মেয়েদের গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায় (Gopon Onger lojjasthaner kalo dag dur korar upay)

গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায় খোঁজার দৌড়ে, মেয়েদের গোপন অঙ্গের কালো দাগ হওয়ার সাথে সাথে মহিলাদের লজ্জাস্থানের দুর্গন্ধ, মহিলাদের বগলের দুর্গন্ধ, মুখের দুর্গন্ধ হওয়া বেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা।

তবে এসব ক্ষেত্রে মেয়েদের গোপন অঙ্গের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায় হিসাবে খুব কার্যকরী ও ফলদায়ক হয়।

বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে গোপন অঙ্গের কালো দাগ কেন হয় তার কারণ খুঁজলে অতিরিক্ত দূষণ,নোংরা ধুলো বালি, ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে মেয়েদের হরমোনের তারতম্যকে মনে করা হয়।

তবে হরমোনের প্রভাবেকেই মহিলাদের শারীরিক তথা গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের পরিবর্তনের মুখ্য এবং গৌণ কারণ হিসাবে ধরা হয়। এমন অনেক মহিলা আছেন যারা গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায়

খুঁজতে গিয়ে গোপন অঙ্গের কালো দাগ দূর করার ক্রিম হিসাবে বিভিন্ন কসমেটিক্স প্রোডাক্ট যৌনিতে ব্যবহার করেন। কিন্তু আপনারা অবাঞ্ছিত গোপন অঙ্গের কালো দাগ দূর করার ক্রিম ব্যবহার না করে,

গোপনাঙ্গ সুন্দর করার উপায় স্বরূপ গোপন অঙ্গের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করে দেখতে পারেন। আপনারা চাইলে ঘরোয়া উপায়ে গোপনাঙ্গ সুন্দর করার উপায় নিজে নিজেরাই করতে পারেন।

এই আর্টিকেলে আমরা মেয়েদের গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায় হিসাবে গোপন অঙ্গের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করব।

Table of Contents

গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ আসলে কি ?

কতগুলো ছোট ছোট সংবেদনশীল মানব অঙ্গ সমূহের মাংসপেশির গোলাকার ফানেল বিশেষ একত্রিত সমারোহকে একসঙ্গে যৌনি বলা হয়। মহিলাদের গর্ভাশয়ের নিচে অবস্থিত যৌনির

মুখ্য কাজ হল মূত্রাশয় থেকে মূত্র নিষ্কাশন করা এবং বাচ্চা প্রসবের সময়, যৌনি পথ দিয়ে বাচ্চা বাইরে বার করে নিয়ে আসা। এছাড়াও সঙ্গমের সময় পুরুষ যৌনাঙ্গ, যৌনিপথ দিয়েই গর্ভাশয়ের দ্বার পর্যন্ত যায়।

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের গায়ের রঙের তুলনায় যৌনির চামড়ার রং আভা গোলাপি রঙের হয়, কিন্তু নারী যৌনির বাইরের অংশের রঙ শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় গাঢ় কালো রঙের হয়।

আপনি কি আপনার গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায় খুঁজছেন ? তাহলে হয়তো এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যে অনেক সহায়ক হতে পারে।

মহিলাদের কাছে তাদের শরীরের অন্যান্য অঙ্গের তুলনায়, যৌনি সংবেদনশীল এবং অত্যন্ত কোমল ও কালো রঙের হয়। তাই মহিলাদের কাছে তাদের লজ্জাস্থানের গোপন অঙ্গের কালো দাগ হয়ে যাওয়া একটি উৎকট সমস্যা।

গোপন অঙ্গের কালো দাগ দূর করার উপায়ে হিসাবে অনেক মেয়েরা তাদের গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায় হিসাবে,গোপন অঙ্গের কালো দাগ দূর করার ক্রিম ব্যবহার করে।

