার ATM কার্ড ব্যবহার করে সঠিক ডেটা প্রদান করে এটিএম মেশিন থেকে টাকা Withdraw করার সাথে সাথে,

এক ব্যাঙ্ক থেকে অন্য ব্যাঙ্কে টাকা ট্রান্সফার করার মেশিনকে Atm মেশিন বলে। atm এর পূর্ণরূপ হল Automatic Teller Machine (অটোমেটিক ট্রেলর মেশিন),

এটিএম মেশিন মুখ্যত (Automatic teller machine (ATMs) দু-প্রকারের হয়- ০. Basic ATM, যে এটিএম দিয়ে ATM কার্ড ধারকেরা এটিএম থেকে টাকা Withdraw করা যায়,

ব্যাঙ্ক একাউন্টের লেনদেনের খসড়ার (Ministatement) হিসাব কিতাব দেখতে পায়। ০২.Complex ATM, এই ধরণের Complex ATM গুলোতে টাকা Withdraw,

Ministatement এর খসড়া দেখা,সরাসরি টাকা (Deposit) জমা করা,ক্রেডিট কার্ডের বিল পেমেন্ট ইত্যাদি করতে পারেন।

এখন আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের Atm কি, Atm এর ব্যবহার,Atm এর আবিষ্কার,এটিএম বুথ কিভাবে কাজ করে,এটিএমের আবিষ্কার নিয়ে একটি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।

Table of Contents

ATM কার্ড কি (এটিএম কার্ড কি)

ATM হল এক প্রকারের Banking Electronic device, যেটি ব্যাঙ্ক কর্মীর সাহায্য ছাড়াই ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা তাদের প্রয়োজনে নিজে নিজের সুবিদার্থে টাকা তুলা ও জমা করার কাজে ব্যবহার করতে পারে।

ব্যাঙ্ক তাদের কাস্টমারদের ব্যাঙ্ক একাউন্ট এক্সেস করার জন্যে,এটিএম হিসাবে বিশেষ ধরণের ইলেক্ট্রনিক মাইক্রো চিপ লাগানো প্লাস্টিক কার্ড ব্যবহার করার জন্যে দেয়।

প্লাস্টিক এটিএম কার্ডটির পিছনে magnetic strip এর উপর ব্যাঙ্ক একাউন্টের তথ্য encode বিল্ডআপ করা থাকে।এই বিশেষভাবে নির্মিত প্লাস্টিক কার্ডটির magnetic strip এর ভিতরে identification code থাকে।

এটিএম মেশিনে কার্ডটি ব্যবহার করার সময় প্লাস্টিক কার্ডের মধ্যে থাকা magnetic strip থেকে identification code এটিএম মেশিনের Modem দ্বারা ঐ ব্যাঙ্কের central computer চলে যায়।

তাই যখন কোনো ব্যক্তি টাকা ট্রানজেকশন করার জন্যে তার এটিএম কার্ডটি এটিএম মেশিনে insert করে, তখন তার এটিএমের identification code ,

এটিএম মেশিনের Modem দ্বারা automatically matching করে ডিটেক্ট করে নেয়। যার ফল স্বরূপ এটিএম মেশিন থেকে গ্রাহক তার ট্রানজেকশন পক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে।

ATM এর পূর্ণরূপ কি (ATM Full Form)

ATM এর পূর্ণরূপ হল Automated Teller Machine.

ATM এর বাংলা কি ?

