লো প্রেসারের লক্ষণ,কারণ ও প্রতিকার (Low Bload Presarer Karon)

আজকালকার দিনে পৌঢ থেকে তরুন অনেক ব্যক্তিই আছেন যাদের মধ্যে কেউ না কেউ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। তবে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে আমরা যতটা দুঃশ্চিন্তায় থাকি,

তুলনামূলকভাবে নিম্ন রক্তচাপ বা লো বাল্ড প্রেসার নিয়ে আমরা ততটা দুঃশ্চিন্তা করিনা। লো প্রেসারের লক্ষণ ও প্রতিকার হিসাবে, প্রেসারের ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতিতে লো প্রেসারের প্রতিকার খোঁজার চেষ্টা করি।

বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমান জলের অভাব থাকলে,অতিরিক্ত ঘামের জন্যে মানুষের শরীরে লো প্রেসার হয়ে যায় এবং শরীরে তাপমাত্রার তারতম্য ঘটে।

একজন সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান মানুষের শরীরের সাধারণ রক্তচাপে সিস্টোলিক ১২০ মিমি (মার্কারি) এইচজি এবং ডায়াস্টোলিক ৮০ মিমি (মার্কারি) এইচজি এর আসেপাশেই থাকে।

Table of Contents

লো প্রেসারের কারণ কি

যখন কোনো ব্যক্তির ব্লাড প্রেসারের সিস্টোলিকের সূচক ৯০ মিমি (মার্কারি) এবং ডায়াস্টোলিক ৬০ মিমি (মার্কারি) এর নিচে নেমে যায় তখন সেই ব্যক্তির রক্ত চাপের মধ্যে লো প্রেসারের লক্ষণ প্রকাশ পায়।

তাই কোনো ব্যক্তির হৃদপৃন্ডের রক্তচাপের মার্কারি সূচক যদি ৯০/৬০ এর মধ্যে নেমে যায়,তখন তাকে লো প্রেসার বা লো ব্লাড প্রেসারের রুগী বলা হয়। তবে ব্যক্তির সাময়িক লো প্রেসার শরীরের পক্ষে ততটা বিপদজনক নয়।

কিন্তু লো প্রেসার যদি আবার দীর্ঘ্য মেয়াদি আকার নেই, তাহলে অবশ্যই লো প্রেসারের প্রতিকার করা দরকার। আজকের আটিকেলে আমরা লো প্রেসারের লক্ষণ ও প্রতিকার,

লো প্রেসার হলে কি কি খাবার খাওয়া উচিত, লো প্রেসার হলে কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত নয়, লো প্রেসারের চিকিৎসা সহ লো প্রেসারের সমাধান নিয়ে কিছু কথা আলোচনা করব।

আশাকরি লো প্রেসারের লক্ষণ ও প্রতিকারের নিয়ম আর্টিকেলটি পাঠ করলে আপনারা লো প্রেসারের পুরো কনসেপ্ট, আরো সুন্দরভাবে বুঝতে পারেবন।

লো প্রেসারের লক্ষণ ও প্রতিকার

সাধারণভাবে আমাদের মনে, লো প্রেসার নিয়ে বেশিরভাগ সময় ভুল ধারণা কাজ করে। আমরা সাধারনত যে সমস্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্য দুর্বল এবং ছিপছিপে তারাই নিম্ন রক্তচাপের স্বীকার হয় বলে মনে করি।

আমাদের লো প্রেসার নিয়ে এরকম ধারণা কিন্তু একেবারে ভুল। এমন কোনো কথা নেই যে শুধুমাত্র চেহারা ছিপছিপে ও দুর্বল স্বাস্থ্য হলেই সেই ব্যক্তির লো প্রেসার হবে।

একজন মোটা সোটা বলবান চেহেরার মানুষেরও লো প্রেসারের সমস্যা হতে পারে। আসুন আমরা এক নজরে লো প্রেসারের কারণ গুলো কি, বা কি কি কারণে আমাদের লো প্রেসার হয় তার সাথে লো প্রেসারের লক্ষণ ও প্রতিকার খোঁজার চেষ্টা করি।