কিন্তু মহিলারা তাদের গোপনাঙ্গ সুন্দর করার উপায় করতে গিয়ে, গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের রঙ, আরো গাঢ় কালো করে ফেলে। মেয়েদের গোপন অঙ্গে কালো দাগ হওয়ার কারণ-

গোপনাঙ্গের আশপাশের এলাকার লোম হটানোর ক্রিম,চর্ম রোগ,ভিটামিনের অভাব,মোটা হয়ে যাওয়ার ফলে মহিলাদের শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়া এবং অবাঞ্ছিত টাইট আন্ডারওয়ার (প্যান্টি ) হতে পারে।

আসুন তাহলে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে গোপন অঙ্গের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় হিসাবে আমরা গোপনাঙ্গ সুন্দর করার উপায় গুলো জেনে নিই।

গোপন অঙ্গের কালো দাগ কেন হয় (Gopon Onger Kalo Dag Hoy Keno )

দেখুন মেয়েদের গোপন অঙ্গে কালো দাগ কেন হয় ? এটা সব মেয়েদের কাছেই একটি গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা বলতে পারেন। তবে মেয়েদের লজ্জাস্থানে কালো দাগ হওয়ার কারণ হিসাবে

মহিলাদের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মহিলাদের গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের রঙ কালো হয়ে যায়। এছাড়াও মেয়েদের গোপন অঙ্গের কালো দাগ আরো অন্যান্য কতগুলো কারণের জন্যেও হতে পারে।

০১. বয়স বাড়ার সাথে সাথে মহিলাদের শরীরে হরমোনের তারতম্য ঘটে, তাই ডাক্তারবাবুদের মতে নারীদের শরীরে হওয়া হরমোনাল ডিসব্যালেন্স গোপন অঙ্গে কালো দাগ হওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।

০২. কিছু কিছু মহিলার জিনগত বৈশিষ্টের জন্যেও লজ্জাস্থানে কালো দাগ দেখতে পাওয়া যায়।

০৩. মেয়েদের প্রতিমাসে মাসিক ধর্মের সময় যথেষ্ট পরিমানে রক্ত ক্ষরণ হয়। সেক্ষেত্রে মহিলাদের শরীরে ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতির কারণে গোপন অঙ্গে কালো দাগ হয়ে যেতে পারে।

০৪. অনেক মহিলারা গোপনাঙ্গের অবাঞ্ছিত লোম হটানোর জন্য হেয়ার রিমুভাল ক্রিম ব্যবহার করেন। আর প্রতিটি হেয়ার রিমুভাল ক্রিমে,এমোনিয়া,স্পিরিটের মত রাসায়নিক যৌগ মেলানো থাকে,যা গোপন অঙ্গের রং কালো করে দেয়।

০৫. মেয়েদের ওজন বৃদ্ধির কারণে শরীরে চামড়া স্ফীত হয় যা মহিলাদের গোপন অঙ্গে কালো দাগের সৃষ্টি করে।

০৬. মানুষ অসুখে পড়ে নানান ধরণের ওষুধ খায়, অনেক সময় ওষুধের পার্শ্বপতিক্রিয়ার কারণে মহিলাদের লজ্জাস্থানে কালো দাগ হয়ে যায়।

গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায়

আপনি আপনার লজ্জাস্থানে কালো দাগ দূর করে, একবারে গোপনাঙ্গ সুন্দর করার উপায় খুঁজছেন এবং আপনি আপনার লজ্জাস্থানকে দুধ সাদা ফর্সা করতে চান ?

