পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বার্ধক্য ভাতার ফরম ফিলাপ করার নিয়ম (Bardhoka Bhata West Bengal)

আপনারা জানেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত সম্প্রদায়ের ৬০ বছরের ঊর্ধে বয়স্ক নাগরীক দের জন্যে পশ্চিমবঙ্গ সমাজ কল্যাণ দপ্তর থেকে মাসিক মাসোহারা বাবদ,

বার্ধক্য ভাতা (Bardhoka Bhata) হিসাবে মাসিক ১০০০ হাজার টাকা করে পেনশন দেওয়া হয়। আমরা আমাদের আর্টিকেলে বার্ধক্য ভাতা ফরম ফিলাপ কিভাবে করব ,বার্ধক্য ভাতা ফরম ডাউনলোড কিভাবে করবেন,

বার্ধক্য ভাতা কারা পাবে,বার্ধক্য ভাতা আবেদন পত্রের সঙ্গে কি কি ডকুমেন্ট লাগবে,বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোন অফিসে গিয়ে জমা করতে হবে,

সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের যাবতীয় খুঁটিনাটি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি একটু যত্ন সহকারে পড়লেই

বার্ধক্য ভাতা ফরম ফিলাপ পদ্ধতি নিয়ে আপনাদের মনে থাকা সমস্ত সংশয় দূর হয়ে যাবে। আসুন তাহলে একনজরে বার্ধক্য ভাতা ফরম ফিলাপ করার নিয়ম গুলো জানা যাক।

বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ ২০২২

প্রকল্পের নাম বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ
প্রকল্পের জন্য কারা আবেদনের জন্যে যোগ্য ০১) আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
০২) আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ভোটার হতে হবে।
০৩) আবেদনকারীর নূন্যতম বয়স ৬০ বছরের ঊর্ধে হতে হবে।
বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের উদ্বোধক পশ্চিমবঙ্গ সরকার
বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প কতসালে চালু হয় ২০১০ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমাজ কল্যাণ বিভাগের উদ্যোগে বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পটি শুরু করা হয়।
বার্ধক্য ভাতায় কতটাকা পেনশন পাওয়া যায় বার্ধক্য ভাতায় মাসে ১০০০ টাকা করে পেনশন পাওয়া যায়।
বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প ফরম ফিলাপ

বার্ধক্য ভাতার ফরম কোথায় পাওয়া যাবে

বার্ধক্য ভাতার ফরম কোথায় পাওয়া যাবে ? এই বিষয়টা নিয়ে আপনাদের মনে একটা ঘোরপাক থাকতে পারে। আপনারা কেউ বার্ধক্য ভাতা আবেদন করতে চাইলে

আপনারা আপনাদের বিডিও অফিসের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের অফিস থেকে বার্ধক্য ভাতার ফরম পেয়ে যাবেন। কিন্তু আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি পড়ছেন তাদের

বিডিও অফিসে যাওয়ার দরকার নেই। আমরা আপনাদের সুবিদার্থে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বার্ধক্য ভাতা ফরম ডাউনলোড করার লিংক নিচে দিয়ে দেব,আপনারা আমাদের লিংকে ক্লিক করে ফর্ম ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

বার্ধক্য ভাতা ফরম ডাউনলোড (Bardhoka Bhata Form Download)

আপনি বা আপনার পরিবারের কোন সদস্যের বার্ধক্য ভাতা ফরম ফিলাপ করতে চাইলে আমাদের দেওয়া নিচের লিংকে ক্লিক করে বার্ধক্য ভাতা ফরম ডাউনলোড করে নিতে পারেন।

বার্ধক্য-ভাতা-ফরম-ফিলাপ-কিভাবে-করব.
বার্ধক্য ভাতা ফরম ফিলাপ কিভাবে করব

বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে কারা কারা আবেদন করতে পারবে

