শনিদেবের ব্রত যারা রাখেন তাদেরকাছে শনি চালিশা, শনিদেবের পাঁচালী,শনিদেবের ১০৮ নামেরর গুরুত্ব কতখানি তারা সেটা খুব ভালোভাবেই বোঝেন। হিন্দুধর্মে শনিদেবকে গ্রহরাজ বলে সম্বোধন করা হয়।
তাই গ্রহমণ্ডলে শনি গ্রহটির নাম শনিদেবের নামেই রাখা হয়েছে। এছাড়া সপ্তাহের ০৭ দিনের সূচীতে শেষ দিন অথাৎ শনি বার শনিদেবতার নামেই রাখাহয়, তাই শনি বারকে গ্রহরাজ শনিদেবের বার বলা হয়।
দেবতাদের মধ্যে শনিদেব হলেন বক্রদৃষ্টিধারী দেবতা, তাই যার উপর শনিদেবের একবার বক্রদৃষ্টি পড়ে তার শীরে সংক্রান্তি নিশ্চিত বলে মনে করা হয়।
অনেকে শনিদেবের সাড়েসাতি দোষের কথা বলেন। একবার হনুমানজীর উপর শনি তার বক্রদৃষ্টি দিয়ে সাড়েসাতি দোষ দিয়ে ভর করেন। হনুমানজী বলেন আমার মন ও মস্তিস্কে শুধু প্রভু শ্রী রামের কৃপা আছে,
সুতরাং তোমার বক্রদৃষ্টি ও সাড়েসাতি দোষে আমার কিছুই হবেনা। শনিদেব তখন ক্রোধের বসে হনুমানজীর মাথায় সাড়েসাতি দোষ নিয়ে ভর করেন।
হনুমানজী তখন মুচকি হেঁসে প্রভু শ্রী রামের নাম নিয়ে মস্ত বড় একটি পাথর তুলে নিজের শীরে ধারণ করে নেয়। এদিকে পাথরের ভারে শনিদেবের হাড়মড়মড়ে দশা হলে,
শনিদেব নিজের ভুল বুঝতে পেরে হনুমানজীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে পাথর শীর থেকে নামিয়ে নেওয়ার জন্যে বলেন। হনুমানজী তখন মাথার উপর থেকে পাথরের বোঝা নামিয়ে নিচে রেখে দেন।
এরপর শনিদেব নিজের ভুল বুঝতে পেরে হনুমানজীকে বলেন, যদি কোনো জাতক হনুমানজীর আরাধনা করেন তাহলে সেই জাতকের উপর শনিদেবের বক্রদৃষ্টি পড়বে না।
তাই শনিদেবের অষ্টোত্তর শতনাম / শনিদেবের ১০৮ নাম জপ করার সাথে সাথে হনুমান চালিশা পাঠ করলে সেই জাতকের উপর থেকে শনিদেবের বক্তদৃষ্টি পড়ে না। ( আরো পড়ুন : হনুমান চালিশা )
শনিদেবের ১০৮ নাম/শনিদেবের অষ্টোত্তর শতনাম (Shonideber 108 Name Bangla)
