রতন টাটার জীবনী (Ratan Tata,wiki,bio,networth, Jiboni Bangla)

আজকে আমরা টাটা কোম্পানির কর্ণধার রতন টাটার জীবনীতে (Ratan Tata jiboni Bangla) রতন টাটার জীবন কাহিনী ,রতন টাটার পরিবার, টাটা কোম্পানির ইতিহাস সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করব।

টাটা গ্ৰুপের ভূতপূর্ব চেয়ারম্যান শ্রী রতন টাটা একজন নিষ্ঠাবান ভারতীয় উদ্যোগপতি হওয়ার সাথে সাথে তিনি একজন অতি বিনম্র পরোপকারী ব্যক্তিত্ববান মানুষ।

শ্রী রতন টাটা স্যার ১৯৯০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত টাটা গ্ৰুপের (TATA Group) চেয়ারম্যান পদের পদভার সামলানোর পর, তিনি চেয়ারম্যান পদভার থেকে অবসর নেন। আজকে শ্রী রতন টাটা নতুন প্রজন্মের কাছে একজন প্রেরণা স্বরূপ।

শ্রী রতন টাটা মহাশয় আজ শুধু ভারতবাসীর কাছে সমাদৃত নন,TATA Group মানেই শ্রী রতন টাটা, বিশ্ববাসীর সেটা আর জানতে বাকি নেই।

একসময় টাটা স্টিল,টাটা মোটরস,টাটা পাওয়ার,টাটা কেমিক্যালস, ইত্যাদি টাটা গ্ৰুপের বিভিন্ন বিভাগের সমস্ত পদের পদভার সামলেছেন শ্রী রতন টাটা।

রতন টাটা হলেন একজন ঠান্ডা মেজাজের দূরদর্শি সম্পন্ন মানুষ, তিনি তার দূরদর্শিতা এবং কায়িক পরিশ্রম দ্বারা লসে রান করা TATA Group কে সর্বপ্রথম লাভের মুখ দেখান।

রতন টাটা একজন নিরীহ শান্ত প্রকৃতির মানুষ, ইনি এতবড় একজন ধনবান মানুষ হওয়া সত্ত্বেও তিনি সর্বদা ক্যামেরা মিডিয়া থেকে নিজেকে দূরে রেখে একজন সাধারণ মানুষের মত জীবন যাপন করেন।

রতন টাটা আজও একজন সাধারণ মানুষের মত মুম্বাইয়ের একটি ফ্লাট বাড়িতে তার পোষ্য কুকুরের সাথে ব্যাচেলর জীবন যাপন করছেন। আজকে আমরা এই মহামানব রতন টাটার জীবনী নিয়ে আলোচনা করব।

Table of Contents

রতন টাটার জীবনী (Ratan Tata wiki,bio Bangla)

একনজরে রতন টাটার জীবনী (Ratan Tata jiboni,wiki,bio,bangla) সংক্ষিপ্ত Biodata.

নাম রতন টাটা (Ratan Tata)
রতন টাটার পুরো নাম রতন নাভাল টাটা (Ratan Naval TATA)
জন্ম তারিখ ২৮ শে ডিসেম্বর ১৯৩৭
বয়স ৮৫ বছর
জন্ম স্থান সুরাট, গুজরাত (ভারত)
শিক্ষা আর্কিটেকচার ও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং,এ্যাডভান্সড ম্যানেজমেন্ট।
রাশি তুলা
বাসস্থান মুম্বাই
নাগরিকতা ভারতীয়
ধর্ম পার্সি
পেশা TATA Group এর ভূতপূর্ব চেয়ারম্যান।
পুরুস্কার পদ্মভূষণ, পদ্ম বিভূষণ
বৈবাহিক স্থিতি অবিবাহিত
রতন টাটার জীবনী (Ratan Tatar jiboni bangla)

রতন টাটার পরিবার এবং প্রাম্ভরিক জীবন (Ratan Tata Family and Earley life)

টাটা গ্ৰুপের অন্যতম সম্মানীয় ব্যক্তিত্ববান মানুষদের সূচীতে রতন টাটা হল এক অনবদ্য নাম। শ্রী রতন টাটা ভারতের মুম্বাই শহরে ১৯৩৭ সালের ২৮ শে ডিসেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন।

রতন টাটার পুরো নাম শ্রী রতন নাভাল টাটা (Ratan Naval Tata),রতন টাটার বাবার নাম নাভাল টাটা এবং মাতা হলেন শ্রীমতী সোনু টাটা।

রতন টাটা মহাশয় খুব বেশিদিন তার বাবা ও মায়ের ছত্রছায়া পাননি, ১৯৪৮ সালে রতন টাটার মা ও বাবার ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর,রতন টাটার বাবা নাভাল টাটা দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