যদিও পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী ৬০ বছরের ঊর্ধে সমস্ত বয়স্ক নাগরীক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের জন্যে আবেদন যোগ্য বলে বিবেচিত হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

তবুও বার্ধক্য ভাতা ফরম ফিলাপ করার আগে বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে কারা কারা আবেদন করতে পারবে আসুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক –

০১. বার্ধক্য ভাতার ফরম ফিলাপ করার জন্যে সবার প্রথমে আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

০২. ৬০ বছরের ঊর্ধে পশ্চিমবঙ্গের সকল প্রবীণ নাগরীক পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের জন্যে আবেদন করতে পারবেন।

০৩. তবে যে সমস্ত নাগরীক শারীরিকভাবে অক্ষম এবং মানসিকভাবে অসুস্থ সেই সমস্ত নাগরীকেরা ৫৫ বছর বয়স হলেই বার্ধক্য ভাতা আবেদন করতে পারবেন।

০৪. এমন কোনো নাগরীক যারা পূর্বপুরুষের সূত্র ধরে পশ্চিমবঙ্গের আদি বাসিন্দা নয়,কিন্তু তারা পরবর্তী কালে পশ্চিমবঙ্গে ১০ বছর যাবৎ যারা বসবাস করছেন,এমন নাগরিকেরাও বার্ধক্য ভাতার জন্যে আবেদন করতে পারবেন।

০৫. এমন ব্যক্তি যাদের মাসিক আর্থিক ইনকাম ১০০০ টাকার নিচে সেই সমস্ত ব্যক্তিরা বার্ধক্য ভাতার আবেদনের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

০৬. যে সমস্ত ব্যক্তির দেখভাল করার জন্যে পরিবারে কোনো উপযুক্ত সদস্য বা কোনো সন্তান নেই তারা বার্ধক্য ভাতার জন্যে আবেদন করতে পারবেন।

বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পে কারা আবেদন করতে পারবেন না

০১. যে সমস্ত ব্যক্তিরা রাজ্য সরকারের কিংবা কেন্দ্র সরকারের অন্য কোনো যোজনা যেমন- বার্ধক্য ভাতা,বিধবা ভাতা, বিকলাঙ্গ ভাতা ইত্যাদি যোজনার লাভ পেয়ে থাকেন তারা বার্ধক্য ভাতার ফরম ফিলাপ করতে পারবেন না।

০২. যে সমস্ত ব্যক্তিরা রাজ্য সরকারের কিংবা কেন্দ্র সরকারের থেকে সরকারি চাকুরীর পেনশন পান তারা বার্ধক্য ভাতার জন্যে ফরম ফিলাপ করতে পারবেন না।

০৩. যে সমস্ত পরিবার রাজ্য সরকার কিংবা কেন্দ্র সরকারকে আয়কর দিয়ে থাকেন তারা বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের ফরম ফিলাপ করতে পারবেন না।

বার্ধক্য ভাতা ফরম ফিলাপের জন্য কি কি ডকুমেন্ট লাগবে

বার্ধক্য ভাতা ফরম ফিলাপ করার জন্য যে সমস্ত ডকুমেন্ট আপনাদের দিতে হবে –

০১. যিনি বার্ধক্য ভাতা পাওয়ার জন্যে আবেদন করছেন তার আধার কার্ডের জেরক্স দিতে হবে।

০২. আবেদনকারীর নিজের ভোটার কার্ডের জেরক্স দিতে হবে।

০৩. আবেদন কারীকে অবশ্যই ইনকাম সার্টিফিকেট দিতে হবে। ( এখানে আবেদনকারী যদি পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা হন তাহলে তিনি পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে ইনকাম সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন।

কিন্তু আবেদনকারী যদি শহরাঞ্চলের বাসিন্দা হয় তাহলে তাকে পৌরসভার চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ইনকাম সার্টিফিকেট নিতে হবে )

০৪. আবেদনকারীকে বার্ধক্য ভাতা আবেদন পত্রের সঙ্গে একটি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি দিতে হবে।

