নরেন্দ্র মোদীর জীবনী (Narendra Modi biography in Bengali)

নরেন্দ্র মোদীর জীবনীর সাথে ভারতের অন্যন্য প্রধানমন্ত্রীদের জীবনী ও কার্য্যকাল অধ্যয়ন করলে দেখতে পাওয়া যায় এখন পর্যন্ত জনপ্রিয়তার নিরিখে

প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদী-ই হয়ত সর্বাধিক জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শুধু একটি নাম নয়,

তার নামের সাথে যেন একটি ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরী হয়ে গেছে। ২০১৪-২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে বিজেপি ক্ষমতায় এলে

২০১৪ সালে ভারতের ১৪ তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হন নরেন্দ্র মোদী। নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা এবং তার উপর আস্থা রেখে,উজ্জ্বল প্রগতিশীল ভারত নির্মাণের কান্ডারী হিসাবে

বিশ্বাস করে ভারতের জনতা,প্রথমবার কাউকে এতবেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত করে।যদিও গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত

দেশের বিকাশের কাজে তার মহত্বপূর্ণ যোগদান নিত্যান্ত কম নয়। কিন্তু হলে কি হবে গুণীজনের গুণগান যেমন একদিকে যেমন হয় তেমনি আবার অবমাননা ও করা হয় এটাই হয়ত বাস্তব ।

নরেন্দ্র মোদীর জীবনী (Narendra Modi biography in Bengali)

পরিচয় সমূহ  পরিচয় 
পুরো নাম  নরেন্দ দামোদর দাস মোদী
অন্য নাম  মোদী,নমঃ
পেশা  রাজনীতি
রাজনৈতিক পার্টি  ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)
নরেন্দ্র মোদীর জন্ম তারিখ  ১৭ ই,সেপ্টেম্বর ১৯৫০
নরেন্দ্র মোদীর বর্তমান বয়স  ৭১ বছর
 জন্ম স্থান  গুজরাতের,ভাবনগর
রাষ্ট্রীয়তা  ভারতীয় নাগরীক
নিজের শহর  ভাবনগরে,গুজরাত,ভারত
ধর্ম হিন্দু
জাতি  ঘানী,তেলী/কলু (OBC)
রক্তের গ্ৰুপ  A+
বর্তমান ঠিকানা  রেস কোর্স রোড,নতুন দিল্লী
বৈবাহিক স্থিতি  বিবাহিত
নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা  রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক এবং মাস্টার ডিগ্রী
রাশি  কন্যা
নরেন্দ্র মোদীর উচ্চতা  ০৫ ফুট, ০৭ ইঞ্চি
ওজন  ৭৫ কিলোগ্রাম
চোখের রং  কালো
চুলের রং  পাকা সাদা চুল
প্ৰধানমন্ত্ৰী পদে মাসিক বেতন  ০১ লক্ষ ৬০ হাজার, এর সাথে অন্যান্য ভাতা আলাদা আছে
সম্পত্তির পরিমান  ০২.৫০ কোটির কাছাকাছি
গাড়ি নিজের নামে কোনো গাড়ি নাই,সরকারি গাড়িতে যাতায়াত করেন

 নরেন্দ্র মোদীর প্রাথমিক জীবন (Narendra Modi early life)


নরেন্দ্র মোদীর জন্ম হয় ভারতের গুজরাত রাজ্যের মেহসানা জেলায় অবস্থিত ছোট একটি শহর ভাবনগরে। ১৯৫০ সালে মোদীর জন্মের সময় ভাবনগর বোম্বাইয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

শুরু থেকেই নরেন্দ্র মোদীর পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ছিল না। মোদীর বাবা পেশায় ছিলেন একজন সামান্য চা বিক্রেতা এবং মোদীর মা ছিলেন সামান্য একজন গৃহকর্তী।

ছেলেবেলা থেকেই নরেন্দ্র মোদী তার অন্যান্য ভাইদের সঙ্গে বাবার চা এর দোকানে গিয়ে তার বাবাকে কাজকর্মে সাহায্য করতেন।

নরেন্দ্র মোদী তার ছেলেবেলায় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে বড় হয়ে উঠলেও তার নির্ভিক সাহস এবং বুদ্ধিমত্তা ও তার সততা তাকে,জীবনে এগিয়ে যাওয়ার রসদ জুগিয়েছে।

আরো পড়ুন : সন্দীপ মহেশ্বরীর জীবনী। 

নরেন্দ্র মোদীর পরিবার (Family Introduction of Narendra Modi)


নরেন্দ্র মোদীর বাবার নামস্বর্গীয় শ্রী দামোদর দাস মূল চন্দ্র মোদী
মায়ের নামহীরা বোন
ভাইয়ের নামসৌম মোদী,অমৃত মোদী,প্রহ্লাদ মোদী,পঙ্কজ মোদী
বোনের নামবাসন্তি বোন হাসিমুখ লাল মোদী
নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রীর নামযশোদা বোন চিমনলাল মোদী
নরেন্দ্র মোদীর সন্তাননাই
নরেন্দ্র মোদীর জীবনী

নরেন্দ্র মোদীর জাতি ও পরিবার নিয়ে সংক্ষিপ্ত পরিচয়


নরেন্দ্র মোদীর পরিবার ভারতের অন্যন্য অগ্রসর জাতি (OBC) সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত একটি পরিবার ছিল তাদের পেশাগত ব্যবসা ছিল সরষে,তিসি ইত্যাদি থেকে বলদ ঘুরিয়ে তেল নিষ্কাশন করা।

পশ্চিমবঙ্গে আমরা সাধারণ এই জাতির মানুষকে কলু (তেলি) সম্প্রদায় বলে চিনি,কিন্তু গুজরাতে এই সম্প্রদায়ের মানুষকে ঘানী বলে ডাকা হয়।

নরেন্দ্র মোদী তার বাবা মায়ের তৃতীয় সন্তান ছিলেন। মোদীর বড় দাদা সৌম মোদী পেশায় একজন স্বাস্থ্য বিভাগের সরকারি কর্মচারি ছিলেন,এখন তার বর্তমান বয়স ৭৮ বছরের কাছাকছি।

নরেন্দ্র মোদীর আর এক দাদা অমৃত মোদী,তিনি একজন যন্ত্র চালকের পদে বহুদিন কাজ করেছেন,বর্তমানে তার বয়স ৭৫ বছর ছুঁই ছুঁই।

