নারীদের যৌনাঙ্গে দুর্গন্ধ হওয়া নতুন কোনো বিষয় নয়,তবে লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধের জন্যে মহিলারা মনে মনে ইতস্তত বোধ করেন এটাই স্বাভাবিক। আজকের আর্টিকেলে আমরা ঘরোয়া উপায়ে লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় নিয়ে কথা বলব।
আপনারা যে সমস্ত মহিলারা নিত্যদিন যৌনি দুর্গন্ধের সমস্যায় ভুগছেন এবং ভ্যাজাইনার দুর্গন্ধ দূর করার উপায় খুঁজছেন তারা আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হবেন।
সাধারণভাবে যৌনিতে দুর্গন্ধ হওয়া মানে যৌনিতে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের স্বীকার হওয়াকেই ধরা হয়। তবে যৌনির দুর্গন্ধ নিয়ে মহিলাদের সেরকম চাপ নেওয়ার কিছু নেই।
সমস্ত মহিলারা কখনো না কখনো এরকম লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধের স্বীকার হন। তবে মহিলাদের গোপনাঙ্গ দুর্গন্ধের কারণ হিসাবে মহিলাদের মধ্যে আত্মসচেতনাতার অভাবকেই ধরা হয়।
কারণ একজন মহিলাই তার শরীরে সময়ের ব্যবধানে হওয়া রদবদলকে সবথেকে ভালোভাবে অধ্যয়ন করতে পারে। একজন নারীই হল তার শরীরে হওয়া পরিবর্তনের সবথেকে ভালো পর্যবেক্ষক।
নারী শরীরে তৎক্ষণাৎ কিছু পরিবর্তন লক্ষ করলেই নারীই তা ভালোভাবে অভিধাবন করতে পারে। তাই একজন নারীকে সবসময় নিজের শরীরের একজন যত্নবান অভিভাবক হওয়া উচিত।
মহিলাদের গোপনাঙ্গ দুর্গন্ধ কেন হয়
সাধারণ ভাবে নারীদের যৌনাঙ্গ দুর্গন্ধ হওয়া একটি অতি স্বাভাবিক বিষয়, তবে তার আগে আমাদের অবশ্যই মহিলাদের গোপনাঙ্গে হওয়া দুর্গন্ধ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।
জানতে হবে ভ্যাজাইনার মধ্যে সাধারণত কি কি ধরণের দুর্গন্ধ পাওয়া যায় এবং তার সাথে মহিলাদের ভ্যাজাইনার দুর্গন্ধ দূর করার উপায় খোঁজার আগে ভ্যাজাইনার দুর্গন্ধ সৃষ্টির মুল কারণ গুলো কি ? সেগুলো জানা দরকার –
০১. গোপনাঙ্গে হওয়া ঘামের দুর্গন্ধ
একজন নারী যদি সারাদিন রোদ্রের মধ্যে ঘুরে ঘুরে পরিশ্রম করে অথবা ঘরের বাইরে বাস ট্রেনে ট্রাভেল করে, অফিস যায় কিংবা পড়াশোনার জন্যে প্রচন্ড রোদে গরমে শরীরে কায়িক পরিশ্রম হয়, তার জন্যে
শরীরের বিভিন্ন গোপন অঙ্গের ভাঁজ গুলোতে ঘাম জমবে এটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে ঘাম গায়ে পরে থাকা মহিলাদের টাইট অন্তঃবাস থেকে ঘামের ভেজা গন্ধ বেড়িয়ে আসে।
তবে তার জন্যে চিন্তা কোনো কারণ নেই, দিনে ০২-০৩ বার অন্তঃবাস বদলি এবং শরীরে স্নান কিংবা সুগন্ধি সাবান,ডেটল অথবা ভালো বডি ওয়াশ দিয়ে স্নান করলে শরীরের গোপনাঙ্গের ও অন্তঃবাসের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়।

০২. গোপনাঙ্গে থেকে আসা বাসি পচা রুটির দুর্গন্ধ
নারী গোপনাঙ্গে এমনিতেই ইস্টের তরল মিশ্রণ থাকে। তবে কখনো কখনো সহবাস বা মহিলাদের গোপনাঙ্গে প্যান্টি এবং টাইট জিন্সে ঘষা খেয়ে নারী যৌনিতে ইনফেকশন হয়ে যায়।
তখন নারী যৌনিতে থাকা তরল ইস্টের উপস্থিতি ঘষা খাওয়া সংবেদনশীল যৌনির চামড়াকে সংক্রামিত করে ঘায়ের সৃষ্টি করে, যা থেকে পচা বাসি রুটি কিংবা চিজের মত গন্ধ বের হয়। নারীদের গোপনাঙ্গ থেকে এধরণের দুর্গন্ধ বার হলে
অবশ্যই সেই মহিলাকে দেরি না করে কোনো ভালো গাইনো ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। নইলে পরবর্তী ক্ষেত্রে যৌনি সংক্রমিত হয়ে ভ্যাজাইনার মধ্যে যৌন রোগ হয়ে যেতে পারে।
