রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম ফিলাপ করার নিয়ম (Rupashree Prakalpa wikipedia,application form pdf download)

আজকে আমরা আলোচনা করব রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম pdf ডাউনলোড সহ রূপশ্রী প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপ করার নিয়ম গুলো সমন্ধে। আপনারা জানেন পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর

২০১৮-২০১৯ আর্থিক বর্ষের বাজেট অধিবেশনে দুঃস্থ পরিবারের মেয়েদের বিবাহের সুবিদার্থের জন্যে এককালীন ২৫,০০০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।

এখন কথা হচ্ছে আমরা সবাই রূপশ্রী প্রকল্প (Rupashree Prakalpa) নামটির সাথে মোটামোটি পরিচিত থাকলেও, রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম ফিলাপ করার নিয়ম, রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম pdf ডাউনলোড কিভাবে করতে হবে,

রূপশ্রী প্রকল্পের ফর্ম pdf কোথায় পাওয়া যাবে, রূপশ্রী প্রকল্পের জন্যে কারা, কারা আবেদন করতে পারবে, রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম ফিলাপ করার জন্যে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে,

রূপশ্রী প্রকল্পের ফর্ম pdf ফিলাপ করার পর কোথায় জমা দিতে হবে, রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা কতদিন পর পাওয়া যাবে এই সমস্ত ব্যাপার গুলো সম্পর্কে তেমন ভাবে জানেনা।

আমরা আজকের আর্টিকেলে রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম pdf ডাউনলোড কিভাবে করতে হবে, সেই সঙ্গে রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম ফিলাপ করার নিয়ম গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব।

Table of Contents

রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা কারা পাবে (Rupashree Prakalper Subidha Kara pabe)

রূপশ্রী প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপ করার নিয়ম গুলো জানার আগে, রূপশ্রী প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপ কারা, কারা করতে পারবে বা রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা কারা পাবে সেই বিষয়ে জানা দরকার।

০১. সবার প্রথমে রূপশ্রী প্রকল্পের জন্যে আবেদনকারী মেয়েটির (পাত্রীটির) নূন্যতম বয়স অবশ্যই ১৮ বছর পূণ্য হতে হবে।

০২. রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদন করার জন্যে আবেদনকারী মেয়েটির বিবাহের দিনক্ষণ লিখিতভাবে ধার্য্য হতে হবে।

০৩. রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদন করার জন্য বিবাহের জন্যে মেয়েটির বিয়েতে নিজস্ব মত থাকতে হবে, জোর পূর্বক পাত্রীর অমতে বিয়ে দেওয়া যাবেনা।

০৪. রূপশ্রী প্রকল্পের জন্যে আবেদনকারী মেয়ে ও তার অভিভাবককে অবশ্যই পশ্চমবঙ্গের নাগরিক অথাৎ পশ্চিমবঙ্গের ভোটার হতে হবে।

০৫. রূপশ্রী প্রকল্পের জন্যে আবেদনকারী মেয়ের অভিভাবকের (পিতার) বাৎসরিক আয় ০১,৫০,০০০ টাকার নিচে হতে হবে।

০৬. মেয়ের যে পাত্রের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে, সেই পাত্রের নূন্যতম বিবাহের বয়স অবশ্যই ২১ বছর পূর্ণ্য হতে হবে।

০৭. রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদনের জন্যে আবেদনকারীর নামে একটি স্বচল ব্যাঙ্ক একাউন্ট অতি অবশ্যই থাকতে হবে।

রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম pdf কোথায় পাওয়া যাবে

রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম pdf আপনি যদি পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা হন তাহলে আপনার পঞ্চায়েত অফিস,পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা হন তাহলে পৌরসভা (Municipaliti Office), সাব ডিভিশন অফিস (SDO Office),বিডিও অফিস (BDO Office),

এছাড়া যারা কলকাতার বাসিন্দা তারা কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের অফিসে, কিংবা নিজের নিজের ওয়ার্ডের অফিস কার্যালয় (কাউন্সিলরের কাছ) থেকে রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম pdf পেয়ে যাবেন।

