স্বপ্ন দোষ কি স্বপ্ন দোষ কেন হয় আমরা স্বপ্ন কেন দেখি।

স্বপ্ন দোষ কেন হয় ? শব্দটা শুনেই একটা যৌন অসুখের ভাবনা আপনার মনে বিদ্যুৎের মত চমকে গেল তাইতো। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন স্বপ্ন দোষ কি স্বপ্ন দোষ কেন হয় আমরা স্বপ্ন কেন দেখি ?

স্বপ্ন দোষ হলে কি ক্ষতি হয় ? স্বপ্ন দোষ বন্ধ করার ঔষধ ? অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ দূর করার উপায় ? এরকম নানা ধরণের প্রশ্ন আমাদের মনে ঘোর পাক খায় ঠিকই,

কিন্তু আমরা প্রকাশ্যে তা নিয়ে আলোচনা করতে পারিনা। কারণ একটাই আমাদের দেশে,আমাদের সমাজে উপযুক্ত যৌন শিক্ষার অভাব। উপযুক্ত যৌন শিক্ষা না থাকায় আমাদের যুব সমাজ আজ

অনেক খারাপ বদ অভ্যাসের স্বীকার হয়ে নিজের যৌবন শেষ করে শরীরের বারোটা বাজিয়ে ফেলে। তাইতো আমাদের সমাজে কারো কাছে যদি স্বপ্ন দোষ কেন হয় আমরা স্বপ্ন কেন দেখি ?

জানতে চাওয়া ঘোরতোর লজ্জার বিষয়। আমাদের সমাজে উপযুক্ত যৌন শিক্ষার অভাব থাকায় আজকালকার ছেলে মেয়েরা সঠিক সময়ে,সঠিক গাইড না পেয়ে খারাপ বদ অভ্যাসের স্বীকার হয়।

তাই আমাদের কাছে আজও স্বপ্ন দোষ কেন হয় জানতে চাওয়া লজ্জার একটা বিষয়। সমাজের অনেক মানুষের চোখে স্বপ্ন দোষ হল সরাসরিভাবে একটা যৌন অসুখ।

কিন্তু সত্য কথা বলতে স্বপ্ন দোষ আসলে কোনো অসুখ নয়। স্বপ্ন দোষ হল একটি শাররীক ক্রিয়া,যেটা আমাদের শরীরে আর ০৫ টি হরমোনের বিভিন্ন ফাংশনের জন্য হয়ে থাকে।

তাইতো স্বপ্ন দোষ কি স্বপ্ন দোষ কেন হয় আমরা স্বপ্ন কেন দেখি ? না জেনেই রীতিমত ঘাবড়ে গিয়ে আমাদের মনে স্বপ্ন দোষ হলে কি ক্ষতি হয়.স্বপ্ন দোষ বন্ধ করার ঔষধ,

অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ দূর করার উপায়,স্বপ্ন দোষের উপকারিতা ? এই ধরণের নানান প্রশ্ন আমাদের মনে হাবিজাবি হয়ে ঘুরপাক খায়।

আরো পড়ুন : স্বাস্থ্য বীমা কাকে বলে ? স্বাস্থ্য বীমা কেন করানো উচিত। 

রাত্রে ঘুমের মধ্যে আমাদের শরীরে কি কি হয়


আমাদের স্বপ্ন দোষ কেন হয় আমরা স্বপ্ন কেন দেখি জানার আগে আমাদের জানতে হবে রাত্রে ঘুমের মধ্যে আমাদের শরীরে কি কি প্রতিক্রিয়া হয়,আমাদের শরীরে ঘুম কিভাবে আসে।

মানুষের পুরো শরীর জুড়ে চলে হরমোনের রকমারি খেলা। এক কথায় বলতে পারেন আমাদের শরীরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হরমোনের উৎসেচকের দ্বারা পরিচালিত হয়।

পিটুইট্যারি বা মাস্টার গ্লান্ড থেকে বিভিন্ন হরমোন উৎসেচক নির্গত হয়ে আমাদের শরীরকে পরিচালিত করে। এই হরমোনের প্রভাবে আমাদের মনে কখনো ইমোশন তো,

আবার কখনো ক্রোধ,তো কখনো আবার আনন্দ অনুভব করি। আমাদের শরীরের ডিসব্যালেন্স হওয়ার মূল কারণ হল আমাদের শরীরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে অ-নিয়ন্ত্রণাধীন হরমোনের ক্ষরণ।

আপনি হয়তো লখ্য করেছেন আপনার মনসংযোগ সকালবেলা একরকম,দুপর বেলা একরকম তো আবার রাত্রি বেলা আরেকরকম। আপনার স্কুলের কোনো প্রজেক্ট কিংবা

অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ দূর করার উপায়
অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ দূর করার উপায়

