ক্রেডিট কার্ড কি,ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম,ক্রেডিট কার্ড এর সুবিধা ও অসুবিধা, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম।

আজকের ট্রপিকে আমরা ক্রেডিট কার্ড কি এবং ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম নিয়ে কথা বলব। বিশেষ করে আজকালকার যুগে কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে নতুন যুবক ও যুবতীদের মধ্যে ক্রেডিট কার্ড জিনিসটাকে নিয়ে এক ধরণের কৌতূহল কাজ করে।

এর কারণ হিসাবে বলা যায় বিশেষ করে online shopping বিপনী গুলোতে যেমন- flipkart, amazon, misho ইত্যাদি online সাইটে সময়ে অসময়ে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনাকাটা করলে discount offers, esey to EMI এর মত সুবিধা,

যুবক যুবতীদের মনে Credit Card কে নিয়ে দিন প্রতিদিন craze বাড়িয়েই চলেছে। কিন্ত সমস্যাটা কি জানেন আমাদের সবারই মনে ক্রেডিট কার্ড হাতে পাওয়ার বাসনাতো থাকে ?

কিন্তু ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা বা ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম গুলো ঠিকঠাক জানিনা তাই আমাদের প্রায়শই মনে হয় ক্রেডিট কার্ড বিষয়টা হল আসলে ধনী লোকদের জন্যে !

তবে আপনাদের মনেও যদি ক্রেডিট কার্ড কে নিয়ে এই ধরণের ধারণা থাকে তাহলে আপনার এই ধরণের ধারণা কিন্ত একেবারে পুরোটা কিন্ত সঠিক নয়। ক্রেডিট কার্ড হাতে পাওয়ার জন্যে, ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার কিছু যোগ্যতা আপনার থাকতে হবে,

আপনি যদি ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা বা ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম গুলো সমন্ধে অবগত হন তাহলে আপনিও খুব সহজেই ক্রেডিট কার্ডের জন্যে আবেদন করতে পারেন।

আমরা এখন আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড কি, ক্রেডিট কার্ড কিভাবে পাবো, ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা, ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে নিয়ম,

ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা সমস্ত কিছু আপনাদের সাথে পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে আলোচনা করব, আশা রাখি এরপর আপনাদের মনে ক্রেডিট কার্ড কি বা ক্রেডিট কার্ড খোলার নিয়ম নিয়ে আর কোনো ধরণের প্রশ্ন থাকবেনা।

Table of Contents

ক্রেডিট কার্ড কি- What is Credit Card in Bangla.

আপনারা অনেকে ক্রেডিট কার্ড নাম শুনেছেন ঠিকই আবার অনেকের মনে প্রশ্ন হয়ত রয়েই গেছে ক্রেডিট কার্ড কি ? তাহলে আপনাদের বলি ক্রেডিট কার্ড (Credit Card) হল এমন এক ধরণের কার্ড,

যেই কার্ড দিয়ে একজন কার্ড ধারক online এবং offline বিভিন্ন ধরণের দ্রব্য সামগ্রী কেনাকাটা এবং ট্রেন, বাস, বিমান, সিনেমার টিকিট, বিল পেমেন্ট ইত্যাদি সার্ভিস পাওয়া যায়।

আরো সহজভাবে বলতে গেলে ডেবিট কার্ডের মত ক্রেডিট কার্ড কিন্তু কোনো ব্যাঙ্ক একাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত থাকেনা। Credit Card মূলত কোনো financial institution এবং bank থেকে পাওয়া যায়, যা আমাদের মূলত loan দেওয়ার কাজ করে।

তার মানে এই দাঁড়াল Credit Card আসলে আমাদের জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্যে টাকা ধার দেয় এবং তার বদলে Credit Card কোম্পানি তার গ্রাহকদের কাছ থাকে লভ্যাংশ স্বরূপ কিছু পরিমান সুদ নেয়।

তবে Credit Card ব্যবহার করার আবার বেশ কিছু লাভও আছে। আমরা Credit Card কে Debit Card এর মত online payment, shopping এবং fund transfer করার জন্যে ব্যবহার করতে পারি।