লো প্রেসারের লক্ষণ ও প্রতিকার
লো প্রেসারের লক্ষণ ও প্রতিকার

০১. সময়মত খাবার না খাওয়া

হ্যাঁ আপনি ঠিকই পড়েছেন সময়মত খাবার না খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে লো প্রেসার দেখা দিতে পারে। আসলে আমরা প্রায়শই নিত্যদিনের কাজে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়ি যে,

আমাদের খাবারের জন্যে যে নির্দিষ্ট সময় বরাদ্দ আছে সেটা আমরা ভুলতে বসি। খাচ্ছি খাবো এরকম নানান বাহানায় অনেক সময় আমাদের সময়মত খাওয়া হয়ে ওঠে না।

হজমঘর (পাকস্থলি), ডাইজেস্টিক সিস্টেম আমাদের এমনভাবে কাজ করে যে,খাবার হজম হয়ে গেলেই, আমাদের লিভার আমাদের ব্রেনে খিদে পাওয়ার সংকেত পাঠায়।

কিন্তু কখনো আমরা জেনে বুঝে দেরি করে,খিদে চেপে না খেয়ে থাকি। আবার কখনো সত্যিই কোনো কারণের জন্যে আমাদের সময়মত খাওয়া হয়ে ওঠে না।

তাই সর্বদা আমাদের নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে খাবার খাওয়ার সময়, খাবার খাওয়া উচিত। তা নইলে আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় শর্করা এবং জলের ঘাটতির অভাবে লো প্রেসারের সম্ভবনা দেখা দিতে পারে।

০২. শরীরে জলের ঘাটতি

শরীরে জলের ঘাটতি আমাদের লো প্রেসারের অন্যতম কারণ হতে পারে। বিশেষ করে গরমকালে আমাদের শরীরে ঘামের অধিক্য বেশি হয়।

কিন্ত আমরা যদি সেই সময় পরিমান মত জল পান না করি তাহলে আমাদের শরীরে জলের ঘাটতি দেখা যায়। আমাদের প্রসাবের রঙ হলদে হয়,

কিংবা এমনো হয় যে সারাদিনে ঠিকঠাক ভাবে প্রসাব আসেনা। তাই এই সমস্ত বিষয়গুলোর দিকে নজর রেখে আমাদের সু-স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে পর্যাপ্ত পরিমানে জল পান করা উচিত।

০৩. অতিরিক্ত পরিমানে কায়িক পরিশ্রম

আপনাদের মধ্যে অনেক ব্যক্তিই আছেন যারা কাজ পাগল, কাজকে ভালোবাসেন। কাজকে ভালোবাসেন তাতে কোনো ক্ষতি নেই, কিন্তু আমরা কাজের খাতিরে কখনো কখনো ওভার ডিউটি করতে হয়।

আবার সেই ওভার ডিউটি যদি নিয়মিত করেন, তাহলে আপনার কাজের ওভার ডিউটি আপনার লো প্রেসারের কারণ হতে পারে। তাই আমাদের শরীরের ক্যাপাসিটি অনুযায়ী কায়িক পরিশ্রম করা উচিত।

০৪. বদহজমের কারণে লো প্রেসার

আমাদের শরীরের অভন্তরীন অঙ্গ গুলো একে অপরের সাথে কনেক্টেড রয়েছে। আমরা আমাদের প্রতিদিনের জীবন যাপনের তালিকার ছন্দগুলো যদি ঠিক ঠাক ভাবে পালন না করি

তাহলে আমাদের শরীরের ব্যালেন্স হারিয়ে পড়ে। যেমন – অতিরিক্ত পরিশ্রম,সময়মত খাওয়া দাওয়া না করা ইত্যাদির জন্যে আমাদের বদহজম হতে পারে। আর বদহজমকে লো প্রেসারের অন্যতম কারণ হিসাবে ধরা হয়।

০৫. রক্তপাত জনিত কারণে লো প্রেসার

আমাদের শরীরের কোনো কাটা ছেঁড়া হলে কিংবা কোনো বড় এক্সিডেন্ট হলে আমাদের ক্ষতস্থানে প্রচুর পরিমানে রক্ত ক্ষরণ হয়। আবার কখনো আমাদের শরীরে বড় কোনো সার্জারী হলে তাতেও রক্ত ক্ষরণ হয়ে