কিছুদিন পর রতন টাটার বাবার দ্বিতীয় সন্তান হয়, রতন টাটার সৎ ভাইয়ের নাম নোয়েল টাটা। বাবা মায়ের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর রতন টাটা তার ঠাকুমা নবাজ বাঈ টাটার কাছেই বড় হয়।

রতন টাটা তার ঠাকুমার কাছে খুব আদরের ছিলেন। রতন টাটার ঠাকুমা নবাজ বাঈ টাটা একজন অত্যন্ত মহিয়সী মহিলা ছিলেন, তিনি রতন টাটাকে খুব অনুশাষনের মধ্যে দিয়ে বড় করেন।

রতন টাটার শিক্ষা জীবন (Ratan Tata Education Qulafication)

  • শ্রী রতন টাটা তার প্রারম্ভিক শিক্ষা, অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পঠন পাঠন মুম্বাইয়ের চ্যাম্পিয়ন স্কুল থেকে সম্পন্ন করেন।
  • এছাড়াও তিনি মুম্বইয়ের ক্যাথিড্রাল এন্ড জন ক্যানন স্কুল এবং শিমলার বিশপ কটন স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনা শেষ করেন। এরপর তিনি বিদেশ চলে যান সেখানে ১৯৫৫ সালে নিউ ইয়ার্কের Riverdale Country School থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন।
  • ১৯৫৯ সালে রতন টাটা নিউ ইয়র্কের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্কিটেকচার ও স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর ১৯৭৫ সালে হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুল থেকে এডভান্স ম্যানেজমেন্টের উপর ডিপ্লোমা করেন।

রতন টাটার কর্ম জীবন (Ratan Tata Carrier)

১৯৫৫ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত,দীর্ঘ্য সময় ধরে আমেরিকায় থাকার ফলে আমেরিকার জীবন যাপন প্রণালী রতন টাটার মনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলে। রতন টাটা ঠিক করেন বাকী জীবন তিনি আমেরিকার লস এঞ্জেলসেই থেকে যাবেন।

কর্মজীবনের শুরুটাও তিনি আমেরিকাতেই শুরু করেন। লেখাপড়া শেষ করার পর রতন টাটা আমেরিকার জোনস এন্ড ইমনস নামে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে চাকুরী গ্রহণ করেন।

কিন্তু মাঝখানে তার ঠাকুমা নবাজ বাঈ টাটার শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে বিদেশ ছেড়ে দেশের মাটিতে ফিরে আসতে হয়। ভারতে এসে রতন টাটা IBM কোম্পানির চাকুরী গ্রহণ করেন।

কিন্ত রতনের IBM এর চাকুরীতে JRD টাটা সন্তস্ট ছিলেন না, তিনি রতনকে IBM এর চাকুরী ছেড়ে TATA Group এ চাকুরী গ্রহণ করার জন্য বলেন।

এরপর রতন টাটা ১৯৬২ সালে প্রথমবার TATA Group এর চাকুরীতে যোগদিয়ে টাটা গ্ৰুপের মাধ্যমেই ভারতে তার কর্মজীবন শুরু করেন। রতন টাটার সত্যনিষ্ঠা ও কর্মপ্রচেষ্টা দেখে TATA Group এর পক্ষ থেকে

রতন টাটাকে ১৯৭১ সালে ন্যাশনাল রেডিও এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানি লিমিটেড এর ডাইরেক্টর পদের দায়িত্বভার দেওয়া হয়। ১৯৯১ সালে TATA Group এর চেয়ারম্যান JRD টাটা অবসর গ্রহণ করলে,

শ্রী রতন টাটাকে TATA Group এর চেয়ারম্যান পদের দায়িত্বভার দেওয়া হয়। TATA Group এর দায়িত্বভার রতন টাটার কাঁধে আসতেই রতন টাটা, টাটা মোটরস এর পক্ষ থেকে টাটা ইন্ডিকা এবং টাটা ন্যানো গাড়ি লঞ্চ করেন।

২০১২ সালে শ্রী রতন টাটা তার ৭৫ তম জন্মদিনে আনুষ্ঠানিকভাবে TATA Group এর চেয়ারম্যানের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালে TATA Group এ যোগদানের পর

রতন টাটা TATA Group এর বাৎসরিক টার্ন ওভার ০৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ২০১৬ পর্যন্ত ১০৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে দেয়। রতন টাটার কার্যকালে TATA Group এর মুনাফা ৫০ গুন বৃদ্ধি পায়।