অফিসের কোনো কাজে সারাদিন ধরে লেগে আছেন কিন্তু সুরাহা করতে পারছেন না। অবশেষে শেষমেশ সেদিন কাজটা উদ্ধার না করতে পেরে,কাজটা রেখে দিলেন পরের দিনের জন্য।

পরের দিন ঐ একই কাজ সকালবেলা ধীর মস্তিষ্ককে বসে করছেন,দেখলেন কাজটা বিনা জঞ্ঝাটেই নিমেষে হয়ে গেল। আসলে কারণ টা কি ? কারণ আর কিছু নয়,

কারণ হল আপনার মনসংযোগ,আপনার শরীরে ঘূর্ণিয়মান আপনার বডি ক্লক। যেটা হয়ত আপনিও আমার মত বাপ ঠাকুরদাদের কাছ থেকে শুনে আসছেন,

সকালবেলা যোগ অভ্যাস এবং পড়তে বসলে পড়া তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয় এবং অনেকদিন মনে থাকে। কিন্তু এর পিছনের লজিক হল আপনার শরীরের মধ্যে থেকে সময় বিশেষে

বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হওয়া উৎসেচক রুপী হরমোনের প্রতিক্রিয়া। এই হরমোন-ই আপনার শরীরকে সকালের সূর্যোদয় থেকে শুরু করে

সন্ধ্যে গড়িয়ে রাত হওয়া পর্যন্ত সমানভাবে কন্ট্রোল করে। সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে সূর্যের লাল আভা আপনার চোখের মনির মধ্যে থাকা রেটিনাকে

একটিভ করে দেয়। যার ফলে চোখের মধ্যে থাকা মেলাটোনিন হরমোনের প্রভাব ধীরে ধীরে আপনার চোখের কৌশিকার মধ্যে বাড়তে শুরু করে।

এই মেলাটোনিন হরমোন আমাদের  ব্রেনের মধ্যে আমাদের শরীর ও মন ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার সিগন্যাল পাস করে,যার ফলে আমরা ক্লান্তি অনুভব করি,আমাদের দুই চোখে ঘুম নেমে আসে।

এরপর আমরা বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়ি। বিছানায় শুয়ে শুয়ে আমাদের মনে এবং ব্রেনে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের চিন্তার তরঙ্গের উত্তাল ঢেউ চলতে থাকে।

আমাদের মনে এবং মস্তিষ্কে চলতে থাকা চিন্তার ঢেউ ধীরে ধীরে কখন কমে আসে আমরা নিজেও বুঝে উঠতে পারিনা,এইভাবে চিন্তার ঢেউ তরঙ্গ কমে আসলেই আমরা ঘুমিয়ে পড়ি।

ঘুমন্ত অবস্থায় আমাদের শরীরে গ্রোথ হরমোন একটিভ হয়ে যায়। ঘুমের মধ্যে দিয়ে আমাদের শরীর ওয়ার্কশপে চলে যায় মেরামত হওয়ার জন্য।

ঘুমের মধ্যে থাকা শরীরের ওয়ার্কশপে আমাদের ক্লান্ত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মেরামত চলতে থাকে। আমাদের শরীরের মধ্যে থাকা গ্রোথ হরমোন

আমাদের শরীরের মাংসপেশী,ত্বক,চোখ,ব্রেন শরীরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ধরণের কোষ ও কলা গুলোকে মেরামত করে একটিভ করার প্রসেস শুরু করে দেয়।

একটা জিনিস হয়ত আপনারা লখ্য করে থাকবেন শিশুরা সারাক্ষন ঘুমোয়,কিন্তু কেন ঘুমোয় জানেন কি ? কারণ শিশুদের শরীরে গ্রোথ হরমোন বেশি পরিমানে একটিভ থাকে।

শিশু অবস্থায় শিশুদের বিভিন্ন অঙ্গ ও পতঙ্গের বিকাশ ও শারীরিক গঠনের কাজ নিয়মিত চলতে থাকে,তাই শিশুদের শরীরে বেশি করে গ্রোথ হরমোন ক্ষরিত হয়।

তাই শুরুর দিকে শিশুরা ১৪ ঘন্টা ঘুমোয় এরপর যেমন,যেমন শিশুদের বয়স বাড়তে থাকে তাদের শরীরের অঙ্গ পতঙ্গের বিকশিত হওয়ার সাথে,সাথে

ঘুমও ক্রমশ কমে আসতে থাকে। এরপর শিশুদের ঘুম ১২ ঘন্টা এবং ১২ ঘন্টা থেকে কমে ১০ ঘন্টায় এসে যায়।আমরা যদি ভালোভাবে না ঘুমোয় তাহলে,