আমাদের লো প্রেসার হয়ে যায়। তাই ডাক্তারবাবু প্রয়োজন হলে সার্জারীর সময় শারীরিক দুর্বলতা কাটানোর জন্যে রুগীর শরীরে রক্ত দেন, তা নইলে সম্পূর্ন বেড রেস্টের জন্য প্রেস্ক্রাইব করেন।

০৬. শরীরে অপুষ্টি জনিত কারণেও লো প্রেসার হয়

মানব শরীরে অপুষ্টির কারণে লো প্রেসার হতে পারে। তাই আমাদের সর্বদা খাবারের প্রতি যত্নবান হয়ে ফল,সবুজ শাক,সবজি,ডিম,মাংস ইত্যাদি পুষ্টিকর ও হাইজিনিক খাবার খাওয়া উচিত।

০৭. গর্ভবস্থায় মহিলাদের লো প্রেসারের সমস্যা হয়

মহিলারা যখন গর্ভবতী হয়, তখন শুরুর ০৬ মাস মহিলাদের শরীরে লো প্রেসারের সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সময় গর্ভবতী মহিলাদের ডাক্তারের পরামর্শ মত চলা উচিত।

০৮. অ-পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম আমাদের লো প্রেসারের কারণ হতে পারে

একজন সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষের পুরো দিনে ০৮ থেকে ১০ ঘন্টা বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের শরীর যদি অনিদ্রার স্বীকার হয় এবং শরীর যদি পর্যাপ্ত পরিমানে বিশ্রাম না পায়, তাহলে আমাদের লো প্রেসারের সমস্যাযা পড়তে হয়।

তাই আমাদের বেশি রাত করে ঘুমোনোর অভ্যাস ত্যাগ করে, রাত্রি ১০ টা থেকে ১০:৩০ এর মধ্যে রাত্রের খাবার খেয়ে, রাত্রি ১১ টার আগে ঘুমোনোর চেষ্টা করে আমাদের শরীরকে পর্যাপ্ত পরিমানে বিশ্রাম দেওয়া উচিত।

০৯. দুশ্চিন্তার কারণে লো প্রেসার হয়ে যাওয়া

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণেও আমাদের শরীর লো প্রেসারের সমস্যায় ভুগতে পারে। তাই অতিরিক্ত দুঃশ্চিন্তা করা আমাদের শরীর ও মনের জন্যে কখনোই আরামপ্রদ হতে পারে না।

১০. ডায়রিয়ার কারণে আমাদের শরীরে লো প্রেসার দেখা যায়

আমাদের শরীর যদি ডায়রিয়ার হয় তাহলে ডায়রিয়ার সময় অত্যাধিক বমি ও পায়খানার কারণে আমাদের শরীরে গ্লুকোচ ও লবনের ঘাটতির কারণে লো প্রেসার হয়।

লো প্রেসারের লক্ষণ

এতক্ষন আমরা লো প্রেসার হওয়ার কারণ হিসাবে কতগুলো ছোট ছোট কারণের কথা বললাম, এবারে আমরা লো প্রেসারের লক্ষণ গুলো নিয়ে কথা বলব।

লো প্রেসারের সাময়িক এই লক্ষণ গুলো জানা থাকলে আপনারা সহজেই লো প্রেসারের রোগী সনাক্ত করতে পারবেন। আর সঠিক সময় রোগ নির্ণয় করতে পারলে অনেক সময় রুগীকে বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচানো যায়।