এছাড়াও নরেন্দ্র মোদীর আরো দুই জন ভাই আছে,তাদের একজন প্রহ্লাদ মোদী যার বয়স ৬৫ বছর তিনি আহমেদাবাদে একটি মুদি দোকান চালান।

আর এক ভাই পঙ্কজ মোদী তিনি গান্ধীনগরে ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের একজন সামান্য তম কেরানীর চাকুরী করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

নরেন্দ্র মোদীর বিবাহ- নরেন্দ্র মোদীর জীবনী অধ্যয়ন করলে দেখা যায়, ১৯৬৮ সালে সবে মাত্র ১৮ বছর বয়সে গুজরাতি ঘানী (কলু) সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি মেনে,

যশোদা বোন চিমনলাল এর সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর বিবাহ হয়। বিভিন্ন তথ্য অনুসারে জানা যায়,নরেন্দ্র মোদী এবং তার স্ত্রী যশোদা বোন এর সঙ্গে

অফিসিয়ালি নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রীর সঙ্গে মোদীর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি,তারা দুজনে তাদের স্ব-ইচ্ছাতেই  আলাদা থাকেন।

নরেন্দ্র মোদীর জীবনী
নরেন্দ্র মোদীর জীবনী

নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রী যশোদা বোন পেশায় একজন শিক্ষিকা ছিলেন,তিনি বর্তমানে শিক্ষিকার জীবন থেকে অবসর নিয়ে জীবন কাটাচ্ছেন।

নরেন্দ্র মোদী এবং যশোদা বোন এর মধ্যে বিবাহ হলেও তাদের কোন সন্তান নেই। তারা বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যেই দাম্পত্য জীবনের শুরুতেই নিজেদের আলাদা করে নিয়েছিলেন।

আপনারা যারা এখন যারা নরেন্দ্র মোদীর জীবনীটা পড়ছেন তাদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখি,যদিও নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের আদি বাসিন্দা,

কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর দিল্লীতে একটা ঘর আছে। নরেন্দ্র মোদী তার ঘরের বড় সুন্দর নামকরণ করেছেন,নরেন্দ্র মোদীর ঘরের নাম “পঞ্চবটি”।

নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষা এবং প্রারম্ভিক জীবন (Narendra Modi’s Education and Starting Career)


নরেন্দ্র মোদী ১৯৬৭ সালে গুজরাতের ভাবনগর সরকারি স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন কিন্তু পরিবারের আর্থিক স্থিতি খারাপ হওয়ার জন্য পরবর্তী উচ্চ শিক্ষায় অগ্রসর হতে পারেননি।

তাই নরেন্দ্র মোদীকে মাঝপথে পড়াশোনায় ইতি টানতে হয়। এরপর নরেন্দ্র মোদী ভারত ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ঘরছাড়া হয়ে যায়।

মোদী উত্তর ভারতের ঋষিকেশ,হিমালয়,কেদারনাথ ইত্যাতি গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলি ভ্রমণ করেন। এইভাবে টানা ০২ বছর ভারত ভ্রমণে অতিবাহিত করার পর তিনি পুনরায় গুজরাতে ফিরে আসেন।

১৯৮৭ সালে নরেন্দ্র মোদী নতুন করে আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সেখান থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী হাসিল করেন। তারপর দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার ডিগ্রী পাস করেন।

আরো পড়ুন : আলফ্রারেড নোবেলের জীবনী। 

নরেন্দ্র মোদীর রাজনীতিতে হাতেখড়ি (Narendra Modi’s Starting Political Career)


কলেজের পড়া শেষ করে মোদী অখিল ভারতীয় ছাত্র পরিষদে সামিল হয়ে আহমেদাবাদে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক (RSS) এর একজন সক্রিয় সদস্য হিসাবে যোগদান করেন।

১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলে দেশজুড়ে এমার্জেন্সী ঘোষণা করা হলে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক দলটিকে সরকার নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেন।

তখন নরেন্দ্র মোদী RSS এর একজন স্বক্রিয় সদস্য হওয়ায় তাকে, পুলিশের চোখ থেকে আড়াল হওয়ার জন্য বেশ কিছুদিন গা ঢাকা দিতে হয়েছিল।

রাষ্ট্রীয় এমার্জেন্সীর সময় নরেন্দ্র মোদী তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন,তিনি টেমপ্লেট ছাপিয়ে  জনসম্মুখে বিলি করেন ।বিপক্ষ পার্টির প্রচার চালানোর মধ্যে দিয়ে

মোদী একজন দাবিদার সুদক্ষ সাংগঠনিক নের্তৃত্ব সুলভ সচেষ্ট কর্মীর পরিচয় দেন। এরপর নরেন্দ্র মোদী রাজনীতিতে সচেষ্ট কর্মী হিসাবে যোগদান করেন।

বিজেপি পার্টি থেকে তাকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবকের অন্যতম প্রচারকের দায়িত্বভার মোদীকে দিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৮৫ সাল থেকেই নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি পার্টিতে আসা নিয়ে জলঘোলা হওয়া শুরু হয়ে যায়।

তারপর ১৯৮৭ সালে নরেন্দ্র মোদী পাকাপাকি ভাবে বিজেপিতে যোগ দেয়। বিজেপি পার্টির পক্ষ থেকে তাকে প্রথমবার আহমেদাবাদ পৌরসভার

পৌরপতি নির্বাচনি প্রচারের দায়িত্বভার দেওয়া হয়। যার ফল স্বরুপ আহমেদাবাদ পৌরপতি নির্বাচনে বিজেপি পার্টি নরেন্দ্র মোদীর নের্তৃত্বে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয় লাভ করে।

নরেন্দ্র মোদীর রাজনৈতিক জীবন (Narendra Modi’s Political Career)


১৯৮৭ সালে নরেন্দ্র মোদী রাজনৈতিক জীবনে পদার্পন করেই বয়োজৈষ্ঠ তাবড় তাবড় নেতাদের পিছনে ফেলে তার বুদ্ধিদৃপ্ত কর্মসূচী ও রাজনৈতিক তেজস্ক্রিয়তা

দ্বারা অল্পদিনেই বিজেপি পার্টির উচ্চ শ্রেণীর নেতাদের পাসে জায়গা করে নেয়। মোদী ছোট,ছোট,ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিন্দুত্ববাদ এবং নিজিকরন (Privation) কে অগ্রতা দিয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং

মানুষের মন জয় করে নেয়। একই বছরই তাকে গুজরাত রাজ্যের বিজেপির পার্টির তরফ থেকে মহাসচিব পদের দায়িত্বভার তুলে দেওয়া হয়।