তাহলে এখন আপনাদের সাথে গোপনাঙ্গ সুন্দর করার উপায় স্বরূপ গোপন অঙ্গের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় হিসাবে কতগুলো টিপস শেয়ার করব।

আধুনিক সমাজের সমস্ত মহিলারাই চায় তাদের লজ্জাস্থান প্রাকৃতিক উপায়ে সুন্দর,কোমল ও ফর্সা থাকুক তাই সব মেয়েরা গোপন অঙ্গের কালো দাগ, ঘরোয়া উপায়েই দূর করতে চায়।

গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায়
গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায়

গোপন অঙ্গের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

এখন আমরা প্রাকৃতিক উপায়ে গোপনাঙ্গ সুন্দর করার উপায় হিসাবে, গোপন অঙ্গের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় বা টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

আপনারা আমাদের আর্টিকেলে বর্ণিত প্রাকৃতিকভাবে গোপনাঙ্গ সুন্দর করার উপায় গুলো অবলম্বন করে দেখতে পারেন, হয়ত আপনাদের জন্যে সহায়ক হতে পারে।

পাতিলেবু ও গোলাপ জল দিয়ে লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায়

আপনারা জানেন পাতিলেবুতে ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক এসিড থাকে,তাই পাতিলেবুর রস নিচড়ে নিয়ে গোপনাঙ্গের আশেপাশের কালো চামড়ার উপর লাগালে, লেবুর রস যৌনির কালো দাগ দূর করতে সহায়তা করে।

এছাড়াও পাতিলেবুর রসের সাথে গোলাপের শুকনো পাপড়ি এবং গ্লিসারিন মিক্স করে গোপনাঙ্গের চামড়ার উপর লাগালে লজ্জাস্থানের ত্বক নরম ও মুলায়ম হয়।

পুরো রেসিপি তৈরি করার জন্যে ১/২ চামচ লেবুর রস,০১ চামচ গোলাপ জল এবং ০১ চামচ গ্লিসারিন এর দরকার পড়বে। এইসব উপাদান গুলো আপনাদের বাড়িতেই উপলব্ধ থাকবে বলে আমার মনে হয়।

রেসিপি বানানোর জন্যে আপনাকে একটি বাটিতে গোলাপ জল এবং গ্লিসারিনটাকে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি তৈরি হয়ে গেলে তার মধ্যে লেবুর রস মিলিয়ে দিতে হবে।

এরপর আপনার লজ্জাস্থানটি ভালোভাবে পরিষ্কার অথাৎ লোমহীন করে নেওয়ার পর তুলোর বল দিয়ে লেবু,গোলাপ জল এবং গ্লিসারিনের মিশ্রনে তৈরী করা রেসিপিটা,

আপনার লজ্জাস্থানের সংক্রামিত কালো অংশে প্রলেপ হিসাবে ভালোভাবে লাগান। প্রলেপ লাগানো হয়ে যাওয়ার পর পুরো ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এইভাবে আপনাকে প্রতিদিন অন্তত ০২ বার, অন্তত ২০ থেকে ২৫ দিন লাগাতে হবে, তাহলে দেখতে পাবেন আপনার লজ্জাস্থানে হওয়া কালো দাগ গুলো ধীরে ধীরে ফিকে পড়ে যাচ্ছে।

লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করতে কমলার রস,দুধ ও মধুর ভূমিকা

কমলা লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে যা Hyperpigmentation এর চিকিৎসায় সাহায্য করে। দুধ এবং মধুর সঙ্গে কমলা লেবুর রস মিশিয়ে নিয়ে লজ্জাস্থানের উপরের ত্বকে লাগালে গোপন অঙ্গের কালো দাগ দূর হয়ে যায়।

দুধের মধ্যে থাকা ল্যাকটিক এসিড যৌনির উপরের ত্বকের কালো দাগের টোন হালকা করে গোপনাঙ্গের কালো দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।

এছাড়া দুধের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক গুণাবলী আমাদের শরীরের জ্বরাকৃস্ট মৃত কোষ গুলোর জায়গায় নতুন কোষ সৃষ্টি করতে সহায়তা করে। গোপনাঙ্গের কালো দাগ দূর করার জন্যে

আপনাকে ০২-০৩ চামচ কমলালেবুর রসের সঙ্গে ০১ বড় চামচ দুধ এবং ০১ বড় চামচ মধুর দরকার হবে। আপনি এইসমস্ত উপাদান গুলো আপনাদের বাড়িতেই জোগাড় করে নিতে পারবেন।

