ভারতে বিটকয়েন কিভাবে কিনব,ভারতে বিটকয়েন কেনা বেচা যায় (Bharote Bitcoin Kivabe Kena Becha Jay)

বিটকয়েন কি ও কেন এতো জনপ্রিয়তা পাচ্ছে তাতো আর জানতে কারো বাকি নেই, কিন্তু আপনি ভারতে বিটকয়েন কিভাবে কিনবেন বা ভারতে বিটকয়েন কিভাবে কেনা বেচা যায় সেই ব্যাপারে কিছু জানেন ?

বিশ্বের সবথেকে দামি ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসাবে বিটকয়েনের নামতো সবাই শুনেছেন কিন্তু কিভাবে বিটকয়েন কেনা যায়, বিটকয়েন একাউন্ট খোলার নিয়ম কি,এইসব ব্যাপারে সবার সেরকম নলেজ নেই।

বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সির দুনিয়ায় আর যে সমস্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি আছে তার মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি হল বিটকয়েন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির দুনিয়ায় প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসাবে বিটকয়েন লঞ্চ হয়।

শুরুরদিকে বিটকয়েনের চাহিদা বা মূল্য কোনো কিছুই এতটা পরিমানে ছিলনা। বিটকয়েন এক প্রকারের বিকেন্দ্রীকৃত মুদ্রা হওয়ায় শুরুরদিকে পাবলিক বিটকয়েনের উপর ততটা আস্থা রাখতে পারেনি।

কিন্তু সময়ের ব্যবধানে বিটকয়েনের উপর মানুষ বিশ্বাস রেখে বিটকয়েনে ইনভেস্ট করতে শুরু করে এবং মার্কেটে দিন প্রতিদিন বিটকয়েনের দাম ক্রমশ বাড়তে থাকে।

আজকে ক্রিপ্টোকারেন্সির দুনিয়ায় বিটকয়েন এতটাই মূল্যবান যে আপনি ০১ টি বিটকয়েন সমান কত টাকা শুনে মাথায় হাত দেবেন। আজকে বর্তমান মুদ্রা ব্যবস্থায় ভারতীয় মুদ্রায় ০১ টি বিটকয়েনের দাম প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা।

তাহলেতো আপনারা বুঝতেই পারছেন বিটকয়েনের গ্রাফ দিন প্রতিদিন যেভাবে লাফিয়ে লাফিয়ে উপরের দিকে বেড়ে চলেছে, ভবিষ্যতে বিটকয়েনের মূল্য কতটাকা হবে বলা খুব মুশকিল।

তাছাড়া সবথেকে বড় ব্যাপার বিটকয়েনের লেনদেনের উপর ট্রানজেকশন ফিস দিতে হয়না বললেই চলে,খুবই স্বল্প পরিমান শুল্কে বিটকয়েন লেনদেন করা যায়।

তাই মানুষ শেয়ার মার্কেটে নিবেশ ছেড়ে আজকাল বিটকয়েনে নিবেশকে বেশি লাভজনক মনে করছে। আপনি জেনে হয়তো খুশি হবেন আমাদের দেশে বিটকয়েন বৈধ,

তাই ভারতে বিটকয়েন কিভাবে কিনব বা ভারতে বিটকয়েন কিভাবে কেনা বেচা যায় সেইসব না ভেবে আজকেই বিটকয়েনে নিবেশ করুন।

বিটকয়েন কি ও কেন এত জনপ্রিয় (Bitcoin Ki O Keno eto Populur)

বিটকয়েন কি ও কেন এত জনপ্রিয়, যে বিটকয়েন অন্য কারেন্সি যেমন- টাকা,রুপি,ডলার ইত্যাদির তুলনায় এতো বেশি দামি ? এইরকম প্রশ্ন প্রায়শই আমাদের মনে জাগে তাই না।