রতন টাটার জীবন সংগ্রাম ও সফলতার কাহিনী

টাটা গ্ৰুপ ১৯৭১ সালে রতন টাটাকে যখন রেডিও এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানির ডাইরেক্টর পদে নিয়োগ করে, তখন রেডিও এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পনির মার্কেট ভ্যালু মাত্র ০২ % ছিল।

কিন্তু রতন টাটা তার অক্লান্ত পরিশ্রম এবং দূরদর্শিতায় খুব অল্পদিনের মধ্যে কোম্পানির মার্কেট ভ্যালু ০২% থেকে বাড়িয়ে ২০ % এ নিয়ে এসে কোম্পনীর বাৎসরিক লভ্যাংশের পরিমান ৪০ % বাড়িয়ে দেয়।

রতন টাটা তার ব্যবসায়িক জীবনে সর্বদা লাভের মুখ দেখেছেন এমন কিন্তু নয়, তাকে জীবনে অনেক কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলাও করতে হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রা গান্ধীর আমলে সারা দেশ জুড়ে ইমার্জেন্সি ঘোষণা করা হলে, টাটা গ্ৰুপের আরো একটি অন্যতম কোম্পানি ন্যালকোকে বড় রকমের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

দেশজুড়ে ইমার্জেন্সি কারফিউ জারীর ফলে কোম্পনির শ্রমিক ইউনিয়ন হরতালে বসে যায়,যার ফলে শেষমেষ টাটা গ্ৰুপের অন্যতম কোম্পানি ন্যালকো বন্ধ হয়ে যায়।

তারপর টাটা গ্ৰুপের পক্ষ থেকে রতন টাটাকে লসে রান করা কাপড়ের মিলের (Empress Mills) দায়িত্বভার দেওয়া হয়। রতন টাটা লসে রান করা কাপড়ের মিল গুলোকে

লাভের মুখ দেখানোর জন্য নানাবিধ প্রয়াস করেন কিন্ত এবারেও তার চেষ্টা বৃথা যায়। সেইসময় কাপড়ের মিল গুলোর ইফস্টাকচার শুধরানোর জন্য ৫০ লক্ষ টাকার দরকার ছিল,

কিন্তু সময় মত ৫০ লক্ষ টাকার ফান্ডিং জোগাড় না হয়ে ওঠায় দুর্ভাগ্য বশত টাটা গ্ৰুপের কাপড়ের মিল গুলো বন্ধ হয়ে যায়। রতন টাটা এর জন্য ব্যক্তিগতভাবে খুবই দুঃখ প্রকাশ করেন।

এতসব বিষম পরিস্থিতির মধ্যেও টাটা গ্রুপের তৎকালীন চেয়ারম্যান JRD টাটা, রতন টাটার মধ্যেই ভবিষ্যতের টাটা গ্ৰুপের উত্তরসূরির বীজ দেখতে পান।

রতন টাটার দূরদর্শিতা দেখে JRD টাটা, টাটা গ্রুপের নতুন চেয়ারম্যান হিসাবে রতন টাটাকে ১৯৯১ সালে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান পদের দায়িত্বভার দিয়ে যান।

টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যানের পদের পদভার নেওয়ার পরই রতন টাটা, টাটা ইন্ডাস্ট্রিজ এর পক্ষ থেকে টাটা কন্সাল্ট্যাননসি সার্ভিস এর শেয়ার, নিউ ইয়র্কের স্টক মার্কেটে এক্সচেঞ্জ লিস্ট করে।

১৯৯৮ সালে টাটা গ্রুপ ভারতীয় প্যাসেঞ্জার গাড়ির মার্কেটে টাটা মোটরসের পক্ষ থেকে টাটা ইন্ডিকা প্যাসেঞ্জার গাড়ি লঞ্চ করে, সর্বপ্রথম ভারতীয় প্যাসেঞ্জার গাড়ি নির্মাণকারী সংস্থা হিসাবে পরিচিতি লাভ করে।

রতন টাটার নের্তৃত্বে টাটা গ্রুপ খুব শীঘ্রই সফলতার শীর্ষে পৌঁছে যায়। ২০০০ সালে লন্ডনে টাটা গ্রুপ তেতলী টি কোম্পানি ,২০০৪ সালে টাটা গ্রুপ দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি দেবু মোটরস এর ট্রাক নির্মাতা কোম্পানি,

এবং ২০০৭ সালে স্টিল নির্মাতা কোম্পানি এংলো-ডাচ কিনে নেয়। এইভাবে রতন টাটার কোম্পানি টাটা স্টিল খুব অল্পদিনেই বিশ্বের পঞ্চম লোহা ইস্পাত উৎপাদনকারী কোম্পনির সূচিতে নিজের জায়গা করে নেয়।