আমাদের চোখের নিচে কালি পড়ে যায়,চোখ কোটরে বসে যায়। কারণ পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম না হওয়ার কারণে আমাদের শরীরের গ্রোথ হরমোন যথাযথ ভাবে

আমাদের চোখের নিচে থাকা টিসু গুলিকে মেরামত করে উঠতে পারেনা। তাই সচারচর রাত জাগার কারণে আমাদের চোখের নিচে কালি পরার মত সমস্যা দেখা যায়।

তাইতো যে সমস্ত ব্যক্তি নিয়মিত নাইট ডিউটি করেন কিংবা অন্য কাজের জন্য নিয়মিত রাত জেগে কাজ করতে হয় তাদের অনিদ্রা,মাইগ্রেন,চুল পড়া,কোষ্ঠ্য কাঠিন্যের মত সমস্যা দেখা যায়।

কারণ রাত জাগার জন্য তাদের শরীর পর্যাপ্ত পরিমান বিশ্রাম করার সুযোগ পায়না। তাই শরীরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন কোষ,কলা ও কৌশিকা গুলি

গ্রোথ হরমোন দ্বারা যথাযতভাবে মেরামত হওয়ার সুযোগ পায়না। আমাদের শরীরকে আমরা একটি কম্পিউটারের প্রসেসরের সঙ্গে তুলনা করে দেখতে পারি।

যেমন একটি কম্পিউটার যখন হ্যাং হওয়া শুরু করে তখন কম্পিইউটারটিকে পুনঃরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য আমরা রিস্টার্ট/শার্ট ডাউন করে আবার চালু করি।

একইভাবে ঠিক আমাদের শরীরের রিস্টার্ট দেওয়ার প্রসেস হল আমাদের শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া,মানে পর্যাপ্ত পরিমানে নিদ্রা যা আমাদের শরীরকে পুনরায় একটিভ করে তুলে।

যখন আমাদের শরীর ঘুমের মধ্যে বিশ্রামের অবস্থায় থাকে,তখন আমাদের ব্রেন সারাদিনের কাজ কর্মের মধ্যে দিয়ে আসা নানা ধরণের চিন্তা গুলোর মূল্যায়ণ শুরু করে দেয়।

এর মধ্যে যেসমস্ত জিনিস গুলো আমাদের অতি প্রয়োজনীয় সেই সমস্ত ডেটা আমাদের ব্রেন পার্মানেন্ট ভাবে আমাদের মেমোরীতে স্টোরেজ করে রাখে।

বাকি অযোক্তিক চিন্তা গুলোকে আমাদের ব্রেন ডিলেট করে দেয়। আর এই ভাবে আমাদের ব্রেন প্রতিদিন বিশ্রাম নেওয়ার পর অযৌতিক চিন্তাগুলোকে ডিলেট করে সকালবেলা একটিভ হয়ে যায়।

আমাদের ব্রেন যখন ক্লিনিরারের কাজ করে তখন আমাদের শরীর গভীর ঘুমের মধ্যে আচ্ছন্ন থাকে,শরীর ও মনের বাইরের জগতের সঙ্গে সম্পূর্ণ ভাবে সংযোগ কেটে যায়।

আরো পড়ুন : স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প কি ? স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের সুবিধা গুলি কি কি ?

স্বপ্ন দোষ কি স্বপ্ন দোষ কেন হয় আমরা স্বপ্ন কেন দেখি 


এতক্ষন আমরা আলোচনা করলাম রাত্রে ঘুমের মধ্যে আমাদের শরীরে কি হয়। এবারে আমরা জানব স্বপ্ন দোষ কি স্বপ্ন দোষ কেন হয় আমরা স্বপ্ন কেন দেখি সেই ব্যাপারে।

আমাদের শরীর গভীর ঘুমের মধ্যে আচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ার পর,আমাদের ঘুমের একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ পার্ট, রেপিড আই মুমেন্ট ফেস, এর সম্মুখীন হয়।

যেটা হল আমাদের ঘুমের একটা আঙ্গিক অঙ্গ বিশেষ। আর এই অংশেই আমাদের স্বপ্ন আসে এবং আমরা বিভিন্ন ধরেনর স্বপ্ন দেখি।

আমাদের যখন স্বপ্ন আসে তখন আমাদের ঘুমন্ত শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন দেখতে পাওয়া যায়। আমরা যখন স্বপ্ন দেখি তখন আমাদের হার্ট বিট বেড়ে যায়,

আমাদের রক্ত চাপ বৃদ্ধি পায়,ঘন ঘন স্বাস প্রস্বাস পড়ে। আমাদের সারা দিনের চিন্তা ভাবনা,আশা ও আকাঙ্খা গুলো কাল্পনিক ভাবে আমাদের স্বপ্নে এসে ধরা দেয়।