বিটকয়েন কি ও কেন এত জনপ্রিয় জানার আগে, বিটকয়েন কি সেটা আগে জানা দরকার। বিটকয়েন হল রূপহীন,বর্ণহীন একপ্রকার অভৌতিক মুদ্রা যা আর পাঁচটা কারেন্সির মত ডিজিট্যালি লেনদেনের কাজে ব্যবহার করা হয়।

কিন্তু বিটকয়েন আর অন্যান্য কারেন্সির থেকে কিছুটা আলাদা, কারণ বিটকোয়নকে না আমরা কোনোদিন হাতে ছুঁয়ে দেখতে পারব, না আমরা বিটকয়েনকে মানিব্যাগে নিয়ে ঘুরতে পারবো,

এককথায় বিটকোয়নকে ফিজিক্যালি ব্যবহার করতে পারবনা। বিটকয়েনের ফিজিক্যালি কোনো অস্তিত্ব না থাকায় বিটকয়েনকে ডিজিট্যাল মুদ্রা হিসাবে শুধু অনলাইন ওয়ালেটে সংগ্রহ করে রাখা যায়।

২০০৯ সালে সাতোশি নাকামাতো ছদ্মনামের নামের এক ব্যক্তি বিটকয়েন নামের ক্রিপ্টোকারেন্সিটি আবিষ্কার করেন। বিটকয়েন বিকেন্দ্রীকৃত মুদ্রা হওয়ায় বিটকয়েনের উপর কোনো দেশের কোনো ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণ থাকেনা।

বিটকয়েনের ব্যবহার যে কেউ করতে পারে, আমরা যেমন ইন্টারনেট যে কেউ ব্যবহার করতে পারি, ঠিক একইভাবে বিটকয়েন সবাই ব্যবহার করতে পারে,বিটকয়েনের কোনো মালিক নেই।

বিটকয়েন কেন এত দামি

বর্তমানে আর যে সমস্ত কারেন্সি আছে যেমন- টাকা,ইউরো,রুপি,ডলার ইত্যাদি সব কারেন্সি কোনো সংস্থা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয় তাই এই সমস্ত কারেন্সি কোনো দেশের বা সংস্থার দ্বারা পুরো ইকোসিস্টেম মাফিক চলে।

কিন্তু বিটকয়েনের উপর কোনো দেশের কোনো ব্যাঙ্কের অথবা কোনো সংস্থার কন্ট্রোল নেই, তাই বিটকয়েন ব্যবহার করা অনেক সহজ, বিটকয়েন যে কেউ কেনা বেচা করতে পারে।

পৃথিবীর এক প্রান্তের এক কোণে বসে থাকা ব্যক্তি, পৃথিবীর আর এক কোন বসে থাকা ব্যক্তির ওয়ালেটে কোনো মিডিয়েটর ছাড়াই পিয়ার-টু-পিয়ার বিটকয়েন ট্রান্সফার করতে পারে।

আজকাল বিটকয়েনের চাহিদা দিন প্রতিদিন বেড়েই চলেছে, তাই বর্তমান বাজারে ০১ টি বিটকয়েনের মূল্য কয়েকলাখ টাকা। সবথেকে বড় ব্যাপার আপনাকে পুরো বিটকয়েন কিনতে হবে সেরকম কোনো কথা নেই।

আপনি বিটকয়েনের ভগ্নাংশ রূপে সাতোশি কিনে রাখতে পারেন। যেমন আমাদের ভারতীয় মুদ্রায় ১০০ পয়সা মিলে ০১ টাকা হয়, ঠিক তেমন করেই ১০ কোটি সাতোশি মিলে ০১ টি বিটকয়েন হয়।

(আরো পড়ুন : বিটকয়েন মাইনিং কি, বিটকয়েন কিভাবে তৈরী হয়)