তবে ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্যে আপনার সেই ব্যাঙ্কে একাউন্ট থাকতে হবে এমন কিন্তু কথা নয়, আপনার কোনো ব্যাঙ্ক একাউন্ট না থাকলেও বিভিন্ন ধরণের financial institution এবং bank আমাদের ক্রেডিট কার্ড প্রদান করে থাকে।

তাই Credit Card দিয়ে Debit Card এর মত ATM থেকে টাকা তোলা যায়না। ক্রেডিট কার্ড কোম্পানী আমাদের মূলত loan অথাৎ ধার দিয়ে থাকে এবং Credit Card কোনো ব্যাঙ্ক একাউন্টের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থাকায়

আমরা Credit Card দিয়ে ATM machine থেকে টাকা তুলতে পারিনা। তবে ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা খরচ করার একটি নির্দিষ্ট লিমিট থাকে। যেমন- যে ব্যাঙ্ক বা ক্রেডিট কার্ড কোম্পনী আপনাদের Credit Card প্রদান করে,

তারা ক্রেডিট কার্ড প্রদান করার সময় ক্রেডিট কার্ড দিয়ে মাসিক খরচের একটা লিমিট বেঁধে দেয়। যেমন- মনে করুন আপনার কাছে HDFC Credit Card রয়েছে তার থেকে আপনি মাসে ৮০,০০০ টাকা খরচ অথাৎ কেনাকাটা করতে পারবেন।

কিছু কিছু ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডে আবার মাসিক খরচের অনেক কম টাকার লিমিট থাকে, যেমন- ১৫০০০, ২৫০০০ ইত্যাদি। Credit Card কোম্পানী গুলো আপনার ব্যাংকের মাসিক লেনদেনের খসড়ার উপর Credit limit প্রদান করে থাকে।

ব্যাংকের তরফ থেকে কাস্টমারকে judge করা হয়, ব্যক্তি ব্যাঙ্ক একাউন্ট মারফতে কত টাকা মাসিক লেনদেন করে এবং তিনি কত টাকার loan amount পরিশোধ করতে পারবে তার উপর নির্ধারণ করে Credit Card এর Credit limit সেট করা হয়।

আপনি আপনার ক্রেডিট কার্ড দিয়ে last Credit limit পর্যন্তই টাকা খরচ করতে পারবেন। মাসিক কেনাকাটার পর মাসের কোনো একটি নির্দিষ্ট দিনে ক্রেডিট কার্ডের bill genrate হয়।

bill generate হওয়ার ২০ দিনের মধ্যে Credit Card এর বিলের due- amount পরিশোধ করতে হয়। কিন্ত কোনো কারণ বসত আপনি নির্দিষ্ট দিনে বিল পেমেন্ট করতে না পারেন,

তাহলে ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি আপনার ক্রেডিট কার্ডের loan amount বা due-amount এর উপর মোটা টাকার সুদের অঙ্ক চাপিয়ে দেয়। আর এই সুদের পরিমান ক্রমাগত দিন প্রতিদিন বাড়তেই থাকে।

ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার এর হয়

ব্যক্তির চাহিদা এবং জীবনশৈলী অনুযায়ী বর্তমানে market এ বিভিন্ন ধরণের Credit Card উপলব্ধ আছে। তাই ব্যক্তিকে তার নিজের প্রয়োজনমত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা উচিত।

জনসমাজে প্রতিটি মানুষের রুচী কিন্তু আলাদা আলাদা। কোন ব্যক্তি তার রুচী অনুযায়ী shopping করতে ভালোবাসেন আবার কেউ হয়ত travelling করতে ভালোবাসে। তাই আমজনতার রুচী পছন্দ পর্যালোচনা করে,

ক্রেডিট কার্ড কি
ক্রেডিট কার্ড কি, ক্রেডিট কার্ড কিভাবে পাবো

customer-centric market এর উপর, বিভিন্ন bank এবং fininancial insitutation গুলো একটি অতি উত্তম সর্বজনগ্রাহ্য পন্থা খুঁজে বার করেছে- তা হল Credit Card. একটি ক্রেডিট কার্ড ব্যক্তির সবধরণের চাহিদা মেটানোর সর্বপরি ক্ষমতা রাখে।

এই ধরনের partnership, card issuers এবং retailers দুইজনের categorization, credit card এর ব্যবহারকে অনেক বেশি সহজ বানিয়ে দিয়েছে। আসুন তাহলে আমরা ক্রেডিট কার্ড কত প্রকারের হয় জানার চেষ্টা করি-