রতন টাটার জীবনী

রতন টাটার স্বপ্নের উড়ান টাটা ন্যানো

রতন টাটার স্বপ্ন ছিল ভারতীয় মার্কেটে স্বদেশী এবং সবথেকে সস্তা গাড়ি জনসাধারণের নিয়ে আসা। রতন টাটা তাই ভারতের মানুষ যাতে অনেক কম পয়সায় যাতে গাড়ি চড়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে,

সেইজন্য স্বল্প মূল্যে প্রথমবার ভারতীয় কার মার্কেটে টাটা ন্যানো কার নিয়ে আসেন। ২০০৮ সালে নতুন দিল্লীর অটো এক্সপোতে টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে বাইকের দামে সবথেকে সস্তা শুধুমাত্র ০১ লক্ষ টাকায় টাটা ন্যানো কার লঞ্চ করা হয়।

কিন্তু ভারতের মূখ্য মানুষ টাটা ন্যানোর মূল্যায়ন সঠিকভাবে করতে পারেননি। টাটা ন্যানো গাড়ির দাম অনেক কম হওয়ার জন্যে,মানুষ ন্যানো গাড়িকে শুধু মাত্র খেলনা বলেই মনে করে।

মানুষ এটা বুঝতে ভুল করে শুধুমাত্র ০১ লক্ষ টাকায় একটি বাইকের দামে একটা আস্ত গাড়ি টাটা ন্যানো, একটি বাইকের তুলনায় অনেক বেশি সাশ্রয়ী এবং আরামপ্রদ সেটা মূখ্য মানুষের মাথায় গজায় নি।

টাটা গ্রুপ থেকে রতন নাভাল টাটার অবসর গ্রহণ

টাটা গ্রুপের মধ্যে রতন টাটা তার জীবনের সুদীর্ঘ্য ২২ বছর অতিবাহিত করেছেন। রতন টাটার নেতৃত্বেই টাটা গ্রুপের শেয়ার ০২% থেকে ৪০ % এবং মুনাফা ৫০ % বেড়ে যায়।

২০১২ সালে রতন টাটা তার ৭৫ বছর বয়সে তার জন্মদিনে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান পদের পদভার থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর তার জায়গায় টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান পদে সাইরাস মিস্ত্রিকে আসীন করা হয়।

কিন্তু ২০১৬ সালে কোনো একটি সমস্যার কারণে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান পদের পদভার থেকে সাইরাস মিস্ত্রিকে বরখাস্ত করা হলে, আরো একবার টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান পদের দায়িত্বভার রতন টাটার কাঁধে দেওয়া হয়।

২০১৬ থেকে ২০১৭ একবছর টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান পদের দায়িত্বভার সামলানোর পর তিনি টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান পদের দায়িত্বভার নটরাজন চন্দ্রশেখরন এর কাঁধে দিয়ে দেন।

রতন টাটার গল্প (Ratan Tata life history)

রতন টাটার জীবনের অনেক গল্প কাহিনী আপনারা হয়ত শুনে থাকবেন, আমরা তার মধ্যে দু-একটা দৃষ্টান্ত মূলক রতন টাটার গল্প আপনাদের কাছে শেয়ার করব যে গল্প গুলো শুনে, আমার মত আপনারও রতন টাটা স্যারের প্রতি শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসবে –

টাটার জীবনী
রতন টাটার জীবনী

ফোর্ড কোম্পানির অপমানে রতন টাটার জবাব

নব্বইয়ের দশকে ভারতীয় কার মার্কেটে টাটা মোটরস টাটা ইন্ডিকা গাড়ি কার মার্কেটে নিয়ে আসেন। কার বাজারে নতুন হওয়ায় টাটা মোটরসের অনেক খামতি ছিল।

যার ফলে মার্কেটে কম্পিটিশনে টাটা মোটরসের ইন্ডিকা গাড়ি ক্রেতাদের মনে ঠিক জায়গা করে উঠতে পারছিলনা। টাটা মোটরস নিজেদের খামতি গুলো পূরণ করার জন্য

বিশ্বের অন্যতম কার নির্মাতা কোম্পনি ফোর্ড মোটরসের কাছে রতন টাটা সাহায্য চায়। কিন্তু তাতে ফোর্ড কোম্পনির চেয়ারম্যান বিল ফোর্ড, রতন টাটাকে সাহায্য করা তো দূরের কথা,

রতন টাটাকে অনেক ভালো মন্দ কথা বলে অপমান করেন। টাটাকে একটি অত্যন্ত নগন্য রুগ্ন দশা সম্পন্ন কার নির্মাতা কোম্পনি বলে বিল ফোর্ড রতন টাটাকে ফিরিয়ে দেয়।