০৫. বার্ধক্য ভাতার ফরম ফিলাপের জন্যে আবেদনকারীর নিজের নামের ব্যাঙ্ক একাউন্টের প্রথম পাতার জেরক্স কপি দিতে হবে।

০৬. আবেদনকারী যদি কোনো বিধবা মহিলা হয় তাহলে আবেদনকারীকে তার ‘স্বামীর মৃত্যু প্রমান পত্র’ দিতে হবে।

০৭. আবেদনকারী যদি শারীরিক প্রতিদ্বন্দ্বী হন তাহলে তিনাকে তার ‘শারীরিক প্রতিদ্বন্দ্বী সার্টিফিকেট’ (Handicaft Certificate ) দিতে হবে।

০৮. আবেদনকারীকে নিজের রেশন কার্ডের জেরক্স কপি দিতে হবে।

নোট : এখানে আপনারা বার্ধক্য ভাতার আবেদনের জন্যে যে সমস্ত ডকুমেন্ট গুলো দেবেন সেই সমস্ত ডকুমেন্টের জেরক্স কপির উপর নিজের নাম সই করে সেল্ফ এটেস্টেড করে দিতে হবে।

বার্ধক্য ভাতা ফরম ফিলাপ কিভাবে করব

সবার প্রথমে আপনাকে বার্ধক্য ভাতা ফরম ফিলাপ করার জন্যে আমাদের দেওয়া উপরের লিংকে ক্লিক করে বার্ধক্য ভাতা ফরম ডাউনলোড করে নিতে হবে।

বার্ধক্য ভাতার ফরম ডাউনলোড করা হয়ে গেলে আমরা ধাপে ধাপে বার্ধক্য ভাতা ফরম ফিলাপ কিভাবে করব সেটা আলোচনার মাধ্যমে করে দেখাব-

ধাপ ০১ : বার্ধক্য ভাতা ফরম ডাউনলোড করতেই ফর্মের একেবারে ডানদিকে ইংরেজীতে Form-P লেখা নিচের একটি ফটো লাগানোর বাক্স দেখতে পাবেন।

সেই বাক্সে আবেদনকারীকে আবেদনকারীর নিজের রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ফটো ভালো করেআঁঠা দিয়ে লাগিয়ে দিতে হবে। তারপর ছবির উপর বুক বরাবর আবেদনকারীকে সোজাসোজি অর্ধেক ফরমে এবং

অর্ধেকে ছবিতে থাকবে সেইরকম ভাবে নিজের সই করতে হবে। তবে আবেদনকারী যদি নিরক্ষর হয় তাহলে সেখানে তার নাম লিখে টিপ্ সই দিতে হবে।

ধাপ ০২ : PENSION INFORMATION FORM (Form-P) [To be filled up English Block Capitals Only] এই কলমে বলা হয়েছে Form-P অথাৎ বার্ধক্য ভাতার আবেদন পত্রটি আপনাকে ইংরেজি বড় হরফে পূরণ করতে হবে।

ধাপ ০৩ : Pension Case* এই কলমে আপনাকে New লেখা আগের বাক্সে টিক চিহ্ন (√) বসাতে হবে।

ধাপ ০৪ : Type of Pension* এর কলমে আপনাকে Old Age লেখা আগের বাক্সে টিক চিহ্ন (√) বসাতে হবে।

PERSONAL DETAILS

০১. Aadhaar No এর কলমে আবেদনকারীর আধার নম্বর গুলো লিখতে হবে।

০২. Voter ID No এর কলমে আবেদনকারীকে নিজের ভোটার আইডি নম্বর লিখতে হবে।

০৩. Name of Beneficiary* এর কলমে আবেদন কারীকে তার নিজের নাম লিখতে হবে। যেমন- গৌতম কুমার সেন,তাহলে First Name এর জায়গায় GOUTAM,