আর স্বপ্নের মাধ্যমে আমরা সেই সমস্ত জিনিসগুলো বাস্তবের মত অনুভব করি। এইভাবে কিছুক্ষন স্বপ্ন দেখার পর আবার আমরা গভীর ঘুমের মধ্যে আচ্ছন্ন হয়ে যায়।

এরপর ভোরের বেলা আবার আমরা স্বপ্ন দেখা শুরু করি। এই ভোরবেলা আমাদের শরীরের মস্তিষ্কের পিটুইট্যারি গ্লান্ড থেকে হরমোনের স্রোত আমাদের শরীরের নিচের অংশের দিকে বইতে শুরু করে।

বিশেষ করে যারা কিশোর,যাদের বয়স ১৮-২৫ বছরের দৌড় গোঁড়ায়,কিশোর ও যৌবনের বয়ঃসন্ধি কালে তাদের মধ্যে টেস্টোরণ (Sleep Orgasms’) হরমোনের নির্গমন বেশি পরিমানে হয়।

তাই যুবা অবস্থায় যুবকদের মনের ভিতরে মধ্যে জাগা বিভিন্ন ধরণের যৌন বাসনা,আশা ও আকঙ্খ্যা গুলো তাদের স্বপ্নে এসে ধরা দেয়।

আর এই স্বপ্ননের মাধ্যমে যুবকরা,সেই সমস্ত যৌন উদ্দীপনাকে বাস্তবের ন্যায় অনুভব করে এবং পুরুষ যৌনাঙ্গ দিয়ে উত্তেজনার বসে তখন সিমেন মানে হরমোন নিঃসৃত হয়।

আর এই হরমোন নিঃসৃত হওয়ার ঘটনাকে আমরা স্বপ্ন দোষ বা নাইট ফলস বলে থাকি। আসা করি এতক্ষনে আপ্ননাদের কাছে আমাদের স্বপ্ন দোষ কেন হয় আমরা স্বপ্ন কেন দেখি ব্যাপারটা ক্লিয়ার হয়েছে।

স্বপ্ন দোষ হলে কি ক্ষতি হয়


স্বপ্ন দোষ হলে কি ক্ষতি হয় জানার আগে জেনে রাখুন স্বপ্ন দোষ আসলে কোনো অসুখ নয় এটা হল আমাদের আর ০৫ টি শারীরিক ক্রিয়ার মত ০১ টি শারীরিক ক্রিয়া মাত্র।

তবে অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ হলে শরীরের ক্ষতি হয়। কারণ আমাদের শরীরের বিকাশে হরমোন এবং প্রোটিনের ভূমিকা অগ্রজ। আমাদের সিমেন হল আমাদের দেহের এক অভিন্ন প্রোটিনের অংশ বিশেষ।

যা মাত্রাতিরিক্ত ক্ষরণের ফলে আমাদের শরীরে খারাপ প্রভাব নিয়ে আসে। তাই অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ হলে ভগ্ন স্বাস্থ্য,স্মৃতি শক্তি কমে আসা,যৌন ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া,খিট খিটে চেহারা শরীরের রুগ্ন দশা হয়ে যায়।

(আরো পড়ুন : মেয়েদের সাদা স্রাব দূর করার ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায়)

অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ দূর করার উপায়


একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের দেহে অবিরাম টেস্টরন হরমোন তথা আরও অন্যান্য হরমোন নির্মাণের কাজ চলতে থাকে। পুরুষের শরীরে সিমেন মানে বীর্য্য তৈরি হয় অন্ডকোষে (Testis) এর মধ্যে।

আমাদের অন্ডকোষে ০৭ এম.এল পর্যন্ত বীর্য্য ধারণ করে রাখতে পারে। কিন্তু যখন আমাদের অন্ডকোষে (Testis) এর মধ্যে বীর্য্যের পরিমান উপেক্ষা করে যায়।

তখন আমাদের শরীর থেকে সেই অতিরিক্ত বীর্য্য স্থলনের জন্য একটা প্রসেসের দরকার হয়। আর এই প্রসেস হল স্বপ্ন দোষ। স্বপ্ন দোষের মাধ্যমে পুরুষের যৌনাঙ্গ দিয়ে অতিরিক্ত বীর্য্য শরীর থেকে বাইরে নির্গত হয়ে যায়।

তাই একজন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষের মাসে ০২-০৩ বার স্বপ্ন দোষ হওয়া একটি ন্যাচারাল ব্যাপার। কিন্তু এই বীর্য্য স্থলনের মাত্রা যদি ০৩ থেকে আরো বেশি হয় তাহলে সেটা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

স্বপ্ন দোষ কি স্বপ্ন দোষ কেন হয় আমরা স্বপ্ন কেন দেখি
স্বপ্ন দোষ কি স্বপ্ন দোষ কেন হয় আমরা স্বপ্ন কেন দেখি