০১. Lifestyle Credit Cards

একটি lifestyle credit card কে আপনি “All-in-one” Credit Card বললে কিছু ভুল বলা হবেনা। এই ধরণের lifestyle credit card গুলো সব ধরণের categories এর উপর privileges প্রদান করে থাকে।

lifestyle credit card গুলো দিয়ে আপনি shopping, traveling এর জন্যে ব্যবহার করে rewards point অর্জন করে cashback, Entertainment, dining ইত্যাদি, সব ধরণের special offers এবং discounts পেতে পারেন।

কিন্তু এখানে সমস্যা একটাই এই ধরণের lifestyle credit card গুলোর Annual fee এবং joining fee অনেক বেশি তাই এই ধরণের ক্রেডিট কার্ড গুলো সবাই ব্যবহার করে উঠতে পারেনা।

কিন্তু এটাও ঠিক আপনি যদি মাসের বেশিরভাগ খরচটাই যদি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে করে থাকেন তাহলে lifestyle credit card থেকে পাওয়া privileges এবং offers এর সামনে Annual fee এবং joining fee নিতান্ত একটা তুচ্ছ বলে মনে হবে।

০২. Shopping Credit Cardsকেনাকাটা করার ক্রেডিট কার্ড

নাম শুনেই আপনারা বুঝে গেছেন হয়ত – Shopping Credit Card এর design তৈরী করা হয়েছে মূলত shopaholics মানুষজনের কথা চিন্তা করে, অথাৎ যে সমস্ত ব্যক্তিরা বেশি কেনাকাটা করতে পছন্দ করে shopping credit card সেই সমস্ত ব্যক্তিদের জন্যে।

এই ধরণের ক্রেডিট কার্ড গুলো Online Shopping করার জন্যে লাভদায়ক এছাড়াও এই ধরণের ক্রেডিট কার্ড গুলো থেকে বিভিন্ন deals এবং discounts প্রদান করা হয় যা in store shopping করার জন্যে খুবই ফলপ্রদ ক্রেডিট কার্ড।

০৩. Travel Credit Cardsভ্রমন করার ক্রেডিট কার্ড

এইধরণের Credit Card মূলত আমাদের Air travel করার জন্যে বিশেষ benefits প্রদান করে থাকে। তাই frequent travelers দের জন্যে Airline Credit Card একটি খুবই ভালো ব্যবহার উপযোগী ক্রেডিট কার্ড।

Travel Credit Card এ নানান ধরণের features এবং benefits offered on the cards revolve around the air travel. এই কার্ডের reward point ব্যবহার করে আপনি air mile conversion করতে পারেন।

এছাড়াও free air tickit, complimentary airport lounge access করতে পারেন এবং একইসাথে এই কার্ড দিয়ে flight এর tickits booking করলে accelerated rewards পয়েন্ট পাওয়া যায়।

০৪. Reward Credit Cards

Rewards Credit Cards দিয়ে কেনাকাটা করলে rewards credit card থেকে তার গ্রাহকদের কেনাকাটার উপর rewards পয়েন্ট দেওয়া হয়। Credit Card issuers আপনাকে এমন অনেক variety এর redemption option প্রদান করে,

যার লাভ উঠিয়ে আপনি খুব সহজেই reward consume করে gifts to air miles to cashback option এর মুনাফা ওঠাতে পারেন। Reward Credit কাৰ্ড দ্বারা তার গ্রাহকদের welcome rewards, bonus rewards, milestone rewards ইত্যাদি rewards point হিসাবে প্রদান করা হয়। আর সবথেকে বড় ব্যাপার হল এই সমস্ত কার্ড গুলোর reward point এর কোন expair date থাকেনা।

০৫. Cashback Credit Cards

Cashback Credit Cards দিয়ে কেনাকাটা করলে Cashback Credit কাৰ্ড তার গ্ৰাহকদের কেনাকাটার উপর cash back দিয়ে থাকে। সত্যকথা বলতে গেলে এই ধরনের ক্রেডিট কার্ড গুলো

ক্রেডিট কার্ড কি
ক্রেডিট কার্ড কি

তার গ্রাহকদের অনেকাংশেই money-saving benefit প্রদান করে থাকে। আবার কোনো কোনো ক্ৰেডিট কার্ড তার গ্রাহকদের কেনাকাটার উপর cashback point আকারে দিয়ে থাকে।