রতন টাটা সেই সময় ফোর্ড কোম্পানির সিইও কে অপমানের জবাব না দিয়েই ফিরে আসেন। এরপর টাটা গ্রুপ তার যাবতীয় ধ্যান জ্ঞান টাটা মোটরসের উপর নিবেশ করেন।

ধীরে ধীরে টাটা মোটরস তার ছোট গাড়ির ইউনিট গুলোকে সাজাতে শুরু করেন এবং টাটা তার নিজের বাহু বলে বিশ্বের অন্যতম মজবুত এবং সুরক্ষিত প্যাসেঞ্জার গাড়ি নির্মাণে সাফল্য অর্জন করেন।

এরপর ২০০৮ সালে ফোর্ড মোটরস দেওলিয়া অবস্থায় পৌঁছে গেলে, ফোর্ড কোম্পনি রতন টাটার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন এবং রতন টাটা ফোর্ড কোম্পনির অন্যতম সফল ব্রাঞ্চ

জাগুয়ার এবং ল্যান্ডরোভারের মালিকানা স্বত্ব ০২.৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে কিনে নেয়। পরে রতন টাটার হাতের পরশ লাগতেই ল্যান্ডরোভার এবং জাগুয়ার গাড়ি পুরো বিশ্বে অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হিসাবে প্রসিদ্ধি পায়।

২৬/১১ তাজ হোটেলে হামলায় রতন টাটার সাহায্য প্রদান

২০০৮ সালে ২৬/১১ টাটা গ্রুপের মুম্বইয়ের তাজ হোটেলে আতঙ্কবাদী হামলা হয়। সেই হামলায় বহু মানুষের প্রাণ যায়, বহু মানুষ তাদের কাছের আত্মীয় স্বজনদের হারায়।

হোটেলের অনেক কর্মচারী ছিলেন যারা আহত হয়,রতন টাটা সেই সমস্ত হোটেলের স্টাফদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান তাদের আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর নেন।

এছাড়াও তাজ হোটেলের আসে পাশের যে সমস্ত ফুটপাতের ঠেলা গাড়ি,ফুটপাতের কর্মচারীদের ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষতি হয় তাদের অর্থ দিয়ে সাহায্য করে।

এরকম বিষম পরিস্থিতিতে রতন টাটা যতদিন তাজ হোটেল বন্ধ ছিল, রতন টাটা কিন্তু তার কোনো কর্মচারীদের পেমেন্ট বন্ধ করেননি, রতন টাটা তার কর্মচারীদের নিয়মিত পেমেন্ট দিয়ে গেছেন।

সমাজ সেবায় রতন টাটার অবদান

রতন টাটা একজন উদ্যোগপতি হওয়ার সাথে, সাথে একজন বিশিষ্টমানের সমাসেবী মানুষ। আপনি জেনে খুশি হবেন টাটা গ্রুপ তার Networth এর ৬৫% টাটা গোষ্ঠীর বিভিন্ন ট্রাস্টে দান করে দেয়।

রতন টাটার জীবনের প্রধান উদ্দেশ্য হল সমাজ সেবা করা। তিনি মানবকল্যাণে মানুষের জীবনযাত্রার মান্নোয়নের জন্যে বহুমুখী কাজ করেছেন।

টাটা গ্রুপের দান করা টাকা- স্বাস্থ্য,শিক্ষা এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বিভিন্ন মহৎ কাজে উৎসর্গ করা হয়। টাটা গ্রুপ শিক্ষা খাতে ২০১৪ সালে IIT Bombay কে ৯৫ কোটি টাকার অর্থ রাশি দান করেন।

এছাড়াও বিগত বর্ষে covid-১৯ এর মত মহামারীতে ভারত সরকারের covid-১৯ রিলিফ ফান্ডে টাটা গ্রুপ ১,৫০০ কোটি টাকা দান করেছেন।

রতন টাটার প্রেম কাহিনী ( Ratan Tata love story)

রতন টাটার ভক্তরা অনেকেরই প্রশ্ন থাকে রতন টাটার স্ত্রীর নাম কি ? তাহলে আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তর হবে রতন টাটা হল একজন অবিবাহিত মানুষ। এবারে আবার একটা প্রশ্ন থেকে যায় রতন টাটা বিয়ে কেন করেন নি ?