এবারে অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ দূর করার উপায় জানার আগে জানুন আমাদের অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ কেন হয়। দেখুন পুরুষের যৌনাঙ্গ এবং নারীদের যৌনাঙ্গের গঠন কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা।

স্ত্রী যৌনাঙ্গে যেমন হরমোন এবং মূত্র নির্গমনের জন্য পৃথকভাবে আলাদা দুটি রাস্তা থাকে এবং আলাদা আলাদা রাস্তা দিয়ে ০২ টো জিনিস বার হয়।

কিন্তু পুরুষ যৌনাঙ্গের গঠন ঈশ্বর এমনভাবে তৈরি করেছেন যে একই রাস্তা দিয়ে মূত্র এবং বীর্য্য ০২ টি জিনিস বার হয়। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি কখনো একই রাস্তা দিয়ে ০২ টি জিনিস

নির্গত হয় অথচ ০২ টি জিনিস মূত্র এবং বীর্য্য একসাথে বার হয়না কেন ? কিংবা একই সঙ্গে মিলে মিশে বার হয়না কেন। এবারে আপনি বলবেন হয়তো কারো,কারো

প্রসাবের পর বীর্য্য নির্গত হয়। তাহলে বলে রাখি সেটা হল একটা অসুখ যাকে আমরা সচারচর ধাত রোগ বলে জানি। এবার আমরা আসল আলোচনায় আসি-

পুরুষের অন্ডকোষের উপরেই থাকে মূত্রথলি,এই মূত্রথলি থেকে,প্রসাব নির্গমনের নালি গিয়ে যোগ দেয় পুরুষের যৌনাঙ্গ (Penis) এর মাঝখানের নালিতে।

অপরদিকে অন্ডকোষ থেকেও বীর্য্য নির্গমনের একটি নালি গিয়ে যোগ হয় পুরুষের যৌনাঙ্গের (Penis) মাঝখানের নালিতে গিয়ে একসঙ্গে মিলিত হয়।

পুরুষের যৌনাঙ্গের (Penis) এর মাঝখানে বীর্য্য এবং মূত্র যাতে একসঙ্গে বার হয়ে যেতে না পারে তার জন্য মাঝখানে একটি ভালভ থাকে যাকে আমরা দরজা বলতে পারি।

মূত্রনালি এবং বীর্য্য নালির মাঝখানে যে দরজা থাকে তাকে প্রোস্টেড গ্লান্ড বলা হয়। এই প্রোস্টেড গ্লান্ড আমাদের মূত্র নির্গমন এবং বীর্য্য নির্গমনকে সমানভাবে কন্ট্রোল করে।

যখন আমাদের শরীর থেকে মূত্র নির্গমনের সময় হয় তখন প্রোস্টেড গ্লান্ড বীর্য্য নির্গমনকে কন্ট্রোল করে। আবার অপরদিকে যখন বীর্য্য নির্গমনের সময় হয় তখন মূত্র নির্গমনকে কন্ট্রোল করে।

আমাদের পুরুষ যৌনাঙ্গে প্রোস্টেড গ্লান্ড থাকার জন্যই বীর্য্য এবং মূত্র একসাথে বার হতে পারেনা। কিন্তু যে সমস্ত পুরষের প্রোস্টেড গ্লান্ড দুর্বল হয়ে যায়,

সেই সমস্ত পুরুষ সঠিকভাবে তাদের বীর্য্য ধরে রাখতে পারেনা তাদের অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ এবং ধাত রোগের মত সমস্যায় ভুগতে হয়।

তাই যে সমস্ত পুরুষের অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ এবং ধাত রোগের সমস্যা আছে তাদের উচিত সময়মত কোন যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে সুপরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করা।

আরো পড়ুন : আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প, কেন্দ্র সরকারের নিশুল্ক স্বাস্থ্য বীমা। 

স্বপ্ন দোষ বন্ধ করার ঔষধ


স্বপ্ন দোষ কি স্বপ্ন দোষ কেন হয় আমরা স্বপ্ন কেন দেখি,অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ হলে কি করণীয় এতক্ষনে নিশ্চয় এই সমস্ত জিনিসগুলো আপনাদের কাছে জলের মত পরিষ্কার হয়ে গেছে।

এবারে জানব আমাদের স্বপ্ন দোষ হলে কি করা উচিত এবং স্বপ্ন দোষ বন্ধ করার ঔষধ সমন্ধে। দেখুন আমরা আগেই বলেছি স্বপ্ন দোষ কোন অসুখ নয় ,

স্বপ্ন দোষ হল শরীর থেকে পুরোনো বীর্য্য বার হওয়ার একটা প্রসেস। মানব শরীরে আর ০৫ টা প্রাকৃতিক নিয়মের ন্যায় অন্ডকোষের ০৭ এম এল এর থেকে বেশি