আবার ক্রেডিট কার্ডের কিছু কিছু cashback opartunity গ্রাহকদের সরাসরি bank account এ credit করে দেওয়া হয়, তাই Cashback credit card অনেকাংশে আপনার কাছে আয় সাশ্রয়ী একটি ক্রেডিট কার্ড হতে পারে।

০৬. Fuel Credit Cards

বর্তমানে এমন বহু Credit Card Agency আছে যারা দেশের major fuel companies গুলোর সঙ্গে tie-up করেছেন। যেমন- HIndustan Petroleum (HP), Bharat Petroleum (BPCL), Indian Oil ইত্যাদি,

তেল সর্বোরাহকারী কোম্পনি গুলোর Credit Card issuers আপনাকে Fuel Credit Cards Offer করে, এই ধরণের ক্রেডিট কার্ড গুলো ব্যবহার করে তেল ভরলে বেশ কিছু partner-specific benefits পাওয়া যায়। Fuel Credit Cards গুলো ব্যবহার করে

তেল কিনলে reward পয়েন্ট পাওয়া যায়। এছাড়াও fuel surcharge waiver facility, reward points redemption against fuel purchases এবং value back benefits, তেল কেনাকাটার উপর অনেকটা সাশ্রয় প্রদান করে।

ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম- How to apply Credit Card.

আপনারা এতক্ষনে নিশ্চয় ক্রেডিট কার্ড কি ? ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে পার্থক্য কি ? এই সমস্ত ব্যাপার গুলো বুঝে গেছেন, আসুন তাহলে আমরা এবার ক্রেডিট কার্ড কিভাবে পাব বা ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম গুলো জানার চেষ্টা করি-

বর্তমানে মানুষের মধ্যে দিন প্রতিদিন যেমন যেমন ক্রেডিট কার্ডের চাহিদা বেড়ে চলেছে bank এবং financial institutions গুলো credit card application করার নিয়মগুলোও গ্রাহকদের জন্যে শিথিল করে দিয়েছে।

আপনি চাইলেও ক্রেডিট কার্ডের জন্যে আবেদন করতে পারেন। তবে আজকাল Online এবং Ofline দুইভাবেই Credit Card এর জন্যে আবেদন করা যায়।

Credit Card Online আবেদন করার নিয়ম

এখনকার দিনে ক্রেডিট কার্ড হাতে পাওয়ার পক্রিয়া খুব একটা জটিল নয়, তবে তার জন্যে আপনাকে Credit Card পাওয়ার basic কতগুলো Criteria এর জন্য eligible হতে হবে।

ক্রেডিট কার্ড আবেদন করার জন্যে আপনাকে এখন কোনো Bank এর Branch এ গিয়ে যোগাযোগ করার দরকার নেই। কেননা আপনি এখন ঘরে বসেই Credit Card Online আবেদন করতে পারেন।

Credit Card Online আবেদন করার জন্যে সবার প্রথমে আপনি যে ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের জন্যে আবেদন করতে চান আপনাকে internet এর মাধ্যমে সেই bank এর web portal এ গিয়ে ক্রেডিট কার্ডের জন্যে আবেদন করতে হবে।

তারপর সেখানে আপনাকে প্রাথমিক কিছু তথ্য পূরণ করতে হবে, যেমন- Name, email ID, Mobile No, Annual Income, Address ইত্যাদি। তারপর আপনাকে Bank এর credit card representative এর কাছ থেকে একটি phone call আসবে,

তিনি আপনাকে ক্রেডিট করার নিয়ম গুলো নিয়ে যাবতীয় সহায়তা প্রদান করবে এবং প্রয়োজনে তিনি আপনার বাড়িতে এসে ক্রেডিট কার্ডের যাবতীয় ডকুমেন্টেশন করে যাবে।

Credit Card Offline আবেদন করার নিয়ম

অনলাইনের মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড কিভাবে পাব বা Online Credit Card আবেদন নিয়ে আপনার যদি সেরকম একটা ভরসা না থাকে তাহলে আপনি Credit Card Ofline আবেদন করতে পারেন।