সবার প্রথমে আপনাকে একটি বাটির মধ্যে কমলা লেবুর রস এবং দুধ মিক্স করে নিতে হবে। তারপর আপনাকে সেই দুটো মিশ্রনের মধ্যে ০১ বড় চামচ মধু ঘুলে নিতে হবে।

মিশ্রনটি তৈরি হয়ে গেলে আপনাকে আপনার গোপনাঙ্গের কালো দাগ হওয়া জায়গা গুলোতে প্রলেপটি ভালো ভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট মালিশ করে লাগাতে হবে। প্রলেপ লাগানো হয়ে যাওয়ার পর

১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করে, ঠান্ডা জল দিয়ে পুরো প্রলেপটি ধুয়ে নিতে হবে। এইভাবে লাগাতার ১০ থেকে ১৫ দিন, দিনে অন্তত দুবার প্রলেপটি লাগালে খুব তাড়াতাড়ি আপনার যৌনির কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।

এলোভেরার উপয়োগ করে গোপনাঙ্গের কালো দাগ দূর করা যায়

আপনি আপনার লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করতে চান তাহলে এলোভেরা এবং হলুদের মলম তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। এলোভেরার মধ্যে থাকা আয়ুর্বেদিক উপাদান প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের কালো রঙ দূর করতে সহায়তা করে।

এলোভেরা ও হলুদের মলম তৈরি করার জন্যে আপনাকে একটি বাটিতে এলোভেরা কেটে এলোভেরার জেল বার করে নিয়ে, তাতে পরিমান মত কাঁচা হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে হবে।

এলোভেরা ও হলুদের মলম তৈরি হয়ে গেলে আপনাকে আপনাদের গোপনাঙ্গের আশপাশের কালো দাগ হওয়া ত্বকের উপর মলমটি লাগাতে হবে। মলম লাগানোর ৩০ মিনিট পরে,আপনাকে জায়গাটা ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

তাড়াতাড়ি উত্তম ফল পাওয়ার জন্যে আপনাকে অন্তত ১৫ দিন, দিনে ০২ থেকে ০৩ বার এলোভেরা ও হলুদের তৈরি ঘরোয়া মলমটি লাগাতে হবে।

কাঁচা ডিমের ঘোল দিয়ে লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায়

গোপনাঙ্গের কালো দাগ দূর করার জন্যে মহিলারা কাঁচা ডিম নিয়ে, ডিমের কুসুমটিকে বাদ দিয়ে সাদা অংশটুকু ব্যবহার করতে পারে। তার জন্যে আপনাকে একটি কাঁচা ডিম নিয়ে, একটি বাটিতে

ডিম টাকে ভেঙে নিয়ে চামচের সাহায্যে ডিমের কুসুমটিকে আলাদা করে নিতে হবে। এরপর চামচের সাহায্যে ডিমের সাদা অংশ টুকু খুব ভালোভাবে ফেঁটে নিতে হবে।

তারপর ডিমের সাদা অংশটুকু আপনার যৌনির আশেপাশের কালো দাগ হওয়া জায়গা গুলোর উপর লাগাতে হবে। মিশ্রণটি লাগানোর পর মিশ্রণটি না শুকনো পর্যন্ত, আপনাকে মোটামোটি ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।

তারপর মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে, আপনাকে বাথরুমে গিয়ে ঠান্ডা জলে, ভালো কোনো বডি ওয়াশ দিয়ে আপনার গোপনাঙ্গের সংক্রমিত এড়িয়া ভালোকরে ধুয়ে নিতে হবে।

এইভাবে কাঁচা ডিমের মিশ্রণ ০২ সপ্তাহ যাবৎ লাগালে খুব অল্পদিনের মধ্যেই আপনার যৌনির কালো দাগ দূর হয়ে, আপনার লজ্জাস্থানের কালো চামড়ার উজ্জ্বল ফর্সা রঙ ফিরে আসে।