তাহলে এখানে আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি রতন টাটার জীবনী অধ্যয়ন করলে দেখতে পাওয়া যায় রতন টাটার জীবনেও কোনো Dream Girl ছিল, আসুন তাহলে রতন টাটার প্রেম কাহিনী সমন্ধে একটু জানা যাক।

রতন টাটা এক সাক্ষাৎকারে নিজের প্রেম কাহিনীর ধোঁয়াশা কাটিয়ে বলেছিলেন- আমেরিকার লস এঞ্জেলসে জোনস এন্ড ইমনস নামে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মে চাকুরী গ্রহণ করার পরে

লস এঞ্জেলসের একটি মার্কিন মুলুকের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। লস এঞ্জেলসে তার প্রেমিকা,নিজস্ব গাড়ি বাড়ি সবই ছিল, সব মিলিয়ে রতন টাটার জীবন বেশ আনন্দের সাথেই কাটছিল।

কিন্ত ইতিমধ্যে রতন টাটার ঠাকুমা নবাজ বাঈ টাটার শারীরিক অসুস্থতার কারণে, রতনকে কিছুদিনের জন্যে মার্কিন মুলুক ছেড়ে দেশে ফিরে আসতে হয়।

রতন টাটা অবশ্য মেয়ের বাবা মায়ের সাথে কথা বলে মেয়েটিকে বিয়ে করার প্রস্তাব রেখেছিলেন এবং সেই প্রস্তাবে মার্কিন মুলুকের রতন টাটার প্রেমিকার বাবা ও মা রাজি হয়ে গেছিলেন।

কথাছিল দেশ থেকে ফিরে এসে ঠাকুমাকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে মার্কিন মুলুকেই বিয়ের পাঠ সেরে ফেলবেন। কিন্তু সেই আনন্দে বাধ সাধল ১৯৬২ সালের ইন্দো-চীন যুদ্ধ।

ভারত চীনের লড়াইয়ের জন্যে রতন টাটার আর সেই সময় লস এঞ্জেলসে যাওয়া হলনা। অন্যদিকে রতন টাটার প্রেমিকার বাবা ও মা ভারত চীন যুদ্ধের কারণ দেখিয়ে

রতন টাটার সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ের সমন্ধ নাকচ করে দেয়। রতন টাটার প্রেমিকা ও তার বাবা রতন টাটাকে দেওয়া বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভুলে গেলেও রতন টাটা কিন্তু তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখেন।

তাই রতন টাটা স্যার তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি মত এখন পর্যন্ত বিয়ে করেননি, আজও রতন টাটা স্যার বিবাহ না করেই একজন ব্যাচেলরের জীবন যাপন করছেন।

রতন টাটা কত টাকার মালিক (Ratan Tata net worth)

টাটা কোম্পানির ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে দেখতে পাওয়া যায় টাটা চেরিটেবেল ট্রাস্ট হল ভারতের অন্যতম বড় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রতিবছর টাটা গ্রুপের networth এর ৬৫% টাটা,চেরিটেবেল ট্রাস্টে দান করে দেয়।

২০১৬ সালের ফোর্বস পত্রিকার তথ্যের ভিত্তি অনুযায়ী, টাটা গোষ্ঠীর networth এর ৬৫% কে যদি টাটা গোষ্ঠীর মূল সম্পত্তির অংশ হিসাবে যোগ করা যায়,

তাহলে শ্রী রতন টাটার নাম হয়ত পৃথিবীর সবথেকে ধনী ব্যাক্তির সূচিতে উঠে আসবে। টিসিএস,টাটা স্টিল,টাটা পাওয়ার,টাটা টি,টাটা মোটরস,ইন্ডিয়ান হোটেল সব মিলিয়ে টাটা গোষ্ঠীর ১০০+ ব্যবসা রয়েছে।

২০২১ সালের তথ্যের ভিত্তিতে শ্রী রতন টাটার মূল সম্পত্তির পরিমান প্রায় ০১ বিলিয়ন ডলার। রতন টাটা বর্তমানে মুম্বইয়ের ” রতন টাটা হাউসে” থাকেন। ২০১৫ সালে শ্রী রতন টাটা, ঐ লাক্সারি বাসভবনটি ক্রয় করেন।

বর্তমানে ‘রতন টাটা হাউসের’ দাম ভারতীয় মুদ্রায় ১৫০ কোটি টাকা। এছাড়াও রতন টাটার আরো অন্যান্য সম্পত্তি রয়েছে। যেমন- দেশীয় অনলাইন সংস্থা স্ন্যাপডিলে রতন টাটা বিনিয়োগ করেছিলেন।

রতন টাটার আয় ও নিবেশের পরিমান

রতন টাটার কূল সম্পত্তির পরিমান ৭৪১৬ কোটি টাকা (০১ বিলিয়ন )
বাৎসরিক আয়ের পরিমান ৮২০ কোটি টাকা
ব্যক্তিগত বিনিয়োগ ৫২৪৮ কোটি টাকা
luxury car ১৯ কোটি টাকা
মাসিক আয়ের পরিমান ৯০ কোটি টাকা
এইসমস্ত তথ্য গুলো ২০২১ সালের অগাস্ট মাসের তথ্যের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে।
রতন টাটার জীবনী