০৩. গোপনাঙ্গ থেকে আসা ঝাঁঝালো প্রস্রাবের গন্ধ
মহিলাদের গোপনাঙ্গ থেকে যদি ঝাঁঝালো প্রসবের গন্ধ বের হয় সেক্ষেত্রে মহিলাদের ইউরিন ইনফেকশন হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। আপনাদের মধ্যে কোনো মহিলার প্রসাবের গন্ধ যদি ঝাঁজালো হয়
এবং প্রসাবের দ্বারে জ্বালা পোড়ার অনুভূতি মনে হয়, তাহলে জানতে হবে আপনার প্রসাবের দ্বারা ইউরিন ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। আবার প্রসাবের গন্ধের সাথে যদি প্রস্রাবে জ্বালা পোড়া থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
০৪. গোপনাঙ্গ থেকে আসা হালকা রক্তের গন্ধ
মহিলাদের মাসিকের সময় যৌনি থেকে ঝাঁজালো রক্তের গন্ধ পাওয়া যায়। পিরিয়ডের দিন গুলোতে এই ধরণের গন্ধ আসা নতুন কিছু নয় ,সাধারণ নিয়মে যৌনি দিয়ে ব্লেডিং হওয়ার কারণে এধরণের গন্ধ বার হয়।
তাই মাসিককালীন সময় মহিলাদের গোপনাঙ্গে এইধরণের হালকা রক্তের গন্ধ এলে তাতে ঘাবড়ে যাওয়ার মত কিছু নেই। এই ধরণের রক্তের গন্ধ বেরোনো খুব স্বাভাবিক একটা বিষয়। পিরিয়ড শেষ হলে ,পিরিয়ডের সাথে সাথে এই দুর্গন্ধ চলে যায়।
০৫. গোপনাঙ্গ থেকে আঁশটে গন্ধ আসা
কখনো কখনো মহিলাদের লজ্জাস্থান থেকে আঁশটে দুর্গন্ধ পাওয়া যায় ,কিন্ত সহবাসের পরে তা আরো বৃদ্ধি পায়। এই ধরণের আঁশটে গন্ধ যদি আপনাদের শরীরেও বার হয়, তাহলে বিষয়টাকে গুরত্ব দেওয়া দরকার।
মহিলাদের লজ্জাস্থান থেকে আসা দুর্গন্ধ অনেক সময় যৌনিতে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের সম্ভবনা বাড়িয়ে দেয় এবং যার জন্য যৌনাঙ্গের পিএইচ লেভেলের তারতম্য ঘটে, এরকম পরিস্থিতিতে একজন সুযোগ্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
এতক্ষন আমরা মহিলাদের গোপনাঙ্গের দুর্গন্ধ কেন হয় সেই ব্যাপারে কতগুলো কথা বললাম, এবারে আমরা ঘরোয়া উপায়ে মহিলাদের লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় গুলো নিয়ে আলোচনা করব।
সাধারণভাবে মহিলাদের লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধের মূল কারণ হল যৌনিতে হওয়া ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন,হরমোনের তারতম্য, ঘামের দুর্গন্ধ ,মহিলাদের মাসিক ধর্ম এবং পরিচ্ছন্নতার অভাবে হয়।
এইধরণের মহিলাদের যৌনির দুর্গন্ধ দূর করার উপায় হিসাবে কতগুলো কমন ঘরোয়া টোটকা আজ আপনাদের শেয়ার করব,আশাকরি আপনারা অনেকেই আমাদের আর্টিকেলে লেখা টোটকা গুলো দিয়ে উপকার পাবেন।
(আরো পড়ুন : মেয়েদের গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায়)
০১. দই দিয়ে ভ্যাজাইনার দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
টক দই হল খুব ভালো একটি প্রাকৃতিক টক্সিন রিমুভার। গরমকালে নিয়মিত টক দই খেলে ভ্যাজিনার দুর্গন্ধ থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। তার সাথে ভ্যাজাইনার উপর টক দইয়ের প্রলেপ লাগালে ভ্যাজাইনার দুর্গন্ধ থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।
প্রয়োজনে টেম্পুনের সাহায্যে যৌনির ভিতর টক দইয়ের প্রলেপ ঢুকিয়ে রেখে, ০২-০৩ ঘন্টার ব্যবধানে ঈষদ গরম জল দিয়ে যৌনি ধুয়ে নিলে, এতে আপনার যৌনির ভিতরের দুর্গন্ধ ও যৌনির ভিতরে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া নির্মূল হয়ে যাবে।