Middle Name এর জায়গায় KUMAR এবং LAST নামের জায়গায় SEN লিখতে হবে। তবে আপনার যদি Middle Name না থাকে তাহলে Middle Name এর বাক্স খালি রেখে দিতে হবে।

০৪. Gender* এর কলমে আবেদনকারী যদি পুরুষ হয় তাহলে Male এর কলমের আগের বাক্সে টিক চিহ্ন (√) বসাতে হবে এবং আবেদনকারী যদি মহিলা হয় তাহলে Female এর বাক্সে টিক চিহ্ন (√) বসাতে হবে।

০৫. Date of Birth* এর কলমে জন্মতারিখ লিখতে হবে। যেমন- দিন/মাস/সাল (11/06/1991) এই ভাবে লিখতে হবে। তারপরের কলমের Age এর খালি বাক্সে আপনি যত তারিখে আবেদন করছেন

সেই তারিখ অনুযায়ী আপনার বর্তমান বয়স লিখতে হবে। যেমন- আপনার বয়স যদি ৬৫ বছর হয় তাহলে খালি বাক্সে ইংরেজিতে 65 লিখতে হবে।

০৬. Father’s Name* এর কলমে আবেদনকারীকে আবেদনকারীর বাবার নাম লিখতে হবে। যেমন- সুকান্ত কুমার সেন,তাহলে First Name এর জায়গায় SUKANTA,

Middle Name এর জায়গায় KUMAR এবং LAST নামের জায়গায় SEN লিখতে হবে। তবে আপনার বাবার যদি কোনো Middle Name না থাকে তাহলে Middle Name এর বাক্স খালি রেখে দিতে হবে।

০৭. Mother’s Name এর জায়গায় আবেদনকারীকে আবেদনকারীর মায়ের নাম লিখতে হবে। যেমন- উষা রানী সেন,তাহলে First Name এর জায়গায় USHA

Middle Name এর জায়গায় RANI এবং LAST নামের জায়গায় SEN লিখতে হবে। তবে আপনার মায়ের কোনো Middle Name না থাকে তাহলে Middle Name এর বাক্স খালি রেখে দিতে হবে।

০৮. Religion* এর কলমে আপনি যে ধর্মালম্বী মানুষ তার আগের খালি বাক্সে টিক চিহ্ন বসবেন। যেমন- আমি হিন্দু তাহলে আমাকে এখানে Hinduism লেখার আগে খালি বাক্সে টিক চিহ্ন (√) বসাতে হবে।

০৯. Caste* এর কলমে আবেদনকারী যে কাস্টের লোক সেই কাস্টের আগের বাক্সে টিক চিহ্ন বসাতে হবে। যেমন- আমি GEN তাহলে আমাকে General লেখা আগের বাক্সে টিক চিহ্ন (√) বসাতে হবে।

১০. Spouse(Husband/Wife) এর কলমে আবেদনকারী যদি কোনো মহিলা হয় এবং তার স্বামী যদি মারা গিয়ে থাকে তাহলে তাকে Dead লেখার আগের খালি বাক্সে টিক চিহ্ন (√) বসাতে হবে।

কিন্তু মহিলার স্বামী যদি বেঁচে থাকে তাহলে তাকে Alive (Spouse name mandatory if alive) লেখার আগের খালি বাক্সে টিক চিহ্ন (√) বসাতে হবে।

আবার একইভাবে আবেদনকারী যদি পুরুষ হয় এবং তার স্ত্রী যদি মারা গিয়ে থাকে তাহলে তাকে একই নিয়মে Dead লেখার আগের খালি বাক্সে টিক চিহ্ন (√) বসাতে হবে।

আবার আবেদনকারী পুরুষের স্ত্রী যদি বেঁচে থাকে তাহলে তাকে Alive (Spouse name mandatory if alive) লেখার আগের খালি বাক্সে টিক চিহ্ন (√) বসাতে হবে।

১১. Spouse Name* এই কলমে আবেদনকারী পুরুষ হলে তার স্ত্রীর নাম লিখবে এবং আবেদনকারী মহিলা হলে তাকে তার স্বামীর নাম লিখতে হবে।