তবে আপনারা যারা আমাদের আর্টিকেলটি পড়ছেন তাদের, কোথাও যাওয়ার দরকার নেই, আপনারা আমাদের দেওয়া লিংকে ক্লিক করে সরাসরি রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম pdf ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম pdf ডাউনলোড কিভাবে করবেন (Rupashree Prakalpa form pdf daunload)

আপনাদের সুবিদার্থে রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম pdf ডাউনলোড করার লিংক নিচে দিয়ে দিলাম, আপনারা নিচের রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম ডাউনলোড লেখা লিংকটিতে ক্লিক করে রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম pdf ডাউনলোড করে নিন।

রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম pdf
রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম pdf

রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম ফিলাপ করার জন্যে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে (Rupashree Prakalpa Application Form)

এতক্ষণ আমরা রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম কোথায় পাওয়া যাবে, রূপশ্রী প্রকল্পের জন্যে কারা কারা আবেদন করতে পারবে, সেই ব্যাপারে জানলাম। এখানে আমরা রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম ফিলাপ করার জন্যে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে সেই ব্যাপারে আলোচনা করব।

০১. রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদন করার জন্যে আবেদনকারী মেয়ের (পাত্রীটির ) ১৮ বছর পূর্ণ্য হয়েছে তার প্রমান স্বরূপ, মেয়ের বয়সের প্রমান পত্র হিসাবে জন্ম প্রমানপত্র/মাধ্যমিকের এডমিট কার্ড/ ভোটার কার্ড/প্যান কার্ড/আধার কার্ডের মধ্যে যে কোনো একটি ডকুমেন্টের জেরক্স সহ সেলফ এটাস্টেড করে দিতে হবে।

০২. মেয়ের (পাত্রীটির) অভিভাবকের আয়ের প্রমান পত্র (Income Certificate) দিতে হবে। এখানে আবেদনকারী মেয়ের অভিভাবক যদি পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা হন তাহলে পঞ্চায়েত প্রধানের সই করা Income Certificate দেবেন।

আর মেয়ের (পাত্রীটির) অভিভাবক যদি পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা হন, তাহলে পৌরসভা অফিস থেকে পৌরসভার চেয়ারম্যানের সই করা Income Certificate দেবেন।

০৩. মেয়ের বিবাহ ঠিক হয়েছে তার প্রমান স্বরূপ বিয়ের নিমন্ত্রণ কার্ড /বিবাহ রেজিষ্ট্রীকরণের নোটিশ (Marriage registration notice)/স্ব-ঘোষণাপত্র (Self Declaration) দিতে হবে।

০৪. আবেদনকারীর যে পাত্রের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছে, তার বয়স ২১ বছর পূর্ণ্য হয়েছে , তার প্রমান স্বরূপ পাত্রের জন্ম প্রমানপত্র/আধার কার্ড/ভোটার কার্ড/প্যান কার্ড/মাধ্যমিকের এডমিট কার্ড, যেকোনো একটি নথির জেরক্স দিতে হবে।

০৫. রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদন পত্রের সঙ্গে, পাত্রীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হওয়া পাত্রের একটি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি বসাতে হবে।

০৬. আবেদনকারী পাত্রীকে অবশ্যই তার নিজের ব্যাঙ্কের পাশ বুকের প্রথম পাতার, যেখানে ছবি সহ Account No, IFSC Code, Address ইত্যাদি লেখা আছে সেই পাতাটির জেরক্স কপি দিতে হবে।

০৭. রূপশ্রী প্রকল্পে আবেদন করার জন্যে পাত্রীর একটি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদন ফর্মের সঙ্গে আঁঠা দিয়ে সেটে দিতে হবে।

নোট : রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদন ফর্মের সঙ্গে দেওয়া সমস্ত ডকুমেন্ট গুলোর উপর আবেদনকারী অবশ্যই তার নিজের নাম লিখে সই করে দেবেন, নইলে আপনার আবেদন পত্রটি বাতিল হয়ে যেতে পারে।

রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম ফিলাপ করার নিয়ম (How to filup Rupashree Prakalpa Application Form)

এবারে আমরা রূপশ্রী প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপ করার পুরো পক্রিয়া ধাপে ধাপে আলোচনা করে দেখাবো, আপনারা একটু যত্ন সহকারে মনোযোগ দিয়ে পুরো আর্টিকেলটি পড়লে নিজেরাই রূপশ্রী প্রকল্প ফর্ম ফিলাপ করতে পারবেন।

Applicant’s Details (আবেদনকারীর বিবরণ)

এখানে সবার প্রথমেই বলা হয়েছে রূপশ্রী প্রকল্পের পুরো ফর্মটি আপনাকে ইংরেজী বড় হরফে পূরণ করতে হবে। সুতরাং আপনি স্বচ্ছ হাতের লেখায় ইংরেজী ভাষায় পুরো ফর্মটি ফিলাপ করার চেষ্টা করবেন।

০১. Name (Must spelt exactly as it is your Bank Account), অথাৎ আবেদনকারীকে তার ব্যাঙ্ক একাউন্টে যে নাম লেখা আছে সেই নামটি এই ফাঁকা কলমে ইংরেজীতে লিখতে হবে।

০২. Date of Birth এর কলমে আবেদনকারীর জন্ম তারিখটি DD/MM/YY অথাৎ দিন/মাস/বছর, যেমন- আবেদনকারীর জন্ম তারিখ যদি ১৯৯৮ সালের জুলাই মাসের ১০ তারিখ হয়, তাহলে তাকে 10/06/1998 এভাবে লিখতে হবে।

০৩. Poposed date of marriage এর কলমে, বিবাহের দিন অথাৎ বিবাহের তারিখ দিন/মাস/সাল (DD/MM/YY) এইভাবে লিখতে হবে।

০৪. Coloured Pasport Size Photograph of Applicant এর বাক্সটিতে আবেদনকারীর একটি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ফটো আঠা দিয়ে লাগাতে হবে।

০৫. Mothers Name এর জায়গায় ইংরেজী বড় হরফে আবেদন কারীর মায়ের নাম লিখতে হবে।

০৬. Fathers Name এর জায়গায় একইভাবে ইংরেজী বড় হরফে আবেদনকারীর বাবার নাম লিখতে হবে।

০৭. এখানে Current Address এবং Permanent Address এর দুটি কলম আছে, তাই আবেদনকারীকে ঠিকানা পূরণ করার আগে একটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে।

আবেদনকারীর অভিভাবক অথাৎ আবেদনকারী তার Permanenet Address (স্থায়ী ঠিকানা) থেকে যদি অন্য কোথাও নিজের কর্মসূত্রে বা অভিভাবকের কর্মসূত্রে বা অন্যান্য কারণে অন্য জায়গায় থাকেন তাহলে আবেদনকারীকে

তার Permanenet Address (স্থায়ী ঠিকানা) এবং Current Address (বর্তমান ঠিকানা) আলাদা আলাদা করে পূরণ করতে হবে। তা না হলে আবেদনকারীর Current Address এবং Permanenet Address এ একই ঠিকানা পূরণ করতে হবে।

Current Address (বর্তমান ঠিকানা) এবং Permanenet Address (স্থায়ী ঠিকানা)

আমরা এখানে Permanent Address এবং Current Address দুই ধরণের Address কিভাবে পূরণ করতে হবে, আলোচনা স্বাপেক্ষে পূরণ করার নিয়ম গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

Permanenet Address এবং Current Address দুই জায়গাতেই একইভাবে একই নিয়মে আবেদনকারীকে তার ঠিকানা পূরণ করতে হবে।

০১. House No এর কলমে বাড়ির নম্বর বসাতে হবে, তবে আপনার যদি কোনো House No না জানা থাকে তাহলে আপনি এই কলমটি খালি ছেড়ে দিতে পারেন, এখানে House No এর কলম বাধ্যতা মূলক পূরণ করতে হবে সেরকম কোনো নিয়ম নেই।