১৯৯০ সালে বিজেপি পার্টির তৎকালীন অধক্ষ লাল কৃষ্ণ আদবানি অযোধ্যা রথ যাত্রার সূচনা করলে বিজেপি পার্টির একজন সক্রিয় নেতা হিসাবে

নরেন্দ্র মোদী সেই রথযাত্রায় সচেষ্ট যোগদান করে বিজেপির রাজনৈতিক মঞ্চে মোদী তার জায়গা পাকা করে নেয়। ১৯৯৫ সালে গুরাতের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি,

নরেন্দ্র মোদীর অধ্যক্ষতায় প্রথমবার ১২১ টি আসনে জয়ী হয়ে গুজরাতে বিজেপি পার্টির সরকার গঠন করে। কিন্ত বিজেপি গুজরাতে ক্ষমতায় এলেও

তাদের এই জয় বেশিদিন দীর্ঘ্যস্থায়ী হয়না,১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজেপির সরকার ভেঙে যায়। ১৯৯৫ সালে বিজেপি পার্টির পক্ষ থেকে

হরিয়ানা এবং হিমাচল প্রদেশ দুটি রাজ্যের মোর্চা সামলানোর রাজনৈতিক দায়িত্বভার নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দেওয়া হয় এরপর তিনি দিল্লী চলে আসেন।

১৯৯৮ সালে বিজেপির অভন্তরীন মহলে রাজনৈতিক গোলযোগ তৈরী হলে,মোদী দলের মধ্যে আপোষী গোলযোগ মিটিয়ে নিয়ে বিজেপির নির্বাচনী প্রচার করে

বিজেপি পার্টির  সরকার গঠনের পথ প্রস্তুত করেন। এরপর নরেন্দ্র মোদী ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বিজেপি পার্টির রাষ্ট্রীয় অধ্যক্ষ পদের দায়িত্বভার সামলান।

আরো পড়ুন : কপিল শর্মার জীবনী। 

গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi As a Chief Minister of Gujarat)


২০০১ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহন করেন এবং গুজরাতের রাজকোটে তিনি ০২ টি আসনের মধ্যে ০১ টি আসনে জয় লাভ করেন।

নরেন্দ্র মোদী ২০০১ সালের ০৭ অক্টবর গুরাতের মুখ্যমন্ত্রী রূপে শপথ গ্রহণ করেন। এরপর থেকে আর বিজেপি পার্টিকে পিছু ফিরে তাকাতে হয়না।

নরেন্দ্র মোদীর জীবনী
নরেন্দ্র মোদীর জীবনী

নরেন্দ্র মোদীর নের্তৃত্বে বিজেপি পার্টি একের পর এক জিৎ হাসিল করতে থাকে। ২০০২ সালের ২৪ শে ফ্রেব্রুয়ারী নরেন্দ্র মোদী আরো একবার

রাজকোটে উপনির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী অশ্বিনী মেহেতাকে ১৪,০০০ ভোটে হারিয়ে গুজরাতের মাটিতে বিজেপি পদ্মফুল ফুটিয়ে দেয়।

২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিন চিট (2002 Gujarat riots)


নরেন্দ্র মোদীর জীবনীতে দেখতে পাওয়া যায় তার রাজনৈতিক জীবনে বেশ কিছু বিবাদিত বিষয় সামনে এসেছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সে সমস্ত বাধা ঝঞ্ঝাটের তোয়াক্কা না করে আগের দিকে এগিয়ে গেছেন।

নরেন্দ্র মোদী রাজকোটে উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার তিন দিন পরেই গুজরাটে হিন্দু মুসলমান সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়।

আসলে তখন বাররী মসজিদ ধ্বংস হওয়া নিয়ে হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে আন্তরিক দ্বন্দ্বের বিষ বাষ্প মানুষের মনে বাঁধ বাঁধছিল। মানুষের মনে বিষ বাষ্পের বাঁধ ভেঙে গেলে

গুজরাতের গোধরা স্টেশনের কাছে একটি হিন্দু তীর্থ্য যাত্রী বোঝাই ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়,যার ফল স্বরুপ ৫৮ টি নিরীহ প্রাণ শেষ হয়ে যায়।

এরপর গুজরাতের মধ্যে পরিস্থিতি ক্রমশঃ উতপ্ত হয়ে হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা পুরো গুজরাতে আগুনের ন্যায় ছড়িয়ে পড়ে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে প্রায় ২০০০ এর কাছাকাছি মানুষের প্রাণ চলে যায়।

সেইসময় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী,তাই হিন্দু মুসলমান গুজরাত দাঙ্গার শ্রেয় চড়ে যায় নরেন্দ্র মোদীর উপর। মোদীর উপর চারিদিক থেকে প্রেসার তৈরী করা হয়।

এরজন্য শেষ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদীকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়। ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গোধরা কান্ড এবং পুরো গুজরাত দাঙ্গা তদন্ত করার জন্য

এস.আই.টি. নামের একটি কমিটি তৈরী করা হয়। এই  এস.আই.টি. কমিটি পুরো ঘটনার তদন্ত করার পরে ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট ২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্টের কাছে পেস করা হয়।

সুপ্রিম কোর্ট এস.আই.টি. টিমের তদন্তের রিপোর্টে নরেন্দ্র মোদীর গুজরাত দাঙ্গার কোন যোগদান না থাকায় নরেন্দ্র মোদীকে গুজরাত দাঙ্গায় ক্লিন চিট দিয়ে দেয়।

আরো পড়ুন : সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনী। 

গুজরাটের দ্বিতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী রুপে নরেন্দ্র মোদী 


গুজরাত দাঙ্গায় ক্লিন চিট পাওয়ার পর আবার নতুন করে নরেন্দ্র মোদীকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী রুপে নিযুক্ত করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে মোদী গুজরাতের বিকাশ পুরুষ হিসাবে কাজ করা শুরু করে।

তিনি গুজরাতের সামগ্রিক বিকাশের জন্য রাজ্যে টেকনোলজি,ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ইত্যাদি নির্মাণ করেন। ২০০৭ সালে বাইব্রেন্ট গুজরাত শিখর সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদী

গুজরাতের স্বর্ণালী ভবিষ্যত নির্মাণের লখ্যে ৬,৬০০ আরব ডলার টাকা রিয়েল স্টেট বিনিয়োগ চুক্তির উপর সাক্ষর করেন।