কাঁচা ঠান্ডা দুধ দিয়ে গোপনাঙ্গের কালো দাগ দূর করার উপায়

দুধকে আদর্শ সুষম খাবার বলা হয় ,তাই দুধের অগণিত লাভের কথা আমার ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি। কিন্তু এই দুধ মেয়েদের যৌনির কালো দাগ দূর করার ক্ষেত্রে এক অতি উপকারী ফলপ্রদ ওষধি হতে পারে।

তারজন্যে আপনাকে এক কাপ ঠান্ডা কাঁচা দুধ নিয়ে,তুলো দিয়ে ভিজিয়ে আপনার লজ্জাস্থানের কালো দাগের জায়গা গুলোতে লাগাতে হবে। দুধ লেপনের পর আপনার গোপনাঙ্গের উপর দুধের প্রলেপটি না শুকনো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

মোটামোটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট আপনাকে পুরো প্রলেপটি শুকোনোর জন্যে অপেক্ষা করতে হবে। এরপর প্রলেপটি পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে গোপনাঙ্গ ধুয়ে নিতে হবে।

এইভাবে আপনাকে দিনে অন্তত ০২ বার যৌনির উপর দুধের প্রলেপ লাগিয়ে,শুকিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তাহলেই কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর হয়ে উজ্জ্বল ত্বক ফিরে আসবে।

আলু দিয়ে গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায়

যে সমস্ত মহিলারা তাদের গোপনাঙ্গ কালো থেকে ফর্সা করতে চায়, তারা তাদের লজ্জাস্থানে ঘরোয়া উপায়ে আলুর স্লাইস প্রয়োগ করতে পারে।

সবার প্রথমে আপনাকে আলুর খোসা না ছাড়িয়ে আলুকে পাতলা পাতলা করে স্লাইস হিসাবে কেটে একটি পাত্রে রাখতে হবে। তারপর আলুর স্লাইস গুলোকে ধীরে ধীরে হালকাভাবে নারী গোপনাঙ্গের কালো জায়গায় ঘষতে হবে।

এইভাবে আলুর স্লাইস গুলো যৌনির উপর ঘষলে গোপনাঙ্গের কালো চামড়ার উপর আলুর রস লাগবে, আলুর রস আপনার লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করতে সহায়তা করবে।

ভ্যাজাইনার কালো দাগ দূর করতে লেবুর রস

চর্ম রোগের সমস্যার উপায় হিসাবে পাতিলেবু অনেক জায়গায় ব্যবহার করা হয়। আপনারা আপনাদের ভ্যাজাইনার কালো দাগ দূর করার জন্যে পাতিলেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন।

তারজন্যে আপনাকে ০১/০৪ চামচ গোলাপ জলের সঙ্গে ০২ চামচ লেবুর রস নিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর লেবু ও গোলাপ জলের মিশ্রণ তুলোর সাহায্যে ভিজিয়ে নিয়ে ০৪-০৫ মিনিটের জন্যে ভ্যাজাইনার কালো দাগ হওয়া ত্বকের উপর লাগাতে হবে।

তারপর মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে হালকা উষ্ণ গরম জল দিয়ে ভ্যাজাইনার চারপাশ ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। গোলাপ জল ও লেবুর মিশ্রণ খুব অল্প দিনের মধ্যেই আপনার যৌনির কালো দাগ দূর করবে।

গোপনাঙ্গ সুন্দর করার উপায় হিসাবে শশা কেটে ব্যবহার করুন

শশার জৈবিক গুণাবলী আমাদের ত্বকের শুস্কতা দূর করে, ত্বককে আদ্র রাখতে সাহায্য করে। শশার জৈবিক গুণাবলী আপনার গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায় হিসাবে কাজে লাগতে পারে।

তার জন্যে শশাকে টুকরো টুকরো করে কেটে নিয়ে হালকা করে মিক্সার গ্রান্ডারে দিয়ে শশার পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর শশার পেস্ট আপনার গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ গুলোতে লাগাতে হবে।

গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায়
গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায়