এটিএম এর বাংলা হল স্বয়ংক্রিয় ট্রেলর মেশিন।

(আরো পড়ুন : UPI আইডি কি, ইউপিআই আইডি কিভাবে কাজ করে)

এটিএমের আবিষ্কার

১৯৬০ সালে John Shepherd-Barron, automaic Teller Machine এর আবিষ্কার করেন। তবে ATM মেশিনকে আরো অন্যান্য নামে ডাকা হয়,যেমন- Automatic banking machine,cash point, Bankomat ইত্যাদি।

১৯৬৭ সালের ২৭ শে জুন ব্যাঙ্কিং সেক্টরে সর্বপ্রথম আধুনিক ATM মেশিনের প্রয়োগ শুরু হয়। ১৯৬৭ সালের আগে John Shepherd-Barron এর তৈরী এটিএম মেশিনকে ব্যাংকগ্রাফ বলা হত।

ব্যাংকগ্রাফ মেশিনের প্রয়োগ সর্বপ্রথম লন্ডনের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে শুরু করা হয়। ১৯২৫ সালের ২৩ শে জুন ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতবর্ষের মেঘালয়ের সিকিমে John Shepherd-Barron এর জন্ম হয়।

শুরুর দিকে John Shepherd-Barron ছয় ডিজিটের এটিএমের পিন রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু John Shepherd-Barron এর পত্নীর মনে হয় ছয় ডিজিটের পিন অনেক দীর্ঘ্য হয়ে যাচ্ছে।

তাই যাতে সহজভাবে এটিএমের পিন নম্বর মনে রাখা যায় তার জন্যে এটিএমের ছয় ডিজিটের পিন কম করে, এটিএমের চার ডিজিটের পিন কোড রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তারপর John Shepherd Barron নতুন করে রিসার্চ করে এটিএমের চার ডিজিটের পিন কোড আবিষ্কার করেন। তখন থেকে আজ অব্ধি এটিএমে ট্রানজেকশন করার জন্যে চার ডিজিটের পিন কোড ব্যবহার হয়ে আসছে।

১৯৮৭ সালে ভারতে প্রথমবার ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায়, হংকং এবং সাংহাই ব্যাঙ্ক কর্পোরোশেন দ্বারা বোম্বাই শহরে এটিএম কার্ড ও এটিএম মেশিনের প্রয়োগ শুরু করা হয়।

John Shepherd Barron এর আবিষ্কার ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার মানকে সম্পূর্ণ বদলে দেয়। পাশ্চাত্য দেশ গুলোতে বিভিন্ন সংস্থার কর্মচারীদের তখন ব্যাঙ্ক মারফতে নগদ বেতন দেওয়া হত।

কিন্তু নগদ বেতনের হিসাব নিকাশ রাখতে ব্যাঙ্ক গুলোতে অনেক বেশি স্কিল ব্যাঙ্ক কর্মচারীর দরকার পড়ত আর হিসাবে প্রায় সই ভুল হয়ে যেত।

(আরো পড়ুন : ব্যাংক কাকে বলে )

তাই পাশ্চাত্য দেশের ব্যাঙ্ক গুলো মিনিমাম কর্মী দিয়ে সুচারু রূপে টাকা লেনদেন পক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্যে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় সর্বপ্রথম ATM ব্যবস্থার প্রচলন শুরু করেন।

তবে শুরুরদিকে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় এটিএম মেশিন ব্যবহারের পথ এতটা সহজ ছিলনা। John Shepherd Barron কে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় টাকা লেনদেনের মেশিন হিসাবে এটিএম চালু করার জন্যে অনেক কাঠ খড় পোড়াতে হয়েছিল।

শুরুরদিকে কোনো ব্যাঙ্ক এটিএম মেশিনের উপর ভরসা করে টাকা লেনদেনের মেশিন হিসাবে শুধুমাত্র একটি এটিএম মেশিনের উপর বিশ্বাস রাখতে পারছিলেন না।

John Shepherd কিন্তু এতো সহজে হেরে যাওয়ার পাত্র ছিলেন না। তিনি জীবনের ২১ সালের কর্মঠ প্রচেষ্টায় এটিএম মেশিনকে সর্বাধুনিকভাবে গড়ে তুলেন।