  • মাঝে মাঝে হঠাৎ হঠাৎ মাথা ঘুরে যাওয়া লো প্রেসারের লক্ষণ হতে পারে।
  • শরীরে বমি বমি ভাব লো প্রেসারের অন্যতম কারণ।
  • ঘন ঘন স্বাস প্রস্বাস নেওয়া হল, লো প্রেসারের লক্ষণ।
  • ঘন ঘন তেষ্টা পাওয়া লো প্রেসারের লক্ষণের মধ্যে পড়ে ।
  • মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া লো প্রেসারের লক্ষণ।
  • হাত, পা ঠান্ডা পরে যাওয়া লো প্রেসার হওয়ার কারণ হতে পারে।
  • চোখে কম দেখা লো প্রেসারের অন্যতম কারণ হতে পারে।
  • উঠতে বসতে যাদের মাথা ঘোরা লো প্রেসারের লক্ষণ।
  • অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন লো প্রেসারের কারণের মধ্যে পড়ে।
  • চিড়চিড়ে মেজাজ, মানসিক অবসাদে ভোগা লো প্রেসারের কারণ।
  • শরীর প্রচন্ড দুর্বল লাগা অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠা লো প্রেসারের কারণ হতে পারে।
  • শরীরে জ্বর জ্বর ভাব লাগা লো প্রেসারের লক্ষণ।
  • নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই মাথা ধরা লো প্রেসারের লক্ষণ।

লো প্রেসার হলে কি কি খাওয়া উচিত

লো প্রেসারের নির্দিষ্ট করে কোনো চিকিৎসা নেই, তবে লো প্রেসারের লক্ষণ গুলোর উপর ভিত্তি করেই, লো প্রেসারের প্রতিকার খোঁজার চেষ্টা করা হয়।

আপনার কিংবা আপনার বাড়ির কোনো আত্মীয়ের যদি লো প্রেসারের সমস্যা থাকে তাহলে ঘরোয়া উপায়ে লো প্রেসারের চিকিৎসা করলে লো প্রেসারের সমস্যা দূর করা যায়।

আমরা এখানে লো প্রেসারের সমাধান নিয়ে কতগুলো কথা বলব আপনারা অযথা চিন্তা না করে লো প্রেসারের লক্ষণ গুলো দেখে, লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করার কতগুলো নিয়ম মেনে চললেই লো প্রেসারের সমাধান করতে পারবেন।

লো প্রেসারের লক্ষণ ও প্রতিকার
লো প্রেসারের লক্ষণ ও প্রতিকার

০১. গ্লুকোজ

লো প্রেসারের রুগীরা এক গ্লাস জলে ০২ টেবিল চামচ চিনি, ০১ টেবিল চামচ লবন মিশিয়ে তার সাথে লেবু মিশিয়ে গ্লুকোজ তৈরি করে ১৫ থেকে ২০ দিন পান করলে লো প্রেসারের সমাধান পাওয়া যায়।

০২. লবন

লবণের মধ্যে সোডিয়াম থাকে যা ব্লাড প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে। তাই আপনার খাবারের তালিকায় যে সমস্ত খাদ্য দ্রব্য রয়েছে ,সেই সমস্ত খাদ্য দ্রব্যে লবণের পরিমান বাড়ালে অথাৎ খাবারে বেশি করে লবন খেলে খুব অল্পদিনেই লো প্রেসারের সমস্যা দূর করা যায়।

০৩. ড্রাইফুড সেবন

আপনার খাদ্য তালিকায় লো প্রেসারের খাবার হিসাবে নিয়ম করে কাজু,কিসমিস,আখরোট ইত্যাদি ড্রাইফুড গুলো সেবন করেন, তাহলে খুব অল্পদিনেই লো প্রেসারের সমাধান হবে।

০৪. পুদিনা পাতা সেবন

পটাসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম জাতীয় খাবার চট জলদি ব্লাড প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে। আর পুদিনা পাতার মধ্যে প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাসিয়ামের মত খনিজ রয়েছে।

তাই লো প্রেসারের চিকিৎসায়,লো প্রেসারের খাবার হিসাবে পুদিনা পাতা কিংবা পুদিনা পাতার চাটনি নিয়মিত খেলে লো প্রেসার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

০৫. কফি সেবন

ক্যাফেইন যুক্ত খাবার গুলো খেলে চটজলদি লো প্রেসার হাই হয়ে যায়। আর কফির মধ্যে প্রচুর পরিমানে ক্যাপিচুনো আছে যা শরীরকে খুব গরম করে রাখে।

তাই কোনো ব্যক্তির যদি হঠাৎ করে লো প্রেসার হয়ে যায়,তৎক্ষণাৎ সেই রুগীকে, লো প্রেসারের খাবার হিসাবে কফি সেবন করার জন্যে দেওয়া হয় ,কফি পান করার পর কয়েক মিনিটের মধ্যেই রুগীর লো প্রেসার হাই হয়ে যায়।