এরপর শশার পেস্ট গোপনাঙ্গের উপর লাগিয়ে আপনাকে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে,তারপর সবার পেস্ট শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

তাহলেই দেখতে পাবেন খুব অল্পদিনেই আপনার লজ্জাস্থানের উপরের চামড়ার কালো রঙ দূরীভূত হয়ে গিয়ে, আগের মত গৌর উজ্জ্বল রঙ ফিরে আসবে।

লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায় হিসাবে টমেটো খুব ফলপ্রদ জিনিস

চুলকানির দাগ দূর করতে টমেটো ব্যপকভাবে ব্যবহার করা হয়। টমেটোর মধ্যে থাকা লাইকোপিন এন্টি অক্সাইড ত্বককে সূর্যের হানিকারক বেগুনি রশ্মির রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করে।

তাই আপনি আপনার গোপনাঙ্গ সুন্দর করার উপায় স্বরূপ টমেটো ব্যবহার করতে পারেন। তারজন্যে আপনাকে একটি পাকা টমেটো নিয়ে টমেটোটিকে কেটে নিয়ে আপনার লজ্জাস্থানের আশেপাশের কালো দাগের জায়গায় ঘষতে হবে।

এইভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পাকা টমেটো কেটে লজ্জাস্থানের আশেপাশের কালো দাগ গুলোতে ঘষার পর, গোপনাঙ্গের উপরের চামড়া ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায় হিসাবে নারিকেল তেলের প্রয়োগ করুন

নারিকেল তেল ব্যবহার করেননি এমন মহিলা আমাদের নেহাতই হাতে গোনা। মোটামোটি বেশির ভাগ গ্রাম গঞ্জের মহিলারা তাদের চুলে নারিকেল তেল ব্যবহার করে।

কিন্ত আপনি জানেন কি ? নারিকেলে তেলের মধ্যে এন্টি-সেপ্টি এবং এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল অনেক গুণাবলী আছে যা আমাদের ত্বকে হওয়া বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

তাই প্রতিদিন মহিলারা তাদের গোপনাঙ্গের উপরের চামড়ার উপর নারিকেল তেল দিয়ে মালিশ করলে যৌনি কালো হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।

চন্দন গুঁড়ো দিয়ে লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায়

বহু প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদিক গুণাবলীর কারণে চন্দন মেয়েদের বিভিন্ন ধরণের বিউটি প্রোডাক্টে ব্যবহার হয়ে আসছে। চন্দনের ব্যবহার উত্তম সুগন্ধি,তেল ইত্যাদি উপাদেয় নির্মাণে ব্যবহার করা হয়।

তাছাড়া চন্দন সূর্যের বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকারক দিকগুলো থেকেও আমাদের ত্বককে রক্ষা করে। আপনারা আপনাদের লজ্জাস্থানের কালো দাগ হওয়া জায়গা গুলোতে চন্দন লাগাতে পারেন।

এরজন্য সবার প্রথমে পাঁচ চামচ লেবুর রসের চার চামচ চন্দন গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে মলম তৈরি করে নিতে হবে। তারপর আপনার যৌনির লোম গুলো হটিয়ে দিয়ে, পরিষ্কার করে লজ্জাস্থানের উপর চন্দনের মলম লাগাতে হবে।

ভালো ফল পাওয়ার জন্যে রাত্রি বেলা ঘুমোনোর সময় গোপনাঙ্গের উপরিভাগে চন্দনের মলমের প্রলেপ লাগিয়ে রেখে দিতে পারেন। তারপর সকাল বেলা ফ্রেস হওয়ার সময় ঠান্ডা জল দিয়ে চন্দনের প্রলেপটি ধুয়ে নিতে হবে।

গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায়
গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার উপায়

পাকা পেঁপের ব্যবহার করে লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করা যায়

পাকা পেঁপের মধ্যে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ প্রচুর পরিমানে থাকে। তাই নিয়মিত পাকা পেঁপে সেবন করলে পাকা পেঁপের মধ্যে থাকা রাসায়নিক গুণাবলী

