মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনদের মধ্যে রমজান কেন পালন করা হয় সেই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকলেও, ভিন্ন ধর্মালম্বী মানুষজনদের মধ্যে রমজান কেন পালন করা হয় সেই বিষয়ে স্পষ্টত কোনো ধারণা নেই।
আমাদের ভারত যেহেতু সর্বধর্মের দেশ তাই আমার মনে হয় একজন ভারতীয় হয়ে আমাদের দেশের ভিন্নধর্মের মানুষজনের ধর্ম ও সংস্কৃতি নিয়ে প্রাথমিক ধারণাটুকু আমাদের সবার মধ্যে থাকা দরকার।
আমাদের দেশ ভারতসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মুসলমান ধর্মালম্বী মানুষেরা মহান আল্লার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করার জন্যে শ্রদ্ধা ভক্তির সাথে প্রতিবছর রমজান মাসে রোজা রেখে উপবাস ব্রত পালন করে।
মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষজনের পরম পবিত্র প্রার্থনা ও পূর্ণ্য অর্জনের মাস, রমজান মাসের সূচনা কবে হয় ? মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষেরা রোজা কেন রাখে ? রমজানের ইতিহাস ? রমজান কেন পালন করা হয় ? রমজান মাসের গুরুত্ব,
রমজান সম্পর্কে হাদিস এই ধরণের রমজান সম্বন্ধিত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর গুলো আমরা আর্টিকেলটিতে আলোচনা করে দেখানোর চেষ্টা করব। রমজান কি ? আপনি যদি জানতে চান তাহলে আপনি রমজান বিষয়ক একদম সঠিক আর্টিকেল পড়ছেন।
রমজান কি- What is Ramjan in Bengali
ইসলামী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ক্যালেন্ডারের নবমতম মাসটি অথাৎ নয় নম্বর মাসটি হল রমজান মাস। মুসলমান ধর্মালম্বী মানুষজনের কাছে রমজান মাসটি হল পরম পবিত্র ইবাদতের একটি মাস।
রমজান শব্দটি এসেছে আরব দেশ থেকে আর আরবের প্রধান ভাষা যেহেতু আরবি সুতরাং রমজান শব্দটি হল একটি আরবি শব্দ। আক্ষরিকভাবে আপনি যদি রমজান শব্দটির বাংলা খুঁজতে চান তাহলে রমজান শব্দটির মানে দাঁড়াবে ঝিলমিল রৌদ্রুর বা শুস্কতা।
ইসলাম ধর্মালম্বী মানুষেরা ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে প্রতি বছর নবম তম মাসটিতে অথাৎ রমজানের মাসে রোজা(fasting) রেখে পরম আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
মুসললমান ধর্মালম্বী মানুষজনের বিশ্বাস রমজান মাসের পবিত্র দিন গুলোতে রোজা রাখলে আল্লাহতালা তার বান্দাদের উপর খুশি হয়ে তাদের মনস্কামনা পূরণ করেন। তাই মুসলমান সমাজের মানুষেরা রমজান মাসের প্রতিটি দিনে রোজা রেখে
ভক্তি ও শ্রদ্ধার সাথে আল্লার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তবে রমজান মাসে পুরোদিন উপবাস রাখা যথেষ্ট কষ্টকর,তাই পীড়িত ও বয়স্ক ব্যক্তিরা,ছোট ছোট বাচ্চারা, গর্ভবতী মহিলারা যারা শারীরিকভাবে অসমর্থ তাদের রোজা রাখা বারণ।
অবশ্যই পড়ুন : হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জীবনী।
রমজান মাসে রোজা যেভাবে রাখা হয়