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা Online বিষয়টা নিয়ে তেমন একটা সুপরিচিত নয়, তবে আপনাদের ক্রেডিট কার্ড কিভাবে পাবো এই বিষয় নিয়ে চিন্তা করার তেমন কিছু নেই।

আপনি নিজে সরাসরি ব্যাঙ্কে গিয়ে Credit Card Offline আবেদন করতে পারেন। সেখানে আপনাকে ব্যাংকে গিয়ে Credit Card Representative এর সঙ্গে কথা বলতে হবে,

তিনি আপনাকে ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম এবং ক্রেডিট কার্ডের প্রকার গুলো নিয়ে ভালোভাবে guide করবে। আপনি সেখান থেকে আপনার চাহিদা অনুযায়ী ক্রেডিট কার্ডের জন্যে আবেদন করতে পারেন।

এরপর আপনাকে Credit Card এর application form টি পূরণ করতে হবে এবং তারই সাথে আপনাকে ব্যাঙ্কে খাতা খোলার মত KYC documents দিতে হবে।

ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা হিসাবে আপনাকে ক্রেডিট কার্ড আবেদন করার জন্যে বেশ কিছু ডকুমেন্ট দিতে হবে। যেমন- Pan Card, Photos, Identiy Proof (Aadhar Card, Voter Id),

Income Tax Return Recipt অথবা Fix Deposit In Your Account, Address Proof (Telephone অথবা Electricity Bill), Age Proof (Birth Certificate অথবা Voter Id Card) ইত্যাদি।

ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার জন্যে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে

ক্রেডিট কার্ড আবেদন করার জন্যে, ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা হিসাবে যে সমস্ত ডকুমেন্ট গুলোর প্রয়োজন তার একটি ডকুমেন্ট চার্ট আপনাদের জন্যে নিচে টেবিল আকারে বানিয়ে দেওয়া হল –

পরিচয় প্রমানপত্র বাসিন্দা প্রমানপত্র আয় প্রমাণপত্র (For Self Employed)আয় প্রমাণপত্র (For Salaried)
পাসপোর্ট (Passport)টেলিফোন বিল (Telephone Bill)Certified FinancialsSalary Certificate
প্যানকার্ড (Pancard)ইলেক্ট্রিসিটি বিল (Electriciti Bill)Recent ITR StatementRecent Salary slip/s
রেশনকার্ড (Ration Card)আধার কার্ড (Aadhar Card)PassportEmployment Letter
আধার কার্ড (Aadhar Card)রেশন কার্ড (Ration Card)Proof of business continuity 
ভোটার আইডি কার্ড (Voter Id Card)ভাড়া বাড়ি হলে (Rent Agreement)  
ড্রাইভিং লাইসেন্স (Driving License)   
ক্রেডিট কার্ড কি, ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম, ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা

ক্রেডিট কার্ড কেন ব্যবাহার করবেন

ক্রেডিট কার্ড আমাদের কেন ব্যবহার করা উচিত ? কেন মানুষ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে চায় বা ক্রেডিট কার্ডের চাহিদা মানুষের মধ্যে কেন এতো বেশি দিন প্রতিদিন বেড়ে চলেছে আসুন কয়েকটি পয়েন্টের মাধ্যমে আমরা একটু বোঝার চেষ্টা করি-

০১. আপনার দৈনন্দিন জীবনের short-term financial needs গুলোকে manage করার জন্যে আপনার Credit Card ব্যবহার করা উচিত – কেননা অনেকসময় আমাদের monthly sufficient salary না হওয়ায় আমাদের সব চাহিদার পূরনে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

০২. Interest-free credit, enjoy করার জন্যে আপনার Credit Card ব্যবহার করা দরকার – এই ধরণের ক্রেডিট কার্ডের জন্যে আলাদা করে কোনো interest দিতে হয়না। তবে কোনো কারণে আপনি যদি due amount সঠিক সময়ে paid না করেন তাহলে আপনাকে interest দিতে হতে পারে।

০৩.  Ease of use  – ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে Ready to cash access করার মাধ্যমে sudden expenses করা যায়।

০৪. ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরণের perks benifit পাওয়া যায় – যেমন- Reward points, discounts , cash-backs, এছাড়াও air miles ও offer করা হয়।

ক্রেডিট কার্ডের অন্যতম বৈশিষ্ট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের লাভ গুলো কি কিCredit Card features.

ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী ব্যাঙ্ক এবং ফিন্যান্সিয়াল কোম্পানি গুলো তারা তাদের ক্রেডিট কার্ডের সঙ্গে বিভিন্ন ধরণের features প্রদান করে থাকে। তবে সমস্ত ব্যাপারটাই নির্ভর করে Card holder এর উপর,

Card holder যে ধরণের Credit Card ব্যবহার করে তার Credit Card এর ধরণ অনুযায়ী Credit Card এর Features গুলো নির্ভর করে। আসুন তাহলে আমরা Credit Card এর features গুলো জানার চেষ্টা করি –

Rewards Points Program :

বেশিরভাগ Credit Cards এর মধ্যেই আপনি reward point program দেখতে পাবেন। তাই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে Card holder transaction করলে খুব সহজেই Reward points earn করতে পারে।

এই জমা হওয়া reward point গুলো বিভিন্ন জায়গায় redeeme করে বিভিন্ন ধরণের discount পাওয়া যায়। তবে reward point গুলো redemption করার আগে card members কে minimum reward point earn করতে হয়।

Airport Lounge Access :

এমন অনেক ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি আছে, যে কোম্পানি গুলোর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে Complimentary airport lounge access এবং Priority Pass Program এর membership পাওয়া যায়।

যদিও আপনি সেই ক্রেডিট কার্ড কোম্পানির bacic credit card ব্যবহার না করে থাকেন তবুও কিন্ত basic credit card সহ প্রায় সমস্ত রকমের card এর উপর এমন ধরণের offer পাওয়া যায়।

ক্রেডিট কার্ড কি
ক্রেডিট কার্ড কি

তবে এই সমস্ত offer গুলোর সীমিত সময়সীমা নির্ধারণ করা থাকে, সেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই সমস্ত offer গুলো redeem করতে হয়। এই ধরণের feature গুলো দিয়ে খুব সহজেই free lounge visits এর আনন্দ উপভোগ করা যায়।

তবে সেই বিমান যাত্রা domestic হোক কিংবা International হোকনা কেন আপনি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এই সমস্ত অফার গুলো redeem করে free lounge visit access করতে পারেন।

Fuel Surcharge Waiver :

বেশিরভাগ credit cards এর মধ্যে আপনি fuel surcharge waiver করার facility পেয়ে যাবেন। তাই ক্রেডিট কার্ড দিয়ে তেল কিনলে তেলের দামের উপর petrol pump এ ০১ % surcharge ছাড় পাওয়া যায়।

Insurance Coverage :

এমন অনেক premier cards আছে যে ক্রেডিট কার্ড গুলো আপনাকে comprehensive insurance policy প্রদান করে থাকে, যেমন- air accident, life cover, lost baggage, lost card ইত্যাদি।

সে তুলনায় আরো অন্যান্য ক্রেডিট কার্ড গুলোতে insurance cover তো পাওয়া যায় তবে তা নাম মাত্র, যা আমাদের aspects এর তুলনায় অনেকটাই কম।

Global Acceptance access :

এখনকার যুগের বেশিরভাগ Credit Card কোম্পানি গুলো শুধুমাত্র ভারতে নয়, ভারতের বাইরেও international transacton করার জন্যে international card issue করে থাকে। যে ক্ৰেডিট কার্ড গুলো পৃথিবীর সমস্ত দেশেই accept করা হয়।

Balance Transfer :

Credit cardholder তার কার্ডের outstanding balance অন্য কোনো bank এর credit card এর মধ্যে ট্রান্সফার করতে পারে। ক্রেডিট কার্ডের এইধরণের feature গুলো ব্যবহার করে আপনি স্বল্প সুদে আপনার বাজেটের অনেক টাকা সাশ্রয় করতে পারেন।

আবার অনেক কোম্পানি আছে যারা তাদের Credit Card এর balance transfer করার option প্রদান করে থাকে। ক্রেডিট কার্ডের এই ধরণের features এর সুবিধার উপয়োগ করে monthly basis এর উপর amount repay করা যায়।

EMI Conversion :

সমস্ত ধরণের ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি গুলো তার card members দের credit card transaction কে instatnt monthly instalments (EMI) করার মত পরিষেবা দিয়ে থাকে, যা গ্রাহকদের due amount পরিশোধ করতে সাহায্য করে।