বিটকয়েন কিনতে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে

আপনি যদি বিটকয়েন কিনতে চান অথবা কিভাবে বিটকয়েন কেনা যায় কিংবা ভারতে বিটকয়েন কিভাবে কিনব এই নিয়ে সাত পাঁচ ভাবনা যদি মনে থাকে, তাহলে তার আগে বিটকয়েন কেনার জন্যে কি ডকুমেন্টের দরকার হবে সেই ডকুমেন্ট গুলো সম্পর্কে জানা দরকার।

  1. আপনার কাছে অবশ্যই Driving Licence, Voter Id, Aadhar Card, Pan Card অথবা Passport এর মধ্যে যেকোনো একটি বৈধ পরিচয় পত্র থাকতে হবে।
  2. আপনার নামে একটি ব্যাঙ্ক একাউন্ট থাকতে হবে, যে ব্যাঙ্ক একাউন্টটা আপনার বিটকয়েন ওয়ালেট ওয়েবসাইটের সঙ্গে লিংক করতে হবে।
  3. বিটকয়েন একাউন্ট খোলার জন্যে অবশ্যই আপনার পানকার্ড থাকতে হবে।
  4. আপনার একটি বৈধ এবং স্বচল ইমেল আইডি থাকতে হবে।
  5. ক্রিপ্টোকারেন্সির ওয়েবসাইট গুলোতে বিটকয়েন ওয়ালেট রেজিস্টার করার সময়, আপনাকে আপনার যাবতীয় তথ্য সঠিক ও নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে, নইলে আপনার একাউন্ট ভেরিফাই না হতেও পারে।
ভারতে বিটকয়েন কিভাবে কিনবেন
ভারতে বিটকয়েন কিভাবে কিনবেন

ভারতে বিটকয়েন কিভাবে কিনব (How to Buy Bitcoin in India)

বিটকয়েন কি ও কেন এত দিন প্রতিদিন বিটকয়েনের চাহিদা ও দাম বাড়ছে এটা বুঝতে নিশ্চয় আরো বাকি নেই। বিটকয়েনকে মানুষ এখন সোনার সঙ্গে তুলনা করে সম্পত্তি হিসাবে কিনে রাখছে।

তবে সোনার মত বিটকয়েনকে ভারতীয় কারেন্সিতে কেনা যায়। তাহলে চলুন কিভাবে বিটকয়েন কেনা যায় অথাৎ ভারতে বিটকয়েন কিভাবে কিনব ধাপে ধাপে বোঝা যাক।

ইন্টারনেটে বিটকয়েন কেনার বহু ওয়েবসাইট আছে তার মধ্যে কতগুলো বিশ্বস্ত বিটকয়েন ওয়েবসাইটের তালিকা আপনাদের সামনে তুলে ধরব আপনারা এই সমস্ত ওয়েব সাইট গুলোতে সাইন আপ করে ভারতীয় মুদ্রায় বিটকয়েন কিনতে পারেন।

1. Wazirx
2. Unocoin
3. Zebpay
4. Coinbox
5. BTCxIndia
6. LocalBitcoin

এখন আমরা উপরের দেওয়া বিটকয়েন ওয়েবসাইটের সূচি গুলো থেকে ভারতে বিটকয়েন কিভাবে কেনা বেচা যায় আলোচনা সাপেক্ষে আপনাদের কাছে ভারতে বিটকয়েন কিভাবে কিনব তার মৌখিক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব।

(আরো পড়ুন : বিটকয়েন কেনা বেচা কিভাবে করবেন )

01. বাজিরক্স (wazirx)

Wazirx হল ভারতে বিটকয়েন কেনা বেচা করার একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। Wazirx ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটিতে এন্ড্রোইড মোবাইল চালাতে পারেন এমন যে কোনো ব্যক্তি খুব সহজে বিটকয়েন একাউন্ট খুলতে পারেন।