একইভাবে গুজরাত রাজ্যের বিকাশের কান্ডারী রুপে নরেন্দ্র মোদী তার মুখ্যমন্ত্রী কার্যকালের ০৫ বছরের মেয়াদ গৌরবের সাথে ব্যাতিত করেন।

গুজরাটের তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী রুপে নরেন্দ্র মোদী


মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী রুপে তার পদ ও মর্যাদা দুইই ধরে রাখেন। ২০০৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদী আরো একবার জয় লাভ করে

তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন। তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর একজন মুখ্যমন্ত্রী রূপে প্রথমেই রাজ্যের আর্থিক উন্নয়নের উপর নজর দেন।

তার জন্য তিনি শিল্পাঙ্গনে বেসরকারি বিনিয়োগ,গুজরাতের কৃষকদের সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে কৃষি কাজের আধুনিকীকরণ,স্বল্প সুদে ঋণ দান ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেন।

তারপর থেকেই গুজরাতের কৃষি ক্ষেত্রে বিকাশে অভূতপূর্ব পরিবর্তন দেখা যায়,নরেন্দ্র মোদী গ্রামীণ এলাকায় কৃষি কার্যের জন্য বৈদুতিকরণের উপর নজর দেন।

২০১১-২০১২ সালের মধ্যে গুজরাতের কৃষি বিকাশদর অন্যান্য রাজ্য থেকে কয়েকগুন বৃদ্ধি পায় যা সমগ্র ভারতের কাছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসাবে সামনে উঠে আসে।

এছাড়া নরেন্দ্র মোদী তার রাজ্যে মানুষের মধ্যে হিন্দু মুসলমান ভর্তিত্ববোধ জাগিয়ে তোলার লখ্যে Good will Mission শুরু করেন এবং গুজরাতের মানুষের শান্তি কামনায় তিনি সবার সাথে উপবাসও রাখেন।

আরো পড়ুন : আইজ্যাক নিউটনের জীবনী। 

গুজরাতের চতুর্থ বার মুখ্যমন্ত্রী রুপে নরেন্দ্র মোদী


২০১২ সালে নরেন্দ্র মোদী আরো একবার,গুজরাতের চতুর্থ বার মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে জয়লাভ করে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন।

নরেন্দ্র মোদীর জীবনী
নরেন্দ্র মোদীর জীবনী

গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গুজরাতের বিকাশে নরেন্দ্র মোদীর নিঃস্বার্থ যোগদান গুজরাতের জনতা মোদীকে পরপর চারবার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসান।

একজন সক্ষম দূরদর্শী শাসক হিসাবে গুজরাতের আমজনতার কাছে নরেন্দ্র মোদী তার রাজনৈতিক ছবি তৈরী করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

গুজরাতের অর্থব্যবস্থার সামগ্রিক উন্নয়নের শ্রেয় মোদীজিকে দেওয়া হয়। নরেন্দ্র মোদীর পরিশ্রম,কর্মক্ষমতা  ও জনতার মাঝে জনপ্রিয়তা দেখে নরেন্দ্র মোদীকে বিজেপি পার্টির

তরফ থেকে অগ্রগণ্য প্রভাবশালী নেতা হিসাবে মান্যতা দেওয়া হয়। বিজেপির অভ্যন্তরীন মহলের নেতারা বুঝে যান নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে একজন ভবিষ্যৎ ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বীজ লুকিয়ে আছে।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা (Narendra Modi’s Role in General Election 2014)


গুজরাতে পরপর চারবার নির্বাচনে জয় লাভ করার পর নরেন্দ্র মোদীকে ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় অধ্যক্ষ পদে আসীন করা হয়।

এরপর নরেন্দ্র মোদীকে ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে দেখা যায়।

প্রধানমন্ত্রী রুপে বিজেপি পার্টির তরফ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নরেন্দ্র মোদীকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়।

যদিও সেইসময় বিজেপির অন্দরমহলে নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে খাড়া করাই লাল কৃষ্ণ আদবানি সহ,আরো অন্যান্য নেতাদের মধ্যে একটা অন্তঃকলহের সৃষ্টি হয়।

তবুও মোদীর জনপ্রিয়তা তাকে উত্তর প্রদেশের বেনারস এবং গুজরাতের বরোদা দুই জাগাতেই জয় হাসিল করিয়ে তার প্রধানমন্ত্রী পদের জায়গা তৈরী করে দেয়। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী প্রচারে

নরেন্দ্র মোদী পুরো দেশে ৪৩৭ টি র‍্যালি করেন। নির্বাচনী প্রচারের মাধ্যমে আমজনতার সামনে নরেন্দ্র মোদী সুইজ ব্যাঙ্ক থেকে ব্ল্যাক মানি দেশে ফিরিয়ে আনা,নতুন প্রজন্মের সামনে রোজগার,

নতুন নতুন লঘু শিল্প উদ্যোগের মত বিষয় গুলি তার ভোট প্রচারের ভাষণের শীর্ষে রেখেছিলেন। এরপর ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পার্টি পুরো ভারতে ঐতিহাসিক জিৎ হাসিল করে।

বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে ৫৩৪ টি আসনের মধ্যে ২৮২ টি আসন নিজেদের নামে করে নেয়। এরপরেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী রুপে নরেন্দ্র মোদী এক নতুন চেহারার সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী রুপে নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi As a Indian Prime Minister)


 প্রধানমন্ত্রী রুপে প্রথমবার 

২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে জয় লাভ করার পর ভারতের ১৪ তম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালের  ২৬ মে শপথ বাক্য পাঠ করেন।

নরেন্দ্র মোদীকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পেয়ে দেশের জনতা তার মধ্যে আসার নতুন কিরণ দেখতে শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদী

ভারতের অগ্রগতির জন্য বিদেশী শিল্প উদ্যোক্তাদের ভারতে,তাদের শিল্প বিনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানায়। নরেন্দ্র মোদী দেশে শিল্পের অগ্রগতির জন্য বহু নিয়ম বিধির সংশোধন করে

সময়উপযোগী ও শিথিল করে গড়ে তোলেন। এছাড়াও নরেন্দ্র মোদী দেশের চিকিৎসা পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য বেশ কিছু জনকল্যাণ মূলক কাজ করেছেন।

নরেন্দ্র মোদী প্রকৃতির রক্ষার জন্য বৃক্ষ রোপন,শিক্ষার উন্নয়নের জন্য নতুন শিক্ষা নীতি এবং হিন্দুত্ব রক্ষার জন্য বিভিন্ন কার্যকম চালিয়েছেন।