অনেক সময় ক্রেডিট কার্ডের এই ধরণের plans গুলোর মধ্যে অনেক attractive interest rates থাকে। আর সবথেকে বড় ব্যাপার EMI converision করার জন্যে আলাদা করে কোনো documentation এর প্রয়োজন হয়না।

Lifestyle Benefits :

ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি গুলো বিভিন ধরণের আলাদা আলাদা merchants দের সাথে ti-up করে credit card issuers তার গ্রাহকদের attractive discounts প্রদান করে।

আর তার সঙ্গে বিভিন্ন ধরণের lifestyle categories এর মধ্যে discount offer করে থাকে, যেমন- dining, shopping, travel, wellness, entertainment ইত্যাদি।

Travel Benefits :

যারা ঘুরতে ভালোবাসে তাদের জন্যে travel credit card খুব লাভদায়ক হতে পারে। কেননা এই ধরণের ক্রেডিট কার্ড গুলো তাদের credit cardholder কে বিভিন্ন ধরনের ট্রাভেল benifit প্রদান করে থাকে।

যেমন- hotel booking, air miles accrual এবং redemption, air tickits, free travel insurance, discount offer করে থাকে। এছাড়াও আপনি domastic এবং International air travel করার সময় airport এ complimentary lounge ব্যবহার করতে পারেন।

ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা কি ?

ক্রেডিট কার্ড কিভাবে পাবো সে তো জানা গেল, এবারে ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা গুলোর দিকে একটু নজর দেওয়া যাক-

Welcome Gift :

আজকালকার দিনে বেশিরভাগ ক্রেডিট কার্ড প্রদানকারী কোম্পানি গুলো তারা তাদের Credit Card এর সঙ্গে welcome gift offer করে থাকে। এই ধরণের gift গুলো নানান ধরণের হতে পারে,যেমন- bonus points হিসাবে gift vouchers, discount ইত্যাদি।

Rewards Program :

সবধরণের credit cards এর মধ্যে generally এক ধরণের reward program থাকে। আর তাই credit cardholder তার কার্ড দিয়ে যতবেশি transaction করে তার তত বেশি reward point earn হয়।

এই rewards point গুলো redeme করে বিভিন্ন ধরণের gifts হিসাবে যেমন- product discount, mobile recharge, cashback offers ইত্যাদি পাওয়া যায়।

Fuel Surcharge Waiver :

অনেক ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি আছে যারা petrol pump এ তেল ভরার সময় ক্রেডিট কার্ড দিয়ে petroal এর বিল পেমেন্ট করলে fuel surcharge waiver প্রদান করে থাকে। তাই আপনি এই ধরণের কার্ড গুলো প্রেট্রোল কেনাকাটার জন্যে ব্যবহার করতে পারেন।

Cashback Benefits :

বাজারে আবার অনেক এমন ক্রেডিট কার্ড আছে যে ক্রেডিট কার্ড গুলো দিয়ে online ও offline উভয় ধরণের transaction এর উপর cashback পাওয়া যায়।

Lifestyle Benefits :

ক্রেডিট কার্ডের দৌলতে খুব সহজে একজন credit cardholder lifestyle benefits enjoy করতে পারে। যেমন- dining, shopping, golf, welness, entertainment ইত্যাদি।

Travel Benefits :

ক্রেডিট কার্ড মানুষের কাছে অধিক জনপ্রিয় হওয়ার আরো একটি অন্যতম কারণ হল credit card এর ব্যবহারে মধ্যে দুর্দান্ত travel benefits পাওয়া যায়। যেমন- airport lounge access, travel insurance, airline offers, hotel boocking discount ইত্যাদি।

Airport Lounge Access :

এমন অনেক ক্রেডিট কার্ড কোম্পনি আছে যারা তার customer দের complimentary airport lounge access করার মত সুবিধা দিয়ে থাকে। তবে এই সমস্ত offer গুলো পুরোপুরিভাবে নির্ভর করে বিভিন্ন ধরণের ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ডের উপর।

Add-on Cards :

এমন অনেক ক্রেডিট কার্ড নির্মাতা কোম্পানি আছে যারা তাদের নতুন credit cardholder দের add-on cards apply করার access দিয়ে থাকে। তবে এই ধরণের add-on cards benefit, এর amount নির্দিষ্টভাবে একটি limit set করা থাকে।