পরিমানের বীর্য্য হয়ে গেলে নতুন বীর্য্য তৈরির জন্য স্বপ্ন দোষ হয়ে থাকে। কিন্তু যে সমস্ত পুরুষ বিবাহিত তাদের সচরাচর স্বপ্ন দোষ হয়না,

কারণ তাদের বীর্য্য স্থলনের জন্য স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে সহবাস জনিত কারণে তাদের আলাদা করে বীর্য্য স্থলনের দরকার পড়েনা।

কিন্তু যে সমস্ত যুবক অবিবাহিত তাদের মধ্যে সচরাচর স্বপ্ন দোষ হতে দেখা যায়। তাই আপনারা যদি শরীর থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে স্বপ্ন দোষের মাধ্যমে বীর্য্য স্থলন করতে না চান,

০১. তাহলে মাসে ০২ থেকে ০৩ বার হস্তমৈথুনের মাধ্যমে বীর্য্য স্থলন করতে পারেন,তাহলে আপনার আর স্বপ্ন দোষ হবেনা। মাসে ০২-০৩ বার হস্তমৈথুন করলে শরীরে কোনো খারাপ প্রভাব পড়ে না।

তবে খেয়াল রাখবেন কোনো জিনিসকেই বদ অভ্যাসে পরিণত করবেন না। একটা জিনসের উপসর্গ বার করতে গিয়ে নতুন করে একটি বদ অভ্যাসে জড়াবেন না।

০২. নিয়মিত যোগ অভ্যাস করলে যেমন শরীর এবং মন ০২ ভাল থাকে,তার সাথে শরীরে বিভিন্ন রোগ ব্যাধিও দূর হয়ে যায়। যোগাসনে এমন অনেক যোগাসন আছে

যেগুলো নিয়মিত অভ্যাস করলে অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষের মত রোগ থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। আমরা এখানে কয়েকটা যোগাসনের নাম বলে দিচ্ছি যেগুলোর নিয়মিত অভ্যাস

আপনার শরীরের স্বপ্ন দোষ বন্ধ করার ঔষধের ন্যায় কাজ করবে। যেমন – a) গোমুখাসন যোগাসনের নিয়মিত অভ্যাসে যেমন পুরুষের বীর্য্য ঘন হয় ঠিক, অপরদিকে

পুরুষের প্রোস্টেড গ্লান্ড মজবুতিতে সহায়তা প্রদান করে। b) ভদ্রাসন যোগাসন নিয়মিত অভ্যাস করলে তা  স্বপ্ন দোষ বন্ধ করার ঔষধের মত কাজ করে।

০৩. হোমিও প্যাথিক ঔষধ Damiaplant এবং Damiagra Forte ড্রপস মাস ০২ ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

স্বপ্ন দোষ কি স্বপ্ন দোষ কেন হয় আমরা স্বপ্ন কেন দেখি
স্বপ্ন দোষ কি স্বপ্ন দোষ কেন হয় আমরা স্বপ্ন কেন দেখি
স্বপ্ন দোষ কি স্বপ্ন দোষ কেন হয় আমরা স্বপ্ন কেন দেখি
স্বপ্ন দোষ কি স্বপ্ন দোষ কেন হয় আমরা স্বপ্ন কেন দেখি

নোট : শোনোবাংলা.কম ব্যক্তিগতভাবে স্বপ্ন দোষ বন্ধ করার ঔষধের জন্য কোনো ঔষধকে প্রেস্ক্রাইব করেনা এই আর্টিকেলে উল্লেখিত ঔষধ ও যাবতীয় পরামর্শ শুধু আপনাদর জ্ঞানার্জনের জন্য। 

তবে অবশ্যই আপনার যদি ব্যক্তি গত ভাবে অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই একজন ভালো চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিন।

স্বপ্ন দোষের উপকারিতা


এতক্ষন আমরা স্বপ্ন দোষ কি স্বপ্ন দোষ কেন হয় আমরা স্বপ্ন কেন দেখি,স্বপ্ন দোষ হলে কি ক্ষতি হয়,স্বপ্ন দোষ বন্ধ করার ঔষধ,অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ দূর করার উপায়

ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করলাম। কিন্তু কথায় আছেনা সব জিনিসের ভালো এবং মন্দ ০২ টি দিক থাকে,ঠিক তেমন স্বপ্ন দোষেরও ভালো এবং মন্দ ০২ টি দিক আছে।

একদিকে অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষের কারণে পুরুষ যেমন ভগ্ন স্বাস্থ্যের অধিকারী হয়। অপরদিকে নিয়ম মেনে মাসে ০২-০৩ বার স্বপ্ন দোষ হলে আমাদের শরীরের মধ্যে