শনি আরাধনায় শনিদেবের প্রণাম মন্ত্র এবং শনিদেবের বীজ মন্ত্র উচ্চারণের সাথে সাথে শনিদেবের ১০৮ নাম জপ করলে শনিদেব প্রসন্ন হয় এবং শনি মহারাজ তার ভক্তদের প্রতি কৃপাদৃষ্টি বানিয়ে রাখে।
আসুন তাহলে আমরা এখন শনিদেবের ১০৮ নাম বা শনিদেবের অষ্টোত্তর শতনাম পাঠ করে গ্রহরাজ শনিদেবকে প্রসন্ন করে শনিদেবের কৃপালাভ করি।
ॐ শনৈশ্চরায় নমঃ [০১]
ॐ শান্তায় নমঃ [০২]
ॐ সর্বাভীষ্টপ্রদায়িনে নমঃ [০৩]
ॐ শরণ্যায় নমঃ [০৪]
ॐ বরেণ্যায় নমঃ [০৫]
ॐ সর্বেশায় নমঃ [০৬]
ॐ সৌম্যায় নমঃ [০৭]
ॐ সুরবন্দ্যায় নমঃ [০৮]
ॐ সুরলোকবিহারিণে নমঃ [০৯]
ॐ সুখাসনোপবিষ্টায় নমঃ [১০]
ॐ সুন্দরায় নমঃ [১১]
ॐ ঘনায় নমঃ [১২]
ॐ ঘনরূপায় নমঃ [১৩]
ॐ ঘনাভরণধারিণে নমঃ [১৪]
ॐ ঘনসারবিলেপায় নমঃ [১৫]
ॐ খদ্যোতায় নমঃ [১৬]
ॐ মন্দায় নমঃ [১৭]
ॐ মন্দচেষ্টায় নমঃ [১৮]
ॐ মহনীযগুণাত্মনে নমঃ [১৯]
ॐ মর্ত্যপাবনপদায় নমঃ [২০]
ॐ মহেশায় নমঃ [২১]
ॐ ছাযাপুত্রায় নমঃ [২২]
ॐ শর্বায় নমঃ [২৩]
ॐ শততূণীরধারিণে নমঃ [২৪]
ॐ চরস্থিরস্বভাবায় নমঃ [২৫]
ॐ অচঞ্চলায় নমঃ [২৬]
ॐ নীলবর্ণায় নমঃ [২৭]
ॐ নিত্যায় নমঃ [২৮]
ॐ নীলাঞ্জননিভায় নমঃ [২৯]
ॐ নীলাম্বরবিভূশণায় নমঃ [৩০]
ॐ নিশ্চলায় নমঃ [৩১]
ॐ বেদ্যায় নমঃ [৩২]
ॐ বিধিরূপায় নমঃ [৩৩]
ॐ বিরোধাধারভূমযয় নমঃ [৩৪]
ॐ ভেদাস্পদস্বভাবায় নমঃ [৩৫]
ॐ বজ্রদেহায় নমঃ [৩৬]
ॐ বৈরাগ্যদায় নমঃ [৩৭]
ॐ বীরায় নমঃ [৩৮]
ॐ বীতরোগভযায় নমঃ [৩৯]
ॐ বিপত্পরম্পরেশায়নমঃ [৪০]
ॐ বিশ্ববন্দ্যায় নমঃ [৪১]
ॐ গৃধ্নবাহায় নমঃ [৪২]
ॐ গূঢায় নমঃ [৪৩]
ॐ কূর্মাঙ্গায় নমঃ [৪৪]
ॐ কুরূপিণে নমঃ [৪৫]
ॐ কুত্সিতায় নমঃ [৪৬]
ॐ গুণাঢ্যায় নমঃ [৪৭]
ॐ গোচরায় নমঃ [৪৮]

ॐ অবিদ্যামূলনাশায় নমঃ [৪৯]
ॐ বিদ্যাবিদ্যাস্বরূপিণে নমঃ [৫০]
ॐ আযুষ্যকারণায় নমঃ [৫১]
ॐ আপদুদ্ধর্ত্রে নমঃ [৫২]
ॐ বিষ্ণুভক্তায় নমঃ [৫৩
ॐ বশিনে নমঃ [৫৪]
ॐ বিবিধাগমবেদিনে নমঃ [৫৫]
ॐ বিধিস্তুত্যায় নমঃ [৫৬]
ॐ বন্দ্যায় নমঃ [৫৭]