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম

এতক্ষন আমরা ক্রেডিট কার্ড কি, ক্ৰেডিট কার্ড কিভাবে পাবো এবং ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো নিয়ে কথা বললাম এবারে আপনাদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম নিয়ে কতগুলো কথা আপনাদের বলব।

আপনারা যারা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন তারা হয়ত এই সমস্ত নিয়ম গুলোর সঙ্গে হুবহু পরিচিত হলেও যারা নতুন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী তাদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের নিয়ম গুলো নিয়ে সতর্ক হওয়া উচিত।

  • ক্রেডিট কার্ডকে কখনই ATM Machine থেকে টাকা তোলার কাজে ব্যবহার করা উচিত নয়।
  • ক্রেডিট কার্ডের বিল সময়মত, মানে সময়ের আগে পরিশোধ করুন। ক্রেডিট কার্ডের বিল সময়মত পরিশোধ না করলে আপনাকে due-amount এর উপর অনেক বেশি interest pay করতে হতে পারে।
  • ক্রেডিট কার্ডের due-amount হিসাবে কখনই minimum amount pay করবেন না। সর্বদা due-amount এর maximum amount paid করার চেষ্টা করবেন।
  • ক্রেডিট কার্ডের due-amount টিকে কখনো emi করবেন না, এতে ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি due-amount এর উপর সাধারণ interest এর তুলনায় অনেক বেশি interest charge করে।
  • ক্রেডিট কার্ড কোম্পানি গুলো থেকে অনেক সময় instant paperless loan offer করা হয়ে থাকে, তবে আমার মনে হয় প্রয়োজন না থাকলে এই ধরণের loan গুলো avoid করাটাই উত্তম।
  • Credit card নেওয়ার সময় অবশ্যই দেখে নেবেন আপনার আবেদনকৃত credit card company টি যে credit card টি আপনাকে offer করছে সেই ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে annual maintanance charge include আছে কিনা।
  • সবসময় without chargable credit card নেওয়ার চেষ্টা করবেন, তাতে আপনাকে আলাদা করে annual কোনো fee pay করার ঝনঝট থাকবেনা।
  • আপনার মাসিক আয়ের ২৫% টাকা ক্রেডিট কার্ড থেকে কেনাকাটার কাজে ব্যবহার করুন। তাতে আপনার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে কোনো অসুবিধা হবেনা।
  • আপনার কাছে দুই-ততোধিক ক্রেডিট কার্ড থাকলে, একটি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে অন্য ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ করার চেষ্টা করবেন না। এতে আপনি ধীরে ধীরে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়বেন।
  • অপ্রয়োজনে দুটির বেশি credit card না ব্যবহার করাটাই উত্তম।
  • ডেবিট কার্ডের মত আপনার ক্ৰেডিট কার্ডের নাম্বার, ccv কোড, পিন কোড সুরক্ষিত রাখুন।
  • ক্রেডিট কার্ড থাকতে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কেনাকাটা না করলে আপনার Civil Score খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই মাঝে মধ্যে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে transaction করুন।

পরিশিষ্ট

ক্রেডিট কার্ড কি, ক্রেডিট কার্ড কিভাবে পাবো, ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা বা ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম, ক্রেডিট কার্ড এর সুবিধা ও অসুবিধা থেকে শুরু করে

ক্রেডিট কার্ড কত প্রকার ? ক্রেডিট কার্ডের মোটামোটি প্রত্যেকটা অধ্যায় নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনার মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ড কি পুরো বিষয়টা তুলে ধরা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল আপনারা ক্রেডিট কার্ড কি, জিনিস ব্যাপারটা পুরোটা বুঝতে পেরেছেন কিনা ?

তবে আমার মনে হয় ক্রেডিট কার্ড কি বা ক্রেডিট কার্ড কিভাবে পাবো ? এই ধরণের প্রশ্ন আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনাদের মনে থাকবেনা।

তবুও ক্রেডিট কার্ড কি বা ক্রেডিট কার্ড করার নিয়ম, ক্রেডিট কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে আপনাদের মনে কোনো ধরণের প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে জানাতে পারেন, আমরা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

5/5 - (4 votes)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here