নিয়মিত বীর্য্য পরিবর্তন ঘটাতে সাহায্য করে। স্বপ্ন দোষের মধ্যে দিয়ে আমাদের শরীরের পুরুনো বীর্য্য বার হয়ে যায় এবং আমাদের শরীরে তার জায়গায় নতুন বীর্য্য তৈরি হয়।

নতুন বীর্য্য তৈরি হলে আমাদের বীর্য্যে শুক্রাণুর পরিমান বৃদ্ধি করে,পুরুষদেহে শুক্রাণু মজবুত হয় যার ফলে শুক্রাণু সজজেই ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হয়ে ফার্টিলাইজেশন করতে পারে।

পরিশিষ্ট


পরিশেষে এটাই বলব আপনারা আমাদের আর্টিকেল পড়ে দৈনন্দিন জীবনে স্বপ্ন দোষ কি স্বপ্ন দোষ কেন হয় আমরা স্বপ্ন কেন দেখি বা আমাদের রাত্রের বেলা স্বপ্ন কেমন করে আসে

সেই বিষয়ে একটা স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছেন। বাকি স্বপ্ন দোষ যে আসলে কোনো বড় মারাত্মক অসুখ নয় সেই বিষয়টা বুঝতে পরেছেন।

আর বাকি রইল স্বপ্ন দোষ হলে কি ক্ষতি হয়,অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ হল আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক সেই বিষয়টা আমরা আপনাকে বোঝাতে পেরেছি।

তবুও স্বপ্ন দোষ কি স্বপ্ন দোষ কেন হয় আমরা স্বপ্ন কেন দেখি এই বিষয় নিয়ে যদি আরো কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানান আমরা যথা সম্ভব উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।

FAQ


প্রশ্ন : স্বপ্ন দোষ না হলে কি সমস্যা হয় ?

উঃ- স্বপ্ন দোষ না হলে সেরকম কোনো সমস্যা নেই। তবে আপনি যদি অবিবাহিত যুবক হন আর আপনার যদি মাসের পর মাস স্বপ্ন দোষ না হয় তাহলে আপনার ভবিষ্যতে যৌন রোগের সমস্যা হতে পারে।

প্রশ্ন : স্বপ্ন দোষ হলে কি করা উচিত ? 

উঃ-স্বপ্ন দোষ হলে আপনি ঘাবড়ে না গিয়ে আর ০৫ টি শারীরিক ক্রিয়ার অংশ বলে মনে করাটাই ভালো।

প্রশ্ন : অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ হলে কি করণীয় ?   

উঃ- অতিরিক্ত স্বপ্ন দোষ হলে দেরি না করে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটাই সবথেকে বুদ্ধিমানের কাজ।

প্রশ্ন : স্বপ্ন দোষের উপকারিতা কি ?   

উঃ নিয়ম মেনে মাসে ০২-০৩ বার স্বপ্ন দোষ হলে আপনার শরীরে তার কোনো খারাপ প্রভাব পড়ে না। আপনার শরীরে নতুন বীর্য্যের জন্ম হয়।

প্রশ্ন : স্বপ্ন দোষের ইংরেজি কি ?     

উঃ- স্বপ্ন দোষের আলাদা করে কোনো ইংরেজি নেই তবে সাধারণত স্বপ্ন দোষকে ইংরেজিতে নাইট ফলস/ স্লিপ অর্গাজম বলা হয়।

4.2/5 - (6 votes)

7 COMMENTS

  1. স্যার আমার সপ্তাহে পাঁচ থেকে 6 বার হই প্রাই দুই থেকে তিন বছর কি করবো খুব টেনশন হচ্ছে অনেকে বলে ডাক্তার দেখালে সমাধান হইনা বিয়ে করতে হবে এখন বোয়স 17 লেখাপড়া করেছি বিয়ে টাও সম্ভব না

    • রাশিদ ভাই যেহেতু আপনার বয়স খুব অল্প সুতরাং বিয়ের কোনো প্রশ্ন ওঠেনা। আপনি টেসনসন না করে একজন ভালো হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের পরামর্শ নেন। কারণ যৌন রোগে এলোপ্যাথি অপেক্ষা হোমিওপ্যাথি বিশেষভাবে আরামপ্রদ।

    • স্যার আমার সপ্তাহে ১-২ বার হয় বয়স ২০ কি করনীয়৷ ভালো কোন ডাক্তার খুঁজে পাইনা কোন ভালো ডাক্তারের সন্দান দিবেন দয়া করে🙏🙏🙏