অবশেষে ১৯৬০ সালে তিনি এটিএমের পেটেন্টের জন্যে আবেদন করেন এবং এটিএম আবিষ্কারের পেটেন্ট পান। এটিএম আবিষ্কার হওয়ার পর একজন সাধারণ মানুষ

ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের সাহায্য ছাড়াই অনেক ধরণের ব্যাঙ্কের কাজ যেমন- একাউন্টের ব্যালেন্স ইনকোয়ারি, মিনিস্টেটমেন্ট,টাকা তুলা ইত্যাদি কাজ গুলি নিজে নিজেই করতে পারে।

(আরো পড়ুন : বিটকয়েন কি,আপনি বিটকয়েন কিভাবে কিনেবেন)

এটিএম কার্ড ব্যবহারের নিয়ম

এতক্ষনে আপনারা সবাই ATM কার্ড কি জিনিস সেটা বুঝতে পেরেছেন। এবারে আমরা এটিএম কার্ড ব্যবহারের নিয়ম অথাৎ এটিএম কার্ড কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সেই ব্যাপারে আলোচনা করব।

০১. এটিএম থেকে টাকা তোলার জন্যে সবার প্রথমে আপনাকে আপনার আসে পাশে একটি এটিএম বুথ খুঁজে নিতে হবে। কিন্ত তার আগে অবশ্যই আপনার কাছে যে ব্যাঙ্কের এটিএম আছে

সেই ব্যাঙ্কের এটিএম বুথে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু যদি আপনার ব্যাঙ্কের এটিএম বুথ না থাকে তাহলেও কোনো সমস্যা নেই আপনি অন্যকোনো ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারেন।

০২. এরপর আপনাকে এটিএম কার্ডটি এটিএম মেশিনে insert করতে হবে। সেখানে এটিএম মেশিনের স্ক্রিনে কতগুলো দিশা নির্দেশ দেওয়া থাকবে সেগুলোর মধ্যে থেকে আপনাকে Cash Wihdraw অপশনটি নির্বাচন করতে হবে।

০৩. এটিএম ব্যবহার করার আগে আপনি আপনার পছন্দসই ভাষা নির্বাচন করে নিন। তারপর আপনি আপনার এটিএমের চার ডিজিটের গুপ্ত সংখ্যার পিন এন্টার করুন।

০৪. পিন এন্টার করার পর আপনার সামনে নতুন একটা উইন্ডো খুলে যাবে। সেখানে আপনাকে আপনার একাউন্টের ধরণ সেভিং ও কারেন্ট, আপনার একাউন্টের ধরণ অনুযায়ী একাউন্টের ধরণ নির্বাচন করে নিন।

০৫. একাউন্ট নির্বাচন করার পর আপনি যত টাকা withdraw করতে চান সেই এমাউন্ট বসিয়ে তারপর কনফার্ম লেখার উপর টাচ করুন। ব্যাস আপনার কাজ সম্পন্ন হয়ে গেল এবারে আপনার এমাউন্ট এটিএম মেশিন থেকে বার হয়ে আসবে।

নোট : তবে একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন, বিভিন্ন জায়গায় এটিএমের ড্যাশবোর্ড আলাদা আলাদা হতে পারে, তবে সব এটিএম থেকে টাকা একইভাবে তুলতে হয়।

এটিএম মেশিন এর বিভিন্ন অংশ

এটিএম মেশিন (Automatic telling machine ) প্রধানত ০২ খানা input devices এবং ০৪ খানা output devices থাকে। এখানে আমরা এটিএম মেশিন এর বিভিন্ন অংশ গুলো নিয়ে একটু আলোচনা করব।

Input Devices:
1. Card reader
2. Keypad

Output Devices:
1. Speaker
2. Display Screen
3. Receipt Printer
4. Cash Depositor

ATM এর Input Devices:

০১. Card Reader

Card Reader হল একটি Input device যা Card থেকে data read করার কাজ করে। Card Reader নির্দিষ্টভাবে একটি একাউন্টের identification এর অংশ বিশেষ।