রমজান মাসে রোজা রাখার সময় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা পুরোদিন অন্নজল গ্রহণ না করেই সারাদিন উপবাস থেকে রোজা পালন করেন। এমনকি যারা পান, বিড়ি, গুটখা, তামাক, খৈনী ইত্যাদি সেবন করেন
তারা এইসমস্ত ব্যাড হ্যাবিট গুলো থেকে রোজার দিনগুলোতে নিজেকে দূরে রাখেন। যিনারা রোজা রাখেন তারা দিনের আলো ফোটার আগেই ভোরবেলা খাবার গ্রহণ করে (সেহেরী) খেয়ে পুরোদিন অন্নজল গ্রহণ না করার সংকল্প নিয়ে রোজা রাখেন।
এরপর পুরোদিন নির্জলা উপবাস রেখে দিনের শেষে সূর্যাস্ত হওয়ার পর ইফতার করে রোজার উপবাস ভঙ্গ করেন। মুসলমান ধর্মে কথিত আছে আল্লাহ তার ফেরেস্তাদের (দূত) খেজুর খেয়ে রোজা ভঙ্গ করার জন্য বলেছিলেন,
তাই মুসলমান ধর্মের ভাইবোনেরা রমজান মাসে সন্ধেবেলা খেজুর খেয়ে ইফতার সেরে রোজার উপবাস ভঙ্গ করেন। আর সেই থেকে আজও আমাদের মুসলমান ধর্মালম্বী ভাইবোনেরা পুরোনো রীতি মেনেই ইফতারের সময় খেজুর খেয়ে রোজার উপবাস ভঙ্গ করে আসছেন।

তাছাড়া বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে গেলে খেজুর সেবন করা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যে অনেক উপকারী। খেজুর আমাদের পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর করার সাথে সাথে লিভারের দুর্বলতা দূর করে লিভারকে মজবুত করতে সাহায্য করে।
পুরো একমাস রোজার উপবাস রাখার পর রমজানের সমাপ্তি হয় ঈদ-উল-ফিতর উৎসবের মধ্যে দিয়ে। ঈদ-উল-ফিতরকে সংক্ষেপে ঈদ বলা হয়। ঈদের এই বিশেষ দিন মুসলমান ধর্মালম্বী মানুষজনের কাছে খুবই আনন্দের একটা দিন।
ঈদের দিন পরিবারের সকলে নতুন জামাকাপড় পড়ে ভাই বন্ধু পাড়া প্রতিবেশীরা একত্রিত হয়ে সবাইমিলে ঈদগাহ ময়দানে কিংবা মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজ পড়ে।
ঈদের নামাজ শেষ হওয়ার পর চলে কোলাকুলি ও ভাই বন্ধু বান্ধবদের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময়। এরপর বাড়ি ফিরে এসে বড়োদের সালাম বিনিময় ক্ষীর সিমুই খেয়ে মিষ্টি মুখ করার পর্ব।
রমজান মাসের গুরুত্ব
মুসলিম ধর্মের প্রতিটি মানুষের কাছে রমজান মাস হল একটি বিশেষ পবিত্র মাস। পবিত্র এই রমজান মাসটিতে মুসলিম সমাজের মানুষেরা রোজা রেখে আল্লার কাছে নিজেকে আত্মসমর্পন করে।
তবে মুসলিম সমাজের মানুষেরা বিশ্বাস করেন যে রমজান মাসে রোজা রেখে আল্লার কাছে প্রার্থনা করলে আল্লা তার বান্দাদের নিরাশ করেনা, আল্লা তার বান্দাদের কৃতকর্মের পাপ মাফ করে দিয়ে তার বান্দাদের হেদায়ত দান করেন।
আর সেই জন্যই প্রতিটি মুসলমান ভাইবোনেদের কাছে বছরের আর অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজানের মাসের গুরত্ব কিন্ত অনেক বেশি। মুসলিম ধর্মের মানুষের মধ্যে মান্যতা আছে রমজান মাসে আল্লা তার বান্দাদের জন্য জান্নাতের দ্বার উন্মুক্ত করে দেন।
তাই আল্লার প্রতি আস্থাবান প্রতিটি মানুষ রমজানের দিনগুলোতে রোজা রেখে উপবাস পালন করেন এবং রমজান শেষে সবাই মিলে খুশির ঈদ উৎসব ঈদ-উল-ফিতর পালন করেন।
রমজান কেন পালন করা হয়