০২. রসুনের রস দিয়ে মহিলাদর যৌনির দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
ঘরোয়া উপায়ে মহিলাদের লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় হতে পারে আপনার রান্নার মসলায় ব্যবহার হওয়া রসুনের কোয়া। রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে
রসুনের রস, যৌনাঙ্গের উপর ০২ থেকে ০৩ ঘন্টা লাগানোর পর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে দিলে, মহিলাদের যৌনির দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহায় পাওয়া যায়।
০৩. অন্তর্বাসের থেকে আসা মহিলাদের গোপনাঙ্গের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
এমনিতেই মহিলারা সারাক্ষন গোপনাঙ্গে টাইট প্যান্টি পড়ে থাকে ফলে গোপনাঙ্গে সেভাবে বাতাস ভেন্ডিলেসন হওয়ার কোনো সুযোগ পায় না। তাই গরমকালে মহিলাদের গোপনাঙ্গের ভাঁজে,ভাঁজে ঘাম জমে প্যান্টিতে ঘাম লেগে প্যান্টি এবং ব্রা এর মধ্যে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।
তাই দিনের বেলা সম্ভব না হলেও অন্তত রাত্রিবেলা শোয়ার সময় ভালোভাবে গোপনাঙ্গ পরিষ্কার করে নেওয়ার পর প্যান্টি ছাড়াই ঢিলে ঢালা, ফিন ফিনে সুতির পোশাক পড়ে ঘুমোলে গোপনাঙ্গে হওয়ার ভেন্ডিলেশন হয় এবং মহিলাদের গোপনাঙ্গের প্যান্টির দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়।

০৪. বাথরুমে স্নানের জলে টি-ট্রি তেলের ব্যবহার করে মহিলাদের যৌনির দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
মহিলারা স্নানের সময় এককাপ জলে কয়েকফোটা টি-ট্রি তেল মিশিয়ে নিয়ে বালতির জলে ঘুলে নিয়ে স্নান করার সময় গোপনাঙ্গ ভালো করে ধুয়ে দিলে, কয়েকদিনের মধ্যেই মহিলাদের গোপনাঙ্গের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়।
০৫. আপেল ভিনিগারের সেবনের মাধ্যমে যৌনি দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
রাত্রিবেলা শোবার আগে এক গ্লাস ঈষদ গরম জলের সঙ্গে ০১ থেকে ০২ টেবিল চামচ আপেল ভিনিগার মিশ্রণ করে, সেই জল পান করলে শরীরের মধ্যে জমে থাকা টক্সিন প্রসাব এবং ঘাম দিয়ে রিমুভ হয়ে যায়।
নিয়মিত আপেল ভিনিগারের সেবনে শরীরে জমে থাকা বজ্র পদার্থের সাথে সাথে বিভিন্ন ধরণের ব্যাক্টেরিয়া শরীর থেকে বার হয়ে গিয়ে শরীরকে তাজা ও প্রাণোবন্তময় করে তোলে এবং এরই সাথে যৌনির দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়।
০৬. আমলকি সেবন করে লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
আমলকি হল এক প্রাকৃতিক রক্ত পরিষেধক ফল। প্রতিদিন ০২ থেকে ০৪ টা আমলকি ফল আমাদের খাবারের তালিকায় রাখলে, আমলকি আমাদের শরীরে থাকা সমস্ত রকমের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার উত্তম প্রতিষেধক হিসাবে কাজ করে।
আমলকিকে অনেকে মুখরোচক আচার হিসাবেও সেবন করে। আপনি আপনার খাবারের তালিকায় নিয়মিত ১০-১৫ দিন আমলকি সেবন করলে আপনার শরীরের দুর্গন্ধের সাথে সাথে লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ ও নির্মূল হয়ে যাবে।

০৭. নিমপাতা দিয়ে ভ্যাজাইনার দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