এটিএম কার্ডের পিছনের দিকে থাকা Magnetic strip, কার্ড রিডারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের কাজ করে। এটিএম টি যখন কার্ড রিডারে সুইপ করা হয় তখন এটিএম কার্ডে থাকা সমস্ত তথ্য,

এটিএম মেশিনের host processor (server) এর কাছে পাঠানো হয়। তারপর host processor কার্ডের মধ্যে থাকা কার্ডহোল্ডারের একাউন্টের সমস্ত ডেটার খসড়া প্রস্তুত করে।

০২. Keypad

এটিএম মেশিন কার্ড ধারকের identy verification করার জন্যে,এটিএম সার্ভার দ্বারা কার্ড ধারকের further details হিসাবে এটিএমের পিন এন্টার করার জন্যে বলা হয়।

এটিএম কার্ড insert করার পর এটিএম এর সঠিক পিন এন্টার করা হলে, ATM মেশিন কার্ড ধারকের identy verification করে নেয়, তারপরেই এটিএম থেকে টাকা তুলা, ব্যালেন্স ইনকুয়ারি ইত্যাদি কাজ গুলো সম্পন্ন করা যায়।

এটিএম এর পিন সুরক্ষিত রাখার জন্যে এখানে বিশেষ কায়দায় পিনকে encrypted form এ host processor এর কাছে পাঠানো হয়। Keypad এর মধ্যে থাকা ৪৮ keys এটিএম পিনকে প্রসেসরের মাধ্যমে interface করে।

ATM এর Output Devices:

০১. Speaker

এটিএমের মধ্যে থাকা Speaker গ্রাহকদের audio feedback প্রদান করার কাজে ব্যবহার করা হয়।

০২. Display Screen

Display Screen এর মাধ্যমে transaction এর সমস্ত তথ্য গ্রাহকদের সামনে display এর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। টাকা Withdrawl করার জন্যে গ্রাহককে সমস্ত steps, display screen এ গ্রাহকদের দেখানো হয়।

সচরাচর সমস্ত এটিএম বুথের এটিএম মেশিনে CRT Screen অথবা LCD Screen এই দুই ধরণের স্ক্রীন ব্যবহার করা হয়।

০৩. Receipt Printer

Receipt Printer এর মাধ্যমে গ্রাহকের একাউন্টের যাবতীয় তথ্য (details) যেমন- Cash Withdrawl, date and time, Amount এছাড়াও গ্রাহকের একাউন্ট ব্যালেন্সের সমস্ত তথ্য কাগজে receipt হিসাবে গ্রাহকের কাছে প্রস্তুত করা হয়।

০৪. Cash Dispenser

Cash Dispenser কে এটিএমের হৃৎপিণ্ডের সঙ্গে তুলনা করা হয়। Cash Dispenser সমস্ত ATM Machine এর central machine হিসাবে কাজ করে এবং এখান থেকেই কার্ড ধারকে এটিএম মেশিন দ্বারা প্রয়োজনীয় Cash সরবরাহ করা হয়।

Cash Dispenser এর মৌলিক কাজ হল ইউজারের দ্বারা ইনপুট করা প্রত্যেকটি বিলকে কাউন্ট করার পর ইউজারের কাছে তার নির্বাচন করা এমাউন্টের ক্যাশ গণনা করে প্রস্তুত করা।

এখানে Cash Dispenser এর টাকা গোনার সময় কোনো কারণে যদি কোনো নোট ভাঁজ হয়ে যায় তাহলে Cash Dispinser মেশিন সেই নোটটিকে আলাদা একটি সেকশনে পাঠিয়ে দেয়।

Cash Dispinser এর এই সমস্ত পক্রিয়া গুলো এটিএম এর মধ্যে থাকা high precision sensors দ্বারা অপারেট করা হয়। এটিএম এর লেনদেনের সমস্ত রেকর্ড এটিএম মেশিনে থাকা RTC device এর মধ্যে সংরক্ষিত হয়।