০২. Road/Street Name এই কলমে রাস্তার নাম লিখতে হবে। তবে আপনাকে এই কলমটি পূরণ করতে হবে এমন কোনো মানে নেই, আপনি এই কলমটি খালি ছাড়তে পারেন।

০৩. Police Station এর কলমে ইংরেজী বড় হরফে , (Present এবং Permanent Address দুই ক্ষেত্রেই) থানার নাম লিখতে হবে।

০৪. Post Office এর কলমে ইংরেজী বড় হরফে, (Present এবং Permanent Address দুই ক্ষেত্রেই) পোস্ট অফিসের নাম লিখতে হবে।

০৫. G.P/Ward এর কলমে (Present এবং Permanent Address দুই ক্ষেত্রেই) আবেদনকারী যদি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা হন তাহলে আবেদনকারীকে তার পঞ্চায়েতের নাম লিখতে হবে।

আর যদি আবেদনকারী পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা হয়, তাহলে আবেদনকারীকে আবেদনকারীর পৌরসভার Ward এর নাম লিখতে হবে।

০৬. Block,Municipaliti,SD-Municipal Corporation এর কলমে (Present এবং Permanent Address দুই ক্ষেত্রেই) আবেদনকারীকে ব্লক,পৌরসভা অথবা SDO অফিসের নাম লিখতে হবে।

০৭. District এর কলমে (Present এবং Permanent Address দুই ক্ষেত্রেই) আবেদনকারীকে তার জেলার নাম লিখতে হবে।

০৮. State এর কলমে (Present এবং Permanent Address দুই ক্ষেত্রেই) আমাদের রাজ্যের নাম West Bengal লিখতে হবে।

০৯. Pin No এর কলমে (Present এবং Permanent Address দুই ক্ষেত্রেই) আবেদনকারীকে,তার ছয় সংখ্যার পিন নম্বরটি লিখতে হবে।

১০. Contact Mobile No এর কলমে (Present এবং Permanent Address দুই ক্ষেত্রেই) আবেদনকারীকে তার ১০ সংখ্যার একটি চালু নম্বর দিতে হবে। এই নম্বরেই রূপশ্রী প্রকল্পের যাবতীয় আপডেট দেওয়া হবে।

Bank Details (ব্যাঙ্কের বিবরণ )

এখানে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হল ব্যাঙ্কের বিবরণ সঠিকভাবে পূরণ করা। কারণ আপনার দেওয়া ব্যাঙ্কের বিবরণের উপর ভিত্তি করেই রূপশ্রী প্রকল্পের আপনার একাউন্টে এককালীন ২৫,০০০ টাকা আপনার একাউন্টে ঢুকবে।

সুতরাং ব্যাঙ্কের যাবতীয় তথ্য একেবারে নির্ভুল ও সঠিক তথ্য দেবেন। তার সাথে খেয়াল রাখবেন আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্ট টি যাতে একটি স্বচল অথাৎ চালু ব্যাঙ্ক একাউন্ট হয়। এবারে আমরা ব্যাঙ্ক ডিটেলস কিভাবে পূরণ করতে হবে সে ব্যাপারে আলোচনা করব-

০১. Account No এর কলমে আপনি আপনার অথাৎ আবেদনকারীর ১২ সংখ্যার (ব্যাঙ্ক অনুযায়ী নম্বর কম বেশি থাকতে পারে) একাউন্ট নম্বরটি বাম দিক থেকে পর পর লিখবেন। যেমন- 20125749289

০২. IFS Code এর জায়গাটিতে ব্যাঙ্কের আইএফএস কোডটি একটি একটি বাক্সে সঠিক ও পরিষ্কার ভাবে লিখুন। যেমন -SBIN00012633

০৩. MICR No এর কলমে আপনি আপনার ব্যাঙ্কের খাতা দেখে MICR Code টি লিখুন। যেমন – 825002610

০৪. Bank Name এর জায়গায় আপনি আপনার ব্যাঙ্কের নাম লিখুন। যেমন- State Bank Of India

০৫. Branch Name এর কলমে আপনি আপনার ব্যাঙ্কের শাখার নাম লিখুন। যেমন- SBI Branch DVC Kodrma

০৬. Branch Address এর কলমে আপনি আপনার ব্যাঙ্কের ঠিকানাটা লিখুন। যেমন- Vill+PO- Koderma, Jharkhand.

Other Personal information Corected for the purpose of record only (শুধুমাত্র লিপিবদ্ধ করার জন্য) Tick is applicable (অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্যে টিক চিহ্ন দিন )