শরীরের ক্ষতিকারক টক্সিন গুলোকে বার করে আমাদের ত্বক গৌরজ্জল করতে সাহায্য করে। পাকা পেঁপের ব্যবহার লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করার জন্যেও করা যায়।

তারজন্যে আপনাকে পেঁপের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে পেঁপেটাকে মাঝ বরাবর কেটে নিয়ে, পেঁপেটাকে কয়েকটা টুকরো করে কেটে নিতে হবে।

তারপর পেঁপের টুকরো গুলোকে হালকা করে মিক্সার গ্রান্ডারে দিয়ে পেস্ট তৈরী করে নিতে হবে। এইভাবে পেঁপের পেস্ট তৈরি হয়ে যাওয়ার পর,সেই পেস্ট গোপনাঙ্গের উপরের চামড়ায় ০৫-১০ মিনিট মালিশ করে লাগাতে হবে।

এইভাবে পেঁপের পেস্টটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট শুকোনোর জন্যে ছেড়ে দিতে হবে, মিশ্রণটি শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

শুকনো কমলা লেবুর খোসা গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থানের কালো দাগ দূর করে

সাধারণভাবে আমরা কমলা লেবু খেয়ে পরে কমলা লেবুর খোসাটাকে ডাস্টবিনে ফেলে দিই। কিন্তু আপনি কি জানেন কমলা লেবুর খোসা দিয়ে গোপনাঙ্গের কালো দাগ দূর করার ক্রিম তৈরি করা যায়।

কমলা লেবুর রসের মতই কমলা লেবুর খোসার মধ্যে যথেষ্ট পরিমানে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি আমাদের Radicals ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

কমলা লেবুর খোসা দিয়ে গোপনাঙ্গের কালো দাগ দূর করার ক্রিম বানানো খুব সহজ। এরজন্য আপনাকে সবার প্রথমে কমলা লেবুর খোসাগুলোকে খুব ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।

তারপর কমলা লেবুর শুকনো খোসা গুলোকে পিষে ডাস্ট করে নিতে হবে। তারপর কমলা লেবুর খোসার ডাস্টের সঙ্গে ০১/০২ চামচ টক দই মিশিয়ে নিতে হবে।

এরপর কমলা লেবুর খোসার পাউডার এবং টক দইয়ের মিশ্রণটিকে ক্রিম আকারে আপনার গোপনাঙ্গের কালো দাগ গুলোতে লাগাতে হবে। তারপর ক্রিম শুকিয়ে গেলে যৌনি ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

সপ্তাহে ০২ থেকে ০৩ দিন কমলা লেবু ও দইয়ের মিশ্রনের তৈরি, গোপনাঙ্গের কালো দাগ দূর করার ক্রিম আপনার লজ্জাস্থানের উপর লাগালে গোপনাঙ্গের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।

পরিশিষ্ট

বয়স বাড়ার সাথে সাথে মহিলাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের রঙের পরিবর্তন হয়। মেয়েদের গোপন অঙ্গের লজ্জাস্থান কালো হয়ে যাওয়া সেরকম একটি বিষয়।

আপনি আপনার যৌনির কালো দাগ দূর করে,গোপনাঙ্গ সুন্দর করার উপায় হিসাবে গোপন অঙ্গের কালো দাগ দূর করার ক্রিম খুঁজেছেন, তাহলে আমরা সাজেস্ট করব

এইসব রাসায়নিক কস্মেটিক্স ক্রিম ব্যবহার না করে, গোপন অঙ্গের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করে আপনি আপনার যৌনির রঙ সুন্দর করতে পারেন।

তাছাড়া ঘরোয়া জৈবিক উপায়ে তৈরি গোপন অঙ্গের কালো দাগ দূর করার ক্রিমের মধ্যে কোনো প্রকার রাসায়নিক যৌগ না থাকায় আপনার ত্বকের কোনো ক্ষতি হয় না।

4.3/5 - (18 votes)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here