ইসলাম ধর্মানুসারে রমজানের প্রকৃত অর্থ হল আত্মসংযম করা অথাৎ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা। তাই রমজানের মাস হল নিজেকে সংযম করার দান,ধ্যান করে পূণ্য অর্জন করার মাস। সেইজন্য রমজান মাসে মুসলিম ধর্মালম্বী মানুষেরা
গরিব দুঃখী ভাইবোনদের নিজের শ্রাদ্ধমত দান ধ্যান করে পূর্ণ্য অর্জনের চেষ্টা করেন। একমাত্র রোজার দিনগুলোতে নিজেরা উপবাস থেকে গরিব মানুষের অভুক্ততা ও দুর্দশার কি কষ্ট সেটা অনুভব করা যায়।
রমজান মাসে রোজার দিনে শুধু নিজেকে অভুক্ত রাখার অর্থ, নিজেকে সংযম করা নয়। রোজার দিনে সংযমের অর্থ হল রোজা রাখা ব্যক্তির চোখ, নাক, কান, মুখ ইত্যাদি ইন্দ্রীয় গুলোকে সংযম করা।

রোজার দিনে নিজেদের ইন্দ্রিয় গুলোকে নিজের নিয়ন্ত্রণাধীন করা যেমন- কান দিয়ে খারাপ শোনা উচিত নয়, চোখ দিয়ে খারাপ কিছু দেখা উচিত নয়, মন থেকে খারাপ কিছু চিন্তা করা উচিত নয়, মুখ দিয়ে মিথ্যা ও কটু কথা বলা উচিত নয়।
এইভাবে রোজা রাখার মধ্যে দিয়ে নিজেদের ইন্দ্রিয় গুলোকে সংযম করে রমজান আমাদের অসত্যের পথ ছেড়ে দিয়ে সত্যের পথে পরিচালিত হতে শেখায়।
রোজার উপবাস ব্রত যেমন আমাদের শরীরকে জ্বালিয়ে তপ্ত করে নির্যাস বার করে আনে, ঠিক সেরকম এককভাবে রোজা মানুষের মনকে পবিত্র করে, মনের কালিমা ঘুচিয়ে দিয়ে আমাদের মনকে নির্মল করে তোলে।
রমজানের ইতিহাস- The History of Ramjan
ইসলাম ধর্মানুসারে রমজান মাসে রোজা রাখার ইতিহাস বহু পুরোনো। ইসলাম ধর্মের প্রবক্তা হজরত মহম্মদ আনুমানিক ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে পূর্বাব্দে সৌদি আরবের মক্কা শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
পরে হজরত মহম্মদ সাহেব ৬১০ খ্রিস্টাব্দ পূর্বাব্দে পাহাড়ের গুহায় আল্লা প্রদত্ত কুরান শরীফের জ্ঞানের আলো লাভ করেন। ইসলাম ধর্মানুসারে হজরত মহম্মদের কুরানের দৈববাণী লাভ করার মাসটিকে
রমজান মাস হিসাবে পালন করা হয়। এছাড়াও এও মনে করা হয় রমজান মাসেই মহান আল্লা হজরত মহম্মদকে নিজের সবথেকে প্রিয় দূত হিসাবে নির্বাচিত করেন।
সেই জন্যই মুসলিম ধর্মালম্বী প্রতিটি মানুষের কাছে রমজান মাসে রোজা রাখার গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই মুসলমান ধর্মের প্রতিটি মানুষের জন্যে রোজা রাখা ব্যাবত্যমূলক।
রমজান মাস সম্পর্কে হাদিস- Ramjan Somporke Hadish
রমজান নিয়ে এমনিতেই মানুষের মধ্যে নানান ধরণের ভুল ভ্রান্তি ধারণা আছে। তবে রমজান মাস সম্পর্কে হাদিসে যা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ রূপে ভিন্ন।
আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন রমজান মাসে প্রতিটি মুসলমান ব্যক্তিকে রোজা রাখা বাধ্যতামূলক, এমনটা কিন্ত মোটেই নয়। রমজান মাস সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে- যদি কোন ব্যক্তি শারীরিকভাবে অসুস্থ, কিংবা কোন মহিলা যদি গর্ভবতী হয়