ATM Networking

এটিএম এর ট্রানজেকশন পক্রিয়ায় Internet Service Provider (ISP) এর এক অতি গুরত্বপূর্ন ভূমিকা আছে। Internet Service Provider, ATM এবং Host Processors এর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের কাজ করে।

যখন কোনো ATM থেকে কোনো ট্রানজেকশন পক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়, তখন ইউজার এটিএম মেশিনে তার ডিটেলস ইনফরমেশন ইনপুট করে। এটিএম মেশিনে ইউজারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে host processor

সমস্ত তথ্যের যাবতীয় সত্যতা Authorized Bank দ্বারা যাচাই করার পর host processor থেকে ATM মেশিনে approval code পাঠানো হয়। তারপর ইউজারদের কাছে এটিএম মেশিনের cash dispenser দ্বারা টাকা প্রদান করা হয়।

ATM মেশিনের প্রকারভেদ

Host Processor প্রধানত ০২ ধরণের এটিএম মেশিনকে সাপোর্ট করে –

০১. Leased line ATM machines
০২. Dial-up ATM machines

Leased Line ATM Machines

leased line machines এর সঙ্গে four wire point to point dedicated telephone line এর সাহায্যে directly host processor কে সংযুক্ত করা হয়।

এই ধরণের এটিএম গুলোর ইউজার ইন্টারফেস খুব সুন্দর এবং অনেক বেশি ফিচার সমৃদ্ধ হওয়ায় leased line Atm machines গুলোর Opearating cost বেশি হয়।

Dial-Up ATM Machines

dial-up ATM machines কে normal phone line ও modem দ্বারা processor এর সঙ্গে connect করা হয়। এইধরণের এটিএম মেশিনে normal connection এর দরকার হয়।

Dial-up ATM Machines এর initial installation cost এবং সার্ভিস cost leased line atm machine এর তুলনায় তুলনামূলকভাবে অনেকটাই স্বল্প হয়।

ATM Security

এটিএম কার্ডকে সুরক্ষিত রাখার জন্যে গ্রাহককে এটিএম পিনের ব্যবহার করতে হয়। এটিএম কার্ডের চার ডিজিটের গুপ্ত পিন টিকে,এটিএম কার্ডের মধ্যে বিশেষ ধরণের strong encryption software দ্বারা

Triple data Encryption এর সাহায্যে Encrypt করা হয়। তাই এটিএম কার্ডের পিন অনেক বেশি সুরক্ষিত যা এটিএম কার্ড হোল্ডার ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি দ্বারা কোনোভাবেই এটিএম এর পিন ব্রেক করা সম্ভব নয়।

(আরো পড়ুন : সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনার লাভ গুলি কি কি)

এটিএম বুথ কিভাবে কাজ করে

এটিএম বুথে (Automatic teller machine) একটি অতিসাধারণ data terminal যার মধ্যে দুটো output device ইনস্টল করা থাকে। এই output device দুটোকে processor এর সঙ্গে interface করা হয়।

processor কে এটিএম এর ব্রেনের সঙ্গে তুলনা করা হয়। পৃথিবীর সমস্ত Atm মেশিন centralized database system উপর কাজ করে যা Host Processor কে Internet Service Provider এর দ্বারা communicate করা হয়।

যখন card holder কোনো এটিএমে ট্রানজেকশন করার জন্যে যায়,তখন ইউজারকে তার কার্ডের প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্য কার্ড রিডার এবং keypad দ্বারা ইনপুট করতে হয়।

এটিএম মেশিনে এটিএম কার্ড সুইপ করতেই, কাস্টোমারের এটিএম কার্ডের ডেটা এটিএমের Host Processor এর কাছে ট্রান্সফার হয়ে যায়।