 প্রধানমন্ত্রী রুপে দ্বিতীয় বার 

২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে জয়লাভ করার পর নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁয়ে যায়। মোদী ম্যাজিকে  লোকসভা ভোটে রাজ্য ও কেন্দ্র স্তরের বিরোধী দল গুলোকে টপকে দিয়ে

৩০৩ আসনের সঙ্গে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে অভূতপূর্ব জয় বিরোধীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে আসে। ভারতীয় রাজনীতির ইতিহাসে নরেন্দ্র মোদীই ছিলেন একমাত্র রাজনেতা যিনি পরপর

দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে এতবড় বিজয় হাসিল করেন। আরো একবার ভারতীয় জনগণ ভারতীয় লোকতন্ত্রের অখণ্ডতা প্রমান করে দিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে

দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত করেন। এবারে মোদীর জনপ্রিয়তার ঢেউ দেশের গন্ডি পার করে বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

নরেন্দ্র মোদীর জীবনী
নরেন্দ্র মোদীর জীবনী

ভারতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ২০১৯ এর লোকসভা ভোট পুরো বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষনের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে দাঁড়ায় । নরেন্দ্র মোদীর প্রথম ০৫ বছরের কার্যকালে উন্নয়ন মূলক কাজ চারিদিকে প্রশংসা কুড়োচ্ছিল।

মোদীর কাজে দেশবাসী খুশি ছিল যার জন্যই দেশবাসী আরও একবার নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদের দায়ভার কাঁধে তুলে দিয়েছিল।

দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদীজি ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ বিজয় ভারত এর মত স্লোগান নিয়ে দেশের অগ্রগতির জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।

আরো পড়ুন : সুশান্ত সিং রাজপুতের জীবনী। 

নরেন্দ্র মোদী দ্বারা শুরু করা কিছু গুরত্বপূর্ন যোজনা (Narendra Modi Famous Schemes)


প্রধানমন্ত্রী রুপে নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সাল থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বহু গুরুত্বপূর্ণ যোজনা নিয়ে এসেছেন। নরেন্দ্র মোদীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ যোজনা নরেন্দ্র মোদীর জীবনীতে উজ্জ্বল হয়ে লেখা থাকবে –

০১. স্বচ্ছ ভারত মিশন- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বারা শুরু করা কিছু গুরুত্বপূর্ণ যোজনার মধ্যে স্বচ্ছ ভারত মিশন হল একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অভিযান,যে অভিযানের লখ্য হল

আমাদের ভারত দেশকে বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় উন্মুক্ত শৌচ কর্ম মুক্ত করে শৌচাগার বানিয়ে বদ্ধ ঘরে শৌচ কর্ম করে মা বোনেদের সম্মান রক্ষার সাথে সাথে স্বাস্থ্য উজ্জ্বল ভারত নির্মাণ করা।

০২. প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনা- জনধন যোজনার ব্যাংক খাতা খোলার মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের সমস্ত কৃষকদের ব্যাংক খাতার সঙ্গে যোগ করা।

এই যোজনায় মূলত জিরো ব্যালেন্সের বিনিময়ে কৃষকদের খাতা খুলে দেওয়া হয় যাতে বিভিন্ন সরকারি যোজনার লাভ সরাসরি কৃষক তার ব্যাংক খাতা মারফৎ পেতে পারে।

০৩. প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা- এই যোজনার মাধ্যমে গরিব মহিলাদের সম্মানের স্বার্থে, বিনা পয়সায় রান্নার জন্য এল.পি.জি. গ্যাস কানেকশন দেওয়া হয়।

০৪. প্রধানমন্ত্রী কৃষি সেচ যোজনা- এই যোজনার আওতায় কৃষকদের জমিতে সেচ কার্যের জন্য কৃষকরা  যাতে আধুনিক প্রযুক্তি ও সুবিধা পেয়ে থাকেন তার জন্য এই যোজনা শুরু করা হয়।

০৫. প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা- এই যোজনার আওতায় কৃষকরা তাদের ফসলের উপর বীমা পেয়ে থাকে। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ,

বন্যা,খরা পরিস্থিতিতে কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়,তাহলে কৃষকেরা ফসল বীমার মাধ্যমে তাদের নষ্ট হওয়া ফসলের দাম ফসল বীমার দ্বারা ফিরে পাবে।

০৬. প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা- প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনার উদ্দেশ্য হল দেশের যুবক যুবতীদের কারিগরী শিক্ষা প্রদান করে আত্মনির্ভর ভারত নির্মাণ করা।

০৭. মেক ইন ইন্ডিয়া- প্ৰধানমন্ত্ৰী সত্তাতে আসার পর অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ্য অভিযান চালিয়েছেন তার মধ্যে একটি হল মেক ইন্ডিয়া অভিযান।

মেক ইন্ডিয়া অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হল আমাদের দেশের স্বদেশী লঘু উদ্যোগ গুলোকে অগ্র যোগ্যতা প্রদান করে আমাদের দেশকে আত্ম নির্ভর করা।

০৮. সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা- এই যোজনার উদ্দেশ্য হল আমাদের দেশের বালিকা বিকাশের লখ্যে বালিকাদের সামগ্রিক অগ্রগতিতে আর্থিক স্বচ্ছলতায় সরকারি যোগদান দেওয়া।

০৯. প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা- এই যোজনার আওতায় সরকারের মূল লখ্য হল আমাদের দেশের গরীব থেকে গরীব মানুষ গুলোকে কিস্তির মাধ্যমে সরকারী সাবসিটি দ্বারা তাদের নিজের ঘর করে দেওয়া।

১০. ডিজিটাল ইন্ডিয়া পোগ্রাম- ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া পোগ্রামের মূল উদ্দেশ্য হল টেকনোলজির দৌলতে দেশের অৰ্থব্যবস্থাকে পেপার লেশ ভাবে ডিজিটালাইজ করা।

এইভাবে মোদী তার শাসনকালে মানব কল্যানে বিভিন্ন ধরণের মহত্বপূর্ন্য যোজনা এবং অভিযান,যেমন- বেটি বাঁচাও,বেটি পড়াও,সর্ব শিক্ষা মিশন,স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া ইত্যাদি আমাদের দেশকে অগ্রসর হতে সাহায্য করেছে।

আরো পড়ুন : স্টিফেন হকিং এর জীবনী।

দেশের কল্যানে নরেন্দ্র মোদী দ্বারা করা কিছু গুরুত্বপূর্ন্য কাজ


গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি বেশ কতগুলি গুরুত্বপূর্ন্য কাজ করেছেন। নরেন্দ্র মোদীর জীবনীতে মোদী দ্বারা করা কিছু মহাত্মাকাঙ্খী কাজের উল্লেখ করা হল-