১২. Monthly Family Income এর জায়গায় আপনাকে আবেদনকারীর মাসিক রোজগার কত সেটা লিখতে হবে। তবে আপনারা এখানে মাসিক রোজগার ১০০০ টাকার মধ্যেই লিখবেন।

CONTACT DETAILS

০১. House/Premise No এর কলমে আবেদনকারী যদি পঞ্চায়েত এলাকার নাগরীক হয় তাহলে পঞ্চায়েত থেকে দেওয়া গৃহ নম্বর লিখতে হবে। আবার একইভাবে আবেদনকারী যদি পৌরসভার নাগরীক হয়

তাহলে আবেদনকারীকে পৌরসভা থেকে দেওয়া গৃহ নম্বর লিখতে হবে। তবে আপনাদের কারো যদি House Number না জানা থাকে তাতেও কোনো সমস্যা নেই। আপনারা এই কলমটা ফাঁকা রাখতে পারেন।

০২. Village/Town/City* এই কলমে আপনি যদি গ্রামে বাস করেন তাহলে আপনার গ্রামের নাম লিখবেন এবং আপনি যদি শহরে বসবাস করেন তাহলে আপনার শহরের নাম লিখবেন।

০৩. GP/Ward No. * এই কলমে আবেদনকারী যদি কোনো গ্রামের বাসিন্দা হয় তাহলে তার পঞ্চায়েতের নাম লিখতে হবে এবং আবেদনকারী যদি শহরের বাসিন্দা হয় তাহলে তিনি তার বসতির বা কলোনীর ward number টি লিখবেন।

০৪. Block/Municipality* এই কলমে বার্ধক্য ভাতা আবেদনকারী যদি একজন গ্রামের নাগরীক হয় তাহলে তিনি এখানে তার ব্লকের নাম লিখবেন এবং শহরাঞ্চলের নাগরীক হলে তিনি তার পৌরসভার নাম লিখবেন।

০৫. Police Station এর কলমে আপনারা নিজে নিজের থানার নাম লিখেবেন।

০৬. Post Office* এর কলমে আপনারা নিজে নিজের পোস্ট অফিসের নাম লিখবেন।

০৭. Sub-Division* এর কলমে আপনারা আপনাদের মহকুমার নাম লিখবেন।

০৮. District* এর জায়গায় আপনারা নিজের নিজের জেলার নাম লিখবেন।

০৯. PIN* কোডের কলমে নিজের নিজের এলাকার পোস্ট অফিসের পিন নম্বরটি লিখবেন।

১০. State* এর কলমটি আপনার ফিলাপ করার দরকার নেই। এখানে আমাদের রাজ্যের নাম লিখতে হবে,যেটা বার্ধক্য ভাতা ফরমের সাথে আগে ভাগেই ফিলাপ করা আছে।

১১. Mobile No কলমে আপনাকে আপনার মোবাইল নম্বরটি বসাতে হবে।

১২. Landline No এই কলমে আপনাকে আপনার যদি কোনো ল্যান্ড লাইন নম্বর থাকে তাহলে দিতে পারেন। তবে আপনার যদি কোনো ল্যান্ড লাইন নম্বর না থাকে তাতেও কোনো সম্যসা নেই,আপনি এই বাক্সটি খালি রাখতে পারেন।

১৩. E-mail ID এই কলমে আপনাকে একটি ইমেল আইডি দিতে হবে। তবে আপনার যদি কোনো ইমেল আইডি না থাকে তাহলে দিতে হবে এমন কোনো সমস্যা নেই,আপনি এই কলমটি ফাঁকা রাখতে পারেন

Acknowledgement Copy

০১. Acknowledgement No এর কলমে আপনাকে কিছু লেখার দরকার নেই। আপনি যেখানে বার্ধক্য ভাতার ফরমটি জমা করবেন সেখানকার সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা আপনাকে Acknowledgement No টি বসিয়ে দেবে।