এরপর কার্ড হোল্ডার তার প্রয়োজন অনুযায়ী টাকা তোলার জন্যে keypad output device দ্বারা ট্রানজেকশন রিকোয়েস্ট পাঠায়,তখন host processor এর নির্দেশে

গ্রাহকের ইনপুট করা তথ্য অনুযায়ী এটিএমের Cash Dispenser থেকে টাকা বেরিয়ে আসে। সারা ভারত তথা সমগ্র বিশ্বের এটিএম এর পরিসেবা ATM network centralized database environment উপর নির্ভর করে কাজ করছে, যা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাপনের পথকে সুগম করেছে।

ATM কার্ড কি
ATM কার্ড কি

এটিএম (Automatic Teller Machine) এর সুবিধা গুলো

আসুন আমরা Automatic Teller Machine এর কিছু বিশেষ সুবিধার দিকে একটু নজর বুলিয়ে নিই-

  • ATM 24 hours service পাওয়া যায়।
  • ATM banking communications গ্রাহকের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করে।
  • ATMs banks কর্মচারীদের workload কম করে দেয়।
  • ATM থেকে customer রা,ব্যাঙ্কে না গিয়ে সরাসরি new currency notes পেয়ে যায়।
  • ATMs banks, customers দের কাছে একটি বিকল্প মাধ্যম।
  • ATM ব্যবস্থার প্রচলনের ফলে travelers রা travles করার সময় দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারে।
  • ATM পরিসেবায় service error খুব কম দেখা যায়।

এটিএম (ATM) এর কিছু অন্যতম বৈশিষ্ট

  • আমরা এখন Automatic Teller Machine এর বিশেষ কিছু বৈশিষ্টের কথা বলব, যেগুলো আপনাদের জানা দরকার-
  • একই ধরণের ব্যাঙ্ক থেকে, ব্যাঙ্কের অন্য ব্রাঞ্চে শুধুমাত্র atm নম্বর দিয়ে funds transfer করা যায়।
  • এটিএম দিয়ে নিজের একাউন্টের স্টেটমেন্ট দেখা যায়।
  • এটিএম থেকে নতুন এটিএম এর পিন তৈরী করা যায় এবং পিন বদল করা যায়।
  • ব্যাঙ্কে না গিয়ে এটিএম মেশিন দিয়ে সরাসরি নিজের একাউন্টে টাকা জমা করা যায়।
  • এটিএম দিয়ে অনলাইন শপিং করা যায়।
  • এটিএম দিয়ে বিভিন্ন ধরণের বিল পেমেন্ট করা যায়।
  • এটিএম দিয়ে মোবাইল রিচার্জ করা যায়।
  • এটিএম দিয়ে cash withdrawal করা যায়।

এটিএম থেকে টাকা তোলার পদ্ধতি

এবারে আমরা এটিএম থেকে টাকা তোলার পদ্ধতিটি একটু বোঝার চেষ্টা করব। আমরা জানি এটিএম থেকে টাকা তোলা অনেক সহজ, তবুও এটিএম থেকে টাকা তোলার সময় এটিএমের মধ্যে কি কি পক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে টাকা বার হয়ে আসে সেটা জানা দরকার –

০১. সবার প্রথমে কার্ড Validate করা হয় : এটিএম এর মধ্যে ডেবিট কার্ড insert করতেই মেশিন দ্বারা কার্ডটিকে verify ATM কার্ড কি বৈধ না সেটা অবৈধ্য দেখা হয়।

০২. Account number Read করা হয় : এটিএম কার্ডের পিছনে black magnetic script এ encode এর মধ্যে ইনবিল্ড থাকা একাউন্ট নম্বরটিকে এটিএম মেশিন রিডার দ্বারা রিড করা হয়।

০৩. ইউজার ভেলিডেট পক্রিয়া : ATM কার্ড validate করার জন্যে গ্রাহককে ০৪ ডিজিটের pin code enter করতে হয়। ইউজার যদি সঠিক pin code enter করে তবেই এটিএম মেশিন দ্বারা কার্ডটিকে response করা হয়।