এই কলমটিতে যথাক্রমে তিনটি বিভাগ সহ বড় বড় বাক্স রয়েছে। যথা- Education Level (শিক্ষার স্তর), Cast (জাতি) এবং Releigion (ধর্ম)

০১. Education Level (শিক্ষার স্তর), এই কলমে পাত্রীকে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী আগে কলমের ছোট বাক্স গুলোতে টিক চিহ্ন বসাতে হবে। যেমন- এখানে পাত্রী যদি Graduate (স্নাতক) হয় তাহলে তার আগের খোপে টিক চিহ্ন বসাবে।

০২. Cast (জাতি), এই কলমে পাত্রী তার জাতি অনুযায়ী আগের খোপে টিক চিহ্ন বসাবে। যেমন- পাত্রী যদি Genrel (সাধারণ) বর্গের হয় তাহলে তার আগের বাক্সে টিক চিহ্ন বসাবে। আর যদি SC কিংবা ST হলে তার আগের খোপে টিক চিহ্ন বসাবে।

০৩. Releigion (ধর্ম), এই কলমে পাত্রীকে তার ধর্ম উল্লেখ করতে হবে। এখানে পাত্রী যদি Hindu (হিন্দু) হয় তাহলে হিন্দু ধর্মের আগের বাক্সে টিক চিহ্ন বসাবেন,

আর Islam (ইসলাম/মুসলিম) হলে তার আগের বাক্সে টিক চিহ্ন বসাবেন। আর যদি পাত্রী কোল,মুন্ডা, সাঁওতাল ইত্যাদি হয় তাহলে Others (অন্যান্য) বাক্সে টিক চিহ্ন বসাবেন।

Gromm’s Details (পাত্রের বিবরণ)

এই কলমটিতে বিধিবদ্ধ ভাবে পাত্রীর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হওয়া পাত্রের যাবতীয় বিবরণ গুলো পূরণ করতে হবে। আসুন এই কলম গুলো কিভাবে পূরণ করবেন একটু দেখে নেওয়া যাক-

০১. Name in full (পুরো নাম), এই কলমটিতে পাত্রের পুরো নামটি লিখতে হবে।

০২. Date Of Birth (জন্ম তারিখ), এই কলমটিতে পাত্রের জন্ম তারিখটি দিন/মাস/সাল এই ভাবে লিখতে হবে। যেমন- পাত্রের জন্ম তারিখ 11/05/1997.

০৩. Coloured Pasport Size Photograph of Groom লেখা খালি বাক্সটিতে পাত্রের একটি রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি বসাতে হবে।

০৪. Mother’s Name (মায়ের নাম), এই কলমে পাত্রের মায়ের নাম লিখতে হবে।

০৫. Father’s Name (বাবার নাম), এই কলমে পাত্রের বাবার নাম লিখতে হবে।

Current Address (বর্তমান ঠিকানা) এবং Permanenet Address (স্থায়ী ঠিকানা)

এখানে Current Address এবং Permanent Address এর দুটি কলম আছে, তাই এখানে আবেদনকারীকে তার পাত্রের ঠিকানা পূরণ করার আগে একটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে।

আবেদনকারী পাত্রীর পাত্র,তার অভিভাবকের Permanenet Address (স্থায়ী ঠিকানা) থেকে যদি অন্য কোথাও নিজের কর্মসূত্রে বা অভিভাবকের কর্মসূত্রে বা অন্যান্য কারণে অন্য জায়গায় থাকেন তাহলে এখানে পাত্রের