তার পাশেই রয়েছে Date অথাৎ তারিখ লেখার কলম এখানে আপনি যে তারিখে আপনার বার্ধক্য ভাতার ফরমটি জমা করছেন সেই দিনের তারিখ লিখতে হবে।

০২. Name এর কলমে আরো একবার আবেদনকারীর নিজের নাম লিখতে হবে।

০৩. Type of Pension এর জায়গায় Old Age এর কলমের আগের কলমটিতে চিহ্ন (√) বসাতে হবে।

০৪. এরপর আপনার কিছু লেখার দরকার নেই বার্ধক্য ভাতা ফরমের বাকি অবশিষ্ট্যাংশটুকু আপনাকে রিসিভ কপি বাবদ সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকরা সই সিল করে দিয়ে দেবে।

FOR DISABILITY PENSION

এই কলমটি শুধুমাত্র শারীরিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী তাদের জন্যেই প্রযোজ্য,তাই এখানে যারা বার্ধক্য ভাতার জন্যে আবেদন করছেন তাদের কোনো কিছু করার দরকার নেই। আপনারা এই কলম গুলো ফাঁকা ছেড়ে দিন।

BANK ACCOUNT DETAILS

এই কলমটি খুব গুরুত্ব সহকারে পূরণ করতে হবে,কারণ এই কলম গুলোতে আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক একাউন্টের যাবতীয় তথ্য সঠিক এবং নির্ভুল ভাবে ফিলাপ করতে হবে।

তা নইলে আবেদনকারীর বার্ধক্য ভাতার আবেদন পত্রটি স্বীকার করা হলেও,ব্যাঙ্কের ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য বার্ধক্য ভাতার আবেদন পত্রটি বাতিল হয়ে যেতে পারে।

০১. Bank Name* এর জায়গায় আপনাকে আপনার ব্যাঙ্কের নাম লিখতে হবে। যেমন- আমার ব্যাঙ্কের নাম হল State Bank of India,তাহলে আমাকে ব্যাঙ্কের নামের কলমে বড়ো হরফে STATE BANK OF INDIA লিখতে হবে।

০২. Branch* এর কলমে আপনাকে আপনার ব্যাঙ্কের শাখার নাম লিখতে হবে। যেমন- আমার State Bank of India -র, Rampurhat শাখায় ব্যাঙ্কের খাতা আছে। তাহলে আমাকে Branch Name এর জায়গায় RAMPURHAT লিখতে হবে।

০৩. Account No.* এর কলমে আপনাকে আপনার ব্যাঙ্কের একাউন্ট নম্বরটি সঠিক এবং স্পষ্ট হাতের লেখায় ইংরেজিতে লিখতে হবে।

০৪. IFS Code* এর জায়গায় আপনাকে আপনার ব্যাঙ্কের IFS Code টি লিখতে হবে। যেমন- আমার ব্যাঙ্কের IFS Code হল SBIN00126333

ENCLOSURE LIST

ENCLOSURE LIST এই কলমে বার্ধক্য ভাতার সঙ্গে আপনাকে যে সমস্ত ডকুমেন্ট গুলো দিতে হবে তার আগের বাক্সে (√) টিক চিহ্ন বসাতে হবে।

০১. Copy of Aadhaar self-attested (আধার কার্ডের সেল্ফ এটেস্টেড জেরক্স কপি) লেখা আগের বাক্সে (√) টিক চিহ্ন বসাতে হবে।

০২. Copy of Voter Id (ভোটার কার্ডের জেরক্স কপি ) লেখা আগের বাক্সে (√) টিক চিহ্ন বসাতে হবে।

০৩. Copy of Ration Card (রেশন কার্ডের জেরক্স কপি) লেখা আগের বাক্সে (√) টিক চিহ্ন বসাতে হবে।

০৪. Copy of Disability Certificate (হ্যান্ডকাফ সার্টিফিকেট থাকলে তার জেরক্স কপি) লেখা আগের বাক্সে (√) টিক চিহ্ন বসাতে হবে।