০৪. Network Conection পক্রিয়া : কার্ড হোল্ডারের দেওয়া সমস্ত রকমের information যেমন – Account number,pin code কে রেজিস্টার ব্যাঙ্কের সার্ভার থেকে স্যাটেলাইট দ্বারা ভেরিফাই করা হয়।

০৫.Cash Dispense পক্রিয়া : একে একে step গুলো পার করার পর,সব কিছু vefify হয়ে গেলে, এটিএম এর cash dispense মেশিন থেকে ইউজার টাকা হাতে পায়।

তারপর গ্রাহক transaction এর খসড়া বাবদ কাগজে লিপিব্ধ একটি transaction receipt হাতে পায়, আর এইভাবেই এটিএম কার্ড মারফতে পুরো transaction পক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

ATM কার্ড কিভাবে ব্যবহার করা উচিত

ATM কার্ড ব্যবহার করার সময় আমাদের কতগুলো সাবধানতা অবলম্বন করা অবশ্যই উচিত। তা নইলে ATM কার্ড ব্যবহার নিয়ে আমাদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হতে পারে-

০১. নিজের এটিএম কার্ডটি যত্ন সহকারে রাখুন- আমাদের প্রত্যেকের টাকা পয়সার মত, নিজের এটিএম কার্ডকে যত্ন সহযোগে রাখা উচিত। তা নইলে আপনাকে এটিএম কার্ড হারিয়ে গেলে নানা ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।

০২. এটিএম এর পিন সুরক্ষিত রাখুন- আমাদের এটিএম কার্ড ব্যবহার করার জন্যে, ০৪ সংখ্যার পিন নম্বরের দরকার হয়, সেই ATM পিন টি সবসময় আমাদের মনে রাখা উচিত।

০৩. এটিএম কার্ডের তথ্য ফোনকলের মাধ্যেম কোনো ব্যক্তির সাথে শেয়ার করা উচিত নয়- অনেক সময় কিছু অসাধু লোক ফোন করে নিজেকে ব্যাঙ্ক কর্মীর পরিচয় দিয়ে,

এটিএম কার্ডটি ব্লক হয়ে যাওয়ার কথা বলে,এটিএম কার্ড চালু করার নামে মানুষের কাছ থেকে এটিএম কার্ডের নাম্বার,এটিএম পিন নম্বর,CCV যাবতীয় তথ্য নিয়ে একাউন্টের টাকা হরফ করার চেষ্টা করে।

তাই একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে কখনই কোনো ব্যক্তিকে ফোন কলে নিজের এটিএম কার্ড কিংবা ব্যাঙ্কের তথ্য কখনোই শেয়ার করা উচিত নয়। আপনার ব্যাঙ্ক কখনই আপনার কাছ থেকে আপনার এটিএম কার্ডের তথ্য জানতে চাইবেনা।

০৪. সময় করে নিয়মিত এটিএম পিন পরিবর্তন করুন – একটানা একটি নির্দিষ্ট এটিএম পিন না রেখে মাস দুই পর,আমাদের ATM কার্ডের পিন পরিবর্তন করা উচিত। নিজের এটিএম পিন কখনই কোনো ডাইরিতে লিখে রাখা উচিত নয়।

০৫. এটিএম কার্ডের তথ্য কখনই কারো সাথে শেয়ার করা উচিত নয়- আমাদের কারো কোনো সময় নিজের ব্যাঙ্কের তথ্য পাবলিক প্লেসে ভাই,বন্ধুদের সাথে ডিসকাস করা উচিত নয়।

এতে আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টের প্রাইভেসি নষ্ট হয়। এছাড়া আপনার মেইলে আসা বিভিন্ন ধরণের মেইলের লিংক কিংবা মোবাইল ম্যাসেজের অজানা লিঙ্কে কখনই ক্লিক করা উচিত নয়।