Permanenet Address (স্থায়ী ঠিকানা) এবং Current Address (বর্তমান ঠিকানা) আলাদা আলাদা করে পূরণ করতে হবে। তা না হলে পাত্রের Current Address এবং Permanenet Address এ একই ঠিকানা পূরণ করতে হবে।

এখানে আপনাকে পাত্রের Permanent Address এবং Current Address দুই ধরণের Address কিভাবে পূরণ করতে হবে, আলোচনা স্বাপেক্ষে পূরণ করার নিয়ম গুলো নিয়ে আলোচনা করব।

Permanenet Address এবং Current Address দুই জায়গাতেই একইভাবে একই নিয়মে পাত্রের ঠিকানা পূরণ করতে হবে।

০১. House No এর কলমে বাড়ির নম্বর বসাতে হবে, তবে পাত্রের যদি কোনো House No না জানা থাকে তাহলে আপনি এই কলমটি খালি ছেড়ে দিতে পারেন, এখানে House No এর কলম বাধ্যতা মূলক পূরণ করতে হবে সেরকম কোনো নিয়ম নেই।

০২. Road/Street Name এই কলমে রাস্তার নাম লিখতে হবে। এখানে আপনি যদি রাস্তার নাম না জানেন তাহলে এই কলমটি পূরণ করতে হবে এমন কোনো মানে নেই, আপনি এই কলমটি খালি ছাড়তে পারেন।

০৩. Police Station এর কলমে ইংরেজী বড় হরফে পাত্রের , (Present এবং Permanent Address দুই ক্ষেত্রেই) থানার নাম লিখতে হবে।

০৪. Post Office এর কলমে ইংরেজী বড় হরফে পাত্রের , (Present এবং Permanent Address দুই ক্ষেত্রেই) পোস্ট অফিসের নাম লিখতে হবে।

০৫. G.P/Ward এর কলমে (Present এবং Permanent Address দুই ক্ষেত্রেই) পাত্র যদি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা হন তাহলে এখানে পাত্রের পঞ্চায়েতের নাম লিখতে হবে।

আর যদি পাত্র পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা হয়, তাহলে এখানে পাত্রের পৌরসভার Ward এর নাম লিখতে হবে।

০৬. Block,Municipaliti,SD-Municipal Corporation এর কলমে (Present এবং Permanent Address দুই ক্ষেত্রেই) পাত্রের ব্লক,পৌরসভা অথবা SDO অফিসের নাম লিখতে হবে।

০৭. District এর কলমে (Present এবং Permanent Address দুই ক্ষেত্রেই) পাত্রের জেলার নাম লিখতে হবে।

০৮. State এর কলমে (Present এবং Permanent Address দুই ক্ষেত্রেই) পাত্র যদি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাসিন্দা হয় তাহলে রাজ্যের নাম West Bengal লিখতে হবে। আর যদি পাত্র অন্য রাজ্যের বাসিন্দা হয় তাহলে অন্য রাজ্যের নাম লিখুন।

০৯. Pin No এর কলমে (Present এবং Permanent Address দুই ক্ষেত্রেই) পাত্রের এলাকার , ছয় সংখ্যার পিন নম্বরটি লিখতে হবে।

Declaration and Documents submitted (ঘোষণা ও দাখিল করা কাগজ পত্র)

এই কলমে পাত্রীর কাছে Declration (স্ব-ঘোষণা পত্র) নেওয়ার জন্যে কত গুলো পয়েন্ট রাখা হয়েছে, এখানে উল্লেখিত পয়েন্ট গুলোর প্রতিটি কলমের চেক বাক্সে টিক চিহ্ন বসাতে হবে।

০১. I am un-married, and the proposed marrage is my first marrage- এখানে বলা হয়েছে ” আমি অবিবাহিত এবং এটাই আমার আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রথম বিয়ে। “

০২. My family income is not more than Rs. 01,50 lakhs per annuam- এখানে বলা হয়েছে ” আমার পরিবারের বাৎসরিক আয় ০১,৫০,০০০ টাকার নিচে।”