০৫. Copy of Income Certificate (ইনকাম সার্টিফিকেটের জেরক্স কপি) লেখা আগের বাক্সে (√) টিক চিহ্ন বসাতে হবে।

০৬. Copy of Husband’s Death Certificate (আবেদনকারী যদি কোনো বিধবা মহিলা হয় তাহলে তার স্বামীর মৃত্যু প্রমান পত্র দিতে হবে ) লেখা আগের বাক্সে (√) টিক চিহ্ন বসাতে হবে।

০৭. Copy of Bank Pass Book (ব্যাঙ্কের খাতার প্রথম পাতার জেরক্স কপি) লেখা আগের বাক্সে (√) টিক চিহ্ন বসাতে হবে।

০৮. Nomination Form (In case of death) এখানে বলা হয়েছে পরবর্তীকালে আবেদনকারীর মৃত্যু হলে আবেদনকারীকে নমিনি ফরমে নমিনি ডিটেলস পূরণ করতে হবে।

অথবা আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমাজ কল্যাণ দপ্তরের বার্ধক্য ভাতার পেনশনের জন্য আবেদনকারীর আধার কার্ডের তথ্য পেনশনের জন্যে ব্যবহারের অনুমতি দিতে হবে।

অথবা Others, please specify Declaration (স্ব-ঘোষণাপত্র হিসাবে ) If Aadhaar card has been provided. I give এর উপরে (√) টিক চিহ্ন বসাতে হবে /

do not give consent to the use of the Aadhaar number for authenticating my identity for social welfare pension.

০৯. এরপর Beneficiary Signature এর জায়গায় আবেদনকারীকে তার নিজের হাতে পুরো নাম সই করতে হবে। আবেদনকারী যদি নিরক্ষর হয় তাহলে পুরো নাম লিখে টিপ সই দিতে হবে।

এরপরের কলম গুলো হল অফিসের ব্যবহারের কলম সেখানে নতুন করে আপনার কিছু লেখার দরকার নেই। আপনাকে সঠিকভাবে বার্ধক্য ভাতার আবেদনপত্রটি পূরণ করার পর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সহ আবেদনপত্রটি জমা করতে হবে।

বার্ধক্য ভাতা ফরম কোথায় জমা করতে হবে

বার্ধক্য ভাতার ফরম ফিলাপ করার পর আপনি চাইলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচীতে সরাসরি বার্ধক্য ভাতা প্রকল্পের ফরম জমা দিতে পারেন।

অথবা আপনি আপনি সরাসরি বিডিও অফিসে গিয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের কাছে বার্ধক্য ভাতা ফরম জমা করতে পারেন।

FAQ

প্রশ্ন : বার্ধক্য ভাতার ফরম কোথায় পাওয়া যাবে ?

উঃ বার্ধক্য ভাতার ফরম আপনি আপনার বিডিও অফিসে পেয়ে যাবেন। অথবা আমাদের ওয়েব সাইট থেকে বার্ধক্য ভাতার ফরম ডাউনলোড করতে পারেন।

প্রশ্ন : বার্ধক্য ভাতা কত টাকা করে দেওয়া হয় ?

উঃ বার্ধক্য ভাতা মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয়।

প্রশ্ন : বার্ধক্য ভাতার ফরম কোথায় জমা করতে হবে ?

উঃ বার্ধক্য ভাতার ফরম আপনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে জমা করতে পারেন,কিংবা সরাসরি বিডিও অফিসে গিয়েও বার্ধক্য ভাতার ফরম জমা করে আসতে পারেন।

প্রশ্ন : বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প কি ?

উঃ বার্ধক্য ভাতা প্রকল্প হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওল্ড এজ মানুষদের স্বার্থে পেনশন স্বরুপ একটি ভাতা।

4.7/5 - (4 votes)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here