তাছাড়া Wazirx এর ইউজার্ ফ্রেন্ডইলি লুক, অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ ওয়েবসাইট গুলোর তুলনায় অনেক বেশি আকর্ষণীয় এবং অনেক বেশি ফিচার মানুষকে সহজেই আকৃষ্ট করে।

বাজিরক্স (wazirx ) ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়েবসাইটের কিছু বৈশিষ্ট –

  1. বাজিরক্স (wazirx) ট্রেডিং প্লাটফর্ম ব্যবহার আপনি আপনার ল্যাপটপ ও কম্পিউটার (window + Mac Opreating System) ছাড়াও এন্ড্রোইড,আই ও এস মোবাইল প্লাটফর্মে মোবাইলে এক্সেস করতে পারেন।
  2. বাজিরক্স (wazirx) ক্রিপ্টো কারেন্সি প্লাটফর্ম থেকে USDT (Tether United State Dollars, ১:১ backed US Dollars ধরা হয়) করে আপনি ১০০ এরও অনেক বেশি ট্রেডিং প্লাটফর্মে বিটকয়েন এক্সচেঞ্জ করার বিশেষ সুবিধা আছে।
  3. বাজিরক্স (wazirx) এর অতি দ্রুতগতি সম্পন্ন আধুনিক ইলেক্ট্রনিক হোস্টিং সার্ভার প্রতি সেকেন্ডে কোটিরও বেশি ট্রানজেকশনের ইউজার লোড নিতে সক্ষম। তাই বাজিরক্স প্লাটফর্ম থেকে করা বিটকয়েনের সমস্ত রকম লেনদেন স্থিরতার সঙ্গে কোনো রকম সার্ভিস এরর ছাড়াই অনেক দ্রুত সম্পন্ন করে।

বাজিরক্স (wazirx ) থেকে বিটকয়েন কিভাবে কিনবেন

আপনার ক্রিপ্টো কারেন্সি কেনার ইচ্ছে থাকে তাহলে আপনি বাজিরক্স (Wazirx) এর বিটকয়েনের ওয়েব সাইট থেকে বিটকয়েন কিনতে পারেন।

ক্রিপ্টো কারেন্সি আপনি আপনার মোবালের Wazirx এর মোবাইল এপ্লিকেশন এবং কম্পিউটার ব্রাউজারের wazirx ওয়েবসাইট খুলে ধাপে ধাপে ক্রিপ্টো কারেন্সি কিনতে পারেন।

02. ইউনোকয়েন (Unocoin)

ভারতে বিটকয়েন কেনা বেচার আর একটি অন্যতম ক্রিপ্টোকারেন্সির ওয়েবসাইট হল ইউনোকয়েন (Unocoin) . ইউনোকয়েন ওয়েবসাইট থেকে আপনি খুব সহজেই বিটকয়েন কিনতে পারেন।

তাছাড়া ইউনোকয়েন ওয়েবসাইটির কিছু বিশেষ ফিচার আছে যেগুলো আর অন্যান্য বিটকয়েন ওয়েবসাইট গুলো থেকে ইউনোকয়েন কে আলাদা করে দেয়।

ইউনোকয়েন (Unocoin) ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়েবসাইটের কিছু বৈশিষ্ট –

  1. ইউনোকয়েন গ্রাহকদের এক ইউনোকয়েন ওয়ালেট থেকে আর এক ইউনোকয়েন ওয়ালেটে বিটকয়েন ট্রান্সফার করার জন্যে কোনো রকমের ট্রানজেকশন শুল্ক দিতে হয়না।
  2. ইউনকোয়েনের Simple Intergration ডেটাবেস থেকে খুব সহজেই প্রাইভেট ওয়ালেট থেকে বিজনেস ওয়ালেটে লেনদেন করা যায়।
  3. বিটকয়েনের ট্রেডিং মূল্য বাড়া কমা হলে ইউনোকয়েন ওয়ালেট থেকে খুব সহজেই ০% রিস্কে বিটকয়েন কেনা বেচা করা যায়।
  4. ইউনোকয়েন ওয়ালেট ব্যবহার করার জন্যে কোনো রকম অ্যানুয়াল ফিস দিতে হয়না।
  5. ইউনোকয়েন ওয়ালেটের অটো বাই ও সেল অপশন ইউজ করে আপনি আপনার ফিস্ক করা রেটে সহজে বিটকয়েন কেনা বেচা করতে পারেন।
  6. ইউনিকোয়েন ওয়ালেটের টু স্টেপ ভেরিফিকেশন অথেনটিকেশন ইউনোকয়েন ওয়ালেটকে অনেক বেশি প্রাইভেসি প্রদান করে।