কিংবা ব্যক্তির আরো অন্যান্য কোনো সমস্যা থাকে তাহলে কিন্তু সেক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে রোজা রাখতে হবে এমন কোনো প্রাবধানের কথা কুরানে বলা নেই। রোজা রাখা না রাখা ব্যক্তির ব্যক্তিগত ইচ্ছের মধ্যে পড়ে তাই জোর করে কাউকে রোজা আমল করানো যায় না।
কোনো ব্যক্তি তার শারীরিক অবস্থা ও স্থিতি অনুযায়ী রোজা রাখবে কি না রাখবে সেটা সে নিজেই নির্ধারণ করবে। তবে ইসলাম ধর্মানুসারে প্রতিটি মুসলমান মানুষকে রমজান মাসে রোজা আমল করা উচিত।

সমাজের কিছু মানুষের ধারণা আছে রোজা রাখা ব্যক্তির সামনে ভোজনের থালা রাখা বা কিংবা রোজা রাখা ব্যক্তির সামনে কোনো মানুষের ভোজন করা উচিত নয়।
কিন্তু এই সমস্ত ভিত্তিহীন ধারণার কোনো অস্তিত্ব নেই। আসলে রমজান মানুষকে আত্মসংযম শেখায়, তাই একজন রোজা রাখা ব্যক্তির রোজা করার নিয়ত যদি থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তিকে ভালো সুস্বাদু খাবারের প্রলোভন দেখিয়েও রোজা ভঙ্গ করা সম্ভব নয়।
এছাড়াও রোজা রাখা কোনো ব্যক্তি যদি ভুল বসত নিজের অজান্তেই খেয়াল না করে কোন খাদ্য দ্রব্য খেয়ে ফেলে সেক্ষেত্রে কিন্ত রোজা ভঙ্গ হয়না। কারণ ব্যক্তি জেনে বুঝে রোজা ভঙ্গ করেনি যা হয়েছে সেটা ভুলবশত মনের অজান্তে।
রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৩
আপনারা যারা রমজান মাসে রোজা রাখতে চান তাদের কাছে রমজান মাসের ক্যালেন্ডার কতখানি গুরুত্বপূর্ণ তা তিনিই সবথেকে ভালোভাবে জানেন। আমরা এখানে রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৩ এর সেহেরী ও ইফতারের সময়সূচী উল্লেখ করে দিলাম।
দিন | রমজান | বাংলা | ইংরেজি | সেহেরী শেষ | ইফতার আরম্ভ |
বৃহস্পতি বার | ০১ | ০৮ ই চৈত্র | ২৩ শে মার্চ | ০৪:২৩ মিনিট | ১৭:৪৯ মিনিট |
শুক্র বার | ০২ | ০৯ ই চৈত্র | ২৪ শে মার্চ | ০৪:২২ মিনিট | ১৭:৫০ মিনিট |
শনি বার | ০৩ | ১০ ই চৈত্র | ২৫ শে মার্চ | ০৪:২১ মিনিট | ১৭:৫০ মিনিট |
রবি বার | ০৪ | ১১ ই চৈত্র | ২৬ শে মার্চ | ০৪:২০ মিনিট | ১৭:৫০ মিনিট |
সোম বার | ০৫ | ১২ ই চৈত্র | ২৭ শে মার্চ | ০৪:১৯ মিনিট | ১৭:৫১ মিনিট |
মঙ্গল বার | ০৬ | ১৩ ই চৈত্র | ২৮ শে মার্চ | ০৪:১৮ মিনিট | ১৭:৫১ মিনিট |
বুধ বার | ০৭ | ১৪ ই চৈত্র | ২৯ শে মার্চ | ০৪:১৭ মিনিট | ১৭:৫১ মিনিট |
বৃহস্পতি বার | ০৮ | ১৫ ই চৈত্র | ৩০ শে মার্চ | ০৪:১৫ মিনিট | ১৭:৫২ মিনিট |
শুক্র বার | ০৯ | ১৬ ই চৈত্র | ৩১ শে মার্চ | ০৪:১৪ মিনিট | ১৭:৫২ মিনিট |
শনি বার | ১০ | ১৭ ই চৈত্র | ০১ এপ্রিল | ০৪:১৩ মিনিট | ১৭:৫২ মিনিট |
রবি বার | ১১ | ১৮ ই চৈত্র | ০২ এপ্রিল | ০৪:১২ মিনিট | ১৭:৫৩ মিনিট |
সোম বার | ১২ | ১৯ শে চৈত্র | ০৩ এপ্রিল | ০৪:১১ মিনিট | ১৭:৫৩ মিনিট |
মঙ্গল বার | ১৩ | ২০ শে চৈত্র | ০৪ এপ্রিল | ০৪:১০ মিনিট | ১৭:৫৩ মিনিট |
বুধ বার | ১৪ | ২১ শে চৈত্র | ০৫ এপ্রিল | ০৪:০৯ মিনিট | ১৭:৫৪ মিনিট |
বৃহস্পতি বার | ১৫ | ২২ শে চৈত্র | ০৬ এপ্রিল | ০৪:০৮ মিনিট | ১৭:৫৪ মিনিট |
শুক্র বার | ১৬ | ২৩ শে চৈত্র | ০৭ এপ্রিল | ০৪:০৭ মিনিট | ১৭:৫৫ মিনিট |
শনি বার | ১৭ | ২৪ শে চৈত্র | ০৮ এপ্রিল | ০৪:০৬ মিনিট | ১৭:৫৫ মিনিট |