০১. ভূমিজল সংরক্ষণ প্রজেক্ট- গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন মোদী ভুমিজল সংরক্ষণ যোজনাকে সমর্থন করেন। ভুমিজল সংরক্ষণ যোজনা গুজরাতের কৃষকদের

কার্পাস উৎপাদনের কাজে সহায়তা প্রদান করে,এই যোজনার আওতায় গুজরাতের কৃষকরা বৃষ্টির জল সংরক্ষণের মাধ্যমে খুব সহজেই তাদের খেতে সেচ কার্য চালিয়ে কার্পাস উৎপাদন করে লাভবান হয়।

০২. নোটবন্দি- নরেন্দ্র মোদী তার প্রধানমন্ত্রী কার্যকালে নোটবন্দি-র মত কিছু অতি গুরুত্বপূর্ন্য নির্ণয় নেন। নোটবন্দির মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদী ৫০০ এবং ১০০০ টাকার

পুরুনো নোট বন্ধ করে দেয়। আর তার জায়গায় ২০০০ এবং ৫০০ টাকার নতুন নোট নিয়ে আসেন। নোটবন্দি নরেন্দ্র মোদী সরকারের একটি ঐতিহাসিক নির্ণয় ছিল।

০৩. জি.এস.টি- নরেন্দ্র মোদী নোটবন্দি করার বছর ঘুরতে না ঘুরতেই মোদী সরকার দ্বারা যত রকমের ট্যাক্স উসুল করা হত,সেই সমস্ত ট্যাক্সকে একসাথে সম্মিলিত করে সারা দেশে গুডস সার্ভিস ট্যাক্স লাগু করে দেন।

০৪. সার্জিক্যাল স্ট্রাইক- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৬ সালে উড়ি হামলার বদলা হামলা হিসাবে পাকিস্তানের ভিতরে ঢুঁকে জঙ্গি ঘাঁটি গুলোতে ভারতীয় সেনা দ্বারা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয়।

০৫. এয়ার স্ট্রাইক- এরপর ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারী মাসের জম্মু ও কাশ্মীরে সি.আর.পি.এফ. এর উপর হওয়া পুলওয়ামা এট্যাকের পর,ভারতীয় বায়ু সেনা দ্বারা পাকিস্তানের বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক করা হয়।

উপরে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ন্য নির্ণয় গুলো ছাড়াও তিনি ন্যাশনাল যোগ দিবস এর সূচনা করেন,গুজরাতে স্ট্যাচু অফ লিব্রিটি এবং দিল্লীর ইন্ডিয়া গেটে অখিল ভারতীয় যুদ্ধ স্মারক তার শাসনকালে নির্মাণ করা হয়।

এছাড়াও মোদীজি বিদেশী বিনিয়োগ হিসাবে ভারতের মাটিতে গুজরাতের আমহাদেবাদ থেকে মহারাষ্ট্রের বোম্বে পর্যন্ত জাপানি বিনিয়গে বুলেট ট্রেন চালু করার মত গুরুত্বপূর্ন্য প্রজেক্ট ভারতে নিয়ে আসেন।

আরো পড়ুন : ভারতের RAW এজেন্ট অজিত ডোভালের জীবনী। 

নরেন্দ্র মোদীর প্রাপ্ত কিছু পুরুস্কার এবং উপলব্ধি (Narendra Modi’s Awards and Achievments )


নরেন্দ্র মোদীর জীবনীতে উঁকি মারলে দেখতে পাওয়া যায় নরেন্দ্র মোদী তার জীবনে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক পুরুস্কার এবং উপলব্ধি অর্জন করেছেন-

২০০৭ সালে ইংরেজী দৈনিক ইন্ডিয়া টুডে মেগাজিন দ্বারা নরেন্দ্র মোদীকে দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রীর খেতাব দেওয়া হয়।

নরেন্দ্র মোদীর জীবনী
নরেন্দ্র মোদীর জীবনী

২০০৯ সালে এশিয়ান বিজেতা হিসাবে মোদীকে এফডি মেগাজিন দ্বারা এফডিআই পার্সোনালিটি অফ দ্য ইয়ার পুরুস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়।

২০১৪ সালে ফোর্স ম্যাগজিন দ্বারা পৃথিবীর সবথেকে শক্তিশালী নেতাদের সূচিতে পৃথিবীর ১৫ তম শক্তিশালী ব্যক্তি হিসাবে নরেন্দ্র মোদীর নাম ছাপা হয়।

২০১৫ সালে  ব্লুম্বার্গ মার্কেট ম্যাগজিন দ্বারা মোদীর নাম বিশ্বের ১৩ তম প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের সূচিতে যোগকরা হয়েছিল এবং টাইম ম্যাগজিন দ্বারা প্রকাশিত তালিকায়

নরেন্দ্র মোদীকে ইন্টারনেটের সূচিতে টুইটার এবং ফেসবুকে ৩০ জন  বিশ্বের প্রভাবশালী লোকেদের মধ্যে দ্বিতীয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলো করা রাজনেতা হিসাবে নাম দাখিল হয়েছিল।

২০১৬ সালের এপ্রিল মাসের ০৩ তারিখে নরেন্দ্র মোদীকে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান অব্দুলাজিজ-অল- সউদ দ্বারা দেওয়া হয় এবং একই বছর আফগানিস্তান

দ্বারা জুন মাসের ০৪ তারিখে আফগানিস্থানের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান গাজি আমির অমানুল্লাহ খান দ্বারা দেওয়া হয়।

২০১৪,২০১৫ এবং ২০১৭ সালে টাইমস ম্যাগাজিনে নরেন্দ্র মোদীর নাম দুনিয়ার প্রভাবশালী ১০০ শীর্ষ নেতাদের সূচিতে যোগকরা হয়েছিল।

২০১৫,২০১৬ এবং ২০১৮ সালে ফোর্স ম্যাগজিন দ্বারা পৃথিবীর তাবড় তাবড় নেতাদের সূচিতে ০৯ নম্বরে নরেন্দ মোদীর নাম অ্যাড করা হয়।

২০১৮ সালের ২৭ শে সেপ্টেম্বর ইউনাটেড নেশন দ্বারা সর্বোচ্চ পরিবেশ রক্ষণ সম্মান,চ্যাম্পিয়ন্স অফ আর্থ পুরুস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়।