ইউনোকয়েন (Unocoin) ওয়ালেট থেকে বিটকয়েন কিভাবে কিনবেন

ইউনোকয়েন ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে বিটকয়েন কেনা যায় তাই নিয়ে ভাবানা চিন্তার কোনো কারণ নেই, আপনি ইউনোকয়েন (Unocoin) এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করে বিটকয়েন কিনতে পারেন।

ইউনোকয়েন ওয়েব সাইট থেকে বিটকয়েন কেনার জন্যে সবার প্রথমে আপনাকে ইউনোকয়েনের ওয়েব সাইটে ভিজিট করে কয়েকটি ধাপ ফলো করে বিটকয়েন কিনতে হবে।

03. কয়েনবক্স (Coinbox)

কয়েনবক্স হল একটি ক্লাউড বেসড ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা বেচার প্লাটফর্ম। কয়েনবক্স ওয়েবসাইটটি মোবাইল এপ্লিকেশন এবং ডেস্কটপ দুই জায়গাতেই রেজিস্ট্রেশন করা যায়।

কয়েনবক্স মোবাইল এপ্লিকেশনটি বর্তমানে ২০০+ দেশের গুগল প্লে স্টোরে উপলব্ধ রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বে কয়েনবক্স ব্যবহারকারী ইউজারের সংখ্যা প্রায় ৮০০০০০ ছুঁই ছুঁই।

তবে কয়েনবক্স ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট এর একটি বিশেষ বিশেষত্ব হল, কয়েনবক্স ওয়ালেট থেকে যেকোনো প্রকারের ক্রিপ্টোকারেন্সি ও টোকেন খুব সহজভাবে পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে বিটকয়েন কেনা বেচা যায়।

কয়েনবক্স ওয়ালেটের বৈশিষ্ট সমূহ

  1. কয়েনবক্স ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট ট্রানজেকশন ফিস না বরাবর খুব সীমিত চার্জ করা হয়।
  2. কয়েনবক্স এর Exchange Trading cost অনেক কম।
  3. একেবারে মাল্টিপল ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং করার বিশেষ অপশন আছে।
  4. কয়েনবক্স ওয়ালেটে ক্রিপ্টোকারেন্সি রেখে স্টকিং করা যায়।

আপনি যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং নিয়ে উৎসাহিত হন, তাহলে কয়েনবক্স ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং প্লাটফর্মে একসাথে ETH, BNB, TRX এবং EOS অন্যান্য ৫০০০ এর বেশি কোয়েনবক্সে আপনার জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সির টোকেন উপলব্ধ আছে।

04. জিবপে (Zebpay)

জনপ্রিয়তার নিরিখে Zebpay হল আর একটি অন্যতম জনপ্রিয় একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং প্লাটফর্ম। বর্তমানে Zebpay এর ৫০০০০+ ছোট বড় ভেন্ডর রয়েছে।