০৬. বিটের রস সেবন

লো প্রেসারের চিকৎসায় বিটের রস পান করার কথা বলা হয়েছে। তাই লো প্রেসারের রুগীদের লো প্রেসারের খাবার হিসাবে প্রতিদিন এক গ্লাস করে বিটের রস পান করালে লো প্রেসারের সমস্যা দূর হয়ে যায়।

০৭. কার্বোহাইড্ৰেট যুক্ত খাবার সেবন

কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার গুলো আমাদের শরীরের রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে, তাই দুধ,ডিম,পাঁঠার যকৃৎ এই সমস্ত খাবার গুলোতে প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইড্রেট আছে ,তাই এই সমস্ত খবর খেলে খুব অল্পদিনের মধ্যে লো প্রেসারের রুগী সুস্থ্য হয়ে যায়।

০৮. সতেজ সবুজ শাক,সবজি সেবন

লো প্রেসারের রুগীদের খাদ্য তালিকায় লো প্রেসারের খাবার হিসাবে সবুজ শাক সবজি, যেমন- পুঁই শাক,পালং শাক,টমেটো,বিট,মুলো ইত্যাদি সবজি খাওয়া উচিত।

০৯. নিয়মিত ব্যায়াম

লো প্রেসারের সমাধান হিসাবে লো প্রেসারে রুগীরা সকাল বেলা অনুলোম বিলোম,ভ্রামরী, প্রাণায়াম এবং ব্ৰজাসন,হলাসন সহ যোগ ব্যায়াম করলে রুগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

লো প্রেসারের চিকিৎসা

নিম্ন রক্তচাপ বা লো প্রেসারের নির্দিষ্ট করে কোনো চিকিৎসা নেই ,চিকিৎসক রুগীর লো প্রেসারের লক্ষণ দেখে লো প্রেসারের সমাধান দেন।

সাধারণভাবে লো প্রেসার বলতে রুগীর শারীরিক দুর্বলতাকেই মনে করা হয়। তাই রুগীর শারীরিক দুর্বলতা এবং দুর্বল শরীরে জলের ঘাটতি মেটানোর জন্যে ডাক্তার স্যালাইন জল,ইলেক্ট্রোলাইট পাউডারের মিশ্রণ খেতে দেয়।

আর তাতেই কয়েক দিনের মধ্যেই রুগীর লো প্রেসারের সমস্যার সমাধান হয়ে যায় এবং লো প্রেসার সেরে যায়। তবে যাদের দীর্ঘ্য সময়ের লো প্রেসার আছে তাদের অবশ্যই ডাক্তার বাবুর পরামর্শমত লো প্রেসারের ওষুধ খাওয়া উচিত।

লো প্রেসারের ওষুধ

লো প্রেসারের লক্ষণ ও প্রতিকার হিসাবে ডাক্তারবাবুরা সচরাচর লো প্রেসারের ওষুধ হিসাবে, লো প্রেসারের রোগীদের ইরেক্টাইল ডিসঅংশান, কারভেডিলল প্রজাতির ওষুধ প্রেসক্রাইব করে থাকেন।

তবে আপনারা নিজের ইচ্ছায় লো প্রেসারের ওষুধ না খেয়ে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শমত লো প্রেসারের ওষুধ খাবেন,তা নইলে অনেক সময় ওষুধের বিপরীত পার্শ্বপতিক্রিয়া হতে পারে ।

পরিশিষ্ট

এতক্ষন আমরা লো প্রেসারের কারণ হিসাবে লো প্রেসারের লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে কতগুলো ঘরোয়া উপচারের কথা বললাম। এখানে যে সমস্ত মানুষেরা সাময়িক কোনো কারণে লো প্রেসারের সমস্যায় ভুগছেন।

তারা লো প্রেসারের লক্ষণ গুলো দেখে, লো প্রেসারের লক্ষণ ও প্রতিকার হিসাবে লো প্রেসারের ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতিতে উপাচার গুলো ট্রাই করেন তাহলে অবশ্যই উপকার পাবেন।

5/5 - (1 vote)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here