০৩. I am resident of West Bengal- আমি পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করি, I was born in West Bengal- আমি পশ্চিমবঙ্গে জন্ম গ্রহণ করেছি, I have lived in West Bengal for the last 05 years- আমি বিগত ০৫ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করছি।

My parents are permanent residents of West Bengal- আমার পিতা,মাতা ও অভিভাবক বৃন্দ সকলেই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা।

নোট : এখানে ০৩ নং কলমের প্রতিটি পয়েন্টের আগের চেক বাক্সে কিন্তু আপনাকে আবশ্যিকভাবে টিক চিহ্ন বসাতে হবে। আর তা নইলে আপনার আবেদন পত্রটি বাতিল হয়ে যাবে।

০৪. I am above 18 year’s old (আমার বয়স ১৮ বছরের উর্দ্ধে), এর প্রমান স্বরূপ পাত্রীকে ডকুমেন্ট হিসাবে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, মাধ্যমিক এডমিট কার্ড,জন্ম প্রমাণপত্র ইত্যাদি

এই সমস্ত প্রমান পত্রের মধ্যে যে কোনো একটি নথির জেরক্স দিতে হবে। আবেদনকারী রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদন পত্রের সঙ্গে বয়সের প্রমান স্বরূপ যে ডকুমেন্টটি দেবে সেই আবেদনপত্রটির আগের চেক বক্সে টিক চিহ্ন দিতে হবে।

নোট : এখানে No লেখা জায়গাটিতে আবেদনকারী যে প্রমান পত্রটি রূপশ্রী প্রকল্পের বয়সের প্রমান পত্র হিসাবে দেবে, সেই প্রমান পত্রটির নম্বর গুলো লিখতে হবে।

০৫. I have an active Bank account for which I am the sole account holder (আমার নিজের একটি স্বচল ব্যাঙ্ক একাউন্ট আছে) [_] Page of Bank Account that shows Account Holder’s Name, Account No and Bank details

(ব্যাঙ্কের পাস বুকের প্রথম পাতায় যেখানে একাউন্ট হোল্ডারের নাম, ব্যাঙ্ক একাউন্ট নম্বর, আইএফএস কোড ইত্যাদি তথ্য আছে) এখানেও রূপশ্রী প্রকল্পের জন্যে আবেদনকারী পাত্রীকে খালি বাক্সটিতে [_] টিক চিহ্ন বসাতে হবে।

০৬. Proof of proposed marriage (প্রস্তাবিত বিয়ের প্রমান স্বরূপ), এখানে বিয়ের আনুষ্ঠানিক প্রমান স্বরূপ যে ডকুমেন্টের প্রতি ছবি রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদন ফর্মের সঙ্গে জমা করছেন তার আগের বাক্সে টিক চিহ্ন বসাতে হবে।

যেমন- Marrage Inviation Card (বিয়ের নিমন্ত্রণ কার্ড), Marrage Registration Notice (বিবাহ রেজিস্ট্রির নোটিশ) কিংবা Self Declaration (স্ব-ঘোষণাপত্র), আপনি যে ডকুমেন্টটি দিয়েছেন তার আগের বাক্সে টিক চিহ্ন দিন।

০৭. My prospective groom is above 21 years old [ Submit any of one the following (যে কোনো একটি নথি জমা দিন)- এখানে বলা হয়েছে পাত্রের বয়স যে ২১ বছর পূর্ণ্য হয়েছে তার প্রমান স্বরূপ পাত্রের যে কোনো একটি ডকুমেন্ট

যেমন- আধার কার্ড, মাধ্যমিক এডমিট কার্ড, জন্ম প্রমানপত্র,প্যান কার্ড ইত্যাদি যে ডকুমেন্টটি দিতে চান তার আগের বাক্সে টিক চিহ্ন দিন।

নোট : এখানে No লেখা জায়গাটিতে আবেদনকারীর পাত্রের বয়সের প্রমান পত্রটি রূপশ্রী প্রকল্পের বয়সের প্রমান পত্র হিসাবে দেবে, সেই প্রমান পত্রটির নম্বর গুলো লিখতে হবে।