রতন টাটার সংগ্রহে কিছু গাড়ির সূচি (Ratan Tata Car Collection)

রতন টাটার ব্যক্তিগত সংগ্রহে বেশ কিছু নামিদামি দেশি ও বিদেশী গাড়ি রয়েছে। এই সমস্ত নামি দামি গাড়ি গুলোর মধ্যে রতন টাটার কাছে তার নিজস্ব টাটা কোম্পানির গাড়িই বেশি আছে।

রতন টাটার নিজস্ব ব্র্যান্ড বাদ দিয়েও আরো ভিন্ন ধরণের নামি দামি গাড়ি রয়েছে। সবমিলিয়ে রতন টাটার সংগ্রহে ১৯ কোটি টাকার গাড়ির সংগ্রহ রয়েছে। রতন টাটার সংগ্রহের তালিকায় গাড়ির সূচি গুলো হল-

ল্যান্ড রোভার ল্যান্ড রোভার ফ্রীল্যান্ডের
টাটা টাটা ন্যানো, টাটা নেক্সন, টাটা ইন্ডিগো ম্যারিনা
জাগুয়ার জাগুয়ার এফ-টাইপ এস
মার্সেডিজ মার্সেডিজ-বেঞ্চ এসএল-৫০০, মার্সেডিজ-বেঞ্চ ই-ক্লাস ডাব্লিউ ১২৪
হোন্ডা হোন্ডা সিভিক
ব্যুক সুপার ৮বিসিক স্কিলার্ক
ফারারি ফারারি ক্যালিফোর্নিয়া
রতন টাটার জীবনী

রতন টাটা কেন মহান

রতন টাটা স্যার হলেন আমাদের দেশের এক অমূল্য সম্পদ। তিনি আমাদের দেশের শিক্ষা,চিকিৎসা,গ্রামীণ বিকাশের জন্যে নানা ধরণের সমাজ কল্যাণ মূলক কাজ করেছেন।

রতন টাটা, টাটা কোম্পানির Networth এর ৬৫% দেশের সেবায় টাটা চ্যারিটেবল ট্রাস্টে দান করে দেন। বর্তমানে টাটা গ্রুপের বহু ট্রাস্ট আছে, তার মধ্যে টাটা চ্যারিটেবল ট্রাস্ট হল সবথেকে বড় এবং সবথেকে পুরোনো ট্রাস্ট।

ভারত ছাড়াও রতন টাটা দেশের বাইরে আরো অন্যান্য দেশকে আর্থিকভাবে সাহায্য করে থাকেন। ২০১০ সালে আমেরিকার হার্ভাড ব্যবসায়িক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মিলিয়ন ডলার দান করেন।

২০১৪ সালে টাটা গ্রুপের পক্ষে থেকে IIT বোম্বের উন্নয়নের লক্ষে ৯৫ কোটি টাকা দান হিসাবে দেওয়া হয়। এছাড়াও করোনা মহামারীতে ভারত সরকারকে টাটা গ্রুপ ১৫০০ কোটি টাকা দিয়ে আর্থিক সাহায্য করেন।

রতন টাটার প্রাপ্ত পুরুস্কার (Ratan Tata Award list)

শ্রী রতন টাটা ২০০৮ সালে ভারত সরকার দ্বারা পদ্মবিভূষণ এবং ২০০০ সালে পদ্মভূষণ পুরুস্কার ছাড়াও ভারত ও বিদেশে বহু সংস্থার দ্বারা বিভিন্ন পুরুস্কারে আভুষিত হয়েছেন।

সাল নাম সংগঠনের নাম
২০০১Honorary Doctor of Business Administrationঅহিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি
২০০৫International Distinguished Achievement Awardবনাই ব্রিথ ইন্টারন্যাশনাল
২০০৮Honorary Citizen Award সিঙ্গাপুর সরকার
২০১০Oslo Business for Peace award শান্তি ফাউন্ডটেশন থেকে ব্যবসায়িক সমৃদ্ধির জন্য
২০১০Business for Peace Award শান্তি ফাউন্ডটেশন থেকে ব্যবসায়িক সমৃদ্ধির জন্য
২০১০Business Leader of the Yearএশিয়ান পুরুস্কার
২০১২Grand Cordon of the Order of the Rising Sunজাপান সরকার
২০১৩Transformational Leader of the Decade ইন্ডিয়ান অফিয়ার্স ইন্ডিয়া লিডারশিপ ২০১৩
২০১৩Honorary Doctor of Business Practiceকর্নেগী মেলো বিশ্ববিদ্যালয়
২০১৪Honorary Doctor of Businessসিঙ্গাপুর ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়
২০১৫Sayaji Ratna Awardবরোদা ইঞ্জিনিয়ারিং কমিউনিটি দ্বারা এইচইসি প্যারিশ উপাধি
২০১৬Commander of the Legion of Honourফ্রান্স সরকার
রতন টাটার জীবনী