রবি বার | ১৮ | ২৫ শে চৈত্র | ০৯ এপ্রিল | ০৪:০৫ মিনিট | ১৭:৫৫ মিনিট |
সোম বার | ১৯ | ২৬ শে চৈত্র | ১০ এপ্রিল | ০৪:০৪ মিনিট | ১৭:৫৬ মিনিট |
মঙ্গল বার | ২০ | ২৭ শে চৈত্র | ১১ এপ্রিল | ০৪:০৩ মিনিট | ১৭:৫৬ মিনিট |
বুধ বার | ২১ | ২৮ শে চৈত্র | ১২ এপ্রিল | ০৪:০২ মিনিট | ১৭:৫৬ মিনিট |
বৃহস্পতি বার | ২২ | ২৯ শে চৈত্র | ১৩ এপ্রিল | ০৪:০১ মিনিট | ১৭:৫৭ মিনিট |
শুক্র বার | ২৩ | ৩০ শে চৈত্র | ১৪ এপ্রিল | ০৪:০০ মিনিট | ১৭:৫৭ মিনিট |
শনি বার | ২৪ | ০১ বৈশাখ | ১৫ এপ্রিল | ০৩:৫৯ মিনিট | ১৭:৫৮ মিনিট |
রবি বার | ২৫ | ০২ বৈশাখ | ১৬ এপ্রিল | ০৩:৫৮ মিনিট | ১৭:৫৮ মিনিট |
সোম বার | ২৬ | ০৩ বৈশাখ | ১৭ এপ্রিল | ০৩:৫৭ মিনিট | ১৭:৫৮ মিনিট |
মঙ্গল বার | ২৭ | ০৪ বৈশাখ | ১৮ এপ্রিল | ০৩:৫৬ মিনিট | ১৭:৫৯ মিনিট |
বুধ বার | ২৮ | ০৫ বৈশাখ | ১৯ এপ্রিল | ০৩:৫৫ মিনিট | ১৭:৫৯ মিনিট |
বৃহস্পতি বার | ২৯ | ০৬ বৈশাখ | ২০ এপ্রিল | ০৩:৫৪ মিনিট | ১৭:৫৯ মিনিট |
শুক্র বার | ৩০ | ০৭ বৈশাখ | ২১ এপ্রিল | ০৩:৫৩ মিনিট | ১৮:০০ মিনিট |
নোট : বাংলাদেশী ভাইবোনেরা যারা রমজান মাসে রোজা রাখতে চান তাদের জন্যে উপরে উল্লেখিত রমজান মাসের ক্যালেন্ডার ২০২৩ এর টাইমটেবিল অনুযায়ী সেহেরী ও ইফতারের সময় ৩০ মিনিট আগে শুরু হবে।
FAQ
প্রশ্ন : রমজান মাসে সহবাস করা যাবে কি ?
উঃ- রমজান মাসে রোজা রাখা অবস্থায় কোনো মতেই সহবাস করা যাবেনা। তবে আপনি ইফতার ও সেহেরীর মাঝখানে সহবাস করতে পারেন তার জন্যে আপনাকে সহবাস করার পরেই স্নান করতে হবে।
প্রশ্ন : রমজান শব্দের অর্থ কি ?
উঃ- রমজান শব্দটি একটি আরবি শব্দ। যার অর্থ হল শুস্কতা। তবে অভ্যন্তরীণ ভাবে রমজানের অর্থ হয় আত্মত্যাগ বা নিজেকে সংযম করা।
প্রশ্ন : রোজা শব্দের বাংলা অর্থ কি ?
উঃ- রোজা শব্দের বাংলা আক্ষরিক অর্থ হল রমজান মাসে মুসলমান ধর্মালম্বী মানুষদের সূর্যের উদয়াস্ত উপবাস।
পরিশিষ্ট
আশাকরি আপনারা রমজান কেন পালন করা হয় আর্টিকেলটির মধ্যে দিয়ে রমজান কি? রমজান শব্দের অর্থ কি? রমজান মাস সম্পর্কে হাদিস ও মুসলমান ধর্মের মানুষের কাছে রমজান মাসের গুরত্ব সম্পর্কে অবগত করাতে পেরেছি।
আমরা এর পূর্বেও ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের উৎসব নিয়ে বিভিন্ন ধরণের পোস্ট আপনাদের সামনে আপডেট করেছি। আমরা সবসময় চেষ্টা করি আমাদের সাইটে সমস্ত ধর্মের উৎসব গুলির গুরত্ব ও তাৎপর্য আপনাদের সামনে তুলে ধরতে।
যাতে করে আপনাদের ধর্মীয় বিষয় গুলোকে বোঝার জন্যে আরও অন্যান্য সাইটে ধর্মীয় উৎসব সমন্ধিত লেখা খোঁজার কষ্ট করতে না হয়। তবুও রমজান কেন পালন করা হয় কিংবা রমজান বিষয়ক আরো কোনো ধরণের
প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের মতামত আমাদের কমেন্ট করে জানান। আর যদি আমাদের পোস্ট আপনাদের ভালোলাগে তাহলে অবশ্যই আপনাদের Social Network যেমন Facebook, Twitter, ইত্যাদি মাধ্যম গুলোতে আমাদের আর্টিকেটি বেশি বেশি করে শেয়ার করুন।