I will be liable if any of the above information is founded to be false- এখানে বলা হয়েছে “আবেদনপত্রের সঙ্গে আমার দেওয়া তথ্য সমূহ ভুল প্রমাণিত হলে প্রার্থী স্বয়ং দায়ী থাকবে।”

ব্যাস এখানেই আপনার রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদন ফর্ম পূরণ সম্পূর্ণ হল। এখানে ফর্মের ডানদিকে আবেদনকারীকে তার নিজের নাম সই করতে হবে এবং বামদিকে আবেদনের তারিখ উল্লেখ করতে হবে ।

এর পরের কলম গুলো আপনার জন্যে নয় এগুলো অফিসের ব্যবহারের জন্যে। এখানে রূপশ্রী প্রকল্পের ফর্ম যেখানে জমা করবেন সেখানে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট অধিকারী আপনাকে প্রাপ্তি স্বীকার কপি হিসাবে একটি কপি দেবে।

রূপশ্রী প্রকল্পের ফর্ম কোথায় জমা করবেন (Ruposree Prakalpa form pdf deposit)

উপরের দিশা নির্দেশগুলি অনুকরণ করে রূপশ্রী প্রকল্পের ফর্ম ফিলাপ করার পর, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট গুলো ফর্মের সঙ্গে Attach করে আপনার বিডিও অফিসের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের চেম্বারে গিয়ে আপনাকে রূপশ্রী প্রকল্পের ফর্মটি জমা করতে হবে।

সেখানে রূপশ্রী প্রকল্পের ফর্ম জমা করার পর সরকারি আধিকারিকের তরফ থেকে, ফর্মের প্রাপ্তি স্বীকার বাবদ সই সিল সহ একটি প্রাপ্তি স্বীকার কপি আপনাকে দেওয়া হবে।

তবে এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচী ক্যাম্প গুলোতে রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদন ফর্ম সরাসরি জমা নেওয়া হয়, আপনারা চাইলে সেখানে গিয়েও রূপশ্রী প্রকল্পের ফর্মটি জমা করতে পারেন।

রূপশ্রী প্রকল্পের ফর্ম জমা করার কতদিন পর রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা পাওয়া যাবে

রূপশ্রী প্রকল্পের ফর্ম জমা করার পর বিডিও অফিসের আধিকারিকরা আপনার আবেদন পত্রের সত্যতা যাচাই করার করার জন্যে আপনার গ্রামে আসবেন। তারপর আপনার পঞ্চায়েত সহ আপনার গ্রামের মেম্বার এবং

পাড়ার বাসিন্দাদের থেকে আপনার বিবাহ সংক্রান্ত নথির সত্যতা যাচাই করবে এবং সেখানে আপনার আবেদন পত্রের সত্যতা প্রমাণিত হলে আপনার আবেদন পত্রটি পাকাপাকিভাবে স্বীকার করা হবে।

তারপর আপনার ব্যাঙ্ক ডিটেলস যদি সব ঠিক ঠাক থাকে তাহলে নিয়ম মাফিক ধার্য্য হওয়া বিবাহের দিনের ০৫ দিন আগে আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক একাউন্টে ২৫,০০০ টাকা ঢুকে যাবে।

FAQ

প্রশ্ন- রূপশ্রী প্রকল্প কত সালে চালু হয় ?

উঃ- ২০১৮ সালে রূপশ্রী প্রকল্প চালু হয়।

প্রশ্ন- রূপশ্রী প্রকল্পে কত টাকা পাওয়া যায় ?

উঃ- রূপশ্রী প্রকল্পে ২৫,০০০ টাকা দেওয়া হয়।

প্রশ্ন- রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা কত বার পাওয়া যায় ?

উঃ- রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা মেয়ের প্রথম বার বিবাহের জন্যে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় বার বিবাহের জন্যে দেওয়া হয় না।

প্রশ্ন- রূপশ্রী প্রকল্প কে চালু করেন ?

উঃ- মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রূপশ্রী প্রকল্প চালু করেন।

5/5 - (3 votes)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here