জিবপে (Zebpay) এর কিছু বৈশিষ্ট সমূহ

  1. জিবপে ওয়ালেট থেকে আপনি মোবাইল রিচার্জ, ডিটিএইচ রিচার্জ ইত্যাদি খুব সহজে করতে পারবেন।
  2. জিবপে ওয়ালেট থেকে বিভিন্ন ধরণের অনলাইন বিপনী যেমন- ফ্লিপকার্ট, আমেজন,মেক মাই ট্রিপ ইত্যাদির ভাউচার কিনলে ১০ % ছাড় পাওয়া যায়।
  3. জিবপে ওয়ালেট খুব স্বল্প মূল্যে বিটকয়েনের সাথে মানি এক্সচেঞ্জ করা যায়।
  4. জিবপে মোবাইল এপ্লিকেশন গুগল প্লে স্টোরে উপলব্ধ আছে, আপনারা সেখান থেকে জিবপে ডাউনলোড করে বিটকয়েন কিনতে পারেন।

আপনি চাইলে zebpay এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে না গিয়ে, Zebpay এর মোবাইল এপ্লিকেশন থেকে খুব সহজে বিটকয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনতে পারেন।

05. লোকাল বিটকয়েন (LocalBitcoin)

আপনি যদি নগদ ক্যাশ দিয়ে বিটকয়েন কেনার কথা চিন্তাভাবনা করছেন তাহলে আপনার কাছে সবথেকে ভাল অপশন হল লোকাল বিটকয়েন।

লোকাল বিটকয়েন কেনার কতগুলো ফায়দা আছে আপনি ফেস-টু-ফেস পণ্য কেনা বেচার মত বিটকয়েনের মূল্য দর দাম করে কেনার একটা অতিরিক্ত অপশন পাওয়া যায়।

তবে লোকাল বিটকয়েন কেনার একটি ডিস-এডভান্টেজ হল অনলাইন অপেক্ষা অফলাইন লোকাল বিটকয়েনের দাম বেশি হয়, তাই অনলাইন বিটকয়েনের দরদাম দেখার পর তবেই আপনার লোকাল বিটকয়েন কেনা উচিত।

06. BTCx India

BTCxIndia ক্রিপ্টোকারেন্সির একটি বহু পুরোনো ওয়েবসাইট ক্রিপ্টোকারেন্সির ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটির সহজ সরল ডেটাবেস নিয়ন্ত্রণ করা জলের মতই সহজ।

তবে BTCxIndia ওয়েবসাইটিতে আপনি একসাথে রিয়েল টাইম ভারতীয় মুদ্রা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির ট্রেডিং করার সুবিধা প্রদান করে। তাই আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী কারেন্সিকে বিটকয়েন অথবা স্টকে নিবেশ করতে পারেন।

BTCxIndia কতগুলো বৈশিষ্ট সমূহ

  1. স্বল্প শুল্কের বিনিময়ে ক্রিপ্টো ট্রেডিং করা যায়।
  2. ক্রিপ্টো ট্রান্সফার করার জন্যে কোনো রকমের চার্জ করা হয়না।
  3. কারেন্ট টাইম ডেলিভারি।
  4. সুরক্ষা ও সংক্রান্ত ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান।

পরিশিষ্ট

বিটকয়েন কি ও কেন এতো দামি তা আমরা এখন সবাই মোটামোটি বুঝতে পারছি। ভারতে বিটকয়েন কিভাবে কিনব এই নিয়ে যারা ভাবছেন, তাদের কাছে কিভাবে বিটকয়েন কেনা যায় একটা মৌখিক ধারণা আশা করি পেয়ে গেছেন।

ভারতে বিটকয়েন কেনা বেচা করার আজকাল বহু ট্রেডিং পালটফর্ম আছে তাই ভারতে বিটকয়েন কিভাবে কেনা বেচা যায় সেই বিষয়ে চিন্তা করার কিছু নেই।

আপনার কাছে বিনিয়োগ করার মত যদি উপযুক্ত এমাউন্ট থাকে তাহলে আপনি ভারতে বিটকয়েন কিভাবে কিনব না ভেবে বিটকয়েনে বিনিয়োগ করতে পারেন।

5/5 - (3 votes)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here