২০১৮ সালের ২৪ শে অক্টবর আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং বৈশ্বিকভাবে আর্থিক বিকাশকে অগ্রসর করার জন্য নরেন্দ্র মোদীকে ২০১৯ সালের ২২ শে ফেব্রুয়ারী সিঅল শান্তি পুরুস্কার দেওয়া হয়।

নরেন্দ্র মোদীর সিঅল শান্তি পুরুস্কার লাভ করার পর নরেন্দ্র মোদীর নাম বিশ্বের সবথেকে বড় স্বাস্থ্য পরিষেবা আয়ুষ্মান ভারত শুরু করার জন্য শান্তিতে নোবেল পুরুস্কার দেওয়ার জন্য নামাঙ্কিত করা হয়।

নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রীর দৌড় থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী হওয়া পর্যন্ত বহু পুরুস্কার এবং উপলব্ধি অর্জন করেছেন এবং ভবিষ্যতে নরেন্দ্র

মোদীর জীবনী অধ্যয়ন করলে হয়ত দেখতে পাবেন তিনি ভবিষ্যতে হয়তো আরো নতুন নতুন উপলব্ধি এবং পুরুস্কার অর্জন করেছেন।

নরেন্দ্র মোদীকে ঘিরে কিছু বাদ ও বিবাদ (Narendra Modi in Controversy)


২০০২ সালের গুজরাতে হওয়া হিন্দু ও মুসলমান দাঙ্গা নরেন্দ্র মোদীর জীবনের সৎবথেকে বড় সমালোচনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। বিরোধী দলের আরোপ ছিল দাঙ্গার জন্য নরেন্দ্র মোদী দায়ী ছিল।

এমনকি গুজরাত দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীর নাম যুক্ত থাকায় আমেরিকা দ্বারা নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকার ভিসা বাতিল পর্যন্ত করা হয়।

মোদী বিরোধীদের একাংশ মনে করেন ইসরাত জাহাঁ ফেক ইনকাউন্টার কেসে নরেন্দ্র মোদী পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন বলে মনে করা হয়।

নরেন্দ্র মোদীর বৈবাহিক জীবন,তিনি এবং তার পত্নী যশোদা বোন কে নিয়েও বিরোধীদের মনে নানা প্রশ্ন দানা বাঁধতে দেখা যায়।

২০১৫ সালে মোদীর সমালোচকদের দ্বারা নরেন্দ্র মোদীর ১০ লক্ষ টাকার সুট পড়া নিয়ে তাকে ট্রোল হতে হয়। আসলে তার এই দামি সুটটিতে তার নাম লেখা ছিল।

করোনা মহামারীতে নরেন্দ্র মোদীর কিছু গুরুত্বপূর্ন্য কাজ


২০২০ সালে করোনা মহামারী অন্যন্য দেশের সাথে সাথে আমাদের দেশেও থাবা বসায়। করোনা মহামারী মোকাবিলায় একজন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদী বেশ কিছু গুরুত্বপূন্য কাজ করেছেন।

দেশ জুড়ে করোনার বার বাড়ন্তে লাগাম কষার জন্য সময় ও পরিস্থিতি কে দেখে ২০২০ সালের মার্চ মাসে সারা দেশ জুড়ে লক ডাউন ঘোষণা করেন।

দেশের নাগরিকদের করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য,করোনা ভাইরাসের শৃঙ্খল ভাঙার জন্য জনতাকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং বাড়িতে হোম আইসোলেট হয়ে থাকার পরামর্শ দেন।

এছাড়াও তিনি স্বাস্থ্য কর্মী এবং পুলিশ কর্মীদের মনোবল বাড়ানোর জন্য মানুষকে থালা বাজিয়ে,ঘন্টা বাজিয়ে,শঙ্খ ধ্বনী দিয়ে করোনা যোদ্ধাদের মনোবল বাড়ানোর জন্য বলেন।

পুরো ভারত জুড়ে ০২ মাসের সম্পূর্ণ রূপে লক ডাউন রাখার পর,ধীরে ধীরে পরিস্থিতি অনুযায়ী এলাকা বিশেষে লক ডাউন শিথিল করা হয়।

নরেন্দ্র মোদীর জীবনী
নরেন্দ্র মোদীর জীবনী

এই দীর্ঘ্য লক ডাউনে গরীব মানুষদের অনেক পীড়ার স্বীকার হতে হয়। গরিবদের সাহায্যার্থে অনেক স্বেচ্ছা সেবী মানুষ তাদের সাধ্যমত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।

করোনা পরিস্থিতি দেখে দেশের জিডিপির কথা চিন্তা করে আইটি সেক্টর ছাড়াও যে সমস্ত কর্ম অনলাইন মারফত করা যায় সেই সমস্ত কাজ গুলোর জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোম করার জন্য বলেন।

একতরফা যখন পুরো দেশ সহ সমগ্র বিশ্ব করোনার ত্রাসে ত্রাহিমাম রবে চেঁচাচ্ছিল তখন নরেন্দ্র মোদী করোনা মহামারী মোকাবিলায় প্রতিবেশী বন্ধু দেশ গুলোর সঙ্গে

তালমিল বজায় রেখে আমেরিকা থেকে করোনা ভ্যাকসিন এর পেটেন্ট হিসাবে কোভিশিল্ড কে আমাদের নিজেদের দেশ ভারতবর্ষে উৎপাদন করার জন্য ফার্মা কোম্পানি গুলোকে সমর্থন দেন।

বর্তমানে ভারতে ভারতে কোভাক্সিন এবং কোভিশিল্ড এই ০২ ধরনের ভ্যাকসিন সবথেকে বেশি উপলব্ধ রয়েছে। ২০২১ সালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ করোনার প্রথম ঢেউ এর থেকে বেশি মারাত্মক হয়ে সামনে এসেছে।

করোনা মহামারীর বাড়ন্ত সংক্রমণ দেখে ভারতে দ্রুত ভ্যাক্সিনেশন পক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছে। সরকারের বিশ্বাস ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ভারতে করোনা ভ্যাকসিনের পক্রিয়া শেষ করা যাবে।

আরো পড়ুন : রিপালিক টিভি এঙ্কর অর্ণব গোস্বামীর জীবনী। 

নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ন্য খবর একনজরে (Narendra Modi latest News)


ভারতে করোনা ভাইরাসের নতুন ঢেউয়ে ভারতে করোনা সংক্রমণের মাত্রা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। করোনার  বাড়ন্ত এই দ্বিতীয় ঢেউ এর জন্য অনেকেই নরেন্দ্র মোদীকেই দায়ী হিসাবে ধরছেন।