রতন টাটার উক্তি (Ratan Tata Qutes)

শ্রী রতন টাটার কতগুলো উক্তি আপনাদের সাথে শেয়ার করা হল, আশাকরি রতন টাটা স্যারের এই বিখ্যাত উক্তি গুলো আপনাদের চলার পথে পাথেয় হবে –

০১. জীবনে সঠিক সিন্ধান্ত বলে কিছু হয়না। আমি যেটা সিদ্ধান্ত নেই, সেটা প্রমান করার চেষ্টা করি।

০২. আপনি যদি দ্রুত এগোতে চান তাহলে একলা চলুন। কিন্তু আপনি যদি অনেক দূর যেতে চান,তাহলে সবাইকে নিয়ে সাথে চলুন।

০৩. জীবনে চলার পথে হোঁচট খাওয়াটাও খুব জরুরী,কেননা ইসিজির গ্রাফ সবসময় উঁচু নিচুই থাকে, সেখানে সোজা লাইনের মানে কিন্তু মৃত্যু।

০৪. ক্ষমতা এবং সম্পদ এই দুটো জিনিস,আমার জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নয়।

০৫. যেদিন আমি জীবনে উড়তে পারবনা, সেদিন আমার জীবনের সবথেকে দুঃখের দিন হবে।

০৬. লোহা কে কখনো কেউ নষ্ট করতে পারেনা, কিন্তু লোহার জংই লোহাকে নষ্ট করে। ঠিক যেভাবে একজন মানুষের মানসিকতা ব্যক্তিকে ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয়।

রতন টাটাকে নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জানকারী

০১. রতন টাটা হল বিশ্বের পঞ্চম বড় কোম্পানি যার সূচ থেকে শুরু করে লবন,০৫ তারা হোটেল,চা,স্টিল,কেমিক্যাল,পাওয়ার সেক্টর সব মিলিয়ে ১০০ + ব্যবসা আছে।

০২. রতন টাটা পোষ্য জীব জন্তুদের খুব ভালোবাসেন। রতন টাটা তার মুম্বাইয়ের ফ্ল্যাটে তার পোষ্য কুকুরদের নিয়ে একই সঙ্গে থাকেন। এছাড়া রতন টাটা এরোপ্লেন উড়াতে ভালোবাসেন এবং রতন টাটার প্লেন উড়ানোর লাইসেন্স ও আছে।

০৩. রতন টাটা তার কোম্পনির কর্মচারীদের খুব ভালোবাসেন, টাটা কোম্পনির টাটা সুমো নাম তার কোম্পানির কর্মচারী সুমন্ত মুলগাকরের নামে রাখেন।

০৪. ২০০৮ সালে ২৬/১১ তাজ হোটেলের আটকবাদী হামলায় যতজন আহত হয়েছিলেন তাদের চিকিৎসা ব্যক্তিগতভাবে রতন টাটা করিয়েছিলেন।

FAQ

প্রশ্ন- রতন টাটার ধর্ম কি ?

উঃ- রতন টাটার ধর্ম হল পার্সি।

প্রশ্ন- রতন টাটার পুরো নাম কি ?

উঃ- রতন টাটার পুরো নাম হল রতন নাভাল টাটা।

প্রশ্ন – রতন টাটার স্ত্রীর নাম কি ?

উঃ- রতন টাটা অবিবাহিত, তিনি বিয়ে করেন নি।

প্রশ্ন- রতন টাটার বাড়ি কোথায় ?

উঃ- রতন টাটা গুজরাতে জন্ম গ্রহণ করেন, কিন্তু তিনি বর্তমানে মুম্বাইয়ের টাটা হাউসে থাকেন।

প্রশ্ন- রতন টাটার বাবার নাম কি ?

উঃ- রতন টাটার বাবার নাম নাভাল টাটা।

পরিশিষ্ট

আশা করি রতন টাটার জীবনী আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের ভালো লেগেছে। আপনাদের যদি আমাদের লেখা আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনাদের প্রিয়জনদের সঙ্গে শেয়ার করবেন।

এছাড়া আপনাদের ব্যক্তিগত ভাবে রতন টাটা কিংবা টাটা কোম্পনির ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট সেকশনে কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।

4/5 - (4 votes)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here