  2. আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া আজ ৩ বছর ধরে আমার এই স্বপ্ন দোষের সমস্যা টি হচ্ছে আমার শারিরীক অনেক সমস্যাও হচ্ছে আমি জারনাইড সিরাপ অনেক গুলো খেয়েছি? আমি হুমেওপতি ঔষধ অনেক খেয়েছি এখন ও খাচ্ছি খাওয়া অবস্থায় ও হচ্ছে 2/3 দিন পর পর ই হয়? আমার সব সময় ক্লান্ত লাগে মাথা ঘুরে কোন কাজ করতে মন বসে না আমি কি করতে পারি এই পবিত্র রমজান মাসে আরো বেসি মাত্রায় হয় অন্য মাসের তুলোনায় এই সমস্যা হওয়ার পর রোজা থাকা খুবই কষ্ট কর? আমি কি করতে পারি এই সমস্যা টা ভালো করতে?আমার বয়স মাত্র ১৭ বছর দয়া করে আমাকে সঠিক সমাধান দিন যাতে চিরদিন এর জন্য আমার এই সমস্যা টা ভালো হয়ে যায় দয়া করে সাহায্য করেন আমার পেনিস ও অনেক দুর্বল হয়ে পরছে,, আমি কি করব কত ঔষধ খাবো?

    • ভাইয়া আপনি সবার প্রথমে আমি একজন সেক্সোলোজিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করুন। আর আমার থেকে যদি পরামর্শ নেন তাহলে আমি আপনাকে হোমিওপ্যাথি ঔষধ Damiaplant ব্যবহার করতে বলব। Damiaplant হোমিওপ্যাথি ঔষধ খেয়ে অনেকেই আপনার মত স্বপ্নদোষের সমস্যায় উপকার পেয়েছেন। আপনি একবার খেয়ে দেখতে পারেন। আমরা আমাদের আর্টিকেলটির মধ্যে ঔষধটির বিবরণ দিয়েছি। আপনি আপনার নিকটস্থ হোমিওপ্যাথি ঔষধের দোকান থেকে Damiaplant ঔষধটি কিনতে পারেন। আমরা ঔষধ কেনার amazon এর লিংক দিয়ে রেখেছি, আপনি সেখান থেকেও ঔষধটি কিনতে পারেন।

  3. গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করার জন্য ধন্যবাদ। আমি শুকনো ও চিকন স্বাস্থ্যের অধিকারী। ১১থেকে১৭বছর বয়স পর্যন্ত আমি নিয়মিত হস্তমৈথুন করতাম।দৈনিক ২,৩বার।কিন্তুু স্মার্টফোনের মাধ্যমে এর ক্ষতি দিক সম্পর্কে জানতে পারি।এখন আমি আর হস্তমৈথুন করি না।কিন্তুু আমি রাতে ড়িম খেলে ঘুমের ভিতরে বীর্যপাত হয়।এই ছাড়া সারা শরীর ব্যথা করে সব সময়।১১থেকে১৭বছর পর্যন্ত স্মার্টফোন ব্যবহার করিনি।সারা শরীর অল্পতে দুর্বল হয়ে যায় ও প্রচুর ঘাম হয়।এই বিষয়ে আমাকে জানারে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।উত্তর এর আশায় আপেক্ষায় আছি।

    • রনি ভাই সবার আগে আপনাকে ধন্যবাদ জানায় আপনার মূল্যবান মতাতমত এবং আপনার সমস্যা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্যে। আপনার সমস্যা শুনে বুঝে আমি যেটুকু বুঝলাম আপনি হলেন একজন দুর্বল স্বাস্থ্যের অধিকারী। তবে আপনি যদি ঔষধ ছাড়াই নিজের স্বাস্থ্যের উন্নতি চান তাহলে আপনাকে ঘরোয়া উপায়ে স্বাস্থ্য কিভাবে উন্নতি করা যায় সেই নিয়ে দু-চারটে কথা বলতে চায়। ০১. আপনার স্বাস্থ্য দুর্বল তাই আপনার ডিম্ খেলে স্বপ্নদোষ হয়ে যায় সেই নিয়ে চাপ নেওয়ার কারণ নাই। এরকম সমস্যা অনেকরেই আছে, তবে আপনি যদি ডিম খেতে চান তাহলে ডিমের কুসুম মানে হলুদ অংশটুকু বাদ দিয়ে সেদ্ধ ডিম্ খেতে পারেন। ০২. আপনার শারীরিক দুর্বলতা কাটানোর জন্য আপনি রাত্রিবেলা ঘুমোনোর আগে প্রতিদিন ০৪ পিস করে আলমন্ড বাদাম ও কিসমিস ভিজিয়ে রাখুন এবং পরের দিন সকালবেলা কিসমিস ও আলমন্ড ভেজানো পানি এবং কিসমিস দানা ও আলমন্ডের ভেজানো দানা গুলো চিবিয়ে প্রতিদিন খান। ০৩. সকালবেলা একটু যোগাসন বা যোগ ব্যায়াম করুন এতে দেখবেন আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here