কারণ জনগণের এক অংশের দাবি ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসবে জেনেও নরেন্দ্র মোদী সরকার আগে থেকে উপযুক্ত কোনো পদক্ষেপ বা পরিকল্পনা নেয় নি।

তাই এই বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় মোদীর সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে অনেক ফ্যান ফলোয়ার কম হতে দেখা গিয়েছে।

অপরদিকে নরেন্দ্র মোদী ভারতে ভ্যাক্সিনেনেশনের পক্রিয়াকে দ্রুত করার সাথে সাথে ভারতের ডি.আর.ডি.ও.দ্বারা করোনার ঔষধ প্রস্তুতকে সমর্থন দিয়েছেন।

আর এর সাথে সাথে সমগ্র বিশ্বের মধ্যে ভারত একমাত্র দেশ হয়ে যাবে যে দেশ করোনার ঔষধ প্রস্তুতের দাবিদার হবে। সোশ্যাল মাধ্যমে জনতার সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে মোদী

সোশ্যাল মিডিয়ায় বাড়ন্ত অপরাধের উপর লাগাম কষার জন্য দেশের জনগণের ডেটা এবং সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে শতাধিক চাইনিজ এপ্লিকেশকে ইন্ডিয়া থেকে ব্যান্ড করে দিয়েছেন।

বর্তমানে জন সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে ফেসবুক,টুইটার এবং ইন্সট্রাগ্রামের মত জনপ্রিয় সোশ্যাল প্লাটফ্রম গুলোকে সরকার,মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নতুন বিধি নির্দেশ মেনে চলার আদেশ দিয়েছেন।

নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত কিছু পছন্দ ও অপছন্দ


নরেন্দ্র মোদীর নিরামিষ ভোজী না আমিষ ভোজীনিরামিষ ভোজী
পছন্দনিয়মিত সাহিত্য চর্চা এবং যোগঅভ্যাস
পছন্দের রাজনেতানেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস,অটল বিহারী বাজপায় এবং শ্যামা প্রসাদ মুখার্জী।
আদর্শ ব্যক্তিত্বমহাত্মা গান্ধী এবং স্বামী বিবেকানন্দ
নরেন্দ্র মোদীর জীবনী

নরেন্দ্র মোদীর লেখা বই (Narendra Modi’s Books)


নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে লেখা কিছু বই লেখক নরেন্দ্র মোদীর নিজের লেখা বই 
নরেন্দ্র মোদী এ পলিটিক্যাল বায়োগ্রাফিএন্ডি মরিনোএ ওয়ার্ড অফ লাভ
সেন্টারস্টেজ : ইন সাইড দ্য নরেন্দ্র মোদী মডেল অফ গভর্নরউদয় মহুরকরজৌতিপুঞ্জ
দ্য নমঃ স্টোরি : এ পলিটিক্যাল লাইফকিংশুক নাগপ্রেম তীর্থ
নরেন্দ্র মোদী: দ্য গেম চেঞ্জারসুদেশ বর্মাসাক্ষীভাব
নরেন্দ্র মোদীর জীবনী

নরেন্দ্র মোদীর বাণী (Narendra Modi Quotes)


দৃষ্টান্ত মূলক নরেন্দ্র মোদীর বাণী গুলো নরেন্দ্র মোদীর জীবনীতে সবার কাছে হয়ত অমর হয়ে থেকে যাবে –

  • মনের মধ্যে চলতে থাকা সংকল্পের দৃঢ় ইচ্ছায় মানুষকে তার জীবনে অগ্রগতির দিকে অগ্রসর করে।
  • প্রতিটি মানুষের মধ্যে ভালো ও মন্দ দুটো গুণ থাকে। কিন্তু যারা তাদের ভালো গুণ গুলোকে কাজে লাগায় তারাই জীবনে সফল হয়।
  • বন্দুকের নলা দিয়ে মাটিতে রক্তের লাল বন্যা বয়িয়ে দেওয়া যায় ঠিকই,কিন্তু আপনার কাছে যদি একটা লাঙ্গল থাকে সেই লাঙ্গল দিয়ে আপনি পৃথিবীকে সবুজের বন্যা বইয়ে দিতে পারেন।
  • সব মানুষই স্বপ্ন দেখে,কিন্তু সবার মধ্যে স্বপ্নকে সংকল্প হিসাবে বদলে দেওয়ার মত ক্ষমতা থাকেনা। তাই মানুষকে কখনো তার স্বপ্নকে দমিয়ে রাখা উচিত নয়।
  • ভারত একটি প্রগতি শীল নব যুবক ও যুবতীদের দেশ। আমাদের দেশের এত সংখ্যক তরুণ প্রজন্ম অনায়াসে পুরো পৃথিবীকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

FAQ


প্রশ্ন:- নরেন্দ্র মোদী ভারতের কততম প্রধানমন্ত্রী ?

উঃ- নরেন্দ্র মোদী ভারতের ১৪ তম প্রধানমন্ত্রী।

প্রশ্ন:- জ্যোতিপুঞ্জ নরেন্দ্র মোদী আসলে কি ?

উঃ- জ্যোতিপুঞ্জ হল নরেন্দ্র মোদীর লেখা একটি বইয়ের নাম।

প্রশ্ন:- নরেন্দ্র মোদীর জন্ম তারিখ কত ?

উঃ- নরেন্দ্র মোদীর জন্ম তারিখ হল ১৭ ই,সেপ্টেম্বর ১৯৫০ সাল।

প্রশ্ন :- নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা কত ?

উঃ – নরেন্দ্র মোদী রাষ্ট্র বিজ্ঞানে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার ডিগ্রি করেছেন।

প্রশ্ন :- নরেন্দ্র মোদীর সন্তান কত গুলো ?

উঃ- যদিও নরেন্দ্র মোদী একজন বিবাহিত পুরুষ কিন্তু তার কোনো সন্তান নাই।

প্রশ্ন :- নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রীর নাম কি ?

উঃ- নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রীর নাম যশোদা বোন।

প্রশ্ন:- নরেন্দ্র মোদীর বাবার নাম কি ?

উঃ- নরেন্দ্র মোদীর বাবা হলেন স্বর্গীয় শ্রী দামোদর দাস মূল চন্দ্র মোদী।

প্রশ্ন:- নরেন্দ্র মোদীর পুরো নাম কি ?

উঃ- নরেন্দ্র মোদীর পুরো নাম নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী।

4/5 - (2 votes)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here