ॐ বিরূপাক্ষায় নমঃ [৫৮]
ॐ বরিষ্ঠায় নমঃ [৫৯]
ॐ গরিষ্ঠায় নমঃ [৬০]
ॐ বজ্রাঙ্কুশধরায় নমঃ [৬১]
ॐ বরদাভযহস্তায় নমঃ [৬২]
ॐ বামনায় নমঃ [৬৩]
ॐ জ্যেষ্ঠাপত্নীসমেতায় নমঃ [৬৪]
ॐ শ্রেষ্ঠায় নমঃ [৬৫]
ॐ মিতভাষিণে নমঃ [৬৬]
ॐ কষ্টৌঘনাশকর্ত্রে নমঃ [৬৭]
ॐ পুষ্টিদায় নমঃ [৬৮]
ॐ স্তুত্যায় নমঃ [৬৯]
ॐ স্তোত্রগম্যায় নমঃ [৭০]
ॐ ভক্তিবশ্যায় নমঃ [৭১]
ॐ ভানবে নমঃ [৭২]
ॐ ভানুপুত্রায় নমঃ [৭৩]
ॐ ভব্যায় নমঃ [৭৪]
ॐ পাবনায় নমঃ [৭৫]
ॐ ধনুর্মণ্ডলসংস্থায় নমঃ [৭৬]
ॐ ধনদায় নমঃ [৭৭]
ॐ ধনুষ্মতে নমঃ [৭৮]
ॐ তনুপ্রকাশদেহায় নমঃ [৭৯]
ॐ তামসায় নমঃ [৮০]
ॐ অশেষজনবন্দ্যায় নমঃ [৮১]
ॐ বিশেশফলদাযিনে নমঃ [৮২]
ॐ বশীকৃতজনেশায় নমঃ [৮৩]
ॐ পশূনাং পতযে নমঃ [৮৪]
ॐ খেচরায নমঃ [৮৫]
ॐ খগেশায নমঃ [৮৬]
ॐ ঘননীলাম্বরায় নমঃ [৮৭]
ॐ কাঠিন্যমানসায় নমঃ [৮৮]
ॐ আর্যগণস্তুত্যায় নমঃ [৮৯]
ॐ নীলচ্ছত্রায় নমঃ [৯০]
ॐ নিত্যায় নমঃ [৯১]
ॐ নির্গুণায় নমঃ [৯২]
ॐ গুণাত্মনে নমঃ [৯৩]
ॐ নিরামযায় নমঃ [৯৪]
ॐ নিন্দ্যায় নমঃ [৯৫]
ॐ বন্দনীযায় নমঃ [৯৬]

ॐ ধীরায় নমঃ [৯৭]
ॐ দিব্যদেহায় নমঃ [৯৮]
ॐ দীনার্তিহরণায় নমঃ [৯৯]
ॐ দৈন্যনাশকরায নমঃ [১০০]
ॐ আর্যজনগণ্যায নমঃ [১০১]
ॐ ক্রূরায় নমঃ [১০২]
ॐ ক্রূরচেষ্টায় নমঃ [১০৩]
ॐ কামক্রোধকরায় নমঃ [১০৪]
ॐ কলত্রপুত্রশত্রুত্বকারণায় নমঃ [১০৫]
ॐ পরিপোষিতভক্তায় নমঃ [১০৬]
ॐ পরভীতিহরায নমঃ [১০৭]
ॐ ভক্তসংঘমনোঽভীষ্টফলদায নমঃ [১০৮]
পরিশিষ্ট
যে ব্যক্তি ভক্তিভরে শনিদেবের আরাধনার সাথে সাথে শনিদেবের ১০৮ নাম (শনিদেবের অষ্টোত্তর শতনাম) জপ করে সেই জাতকের জীবনে আসা সমস্ত রকম বাধা বিপত্তি ও দুরারোগ্য ব্যাধি দূর হয়ে যায়।
শনিদেবের অষ্টোত্তর শতনাম জপ করলে শনিদেবের কৃপাদৃষ্টি লাভ হয় জীবনে সুখ শান্তি ফিরে আসে, পরিবারে ব্যবসায় উন্নতি হয়, চাকরী ও পড়াশোনায় শনির বক্রদৃষ্টি থাকলে, বক্রদৃষ্টি দোষ কেটে যায়।