নিমপাতা হল একটি অতি উত্তম জৈবিক আন্টিবায়োটিক। নিমপাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল ঔষধীয় গুণাবলী আপনার ভ্যাজাইনার দুগন্ধ দূর করার সহায়ক হবে।
স্নান করার আগে একবালতি গরম জলে এক মুঠো নিমপাতা ফেলে দিয়ে কিছুক্ষন গরম জলে নিমপাতা গুলো ফোটানোর পর, নিমপাতা গুলো বালতি থেকে সরিয়ে নিয়ে, নিমপাতা মেশানো গরম জলে স্নান করলে গায়ের ঘামাচি ও দুর্গন্ধ দূর হওয়ার সাথে সাথে ভ্যাজাইনার দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়।
অন্যান্য উপায়ে লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ দূর করার উপায়
- মহিলাদের গোপনাঙ্গের জায়গা গুলো সর্বদা লোম ও কেস মুক্ত রাখা উচিত এবং সময়ের ব্যবধানে নিয়মিতভাবে সেই সমস্ত জায়গার কেস গুলো সেভিং করা উচিত। অনেক সময় গোপনাঙ্গে অত্যাধিক কেস থাকলে সেখানে ঘাম জমে যৌনাঙ্গ ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের স্বীকার হয়।
- যে সমস্ত মহিলাদের শরীরে অত্যন্ত ঘাম হয় সেই সমস্ত মহিলাদের অবশ্যই সারা দিনে ০৬-০৮ গ্লাস জল পান করা উচিত। নিয়মিতভাবে জল পান করলে ঘামের দুর্গন্ধ অনেকটাই কমে যায়।
- এর সাথে সাথে মহিলারা তাদের প্রাইভেট পার্ট গুলোতে এন্টিব্যাক্টেরিয়াল সুগন্ধি পাওডার লাগিয়ে ঘামের সঙ্গে মিশে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং যৌনাঙ্গের দুর্গন্ধের হাত থেকে পরিত্রান পেতে পারেন।
- মহিলারা স্নানের সময় ভালো মানের সুগন্ধি এন্টিব্যাক্টেরিয়াল সাবান কিংবা ভালো মানের বডি ওয়াশ ব্যবহার করে গোপনাঙ্গের দুগন্ধ তাড়াতে পারেন।
- পিরিয়ডের দিনগুলোতে সাধারণ কাপড় কিংবা স্যানিটারি প্যাড ব্যবহার না করে, পিরিয়ডের সময় মেন্সট্রুয়াল কাপ (মাসিক কাপ ) ব্যবহার করুন।
- যে সমস্ত মহিলাদের প্যান্টিতে চুঁইয়ে চুঁইয়ে প্রসাব আসে এবং প্যান্টি ভিজে যায় তাদের অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
- পিরিয়ডের দিনগুলোতে অবশ্যই ফোটানো ঈষদ গরম জলে ডেটল কিংবা সুথল মিশিয়ে যৌনির ভাঁজের চামড়া গুলোতে লেগে থাকা রক্ত ধোয়া উচিত।
- সহবাস করার পর অবশ্যই মহিলাদের প্রাইভেট পার্ট ভালোকরে ধুয়ে নিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নেওয়া উচিত।
পরিশিষ্ট
যদিও লজ্জাস্থানে দুর্গন্ধ হওয়া অতি সাধারণ একটি বিষয়, কম বেশি সকল মহিলাদর গোপনাঙ্গে এরকম দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। তবে বিষয়টাকে কোনো ভাবেই একেবারে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।
আপনার যৌনাঙ্গ যদি একবার ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের স্বীকার হয়ে যায়, তাহলে তা আগে গিয়ে সেটা বড় কোনো যৌন রোগের আকার ধারণ করতে পারে। তাই আমাদের সকলেরই নিজেদের গোপনাঙ্গ গুলির প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত।
আমরা আমাদের আর্টিকেল লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ দূর করার উপায় হিসাবে কতগুলো প্রাকৃতিক ঘরোয়া টোটকা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম এই মাত্র। তবে আপনার যৌনাঙ্গে যদি কোনো ইনফেকশন বা সমস্যার স্বীকার হয়, তবে দেরি না করে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।