০৬. অনলাইন শপিং করার সময় যে জিনিস গুলো মাথায় রাখবেন- আপনারা জানেন এটিএম কার্ড দিয়ে অনলাইন শপিং করা যায়। তাই এটিএম কার্ড দিয়ে অনলাইন শপিং করার সময়,

শপিং হয়ে গেলে শপিং সাইটি অবশ্যই লগ আউট করবেন। সর্বদা নিজের স্মার্ট ফোন কিংবা নিজের কম্পিউটার থেকে অনলাইন শপিং করবেন। কোনো ব্যক্তির মোবাইল কিংবা কম্পিউটার থেকে অনলাইন শপিং করবেন না।

০৭. এটিএম কার্ড হারিয়ে গেলে, কিংবা চুরি হয়ে গেলে কার্ডটি অবশ্যই ব্লক করুন- আপনার এটিএম কার্ড হারিয়ে গেলে কিংবা চুরি হয়ে গেলে তৎক্ষণাৎ কাস্টমার হেল্প লাইনে কল করে ATM কার্ডটি ব্লক করা উচিত।

০৮. নিয়মত ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট চেক করুন – এটিএম থেকে যে কোনো ধরণের ট্রানজেকশন করার পর এটিএম কার্ডের লেনদেনের হিসাবের সঙ্গে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট মিলিয়ে দেখা উচিত।

০৯. ব্যাঙ্ক একাউন্ট রেজিস্টার মোবাইল নম্বরের সাথে লিঙ্ক করুন – আমাদের ব্যাঙ্ক একাউন্টের ট্রানজেকশনের sms এলার্ট পাওয়ার জন্যে ব্যাঙ্ক একাউন্টের সঙ্গে রেজিস্টার মোবাইল নম্বর লিংক করা উচিত।

FAQ

প্রশ্ন- এটিএম এর ফুল ফর্ম ?

উঃ- এটিএম এর ফুল ফর্ম হল অটোমেটেড টেলার মেশিন।

প্রশ্ন- atm এর পূর্ণরূপ কি ?

উঃ- atm আর পূর্ণরূপ হল Automatic teller machine

প্রশ্ন- atm এর আবিস্কারক কে ?

উঃ- atm এর আবিস্কারক হলেন John Shepherd-Barron

প্রশ্ন- atm এর জনক কে ?

উঃ- atm এর জনক হলেন John Shepherd-Barron.

প্রশ্ন- কোন ব্যাঙ্ক প্রথম atm চালু করে ?

উঃ- ১৯৮৭ সালে ভারতে হংকং এবং সাংহাই ব্যাঙ্ক কর্পোরোশেন দ্বারা বোম্বাই শহরে এটিএম কার্ড ও এটিএম মেশিনের প্রয়োগ শুরু করা হয়।

প্রশ্ন – atm থেকে একবারে কত টাকা তোলা যায় ?

উঃ- atm থেকে একবারে ২০,০০০ টাকা তোলা যায়।

পরিশিষ্ট

আমরা আমাদের আর্টিকেলে atm কার্ড কি,atm কার্ড কিভাবে কাজ করে,এটিএম বুথ কিভাবে কাজ করে,এটিএম ব্যবহার করার সময় আমাদের কোন কোন বিষয়গুলোর

উপর নজর দেওয়া উচিত আলোচনা স্বাপেক্ষে আমরা বর্ণনা করার চেষ্টা করলাম। আসাকরি atm কার্ড কি এবং atm কার্ড কিভাবে কাজ করে আপনারা এটিএম কার্ডের কনসেপ্ট গুলো বুঝতে পেরেছেন।

তবুও এর বাইরে এটিএম মেশিন ও এটিএম কার্ড নিয়ে আপনার যদি কোনো জিজ্ঞাসা থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

5/5 - (2 votes)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here